Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফের-বেঈমান-যিনদিকদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান:- মাওলানা আবুল বাশার সাহেব উম্মাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফের-বেঈমান-যিনদিকদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান:- মাওলানা আবুল বাশার সাহেব উম্মাহ

    [size=4]মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম সাহেব। সকলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। একজন তাহকিকী আলেম হিসেবে সুপরিচিত। কিন্তু ইদানিং তিনি কিসের দাওয়াত দিচ্ছেন? উম্মাহকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন? সন্দেহ হচ্ছে। ফরীদ মাসউদের নাস্তিকধর্মী মতবাদ প্রচারে ব্রতী হয়েছেন না-তো? তিনি ফরীদ মাসউদের শাগরেদ বটে। তবে তাকে ফরীদ মাসউদের মতাদর্শী মনে করতাম না। কিন্তু ‘মাসিক আলকাউসার- আগস্ট ২০১৮’ সংখ্যায় (পৃষ্ঠা: ৯-১২) তার যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে তো ভিন্নরূপ মনে হচ্ছে। তিনি কি তাহলে ফরীদ মাসউদের মানস সন্তান? লেখা দেখে তো তেমনই সন্দেহ হচ্ছে। যাহোক, ইয়াকীন করে বলা কঠিন। হয়তো তিনি ভুলও বুঝে থাকতে পারেন। এ কারণে তাকে ফরীদ মাসউদের মতাদর্শী, তার মতবাদ প্রচারে ব্রতী, তার মানস সন্তান- এসব লকব দিতে চাচ্ছি না। তবে তিনি উম্মাহকে যে দাওয়াত দিচ্ছেন, যে সবক শিখাতে চাচ্ছেন- সেটার ব্যাপারে কিছু না বলা উম্মাহর সাথে গাদ্দারী হবে মনে হচ্ছে। এ কারণেই কলম ধরেছি। নতুবা নিছক তার ব্যক্তিত্বে আঘাত করা- আল্লাহর পানাহ্- কিছুতেই আমার উদ্দেশ্য নয়।


    ‘মাসিক আলকাউসার- আগস্ট ২০১৮’ সংখ্যায় (পৃষ্ঠা: ৯-১২) তার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম: ‘আপন অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে করণীয় তিন কাজ’। এ প্রবন্ধে উম্মাহকে তিনি যে সবক শিখাচ্ছেন, তা উম্মাহকে কোথায় নিয়ে যাবে- একজন সচেতন পাঠক লেখাটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো- আলকাউসারে প্রবন্ধটি ছাপা হয়েছে। মারকাযুদ্ দাওয়াহকে তো আমরা শদ্ধা করি। ইলমী তাহকিকের নমুনা হিসেবে পেশ করি। তাদের পক্ষে কিভাবে সম্ভব হল লেখাটি ছাপা? যে লেখায় কুরআনে কারীমের বরাত দিয়ে গোমরাহীর দাওয়াত দেয়া হচ্ছে, আকীদায়ে ইসলামিয়্যার স্বতসিদ্ধ মূলনীতির সম্পূর্ণ খেলাফ সবক শেখানো হচ্ছে; অথচ তার পক্ষে কোন একটা তাফসীরের বরাত পেশ করা হচ্ছে না, কোন একজন ইমামের একটা বক্তব্যও পেশ করা যাচ্ছে না, সম্পূর্ণই মনগড়া যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ- এমন একটা লেখা কিভাবে তারা ছাপতে পারলেন? অনেক আশ্চর্যের কথা। অবাক না হয়ে উপায় নেই। এসবের উপর ভিত্তি করে যদি কেউ বলে বসে যে, মারকাযুদ্ দাওয়াহর আকীদা বিশ্বাসও আসলে এমনই- তাহলে তার মুখ চেপে ধরার সুযোগ থাকবে কতটুকু? যদিও আমরা তা বলছি না, তবে কেউ বললে বাধা দেয়া কঠিন হবে মনে হচ্ছে।


    আবুল বাশার সাহেব সূরা আহাযাবের ৪৮ নং আয়াত থেকে উম্মাহর অস্তিত্ব রক্ষার্থে তিনটি কাজের সবক দিয়েছেন। আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَدَعْ أَذَاهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا

    ‘(হে নবী) আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনাকে দেয়া হয়, তা অগ্রাহ্য করুন এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখুন। কর্মবিধায়করূপে আল্লাহই যথেষ্ট।’ – সূরা আহযাব: ৪৮



