Originally posted by Mujahid of Hind
View Post
Announcement
Collapse
No announcement yet.
খেলাফত না থাকলে কি অন্য কোন তানজীম করা যাবে না? একটি সংশয়ের নিরসন
Collapse
This is a sticky topic.
X
X
-
-
আপনি প্রমাণ ছাড়াই অনেক বড় একটি তোহমত দিয়েছেন!!
ইলম ও জিহাদ ভাই কোন ব্যাপারে, কোথায় ভুল ব্যাখ্যা করেছেন - আপনি দেখিয়ে দিন। আপনি সঠিক ব্যাখ্যা দেখাতে পারলে, আমরা সবাই আপনার দেখানো ব্যাখ্যাই মেনে নিব। আর যদি সেটি না পারেন, তাহলে এখানে সবার সামনে ইলম ও জিহাদ ভাই এর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ যেভাবে সবার সামনে তোহমত দিয়েছেন।
আপনি এতো খিপ্ত হয়ে হঠাত ইল্ম ও জিহাদ ভাইয়ের পক্ষে রেগে আছেন কেন?! এটাই আমার দাবীকে শক্তিশালি করছে। আপনি নিয়মিত ফোরামে ভিজিট করে থাকলে এটা দেখার কথা যে, সংশয় নিরসনের নামে ভাই একেক দিন একেটা নতুন নতুন বিষয় এর অবতারনা করে এমন ব্যখ্যা দিচ্ছেন যার ব্যপারে উম্মাহর অনেক বড় বড় উলামাগন এভাবে বলেন নি। অনেক ক্ষেত্রে নতুন নতুন ব্যখ্যাও দেখেছি এখানে। আল্লাহু আ'লাম।
কারো প্রতি আমার ব্যক্তিগত ক্রোধ আক্রোশ নেই। আপনার প্রতি আহবান, আপনি আমার মূল কথা থেকে অন্যদের দৃষ্টি গুরিয়ে মনস্তান্তিক ভাবে প্রভাবিত করবেন না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সয়াইকে সঠিক পথ দেখান।আমীন।
সম্প্রতি বর্তমান মুরতাদ শাসকদের আনুগত্য করা ফরজ দাবীদার, জিহাদ বিরোধী আলেমরা একই রকম কুযুক্তি দিয়ে মূল বিষয়ে কথা না বলে, উস্তাদ তামিম আদনানী এর প্রশ্নকে ডানে বায়ে এড়িয়ে গেছে। একই সুরে এই ফোরামের কোন মেম্বার কথা বলছে দেখে খুবই আশ্চর্য্য হচ্ছি। ]
ভাই, 'ইলম ও জিহাদ ভাই' প্রতি আপনার এত রাগ, এত ক্ষোভ কেন - সেটা মাথায় ধরে না। উনি তো ফোরামে সবার সামনেই আলহামদুলিল্লাহ উত্তম আদবের সাথে, পূর্ণ দলীলের মাধ্যমে বিভিন্ন সংশয় দূর করলেন সত্য প্রকাশ নামক আইডি এর। সত্য-প্রকাশেরও দেখলাম খুব বেশী ক্ষোভ আছে ইলম ও জিহাদ ভাই এর উপর, আপনার কথায়ও এমন আসতেছে বারংবার।
উনি কোথায় আদবের খেলাফ কিছু লিখেছেন একটু আমাদেরকে দেখান তো। বরং উনি তো খুবই সুন্দরভাবে দলীল-আদিল্লার মাধ্যমে 'সত্য প্রকাশ' করছেন। আর সত্য প্রকাশ নামক আইডি এর লোক দেখলাম - ২/১ টা কওল অর্ধেক কিংবা একাংশ এনে নিজের মত ফিট করতে চাচ্ছে। সে একই ব্যাপারে অন্য হাদিস, আলেমদের মত দেখতে চাচ্ছে না।
----------------------------------
‘সত্য প্রকাশ’ আইডি ....এগুলো শায়খ আলবানী রহ. এবং তার কতক অন্ধ ও অবুঝ অনুসারি থেকে গ্রহণ করেছেন।
লুকোচুরি না করে……
...আপনারা আসলে সত্য প্রকাশের নামে অসত্যের বিস্তার করতে চাচ্ছেন।
... সেখানে তারা অমুক আলেমের অমুক বক্তব্য, অমুকের অমুক পদস্খলন: এসব পেশ করছে।
------------------
শাইখ আলবানী রাহ ও অন্যন্য আরব উলামাগনের থেকে হাদিস নিতে পারলেও হাদিসের বুঝ নিতে পারছেন না কতেক। আর এইসব অনেক হানাফি উলামাগন যে আলবানি রাহ ও আরব আলেমদের কে সহ্য করতে পারেন না তা দিবালোকের মত পরিস্কার অনেক আগেই অনেকের নিকট। আমাদের দেশে হানাফি উলামাদের অনেকেই নিজেদের ব্যতিতি অন্যদের মতামতকে পাত্তাই দেন না। তায়াসসুবীর চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে যান। সচেতন সকলেই এটা লক্ষ্য করেছেন আশা করি।
যদি আপনার সময়ে না কুলোয়, তাহলে তো আপনি ফোরামে এইভাবে বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন দাবী করা উচিৎ না। আপনি কোন দাবী করলে, সেটির প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে। প্রমাণ ছাড়া দাবী করবেন, আবার দলীল-প্রমাণ চাইলে বলবেন, সময় নেই - এটি তো গ্রহণযোগ্য না। এতে আপনার মাধ্যমে অন্যরা বিভ্রান্ত হতে পারে।
[deleted]
এই ফোরামের কতজন হক্ব গ্রহণ করতে রাজী - এই কথা দ্বারা আপনি আসলে ফোরামের সবাইকে অপমান করছেন। সবার কাছে আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে শুধুমাত্র তাঁকে ভয় করে, হক্বের উপর অবিচল রাখুন। আমাদের অন্তরগুলোকে বক্রতা থেকে রক্ষা করুন।
Comment
-
Originally posted by murabit View Postقُلْتُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا
এখানে হুযাইফা রাঃ হাদিসে (নফীর পরে নফী এনে লায়ে নফী জিন্সের মাধ্যমে নফী করা হয়েছে অর্থাৎ) ইমাম এবং জামাত কোনটিই যদি না থাকে বলা হয়েছে , আর সেটি হবে হুবুবে রীহের পুর্ব মুহুর্তে উকবা ইবনে আমের রাঃ বর্নিত মুসলিম শরীফের বর্ননা ও এটিই , আর এই মতই পূষন করেন নব্ববী আছকালানি সহ অন্যান্য ব্যখ্যাতাগন । পরিষ্কার ভাবে ইমাম এবং জামাত ২ টি বস্তুর শুন্যতার অবস্থায় সব দল ছাড়তে বলা হয়েছে । শুধু ইমাম নাথাকলে জামাত থাকা সত্বেও সব জামাত ছাড়তে বলা হছে কি?
وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ
কোন গাছের শিকড় কামড়িয়ে পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে অবস্থায় তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়।
এর অর্থ কি এই নয় যে গাছেড় শিকড় কামরে ধরা ছাড়া যদি আর কোন উপায় ই নাথাকে তখনই শিকড় কামড়িয়ে পড়ে তাহাকবে , যদি অন্যান্য আরো যতসামান্য হলেও অন্য কিছু উপায় উপায় শরিয়ত সম্মতভাবে থাকে সেটি কে কি ছাড়তে বলা হয়েছে? ওয়ালাও বিশিক্কি তামরাতিন ।
اتقوا النار ولو بشق تمرة
"জাহান্নাম থেকে বাচার চেষ্টা করো যদিও খেজুরের টুকরা (ছদকা )দিয়ে হয় "এর অর্থ কি এটা যে পুর্ন খেজুর থাকলেও ভগ্নাংশই দিতে হবে?
تحفة الموحدين في بعض مسائل أصول الدين (ص: 332)
قال النووي - رحمه الله -: (وهذه كلها وما في معناها على ظاهرها وأما الحديث الآخر (لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق إلى يوم القيامة) فليس مخالف لهذه الأحاديث لأن معنى هذا أنهم لا يزالون على الحق حتى تقبضهم هذه الريح اللينة قرب القيامة وعند تظاهر أشراطها فأطلق في هذا الحديث بقاءهم إلى قيام الساعة على أشراطها ودنوها المتناهي والله أعلم) [شرح صحيح مسلم: 2: ص 132]، وقال - رحمه الله -: (القيامة إنما تقوم على شرار الخلق كما جاء في الرواية الأخرى وتأتى الريح من قبل اليمن فتقبض أرواح المؤمنين قرب الساعة وقد تقدم قريبًا في باب الريح التي تقبض أرواح المؤمنين بيان هذا ..
قال القاضي عياض رحمه الله وفى رواية ابن أبى جعفر يقول لا الله إلا الله والله سبحانه وتعالى أعلم) [شرح صحيح مسلم: 2: ص 178]، وقال ابن حجر - رحمه الله -: (والجمع بينه - أي حديث قيام الساعة على شرار الخلق - وبين حديث "لا تزال طائفة" حمل الغاية في حديث لا تزال طائفة على وقت هبوب الريح الطيبة التي تقبض روح كل مؤمن ومسلم فلا يبقى إلا الشرار فتهجم الساعة عليهم بغتة) [فتح الباري: 13: ص 19]، وقال - رحمه الله -: (وقد استشكلوا على ذلك حديث (لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق حتى يأتي أمر الله) فإن ظاهر الأول أنه لا يبقى أحد من المؤمنين فضلًا بالحق وظاهر الثاني البقاء ويمكن أن يكون المراد بقوله "أمر الله" هبوب تلك الريح فيكون الظهور قبل هبوبها فبهذا الجمع يزول الإشكال بتوفيق الله تعالى فأما بعد هبوبها فلا يبقى إلا الشرار وليس فيهم مؤمن فعليهم تقوم الساعة وعلى هذا فآخر الآيات المؤذنة بقيام الساعة هبوب تلك الريح) [فتح الباري: 13: ص 85]، ويؤكد الجمع الذي ذكره النووي وابن حجر رحمهما الله حديث عبد الرحمن بن شماسة المهري عند مسلم قال: كنت عند مسلمة بن مخلد، وعنده عبد الله بن عمرو بن العاص فقال عبد الله: (لا تقوم الساعة إلا على شرار الخلق هم شر من أهل الجاهلية لا يدعون الله بشيء إلا رده عليهم)، فبينما هم على ذلك أقبل عقبة بن عامر فقال له مسلمة: يا عقبة! اسمع ما يقول عبد الله فقال عقبة: هو أعلم وأما أنا فسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول (لا تزال عصابة من أمتي يقاتلون على أمر الله، قاهرين لعدوهم، لا يضرهم من خالفهم، حتى تأتيهم الساعة، وهم على ذلك)، فقال عبد الله: أجل ثم يبعث الله ريحًا كريح المسك مسها مس الحرير فلا تترك نفسًا في قلبه مثقال حبة من الإيمان إلا قبضته، ثم يبقى شرار الناس، عليهم تقوم الساعة)
আপনি হাদিসের অংশের যেই ব্যখ্যা দিয়েছে এই ব্যপারে ইবনে হাযার রাহি ও আল্লামা বাইজাবি সহ অন্য উলামাগনের ব্যখ্যা দেখার অনুরুধ করছি। আমার কথায় কষ্ট নিয়েনা বেয়াদবী মাআফ করবেন।
আল্লামা বাইজাবি রা কি আলবানির মত সৌদির সরকারের দালাল ছিলেন জে, এতশ্ত বছর আগে উনি এরকম ব্যখ্যা দিলেন ! আমাদের দেশের কাউমী ও আলিয়া সকল এর সিলেবাস কৃত তাফসীর হচ্চে তাফসীরে বাইজাবি। বিষয়টা ইজতেহাদি/ ইখতেলাফি বললেও একাট কথা ছিল। আর তায়েফায়ে মানসুরাহ যে একমাত্র মুকাতিল/ মুজাহিদরাই হবে সেটা অধিকাংশ মুহাদ্দিসরা বলেন নি।বরং কি বলেছেন তা আশা করি আমার অন্য প্পোষ্ট এ দেখেছেন। আমরা উনাদের মত মুহাদ্দিস না হয়েও বুঝে ফেলছি কিভাবে?! সালফদের ব্যখ্যা ডিঙ্গিয়ে আমার মত-আর পথের পক্ষে মিলছে বলেই একাট ব্যখ্যা নিয়ে নিলেই কি সঠিক হয়ে যাবে কিনা? এভাবে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে। একেক দল একেক ভাবে ব্যখ্যা করছে কুরআন সুন্নাহর দলিল কে তাই সব দলের ব্যখ্যা ছেড়ে সরাসরি সালাফদের ব্যখ্যাই আমি নিতে নিরাপদ মনে করি।
আর হুজাইফা রাহি এর হাদিসটি শেষ জমানার যেই হালতের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবতার সাথেও মিলে.
