Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংশয় নিরসন- ০১: মুসলিম ভূমি উদ্ধার করা ফরয

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংশয় নিরসন- ০১: মুসলিম ভূমি উদ্ধার করা ফরয

    সংশয়-১:
    ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, কোন মুসলিম ভূখণ্ড আক্রান্ত হলে শত্রু প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধে বেরিয়ে পড়া ফরয। কিন্তু কাফেররা কোন ভূখণ্ড দখল করে নিলে তা পুনঃরুদ্ধার করা ফরয- এমন কথা কি কেউ বলেছেন? ভারতে যখন ইংরেজরা আক্রমণ করেছিল তখন প্রতিহত করার জন্য জিহাদ ফরয ছিল। কিন্তু যখন তারা দখল করে নিয়ে গেছে তখন থেকে আর জিহাদ ফরয নয়। স্পেন, আরাকান ও কাশ্মিরসহ অন্যান্য ভূখণ্ডের বেলায়ও একই কথা।

    নিরসন

    بسم الله الرحمن الرحيم
    وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين. أما بعد
    এক.
    আমরা জানি, জিহাদ দুই প্রকার: ইকদামি ও দিফায়ি। কাফেরদের শক্তি চুরমার করে ইসলামী শাসনের অধীনস্ত করার জন্য কাফেরদের দেশে অগ্রে বেড়ে যে হামলা করা হয়, সেটি ইকদামি জিহাদ। আর কাফেররা মুসলমানদের কোন ভূমিতে আক্রমণ করলে প্রতিহত করা দিফায়ি জিহাদ। এ উভয় প্রকার জিহাদ ফরয। প্রথমটি ফরযে কিফায়া, দ্বিতীয়টি ফরযে আইন।

    কাফেররা যদি আমাদের উপর কোন আক্রমণ নাও করে, তথাপি তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক জিহাদ ফরয। তাদেরকে তাদের দেশে রাজত্ব করতে দেয়াও আমাদের জন্য জায়েয নেই। তাদের রাজত্ব চুরমার করে ইসলামী শাসনের অধীনস্ত করা আমাদের ফরয দায়িত্ব।


    মুহতারাম পাঠক, যখন কাফেরদেরকে কাফেরদের ভূমিতে নিরাপদে থাকতে দেয়াও আমাদের জন্য জায়েয নেই, তখন আমাদের ভূমি দখল করে নিলে তা তাদের হাতে ছেড়ে রাখা কিভাবে জায়েয হতে পারে? এখানে তো এর আগেই জিহাদ ফরয হবে।

    ইমাম তুসূলী রহ. (১২৫৮ হি.) বলেন,
    أفلا تتذكرون: أن الله- سبحانه- أمرنا بالذهاب إليهم، وقتالهم في أراضيهم، فكيف: إذا قدموا إلى برّنا هذا بالغيّ والفساد!؟، أم لنا براءة استثنانا الله- تعالى- بسببها من عموم دعوة العباد؟!. اهـ
    “তোমাদের কি স্মরণ নেই যে, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাদের ভূমিতে গিয়ে আক্রমণ চালানোর আদেশ দিয়েছেন?? তাহলে স্বয়ং তারা ভ্রষ্টতা আর ফাসাদ নিয়ে আমাদের এই ভূমিতে আগ্রাসন চালালে কি বিধান হবে?! না’কি আমাদের এমন কোন ছাড়পত্র আছে, যার কারণে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের দাওয়াতের সার্বজনীন যে দায়িত্ব, তা থেকে আমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন?”- আজবিবাতুত তুসূলী ২৬৩


    দুই.
    আরাকান, কাশ্মির, ভারত, পূর্ব তুর্কিস্তানসহ কাফেরদের দখলকৃত প্রতিটি মুসলিম ভূমিতে মুসলমানরা আজ সীমাহীন নির্যাতিত। তাদের হাহাকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত। আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করেন,
    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
    “আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা লড়াই করছ না আল্লাহর রাস্তায় এবং ঐসব দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুদেরকে উদ্ধার করার জন্য, যারা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে’ যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।”- নিসা: ৭৫


    শায়েখ আব্দুর রহমান বিন নাসির আসসা’দি রহ. (১৩৭৬ হি.) উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন,
    هذا حث من الله لعباده المؤمنين وتهييج لهم على القتال في سبيله، وأن ذلك قد تعين عليهم، وتوجه اللوم العظيم عليهم بتركه، فقال: { وَمَا لَكُمْ لا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ } والحال أن المستضعفين من الرجال والنساء والولدان الذين لا يستطيعون حيلة ولا يهتدون سبيلا ومع هذا فقد نالهم أعظم الظلم من أعدائهم، فهم يدعون الله أن يخرجهم من هذه القرية الظالم أهلها لأنفسهم بالكفر والشرك، وللمؤمنين بالأذى والصد عن سبيل الله، ومنعهم من الدعوة لدينهم والهجرة.ويدعون الله أن يجعل لهم وليًّا ونصيرًا يستنقذهم من هذه القرية الظالم أهلها.