    আলোচনায় যাওয়ার আগে বলে রাখি- আয়াতটি মদীনায় অবতীর্ণ। কোন কোন মুফাসসির বলেছেন, আয়াতটি মানসূখ হয়নি। আয়াতের বিধান এখনও বহাল আছে। তবে অধিকাংশ মুফাসসির বলেছেন, আয়াতটি মানসূখ হয়ে গেছো। আয়াতের বিধান এখন আর প্রযোজ্য নয়। তবে মানসূখ হওয়া না হওয়াতে আসলে বিধানে তেমন কোন ফরক পড়ে না। এ আয়াত থেকে মুফাসসিরিনে কেরামের কেউ কেউ কাফের মুনাফিকদের প্রদত্ত এক বিশেষ প্রকারের কষ্ট-ক্লেশ বরদাশত করে নেয়ার কথা বলেছেন। সর্বপ্রকার জুলুম নির্যাতন আর কটুক্তি উপহাস মেনে নিতে বলেননি। সে হিসেবে বলেছেন, আয়াত মানসূখ নয়। আর যারা ব্যাপক অর্থ গ্রহণ করেছেন, তারা বলেন, আয়াত মানসূখ। এ হিসেবে বিধানগতভাবে মূলত উভয় মতের মাঝে তেমন কোন দ্বিমত নেই।



    যাহোক, আয়াত প্রসঙ্গে কিছু ইনশাআল্লাহ বলবো। আবুল বাশার সাহেব যে সবক দিতে চাচ্ছেন, সেটা একটু পেশ করি। তিনি বলেন,

    “এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তিনটি হুকুম দিয়েছেন। ক. কাফের ও মুনাফিকদের কথায় চলো না; খ. তাদের দেয়া কষ্ট-ক্লেশ উপক্ষা কর এবং গ. আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখ।” – পৃষ্ঠা: ৯

    এ বক্তব্য সম্পূর্ণ সত্য। এর সাথে আমাদের কোন দ্বিমত নেই।


    সামনে গিয়ে বলেন,
    “হিন্দু, বৌদ্ধ, ইয়াহুদী, খৃস্টান প্রভৃতি অমুসলিম জাতির কথামত চলতে কুরআন আমাদের নিষেধ করে দিয়েছে। সে নিষেধাজ্ঞা বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে নয়, জীবনের সকল ক্ষেত্রে।” – পৃষ্ঠা: ৯

    আরো সামনে গিয়ে বলেন,
    “কুরআনের হুকুম অনুযায়ী কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য পরিহার করে চলতে হবে। তারা যা করতে বলে তা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং যে পরামর্শ দেয় তা অবশ্যই অগ্রাহ্য করতে হবে।
    গ্রাহ্য করতে হবে কেবলই আল্লাহ ও রাসূলের কথা। শুনতে হবে কুরআন ও সুন্নাহ’র নির্দেশনা। আঁকড়ে ধরতে হবে শরীয়তের পথ।” – পৃষ্ঠা: ১১

    এ বক্তব্যও সম্পূর্ণ সত্য। এর সাথেও আমাদের কেন দ্বিমত নেই। জীবনের সকল ক্ষেত্রেই কাফের মুনাফিকদের কথামত চলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটাই কুরআনের নির্দেশ। তাদের থেকে কষ্ট-ক্লেশ আসবে। সেগুলো বরদাশত করতে হবে। এতেও আমাদের আপত্তি নেই। দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। এতেও কোন দ্বিমত নেই। আল্লাহর উপরই তো আমরা ভরসা করবো। তিনিই তো আমাদের মালিক। মুফাসসিরিনে কেরাম সকলেই এ কথা বলেছেন। আয়াত থেকেও তা স্পষ্ট। এতে দ্বিমত করার মতো কিছু নেই। কিন্তু তিনি নিজে থেকে যে সবক দিতে চাচ্ছেন- সেটাই আপত্তি জনক।


    প্রবন্ধে আপত্তির অনেক কিছুই আছে। সবগুলো তুলতে গেলে আলোচনা লম্বা হয়ে যাবে। মৌলিকভাবে দু’টি আপত্তি তুলে ধরছি।

    প্রথম আপত্তি: কাফের-বেঈমান-যিনদিকদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সবক।
    দ্বিতীয় আপত্তি: কাফের মুনাফিকদের পক্ষ হতে মুসলমানদের জান-মাল ও ইজ্জত-আব্রুর উপর হামলা হলে প্রতিহত না করে চরম ধৈর্যের সাথে উপক্ষা করে যাওয়ার সবক।

    আয়াতের وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ (কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না) অংশ থেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সবকটি, আর وَدَعْ أَذَاهُمْ (তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনাকে দেয়া হয়, তা অগ্রাহ্য করুন) অংশ থেকে ধৈর্যের চরম পরাকাষ্টা প্রদর্শনের সবকটি তিনি উদ্ধার করেছেন।
    ***