[deleted - offesnive]
মুহতারাম উক্ত হাদিসে জামাত বলতে খেলাফতের জামাত বুঝিয়েছেন অবনে হাযার আসকালানী এমন ব্যখ্যাই করেছেন দেখুন প্লিজঃ
باب كَيْفَ الأَمْرُ إِذَا لَمْ تَكُنْ جَمَاعَةٌ
هذا ( باب) بالتنوين يذكر فيه ( كيف الأمر إذا لم تكن) توجد ( جماعة) مجتمعون على خليفة.
"জামাআত মানে খলিফার ব্যপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জামাআত"
খেলাফত না থাকা অবস্থায় ঐক্যের নামে ইস্লমা কায়েমের নামে শত শত দল আর জামাতের উৎপত্তি হয়েছে। বাস্তবতাই এয়াটি যে কেউ কাউকে মেনে নিচ্ছে না। ২/১ জন মানলেও অন্যরা মানছে না। দল করার অনুমতি দিয়ে দিলে যে যার মত দল করে উম্মাহকে আর ভিভক্ত করে ফেলবে ও ফেলছে। একাট দল নতুন ভাবে হওয়া মানে উম্মাহর ঐক্য কে আর দুরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই রাসূল উম্মাহর শেষ যমানার হালত আল্লাহর থেকে জানতেন বলেই তিনি এই জমানার ফেতনা গাসাদের কথা এই হাদিসে পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন। আর তায়েফাতুল মানসুরাহ নির্দিশট কোন দলের নাম না যে এয়াত্তে যোগদিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথাও বলে গেছেন।
দয়া করে সালাফদের গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়ে প্রমান করলে ভালো হয়ে। ইখতেলাফের এই জমানায় রাসূলের নির্দেশনা হচ্ছেঃ আমার পরে অনেক ইখতেলাফ দেখতে পাবে...তখন তমাদের উপর আবশ্যক হচ্ছে আমার সুন্নাহ ও খূলাফায়ে রাশেদার সুন্নাহ আকরে দড়বে।। তাই উনাদের সুন্নাহ থেকেই আমাদের সমাধান নিতে হবে। এই সুন্নাহর মধ্যেই সব কিছুর সমাধান নিহিত কিয়ামত পর্যন্ত সকল সমস্যার।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক পথে দিশা দান করুন। আমীণ।Last edited by Taalibul ilm; 11-11-2018, 03:37 PM.
Comment
-
Originally posted by murabit View Postقُلْتُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا
এখানে হুযাইফা রাঃ হাদিসে (নফীর পরে নফী এনে লায়ে নফী জিন্সের মাধ্যমে নফী করা হয়েছে অর্থাৎ) ইমাম এবং জামাত কোনটিই যদি না থাকে বলা হয়েছে , আর সেটি হবে হুবুবে রীহের পুর্ব মুহুর্তে উকবা ইবনে আমের রাঃ বর্নিত মুসলিম শরীফের বর্ননা ও এটিই , আর এই মতই পূষন করেন নব্ববী আছকালানি সহ অন্যান্য ব্যখ্যাতাগন । পরিষ্কার ভাবে ইমাম এবং জামাত ২ টি বস্তুর শুন্যতার অবস্থায় সব দল ছাড়তে বলা হয়েছে । শুধু ইমাম নাথাকলে জামাত থাকা সত্বেও সব জামাত ছাড়তে বলা হছে কি?
وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ
কোন গাছের শিকড় কামড়িয়ে পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে অবস্থায় তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়।
এর অর্থ কি এই নয় যে গাছেড় শিকড় কামরে ধরা ছাড়া যদি আর কোন উপায় ই নাথাকে তখনই শিকড় কামড়িয়ে পড়ে তাহাকবে , যদি অন্যান্য আরো যতসামান্য হলেও অন্য কিছু উপায় উপায় শরিয়ত সম্মতভাবে থাকে সেটি কে কি ছাড়তে বলা হয়েছে? ওয়ালাও বিশিক্কি তামরাতিন ।
اتقوا النار ولو بشق تمرة
"জাহান্নাম থেকে বাচার চেষ্টা করো যদিও খেজুরের টুকরা (ছদকা )দিয়ে হয় "এর অর্থ কি এটা যে পুর্ন খেজুর থাকলেও ভগ্নাংশই দিতে হবে?