    মাওলানা সাহেবের সবেকের আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে আয়াত সম্পর্কে একটু আলোচনা জেনে নিই। তাহলে ইনশাআল্লাহ সবক বুঝতে সহজ হবে।
    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَدَعْ أَذَاهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ وَكَفَى بِاللَّهِ وَكِيلًا
    ‘(হে নবী) আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনাকে দেয়া হয়, তা অগ্রাহ্য করুন এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখুন। কর্মবিধায়করূপে আল্লাহই যথেষ্ট।’ – সূরা আহযাব: ৪৮



    এ আয়াতে মৌলিকভাবে দু’টি বিষয় বুঝা দরকার-

    ক. কাফের মুনাফিকদের আনুগত্য দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
    খ. কাফের মুনাফিকদের কষ্ট-ক্লেশ অগ্রাহ্য করা দ্বারা কি উদ্দেশ্য?



    ইমাম বাগাবী ও ইমাম কুরতুবীসহ আরো অনেকে উল্লেখ করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় হিজরতের পরে উহুদ যুদ্ধের পর মক্কার কাফেরদের একটা দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে আবেদন জানায়, তিনি যেন তাদের দেব দেবীদের কোন সমালোচনা না করেন। বরং তিনি যেন এ স্বীকারোক্তি দেন যে, এসব মূর্তি কেয়ামতের দিন সেগুলোর পূজারীদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবে। তাদের দেব দেবীর ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই উদারতা ও শৈথিল্য প্রদর্শন করলে তারা তার সাথে আর কোন বিবাদে জড়াবে না। কিছু মুনাফিক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে মক্কার কাফেরদের পক্ষে সুপারিশ করতে থাকে- তিনি যেন তাদের কথায় রাজি হয়ে যান। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সতর্ক করে দেন- সাবধান! আপনি কিছুতেই এসব কাফের মুনাফিকের কথায় কান দেবেন না। কোন ধরণের ছাড় দিয়ে কথা বলবেন না। দ্বীনের দাওয়াতের বেলায় কোন ধরণের আপোষ করবেন না। আপনি আপনার রিসালাতের দায়িত্ব পালনে অটল অবিচল থাকুন। আপনার এ দৃঢ় অবস্থানের কারণে হয়তো কাফের মুনাফিকদের পক্ষ থেকে কষ্ট-ক্লেশের সম্মুখীন হতে হবে। আপনি এর কোন পরোয়া করবেন না। কোন ধরণের হীনমন্যতার শিকার হবেন না। দৃঢ়চিত্তে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আপনার মিশন চালিয়ে যান। আল্লাহ তাআলা আপনাকে সব ধরণের অনিষ্ট থেকে হিফাজত করবেন। আর কখনোও কোন কষ্টের সম্মুখীন হলেও, সেটা বাহ্যত যদিও কষ্ট কিন্তু বাস্তবে তাতেও অনেক কল্যাণ নিহিত আছে। অতএব, আপনি এসব কিছুর পরোয়া না করে আল্লাহর উপর ভরসা করে দৃঢ়তার সাথে দ্বীন প্রচারের কাজ চালিয়ে যান।


    কেউ কেউ ভিন্ন ঘটনাও বলেছেন। তবে যাই হোক, আয়াত ব্যাপক। সকল ক্ষেত্রেই আল্লাহ তাআলার হুকুম: কাফের মুনাফিকদের আবদার-আবেদন, কু-পরামর্শ আর হুমকি ধমকির ভয়ে দ্বীন প্রচার-প্রসার থেকে বিরত থাকা যাবে না। দ্বীনের বেলায় কোন ধরণের শিথিলতা উদারতা দেখানো যাবে না। আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ চালিয়েই যেতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের শিথিলতা করা কিংবা দ্বীনের প্রচার-প্রসারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া কাফেরদের আনুগত্যেরই নামান্তর।


    এ আয়াতের নির্দেশনার অনুরূপ সূরা আহযাবের শুরুর আয়াত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللَّهَ وَلا تُطِعِ الْكافِرِينَ وَالْمُنافِقِينَ إِنَّ اللَّهَ كانَ عَلِيماً حَكِيماً
    “হে নবী, আপনি আল্লাহকে ভয় করুন এবং কাফের মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজান্তা ও মহাপ্রজ্ঞাময়।” – সূরা আহযাব: ১