تحفة الموحدين في بعض مسائل أصول الدين (ص: 332)
قال النووي - رحمه الله -: (وهذه كلها وما في معناها على ظاهرها وأما الحديث الآخر (لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق إلى يوم القيامة) فليس مخالف لهذه الأحاديث لأن معنى هذا أنهم لا يزالون على الحق حتى تقبضهم هذه الريح اللينة قرب القيامة وعند تظاهر أشراطها فأطلق في هذا الحديث بقاءهم إلى قيام الساعة على أشراطها ودنوها المتناهي والله أعلم) [شرح صحيح مسلم: 2: ص 132]، وقال - رحمه الله -: (القيامة إنما تقوم على شرار الخلق كما جاء في الرواية الأخرى وتأتى الريح من قبل اليمن فتقبض أرواح المؤمنين قرب الساعة وقد تقدم قريبًا في باب الريح التي تقبض أرواح المؤمنين بيان هذا ..
قال القاضي عياض رحمه الله وفى رواية ابن أبى جعفر يقول لا الله إلا الله والله سبحانه وتعالى أعلم) [شرح صحيح مسلم: 2: ص 178]، وقال ابن حجر - رحمه الله -: (والجمع بينه - أي حديث قيام الساعة على شرار الخلق - وبين حديث "لا تزال طائفة" حمل الغاية في حديث لا تزال طائفة على وقت هبوب الريح الطيبة التي تقبض روح كل مؤمن ومسلم فلا يبقى إلا الشرار فتهجم الساعة عليهم بغتة) [فتح الباري: 13: ص 19]، وقال - رحمه الله -: (وقد استشكلوا على ذلك حديث (لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق حتى يأتي أمر الله) فإن ظاهر الأول أنه لا يبقى أحد من المؤمنين فضلًا بالحق وظاهر الثاني البقاء ويمكن أن يكون المراد بقوله "أمر الله" هبوب تلك الريح فيكون الظهور قبل هبوبها فبهذا الجمع يزول الإشكال بتوفيق الله تعالى فأما بعد هبوبها فلا يبقى إلا الشرار وليس فيهم مؤمن فعليهم تقوم الساعة وعلى هذا فآخر الآيات المؤذنة بقيام الساعة هبوب تلك الريح) [فتح الباري: 13: ص 85]، ويؤكد الجمع الذي ذكره النووي وابن حجر رحمهما الله حديث عبد الرحمن بن شماسة المهري عند مسلم قال: كنت عند مسلمة بن مخلد، وعنده عبد الله بن عمرو بن العاص فقال عبد الله: (لا تقوم الساعة إلا على شرار الخلق هم شر من أهل الجاهلية لا يدعون الله بشيء إلا رده عليهم)، فبينما هم على ذلك أقبل عقبة بن عامر فقال له مسلمة: يا عقبة! اسمع ما يقول عبد الله فقال عقبة: هو أعلم وأما أنا فسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول (لا تزال عصابة من أمتي يقاتلون على أمر الله، قاهرين لعدوهم، لا يضرهم من خالفهم، حتى تأتيهم الساعة، وهم على ذلك)، فقال عبد الله: أجل ثم يبعث الله ريحًا كريح المسك مسها مس الحرير فلا تترك نفسًا في قلبه مثقال حبة من الإيمان إلا قبضته، ثم يبقى شرار الناس، عليهم تقوم الساعة)
আপনি হাদিসের অংশের যেই ব্যখ্যা দিয়েছে এই ব্যপারে ইবনে হাযার রাহি ও আল্লামা বাইজাবি সহ অন্য উলামাগনের ব্যখ্যা দেখার অনুরুধ করছি। আমার কথায় কষ্ট নিয়েনা বেয়াদবী মাআফ করবেন।
আল্লামা বাইজাবি রা কি আলবানির মত সৌদির সরকারের দালাল ছিলেন জে, এতশ্ত বছর আগে উনি এরকম ব্যখ্যা দিলেন ! আমাদের দেশের কাউমী ও আলিয়া সকল এর সিলেবাস কৃত তাফসীর হচ্চে তাফসীরে বাইজাবি। বিষয়টা ইজতেহাদি/ ইখতেলাফি বললেও একাট কথা ছিল। আর তায়েফায়ে মানসুরাহ যে একমাত্র মুকাতিল/ মুজাহিদরাই হবে সেটা অধিকাংশ মুহাদ্দিসরা বলেন নি।বরং কি বলেছেন তা আশা করি আমার অন্য প্পোষ্ট এ দেখেছেন। আমরা উনাদের মত মুহাদ্দিস না হয়েও বুঝে ফেলছি কিভাবে?! সালফদের ব্যখ্যা ডিঙ্গিয়ে আমার মত-আর পথের পক্ষে মিলছে বলেই একাট ব্যখ্যা নিয়ে নিলেই কি সঠিক হয়ে যাবে কিনা? এভাবে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে। একেক দল একেক ভাবে ব্যখ্যা করছে কুরআন সুন্নাহর দলিল কে তাই সব দলের ব্যখ্যা ছেড়ে সরাসরি সালাফদের ব্যখ্যাই আমি নিতে নিরাপদ মনে করি।
আর হুজাইফা রাহি এর হাদিসটি শেষ জমানার যেই হালতের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবতার সাথেও মিলে.
[deleted offesive..]
মুহতারাম উক্ত হাদিসে জামাত বলতে খেলাফতের জামাত বুঝিয়েছেন ইবনে হাযার আসকালানী এমন ব্যখ্যাই করেছেন দেখুন প্লিজঃ
قوله : (باب كيف الأمر إذا لم تكن جماعة) أي : يجتمعون على خليفة ، والمعنى إذا وقع اختلاف ، ولم يكن خليفة ، فكيف يفعل المسلمون. الكتاب : حاشية السندى على صحيح البخارى
-----------------------------
باب كَيْفَ الأَمْرُ إِذَا لَمْ تَكُنْ جَمَاعَةٌ
هذا ( باب) بالتنوين يذكر فيه ( كيف الأمر إذا لم تكن) توجد ( جماعة) مجتمعون على خليفة.
দয়া করে দেখেনঃ-
فإن لم يكن لهم جماعة ولا إمام؟ قال) صلوات الله وسلامه عليه ( فاعتزل تلك الفرق كلها ولو أن تعض بأصل شجرة) بفتح الفوقية والعين المهملة والضاد المعجمة.
المشددة قال التوربشتي: أي تمسك بما يصبرك وتقوى به عزيمتك على اعتزالهم ولو بما لا يكاد يصح أن يكون متمسكًا، وقال الطيبي: هذا شرط تعقب به الكلام تتميمًا ومبالغة أي اعتزل الناس اعتزالاً لا غاية بعده ولو قنعت فيه بعضّ الشجرة افعل فإنه خير لك ( حتى يدركك الموت وأنت على ذلك) العضّ وهو كناية عن شدة المشقّة كقولهم: فلان يعضّ على الحجارة من شدة الألم أو المراد اللزوم كقوله في الحديث الآخر: "عضوا عليها بالنواجذ" والمراد كما قال الطبري من الخير لزوم الجماعة الذين في طاعة من اجتمعوا على تأميره فمن نكث بيعته خرج عن الجماعة، فإن لم يكن ثمّ إمام وافترق الناس فرقًا فليعتزل الجميع إن استطاع خشية الوقوع في الشر وهل الأمر للندب أو الإيجاب الذي لا يجوز لأحد من المسلمين خلافه لحديث ابن ماجة عن أنس مرفوعًا: "إن بني إسرائيل افترقت على إحدى وسبعين فرقة وإن أمتي ستفترق على اثنتين وسبعين فرقة كلها في النار إلاّ واحدة وهي الجماعة" والجماعة التي أمر الشارع بلزومها جماعة أئمة العلماء لأن الله تعالى جعلهم حجة على خلقه وإليهم تفزع العامة في أمر دينها وهم المعنيون بقوله: إن الله لن يجمع أمتي على ضلالة.
وقال آخرون: هم جماعة الصحابة الذين قاموا بالدين وفرّقوا عماده، وثبتوا أوتاده.
===================
فتح الباري شرح صحيح البخاري 29-57
عن حذيفة عند بن ماجة فلأن تموت وأنت عاض على جذل خير لك من ان تتبع أحدا منهم والجذل بكسر الجيم وسكون المعجمة بعدها لام عود ينصب لتحتك به الإبل وقوله وأنت على ذلك أي العض وهو كناية عن لزوم جماعة المسلمين وطاعة سلاطينهم ولو عصوا قال البيضاوي المعنى إذا لم يكن في الأرض خليفة فعليك بالعزلة والصبر على تحمل شدة الزمان وعض أصل الشجرة كناية عن مكابدة المشقة كقولهم فلان يعض الحجارة من شدة الألم أو المراد اللزوم كقوله في الحديث الآخر وعضوا عليها بالنواجذ ويؤيد الأول قوله في الحديث الآخر فان مت وأنت عاض على جذل خير لك من ان تتبع أحد منهم وقال بن بطال فيه حجة لجماعة الفقهاء في وجوب لزوم جماعة المسلمين وترك الخوارج على أئمة الجور لأنه وصف الطائفة الأخيرة بانهم دعاة على أبواب جهنم ولم يقل فيهم تعرف وتنكر كما قال في الأولين وهم لا يكونون كذلك الا وهم على غير حق وأمر مع ذلك بلزوم الجماعة
قال الطبري اختلف في هذا الأمر وفي الجماعة فقال قوم هو للوجوب
والجماعة السواد الأعظم ثم ساق عن محمد بن سيرين عن أبي مسعود انه وصى من سأله لما قتل عثمان عليك بالجماعة فان الله لم يكن ليجمع أمة محمد على ضلالة وقال قوم المراد بالجماعة الصحابة دون من بعدهم وقال قوم المراد بهم أهل العلم لأن الله جعلهم حجة على الخلق والناس تبع لهم في أمر الدين قال الطبري والصواب أن المراد في الخبر لزوم الجماعة الذين في طاعة من اجتمعوا على تأميره فمن نكث بيعته خرج عن الجماعة
قال وفي الحديث انه متى لم يكن للناس امام فافترق الناس احزابا فلا يتبع أحدا في لفرقة ويعتزل الجميع ان استطاع ذلك خشية من الوقوع في الشر
"জামাআত মানে খলিফার ব্যপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জামাআত"
খেলাফত না থাকা অবস্থায় ঐক্যের নামে ইস্লমা কায়েমের নামে শত শত দল আর জামাতের উৎপত্তি হয়েছে। বাস্তবতাই এয়াটি যে কেউ কাউকে মেনে নিচ্ছে না। ২/১ জন মানলেও অন্যরা মানছে না। দল করার অনুমতি দিয়ে দিলে যে যার মত দল করে উম্মাহকে আর ভিভক্ত করে ফেলবে ও ফেলছে। একাট দল নতুন ভাবে হওয়া মানে উম্মাহর ঐক্য কে আর দুরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই রাসূল উম্মাহর শেষ যমানার হালত আল্লাহর থেকে জানতেন বলেই তিনি এই জমানার ফেতনা গাসাদের কথা এই হাদিসে পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন। আর তায়েফাতুল মানসুরাহ নির্দিশট কোন দলের নাম না যে এয়াত্তে যোগদিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথাও বলে গেছেন।