    এ আয়াত প্রসঙ্গে ইমাম বাগাবী রহ. বলেন,
    أنزلت في أبي سفيان بن حرب وعكرمة بن أبي جهل وأبي الأعور وعمرو بن سفيان السلمي، وذلك أنهم قدموا المدينة فنزلوا على عبد الله بن أبي ابن سلول رأس المنافقين بعد قتال أحد، وقد أعطاهم النبي صلى الله عليه وسلم الأمان على أن يكلموه، فقام معهم عبد الله بن سعد بن أبي سرح وطعمة بن أبيرق، فقالوا للنبي صلى الله عليه وسلم وعنده عمر بن الخطاب: ارفض ذكر آلهتنا اللات والعزى ومناة، وقل إن لها شفاعة لمن عبدها، وندعك وربك،
    فشق ذلك على النبي صلى الله عليه وسلم فقال عمر: يا رسول الله ائذن لنا في قتلهم، فقال: إني قد أعطيتهم الأمان، فقال عمر: اخرجوا في لعنة الله وغضبه، فأمر النبي صلى الله عليه وسلم عمر أن يخرجهم من المدينة فأنزل الله تعالى: {يا أيها النبي اتق الله} أي دم على التقوى ... وقيل: الخطاب مع النبي صلى الله عليه وسلم والمراد به الأمة. وقال الضحاك: معناه اتق الله ولا تنقض العهد الذي بينك وبينهم. ولا تطع الكافرين من أهل مكة يعني أبا سفيان وعكرمة وأبا الأعور، والمنفقين، من أهل المدينة عبد الله بن أبي وعبد الله بن سعد وطعمة. اهـ
    “আয়াতটি নাযিল হয়েছে আবু সুফিয়ান ইবনে হরব, ইকরিমা ইবনে আবু জাহল, আবুল আওয়ার ও আমর ইবনে সুফিয়ান আসসুলামির ব্যাপারে। ঘটনা হল- উহুদ যুদ্ধের পর তারা মদীনায় এসে মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালূলের বাড়িতে উঠে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে তাঁর সাথে আলোচনার জন্য আমান-নিরাপত্তা দিয়েছিলেন। তাদের সাথে (মুনাফিক) আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে আবি সারহ্ এবং ত্বু’মা ইবনে উবাইরিক্বও আসল। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট প্রস্তাব দিল, আপনি আমাদের দেবতা লাত, উজ্জা ও মানাতের সমালোচনা ছেড়ে দিন এবং বলুন যে, যারা সেগুলোর পূজা করবে, সেগুলো তাদের জন্য সুপারিশ করবে। এমনটা হলে আমরা আপনাকে আপনার রবের ইবাদত করতে মুক্ত ছেড়ে দেব। এ সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত ছিলেন।

    তাদের এ প্রস্তাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কষ্ট পেলেন। তখন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাকে অনুমতি দিন, এদের হত্যা করে ফেলি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জওয়াব দিলেন, আমি তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছি (কাজেই হত্যার অনুমতি দিতে পারি না)। তখন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের বললেন, বেরিয়ে যাও তোমরা মদীনা থেকে, আল্লাহর লা’নত আর গজব নিয়ে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ দেন, তাদেরকে মদীনা থেকে বের করে দিতে। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন, ‘হে নবী, আপনি আল্লাহকে ভয় করুন’। অর্থাৎ পূর্বের মতোই আল্লাহ তাআলার তাকওয়ার উপর অটল থাকুন। ... আর মক্কার কাফের আবু সুফিয়ান, ইকরিমা ও আবুল আওয়ার এবং মদীনার মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই, আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ও ত্বু’মাদের আনুগত্য করবেন না।” – তাফসীরে বাগাবী: ৩/৬০৬


    সূরা আযহাবের এ আয়াতে কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য না করার যে অর্থ বিধৃত হয়েছে, এ অর্থই আমাদের বক্ষমান আয়াত তথা সূরার ৪৮ নং আয়াতে প্রযোজ্য। এ কারণেই বক্ষমান ৪৮ নং আয়াতে এসে ইমাম বাগাবী রহ. বলেন,
    ولا تطع الكافرين والمنافقين، ذكرنا تفسيره في أول السورة. اهـ
    “আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘আপনি কাফের মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না’- সূরার শুরুতে এর তাফসীর পেশ করে এসেছি।” – তাফসীরে বাগাবী: ৩/৬৪৮