দয়া করে সালাফদের গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়ে প্রমান করলে ভালো হয়ে। ইখতেলাফের এই জমানায় রাসূলের নির্দেশনা হচ্ছেঃ আমার পরে অনেক ইখতেলাফ দেখতে পাবে...তখন তমাদের উপর আবশ্যক হচ্ছে আমার সুন্নাহ ও খূলাফায়ে রাশেদার সুন্নাহ আকরে দড়বে।। তাই উনাদের সুন্নাহ থেকেই আমাদের সমাধান নিতে হবে। এই সুন্নাহর মধ্যেই সব কিছুর সমাধান নিহিত কিয়ামত পর্যন্ত সকল সমস্যার।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক পথে দিশা দান করুন। আমীণ।
এক ভাই আমাকে বানান ভুলের কথা বলেছেন। এই ব্যপারে আমার বক্তব্য হচ্ছেঃ- ভাই! অভ্র সফটওয়ার এর কারনে আমার বানানে ভুল হচ্ছে। এটা অনিচ্ছাকৃত। তাই আশা করি আপনারা এয়াতকে সেভাবেই নিবেন। এছারা আল হামদুলিল্লাহ কলম দিয়ে লিখলে ভুল হবে না আশা করি।
Comment
-
আগেও বলা হয়েছে আল কায়দা কোনো দল নয়। আল কায়দা একটি মিশনের নাম,সেটি হলো মুসলিমদের সাহায্য করা,এবং মুসলিমদের শক্তিশালী করুন। আল কায়দার মানহাজ আপনার অজানা নয়। আল কায়দার লোকেরা দুনিয়ার হক্বানি আলিমদের পরামর্শ এই চলে।
আল কায়দা কোনো দল নয় আল কায়দা মুসলিমদের জিহাদের আমলের মাধ্যমে উম্মাহকে সাহায্য করছেন। আপনি যদি ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতেন তাহলে খুশি হতাম। ইনশাআল্লাহ আমরা জিহাদ করতেই থাকবো কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে আমরা পরো ওয়া করি না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
মডারেটর ভাইদের অনুরোধ করবো আপনারা যেনো ভুলে না যান এটি আল কায়দার ভাইদের অফিসিয়ালি সাইট। কাজেই আমরা একটু সার্থপর হয়। নিজেদের বাড়িতে অন্যকে অবাধে করিডোর না দেয়। তবে কেও হক্ব বললে সাদরে গ্রহণ করা হবে। ইনশাআল্লাহ।Last edited by Taalibul ilm; 11-11-2018, 03:45 PM.والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا
Comment
-
@Ustad Ahmad Faruq
ফোরামে ফিতনা সৃষ্টি ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাধে আপনার এই আইডি ব্যান করা হলো। তবে আপনি যাতে এই তোহমত দিতে না পারেন যে, আপনার দলীল আদিল্লাও কাউকে পড়তে দেয়া হয়নি, তাই আপনার দলীল-আদিল্লা ও মূল বক্তব্য এখানে রেখে দেয়া হল। শুধু ফিতনামূলক কথাগুলো মুছে দেয়া হল।
আশা করি ফোরামের আলেম ভাইরা আপনার দেয়া দলীল আদিল্লাগুলো যাচাই করে উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আলেমদের উত্তর দেখার পর আপনার কোন বক্তব্য থাকলে নতুন আইডি করে দলীল-ভিত্তিক কথা বলবেন। যদি ফিতনামূলক কথা না থাকে, তাহলে সেটি মডারেটর ভাইরা এলাও করবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ। আর আপনার ডাইরেক্ট মেম্বার এর সুবিধা বাতিল করা হল।
আপনার প্রশ্ন থাকলে আদবের সাথে প্রশ্ন করবেন। কোন দাবী থাকলে দলীল-আদিল্লাসহ দাবী পেশ করবেন। ফোরামে কোন ভাই এর বক্তব্যে কোন ভুল পেলে সেটিও দলীল আদিল্লাসহ আলোচনা করবেন।
আশা করি সহজ, সুন্দরভাবে কথাগুলো বুঝবেন ইনশাআল্লাহ।
সংশয় নিরসনের নামে ভাই একেক দিন একেটা নতুন নতুন বিষয় এর অবতারনা করে এমন ব্যখ্যা দিচ্ছেন যার ব্যপারে উম্মাহর অনেক বড় বড় উলামাগন এভাবে বলেন নি। অনেক ক্ষেত্রে নতুন নতুন ব্যখ্যাও দেখেছি এখানে। আল্লাহু আ'লাম।
মোডারেটর ভাইরা অন্যদেরকে অনুরোধ করে না থামালে, আপনি আর সত্যপ্রকাশ আইডিধারী আরও অনেক কথা হয়তো শুনতেন।
যাই হোক, এখনো আপনাদের জন্য দরজা খোলা। ইনশাআল্লাহ আজীবন দরজা খোলা থাকবে এই ফোরামে। ফিতনামূলক তথ্য ও কথাবার্তা ছাড়া পিওর ইলমী আলোচনা করেন। সেটিতে সমস্যা নেই।
নোট - "ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাধ" এর বিস্তারিত বিবরণ আশা করি আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে পৌছে যাবে ইনশাআল্লাহ।Last edited by Taalibul ilm; 11-11-2018, 04:18 PM.কথা ও কাজের পূর্বে ইলম
- Likes 3
Comment
-
প্রচলিত বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের কোনো একটিতে যোগ দেওয়া কি একজন মুসলিমের উপর আবশ্যকীয়?
উত্তর দিয়েছেন শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
-----
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতিটি কথা ও কাজের অনুসরণ করা আবশ্যকীয় নয়। বরং তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য সকলের কথা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়। ইমাম মালেক (রহঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ববরের দিকে ইশারা করে বলেন, ‘এ ক্ববরের অধিবাসী ব্যতীত পৃথিবীর সকল ব্যক্তির কথা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়’। অর্থাৎ শুধুমাত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিটি কথাই গ্রহণীয়।
আর নির্দিষ্ট কোনো দল বা সংগঠনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমি বলব, মহান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল উম্মতকে জামা‘আতবদ্ধভাবে জীবন যাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জামা‘আতের সাথে আল্লাহর হাত থাকে’ (তিরমিযী, হা/ ২১৬৭, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের উপর জামা‘আতবদ্ধ থাকা ফরয করা হল। কেননা নেকড়ে বাঘ একাকী দূরে অবস্থানকারী ছাগলকে খেয়ে ফেলে’ (নাসাঈ, হা/৮৪৭, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘শয়তান একক ব্যক্তির সঙ্গে থাকে এবং সে দু’জন থেকে দূরে থাকে’ (তিরমিযী, হা/২১৬৫, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন)। এছাড়া এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ, আল্লাহর পথে দা‘ওয়াত, শার‘ঈ জ্ঞানার্জন, হক ও ধৈর্য্যের উপদেশ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির একে অপরকে সহযোগিতা করা নিঃসন্দেহে শরীআ‘তসম্মত কাজ। আর একতাবদ্ধভাবে এসব কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে শয়তানের কবল থেকে রক্ষা করতে পারে, যা উপরোল্লেখিত হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়। সংঘবদ্ধভাবে এসব কাজ সম্পাদন মহান আল্লাহ্*র নিম্নোক্ত বাণীর আওতায়ও পড়ে:
﴿ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣ ﴾ [العصر: ١، ٣]
‘সময়ের কসম! নিশ্চয়ই মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং পরস্পরকে হক ও ধৈর্য্যের উপদেশ দিয়েছে’ (আল-আছর)।
তবে কোনো দল বা সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বলতে যদি তার প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামি বুঝায়, অর্থাৎ সে যে সংগঠন করে, সেটিই একমাত্র হকের উপর আছে, পক্ষান্তরে অন্যগুলি ভ্রান্তির মধ্যে আছে বলে মনে করে এবং শুধুমাত্র নিজ সংগঠনের কর্মীদের সাথে আন্তরিকতা বজায় রেখে চলে, আর অন্যদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তাহলে এটি একদিকে যেমন মহা অন্যায় এবং যুলম। অন্যদিকে তেমনি এগুলি দ্বারা উম্মতের মধ্যে বিভক্তি এবং দুর্বলতা সৃষ্টি ব্যতীত আর কিছুই হয় না। সেজন্য প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির উচিৎ, সকল মুমিন ভাইয়ের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ﴾ [المائ*دة: ٥٥]
‘তোমাদের বন্ধুতো আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুমিনগণ’ (আল-মায়েদাহ ৫৫)। তিনি আরো বলেন,
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ ﴾ [الحجرات: ١٠]
‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই’ (আল-হুজুরাত ১০)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই’।
অতএব, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতির সাথে ঐক্যমত পোষণকারী দল, জামা‘আত বা সংগঠনগুলির কোনো একটির মধ্যে হক সীমাবদ্ধ বলে মনে করা যাবে না। আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মুমিন অন্যান্য মুমিনের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলবে। নিকটের হোক বা দূরের হোক সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং অন্যায় কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবে।([1])
([1]) শায়খের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের নিম্নোক্ত লিঙ্ক থেকে ১০/১২/২০১২ ইং তারিখে লিখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে: http://islamqa.info/ar/ref/12491
নোটঃ (ফাতোয়ার আলোকে কমেন্টকারী’র নিজস্ব অভিমত)
১. এই কমেন্টের মাকসাদ হচ্ছে, শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদের ফাতোয়া অনুযায়ী প্রয়োজনে দল গঠন করা যাবে এটা প্রমাণ করা।
২. কোন তান্জীমে যোগ দেয়ার অর্থ হচ্ছে সেই তান্জীম ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে। সুতরাং, সেখানে যোগ দেয়ার মাধ্যমে উক্ত তান্জীমকে শক্তিশালী করা ঈমানের দাবি। আর হাদীস অনুযায়ী কোন বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির জন্য সেই তান্জীমে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তার উপর অর্পিত ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এখন কেউ যদি মনে করে আমি আলাদা তান্জীম গঠন করবো তাহলে অবশ্যই তার জন্য গ্রহণযোগ্য তান্জীমের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ থাকে না। বরং এটি করার মাধ্যমে সে উম্মাহর মধ্যে বিভেদ তৈরিকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের জন্যও তান্জীমের প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ, তান্জীম বলতেই জবাবদিহিতার বিষয়টি চলে আসে যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার একটি প্রাথমিক পর্যায়। কোন ব্যক্তির মাধ্যমে যদি এমন কোন কাজ সংগঠিত হয় যা সাংগঠনিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন তাহলে একটি তান্জীমের আওতাভূক্ত থাকা তার জন্যই কল্যাণকর।
৪. সর্বশেষ শাইখ বলেছেন, “তবে কোনো দল বা সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বলতে যদি তার প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামি বুঝায়......” এখানে সম্মানিত পাঠককূলের জ্ঞাতার্থে বলবো আপনারাই বিবেচনা করুন বর্তমানে কারা শুধু নিজেদেরকেই সঠিক ও হক্বপন্থী দাবি করে? কারা কাফেরদের আজ্ঞাবহ মুরতাদ শাসকদের সাফাই গেয়ে তাদের আনুগত্যকে ফরয দাবি করে?
পরিশেষে, কিভাবে তান্জীমে যুক্ত হয়ে উম্মাহর সাথে নিজেকে জামাতবদ্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায় যখন কি না ঈমাম মাহদীর আগমন খুবই সন্নিকটে (বিইযনিল্লাহ)!!!