    ৪৮ নং আয়াত প্রসঙ্গে ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন,
    (ولا تطع الكافرين والمنافقين) أي لا تطعهم فيما يشيرون عليك من المداهنة في الدين ولا تمالئهم." الكافرين": أبي سفيان وعكرمة وأبي الأعور السلمي، قالوا: يا محمد، لا تذكر آلهتنا بسوء نتبعك. و" المنافقين": عبد الله بن أبي وعبد الله ابن سعد وطعمة بن أبيرق، حثوا النبي صلى الله عليه وسلم على إجابتهم بتعلة المصلحة. اهـ
    “আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘আপনি কাফের মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না’। অর্থাৎ দ্বীনি বিষয়ে শিথিলতা প্রদর্শনের যে পরামর্শ তারা আপনাকে দিচ্ছে, আপনি তাতে তাদের কথামত চলবেন না এবং তাতে সায় দেবেন না। কাফেররা ছিল- আবু সুফিয়ান, ইকরিমা ও আবুল আওয়ার আসসুলামি। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল, হে মুহাম্মাদ, আপনি আমাদের মা’বূদদের মন্দ বলবেন না। তাহলে আমরা আপনাকে মেনে চলবো। আর মুনাফিকরা হল- আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই, আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ও ত্বু’মা ইবনে উবাইরিক্ব। তারা মাসলাহাতের বাহানা তুলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাফেরদের প্রস্তাব মেনে নিতে প্ররোচনা দিচ্ছিল।” – তাফসীরে কুরতুবী: ১৪/২০২



    শাইখুল ইসলাম আবুস সাউদ হানাফী রহ. বলেন,
    {وَلاَ تُطِعِ الكافرين والمنافقين} نهيٌ عن مداراتِهم في أمرِ الدَّعوةِ واستعمالِ لينِ الجانبِ في التبليغِ والمسامحةِ في الإنذارِ كُني عن ذلكَ بالنَّهيِ عن طاعتِهم مبالغة في الزجر والتنفيرِ عن المنهيِّ عنه بنظمه في سلكِها وتصويرِه بصورتِها ... {وَدَعْ أذاهم} أي لاتبال بأذيَّتِهم لك بسببِ تصلبكَ في الدَّعوةِ والإنذارِ {وَتَوَكَّلْ عَلَى الله} في كلِّ ما تأتِي وما تذرُ من الشئون التي من جملتها هذا الشَّأنُ فإنَّه تعالى يكفيكهُم {وكفى بالله وَكِيلاً} موكُولاً إليهِ الأمورُ في كلِّ الأحوالِ. اهـ
    “আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘আপনি কাফের মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না’। আল্লাহ তাআলা নিষেধ করছেন, দ্বীনের বিষয়ে যেন তিনি তাদের সাথে কোন নমনীয়তা না দেখান। দাওয়াতের বেলায় যেন কোন নম্রতা প্রদর্শন না করেন। ভীতি প্রদর্শন করতে গিয়ে যেন কোন উদারতা না দেখান। তাদের আনুগত্য করা থেকে নিষেধ করার দ্বারা তিনি এ দিকেই ঈঙ্গিত করেছেন। (সরাসরি না বলে এভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে বলেছেন) নিষেধটিকে আরো মজবুত করার জন্য। নিষিদ্ধ বিষয়টি থেকে সম্পূর্ণ দূরে সরানোর জন্য। এ জন্য একে (অর্থাৎ নমনীয়তা দেখানো, নম্রতা প্রদর্শন ও উদারতা দেখানোকে) তিনি কাফের মুনাফিকদের আনুগত্যের কাতারে দাঁড় করিয়েছেন। একে তাদের আনুগত্যরূপে পেশ করেছেন।

    আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘এবং তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনাকে দেয়া হয়, তা অগ্রাহ্য করুন’। অর্থাৎ দাওয়াত ও ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আপনার সৃদৃঢ় অবস্থানের কারণে তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট-ক্লেশ আপনার উপর আসবে, আপনি তার কোন পরোয়া করবেন না। আর আপনি যা করেন বা না করেন- যার মধ্যে কাফের মুনাফিকদের কথা না মানার বিষয়টিও আছে- সকল কিছুতে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা, তাদের ব্যাপারে আপনার জন্য আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট। .. ” – তাফসীরে আবুস সাউদ: ৭/১০৮



    প্রিয় পাঠক, আশাকরি আপনাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য- কিছুতেই কাফের মুশরেকদের সাথে আপোষ করা যাবে না। তাদের মুখের উপর তাদের ধর্ম ও তন্ত্র-মন্ত্রকে অসাড়, ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে দিয়ে তাদেরকে আল্লাহর দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে নেয়ার এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত শরীয়তের আনুগত্যে আত্মসমর্পণ করার আহবান জানাতে হবে। আর স্পষ্ট যে, তাদের পূজনীয় ব্যক্তি, সংস্থা, মূর্তি ও সংবিধানের বদনাম করলে, তাদের মতবাদ ও বিধি বিধানকে অসাড় আখ্যায়িত করলে- নিশ্চয় তারা তা মেনে নেবে না। মুসলমানদের উপর, দ্বীনের দাঈদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন আর কষ্ট-ক্লেশের বাণ নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে। আল্লাহ তাআলার আদেশ- যত কিছুই হোক, দ্বীনের প্রচার-প্রসার থেকে বিরত হবে না। তাদের কথায় কোন কান দেবে না। তাদের হুমকি ধমকির কোন পরোয়া করবে না। আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহর কথা মান্য কর। কাফের, মুশরেক, যিনদিক, বেঈমান ও মুনাফিকদের সাথে কোন ধরণের আপোষ করা থেকে একদম বিরত থাক। মক্কার কাফেররা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আপোষেরই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। মাসলাহাতের বাহানা তুলে মুনাফেকের দল এ প্রস্তাব মেনে নেয়ারই প্ররোচনা দিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ তাদের এ প্রস্তাব মানতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, হে নবী, তাদের প্রস্তাবে আপনি যদি কোন আপোষ করেন, তাহলে জেনে রাখুন, এমনটা করলে আপনি আমি আল্লাহকে ছেড়ে কাফের বেঈমানদের আনুগত্য করেছেন বলে ধরা হবে। অতএব, সাবধান! আল্লাহর রাসূলও তাদের এ ঘৃণ্য প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। মাসলাহাতপন্থী মুনাফিকদের কথারও কোন মূল্য দেননি। উম্মতকে শিখিয়ে গেছেন, দ্বীনের ব্যাপারে এমনই অবিচলতার পরিচয় দিতে হয়।


    প্রিয় পাঠক, আজ যেখানে সারা বিশ্বে কুফরীর ঝড় উঠেছে। মুসলিম নামধারী মুনাফিক শাসকরা আল্লাহর শরীয়ত প্রত্যাখান করে তাদের পশ্চিমা রবদের গণতন্ত্র ধর্ম গ্রহণ করেছে, সারা মুসলিম উম্মাহকে এ কুফরির দিকে আহবান করছে, প্রত্যাখান করলে নেমে আসছে নির্মর অত্যাচারের ধারালো খড়গ- প্রিয় পাঠক, এমন সময় নবীর শিক্ষা: তাদের এ তন্ত্র-মন্ত্র প্রত্যাখান কর। *মুখের উপর বলে দাও- মানিনা তোমাদের এ নব্য জাহিলিয়্যাতের লাত-উজ্জাকে। মানিনা তোমাদের সংবিধান নামক মানাতকে। আমরা আল্লাহর গোলাম। আমরা চাই আল্লাহর শরীয়ত। যতদিন শরীয়ত প্রতিষ্ঠা না হবে, সকল কাফের বেঈমান আল্লাহর শরীয়তের বশ্যতা যতদিন স্বীকার না করবে, ততদিন তোমাদের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই।


    প্রিয় পাঠক, এটাই আল্লাহর আদেশ। এটাই নবীর শিক্ষা। কিন্তু আপসোস! আবুল বাশার সাহেব এ আয়াত থেকেই দিতে চাচ্ছেন বেঈমানদের সাথে সহাবস্থানের শিক্ষা। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সবক।

    লক্ষ করুন মাওলানা সাহেবের বক্তব্য-
    “প্রথম হুকুম হচ্ছে- কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করো না। কাফের মানে অবিশ্বাসী, অমুসলিম, যারা আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয় বা তাঁকে এক মানে না, যারা প্রতিমার পূজা করে, যারা হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সারা জাহানের সকল মানুষের নবী মানে না বরং তাঁকে সর্বশেষ নবী বলে স্বীকার করে না, যারা কুরআন মাজীদকে আল্লাহর কালাম বলে বিশ্বাস করে না বা কুরআনে প্রদত্ত বিধানাবলীকে আপন আপন ক্ষেত্রে অবশ্যপালনীয় বলে স্বীকার করে না, যারা কুরআনের আইন পরিবর্তনযোগ্য বলে ধারণা রাখে- এরা সকলেই কাফের ও অমুসলিম। কুরআন-বর্ণিত যে-কোনও একটা বিষয়কেও যে ব্যক্তি অস্বীকার করে, সেও কাফের। নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী, কাদিয়ানী প্রভৃতি সম্প্রদায়সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। কুরআন বলছে- এদের আনুগত্য করো না এবং এদের কথা ও পরামর্শ অনুযায়ী চলো না।