Comment
-
খেলাফত না থাকা অবস্থায় ঐক্যের নামে ইস্লমা কায়েমের নামে শত শত দল আর জামাতের উৎপত্তি হয়েছে। বাস্তবতাই এয়াটি যে কেউ কাউকে মেনে নিচ্ছে না। ২/১ জন মানলেও অন্যরা মানছে না। দল করার অনুমতি দিয়ে দিলে যে যার মত দল করে উম্মাহকে আর ভিভক্ত করে ফেলবে ও ফেলছে। একাট দল নতুন ভাবে হওয়া মানে উম্মাহর ঐক্য কে আর দুরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
er somadhane shaikh saleh al munajid ei bishoy ti ullekh korechen::তবে কোনো দল বা সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বলতে যদি তার প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামি বুঝায়, অর্থাৎ সে যে সংগঠন করে, সেটিই একমাত্র হকের উপর আছে, পক্ষান্তরে অন্যগুলি ভ্রান্তির মধ্যে আছে বলে মনে করে এবং শুধুমাত্র নিজ সংগঠনের কর্মীদের সাথে আন্তরিকতা বজায় রেখে চলে, আর অন্যদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তাহলে এটি একদিকে যেমন মহা অন্যায় এবং যুলম। অন্যদিকে তেমনি এগুলি দ্বারা উম্মতের মধ্যে বিভক্তি এবং দুর্বলতা সৃষ্টি ব্যতীত আর কিছুই হয় না। সেজন্য প্রতিটি মুমিন ব্যক্তির উচিৎ, সকল মুমিন ভাইয়ের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ﴾ [المائ*دة: ٥٥]
‘তোমাদের বন্ধুতো আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুমিনগণ’ (আল-মায়েদাহ ৫৫)। তিনি আরো বলেন,
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ ﴾ [الحجرات: ١٠]
‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই’ (আল-হুজুরাত ১০)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই’।
অতএব, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতির সাথে ঐক্যমত পোষণকারী দল, জামা‘আত বা সংগঠনগুলির কোনো একটির মধ্যে হক সীমাবদ্ধ বলে মনে করা যাবে না। আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মুমিন অন্যান্য মুমিনের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলবে। নিকটের হোক বা দূরের হোক সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং অন্যায় কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবে।([1])
ar er somadhane ek mujahid shaikh aro uttom somadhan prostab korechen ummahor samne ja ei kitabe ullekh ache
:
Eng- https://static1.emaanlibrary.com/wp-...aah.pdf?x17325
Comment
-
Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Postসুবহানাল্লাহ! ইল্ম ও জিহাদ ভাই তো ভালোই লিখেন। দয়া করে আপনার পরিচয় টা দিলে ভালো হত। ভাই কোন কোন মাদরাসায় পরেছেন কি কি সনদ হাসিল করেছেন?
উস্তাদ আহমাদ ফারুক ভাই! ইলম ও জিহাদ ভাই দলিলভিত্তিক দীর্ঘ একটা আলোচনা করার পর আপনি সেটা না মেনে উল্টো ব্যঙ্গ করে উপরের কথাটি বলেছেন। একজনের দলিলকে দলিল দিয়ে খণ্ডন না করে এরকম ব্যঙ্গ করা চরম হঠকারিতা।
তারপর তার যোগ্যতাকে তাচ্ছিল্য করার জন্য বলেছেন: “ভাই কোন কোন মাদরাসায় পরেছেন কি কি সনদ হাসিল করেছেন “
কিন্তু এখন আবার আপনি সাধু সাজতে চাচ্ছেন। আপনাকে কেন নির্বোধ বলল, কেন গোয়েন্দা বলল, সেটা গালি হয়ে গেছে, কুধারণা হয়ে গেছে... এধরণের ওয়াজ শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাঙ্গ করা, তাচ্ছিল্য করা, যোগ্যতার বিষযে প্রশ্ন করে ছোট করার চেষ্টা করা তো আরো বেশি মনের খাবাসাতের বহি:প্রকাশ।
তার মানে চালাকি করতে চাচ্ছ্নে। নিজে ব্যঙ্গ ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার পর আরেকজন প্রতিবাদ করলে ভদ্র সেজে তাকে আটকানোর চেষ্টা!!! বাহ বাহ! চমৎকার।
Comment
-
সত্য প্রকাশ,হক তালাশ,উম্মে মারইয়াম,bongsodhor,salman hindi,ustad ahmad faruk,উত্তর জানার জন্য।এ আইডিগুলো থেকে উস্তাদ আহমাদ ফারুক এটির ব্যাপারে আমি শিউর নয়। বাকিগুলো একজনের। আরো ১/২ টি আইডি আমার মনে নেই।অফলাইনে উনার সংশয়ের জবাব দেওয়া হয়েছে। অফলাইনে কিছু ভাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন উনি। পরে সেখানে সফলতা না পেয়ে অনলাইনে শুরু করেছেন।এখন ফোরামে এ জাতীয় যা পোস্ট আসে সব উনি করেন । সাথে ১/২ জন সহযোগী থাকতে পারে। সেটা আমার জানা নেই। এ কারনে ভাইয়েরা আপনারা যত উত্তরই দেন কোন কাজ হবেনা। সে কিছু বুঝবেনা।
Comment
-
Originally posted by karimul islam View Postসত্য প্রকাশ,হক তালাশ,উম্মে মারইয়াম,bongsodhor,salman hindi,ustad ahmad faruk,উত্তর জানার জন্য।এ আইডিগুলো থেকে উস্তাদ আহমাদ ফারুক এটির ব্যাপারে আমি শিউর নয়। বাকিগুলো একজনের। আরো ১/২ টি আইডি আমার মনে নেই।অফলাইনে উনার সংশয়ের জবাব দেওয়া হয়েছে। অফলাইনে কিছু ভাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন উনি। পরে সেখানে সফলতা না পেয়ে অনলাইনে শুরু করেছেন।এখন ফোরামে এ জাতীয় যা পোস্ট আসে সব উনি করেন । সাথে ১/২ জন সহযোগী থাকতে পারে। সেটা আমার জানা নেই। এ কারনে ভাইয়েরা আপনারা যত উত্তরই দেন কোন কাজ হবেনা। সে কিছু বুঝবেনা।আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।
Comment
Comment