    কুরআন এদের সাথে সহাবস্থান করতে নিষেধ করেনি। এর জন্য ভারসাম্যপূর্ণ নীতিও দান করেছে। কুরআনের সেই শিক্ষা ও বিধান অনুসারে যে-কোনও অমুসলিম জাতির সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা যাবে। তাদের প্রতিও মানবিক আচরণ করা শরীয়তের হুকুম। তাদের প্রতি জুলুম করা বা শুধুশুধুই তাদের উত্ত্যক্ত করা কুরআনী আইনে সম্পূর্ণ নিষেধ ও নাজায়েয। শরীয়তের শুধু তাদের আনুগত্য করতে, একান্ত পরামর্শক ও অভিভাবকরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছে।” –
    পৃষ্ঠা: ৯


    দেখুন, আল্লাহ তাআলা কি বুঝিয়েছেন আর মাওলানা সাহেব কিসের সবক দিচ্ছেন! কোথায় আল্লাহ তাআলা কাফেরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আর আপোষহীনতার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দিচ্ছেন, আর কোথায় মাওলানা সাহেব তাদের সাথে মিলে মিশে শান্তিু সৌহার্দ্যের সখ্যতা গড়ার দাওয়াত দিচ্ছেন! নেই কোন বরাত, নেই কোন রেফারেন্স। একান্তই মনগড়া অপব্যাখ্যা। আর এটাই না’কি ফিকহ। এটাই না’কি দ্বীনের প্রকৃত সমঝ। আর আমরা জিহাদিরা না’কি ভাসাভাসা জ্ঞানের অধিকারী। আমাদের না’কি কোন বুঝ নেই, সমঝ নেই। কোন ফিকহ নেই। দুঃখ কার কাছে বলবো। ফাইলাল্লাহিল মুশতাকা!


    অধিকন্তু মক্কার মুশরেকরা তো সহাবস্থানের দাওয়াত নিয়েও আসেনি। শুধু আপোষের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। মদীনার মুনাফিকরাও কোন শান্তিুপূর্ণ সহাবস্থানের সুপারিশ করেনি। শুধু একটু আপোষ করে নেয়ার সুপারিশ করেছিল। তাদের পূজ্যদের মন্দচারি না বলার সুপারিশ করেছিল। প্রিয় পাঠক, এতটুকুই ছিল মুনাফিকদের দরখাস্ত। তাহলে আজ যারা শুধু এতটুকুতেই ক্ষান্তু নয়, বরং একেবারে সহাবস্থানের; শুধু তাই নয়, একেবারে শান্তিুপূর্ণ সহাবস্থানের সবক শিখাচ্ছেন- তারা কোন শ্রেণীতে পড়বেন; সেটা পাঠকের বিবেচনাতেই ছেড়ে দিচ্ছি।

    আপাতত এ অংশের আলোচনা এখানেই রাখছি। সামনে ইনশাআল্লাহ আলোচনা করবো, কাফেরদের সাথে সহাবস্থানের ব্যাপারে শরীয়ত কি বলে? এবার আয়াতের দ্বিতীয় অংশে যাই।
    (চলমান)

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই। জাযাকাল্লাহ। ভাই চালিয়ে যান। বড়দের এমন ধরণের বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের যথাযথ খণ্ডন না হলে উম্মাহর বিশাল অংশ বিভ্রান্তির শিকার হবে। চালিয়ে যান ভাই। আল্লাহ তাআলা তাওফিক দান করুন। আমীন।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযা দিন। গুরুত্ব পূর্ণ একটী বিষয়ে লিখে ছেন ।
      শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

      Comment


      • #4
        ভাই বর্তমানে এধরনের আলেমরা প্রথমে কুরআন ও হাদীসের কথা সঠিকভাবে কখনো বলে, তবে প্রয়োগ ক্ষেএে নিশ্চিত বিভ্রান্তি ছরায়।

        Comment


        • #5
          জ্বিন শয়তান থেকে মানব শয়তান ইসলামের ক্ষতি বেশি করেছে। এরা ইসলামকে বাপদাদার সম্পত্তি মনে যেখানে ইচ্ছা সেখায় কুপ দিচ্ছে। কথায় আছে, যার নুন খায় তার গুন গায়। তাহলে কি আমরা ধরে নিবো ত্বাগুতের নুন তাদের পেটে হজম হয়েছে,যেমনটি হয়েছে ফরিদ শয়তানের পেটে।আল্লাহ এমন কলম চোর কবল থেকে ইসলামকে হিফাজত করুন, আমিন।
          প্রিয় আখি, সামনের পোস্টে আল কাওসারের ওই লিখাটুকু স্কিন শট দিয়ে ফোরামের দেওয়ার অনুরোধ।
          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

          Comment


          • #6
            আল কাউসার অন লাইন সাইটে পত্রিকাটি আছে। যারা ওখান থেকে পড়ার ইচ্ছা আছে পড়ে নিতে পারেন। ঠিকানা ( www.al kawsar. কম) আমি এখানে বাংলায় কম লিখার কারণ হচ্ছে ফোরামে লিংক না দেওয়াই ভালো।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযা দিন। গুরুত্ব পূর্ণ একটী বিষয়ে লিখে ছেন

              Comment


              • #8
                মাশা আল্লা্হ । পরবর্তী পর্ব এর অপেক্ষায়......

                Comment


                • #9
                  কিছু ভালো কথার মাঝে ঈমান ধংস কারী কথা। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন,আমিন।
                  ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                  Comment


                  • #10
                    ভাই আবুল বাশার সাহেবের লেখাটির শিরোনামটি একটু যদি বলতেন কেও। আমার ধারের কাছে আলকাওসার নেই। আলকাওসারের অয়েব সাইটে সেপ্টেম্বর সংখায় আবুল বাশার সাহেবের কোন লেখা পাচ্ছিনা। সেখানে নিয়মিত লেখকদের তালিকায়ও তার নাম নেই। কোন ভাই একটু বলুন প্লিজ! পূরা প্রবন্ধটা পড়তে চাচ্ছিলাম।

                    Comment


                    • #11
                      إنا إذا نزلنا بساحةِ قومٍ فساءَ صباحُ المنذرينَ

                      আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের প্রাঙ্গনে উপনিত হয়, তখন সর্তকিতদের হাল খুবিই সুচনিয় হয়।

                      হে আল্লাহ! আপনি সকল মুমনিকে, মাওলানা আবুল বাশার, মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম ও তাদের মত আলেমদের ঘৃন্য খপ্পর থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by জিহাদের পথে View Post
                        ভাই আবুল বাশার সাহেবের লেখাটির শিরোনামটি একটু যদি বলতেন কেও। আমার ধারের কাছে আলকাওসার নেই। আলকাওসারের অয়েব সাইটে সেপ্টেম্বর সংখায় আবুল বাশার সাহেবের কোন লেখা পাচ্ছিনা। সেখানে নিয়মিত লেখকদের তালিকায়ও তার নাম নেই। কোন ভাই একটু বলুন প্লিজ! পূরা প্রবন্ধটা পড়তে চাচ্ছিলাম।
                        ভাই, সেপ্টেম্বরের নয় আগস্ট ২০১৮এর মধ্যে দেখুন। অনলাইনে আছে, না পারলে জানায়েন।
                        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                        Comment


                        • #13
                          জাঝাকাল্লাহ আখি। একটি কথা আছে সমাজকে নষ্ট করার জন্য দুই ধরনের লোকেই যথেষ্ঠ, এক জন নিকৃিষ্ট আলেম, আর এক জন শাসক, আল্লাহ আমাদের কে ছহি বুঝ দান করুন আমিন।
                          আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by জিহাদের পথে View Post
                            ভাই আবুল বাশার সাহেবের লেখাটির শিরোনামটি একটু যদি বলতেন কেও। আমার ধারের কাছে আলকাওসার নেই। আলকাওসারের অয়েব সাইটে সেপ্টেম্বর সংখায় আবুল বাশার সাহেবের কোন লেখা পাচ্ছিনা। সেখানে নিয়মিত লেখকদের তালিকায়ও তার নাম নেই। কোন ভাই একটু বলুন প্লিজ! পূরা প্রবন্ধটা পড়তে চাচ্ছিলাম।

                            জাযাকাল্লাহ। আখি! আপনি আগষ্ট ২০১৮ সংখ্যায় দেখেন।
                            আর লিংকটাতে ঢুকলেই আশা করি পেয়ে যাবেন।

                            com এর আগের হাইফেন (-) উঠিয়ে ডট (.) বসিয়ে সার্চ করুন।
                            জাযাকাল্লাহ।

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by জিহাদের পথে View Post
                              ভাই আবুল বাশার সাহেবের লেখাটির শিরোনামটি একটু যদি বলতেন কেও। আমার ধারের কাছে আলকাওসার নেই। আলকাওসারের অয়েব সাইটে সেপ্টেম্বর সংখায় আবুল বাশার সাহেবের কোন লেখা পাচ্ছিনা। সেখানে নিয়মিত লেখকদের তালিকায়ও তার নাম নেই। কোন ভাই একটু বলুন প্লিজ! পূরা প্রবন্ধটা পড়তে চাচ্ছিলাম।

                              আখি! লিংকটা দেখে নিতে পারেন।

                              কম এর আগের হাইফেন উঠিয়ে ডট বসিয়ে সার্চ করুন।

                              Comment

                              Working...
                              X