    فصار جهادكم على هذا الوجه من باب القتال والذب عن عيلاتكم وأولادكم ومحارمكم، لا من باب الجهاد الذي هو الطمع في الكفار، فإنه وإن كان فيه فضل عظيم ويلام المتخلف عنه أعظم اللوم، فالجهاد الذي فيه استنقاذ المستضعفين منكم أعظم أجرًا وأكبر فائدة، بحيث يكون من باب دفع الأعداء. اهـ
    “এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা তার মুমিন বান্দাদেরকে তার রাস্তায় জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করছেন। আয়াত *বুঝাচ্ছে যে, এ জিহাদ তাদের উপর ফরজে আইন হয়ে গেছে। এ জিহাদ তরকের কারণে তারা চরম ভর্ৎসনার পাত্র হচ্ছে। তিনি বলছেন, ‘কী হলো তোমাদের?! তোমরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করছ না।’ অথচ অসহায় দুর্বল নারী-পুরুষ ও শিশুরা, যারা কোনো উপায় অবলম্বন পাচ্ছে না, তারা শত্রুদের হাতে চরম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে! তারা আল্লাহ তায়ালার কাছে ফরিয়াদ করছে, তিনি যাতে তাদেরকে এই ভূখণ্ড থেকে বের করে নিয়ে যান। যার অধিবাসীরা শিরক ও কুফর করে নিজেদের প্রতি জুলুম করছে এবং অত্যাচার করে ও আল্লাহর পথে বাধা দিয়ে মুমিনদের উপর জুলুম করছে। দ্বীনের দাওয়াত ও হিজরত থেকে তাদেরকে বাধা দিচ্ছে। তারা আল্লাহ তা’আলার কাছে মিনতি জানাচ্ছে, তিনি যেন তাদের জন্য কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী প্রেরণ করেন, যে তাদেরকে এই জালেমদের ভূমি থেকে উদ্ধার করবে।

    সুতরাং এটি তো সে প্রকারের জিহাদ, যা তোমরা তোমাদের সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও ইজ্জত আব্রু রক্ষার্থে করবে। এটি সেই যুদ্ধ নয়, যা (আগে বেড়ে) কাফেরদের উপর আক্রমণের আগ্রহে করা হয়। যদিও এই প্রকারের জিহাদেও রয়েছে মহাসফলতা এবং তা থেকে পশ্চাৎগামীদের ব্যাপারেও এসেছে চরম ভর্ৎসনা, কিন্তু যে জিহাদের মাধ্যমে তোমাদের দুর্বলদের উদ্ধার করবে, তার প্রতিদান তার চেয়েও আরো অনেক বড় এবং তার উপকারিতাও অনেক বেশি। কারণ এটি শত্রু প্রতিরোধমূলক জিহাদ।”- তাফসীরে সা’দি ১/১৮৭


    আল্লাহ তাআলার এমন সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও কিভাবে মজলুম মুসলমানদের কথা ভুলে গিয়ে আমরা বসে থাকতে পারি??


    তিন.
    আক্রান্ত হলে যে কারণে প্রতিহত করা ফরয, সে একই কারণে দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করা ফরয। আক্রান্ত হলে প্রতিহত করা ফরয যাতে মুসলমানদের দ্বীন ও দুনিয়ার কোন ক্ষতিসাধন না হয়। মুসলমানদের অপদস্ত ও লাঞ্চিত হতে না হয়। কোন মুসলমানের জান, মাল ও ইজ্জত-আব্রুর উপর কোন সীমালঙ্গন না হয়। কাফেররা যেন মুসলমানদের উপর কর্তৃত্ব না করতে পারে। তাদের উপর চেপে বসতে না পারে। আল্লাহর যমিনে যেন ফিতনা না হয়। শিরক, কুফর ও ফাসাদের রাজত্ব না হয়। আল্লাহর বান্দারা যেন নিরাপদে আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্য করে যেতে পারে। যেমনটা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّه لِلّهِ
    “আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল কর, যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন ও আনুগত্য পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।”- আনফাল: ৩৯


    কাফেররা আক্রমণ করলে তো এসব ফিতনার সম্ভাবনা থাকে মাত্র। যদি তারা মুসলমানদের উপর বিজয়ী হয়ে যেতে পারে, তাহলে ফিতনা চালাবে। আর দখল করে নিলে তো সুনিশ্চিত যে, তারা সব ধরণের ফিতনা ফাসাদ ও জুলুম অত্যাচার চালাবে- যেমনটা আজ আমরা প্রতিটি দখলকৃত মুসলিম ভূমিতে দেখতে পাচ্ছি। যদি আগ্রাসন চালালেই জিহাদ ফরয হয়ে যায়, তাহলে দখল করে নিলে কোন কারণে জিহাদ ফরয হবে না? এখানে তো এর আগেই ফরয হওয়ার কথা।


    চার.
    ফুকাহায়ে কেরাম যেখানে বলেছেন যে, কাফেররা কোন ভূমিতে আগ্রাসন চালালে তা প্রতিহত করা ফরয, যাতে তারা দখলদারিত্ব বসাতে না পারে, সেখানে আসলে তারা এ কথাটিও বলেছেন যে, কোন ভূখণ্ড কাফেরদের দখলে চলে গেলে তা উদ্ধার করা ফরয। ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্যগুলো ভালভাবে লক্ষ্য করলেই তা বুঝে আসে। আসুন আমরা কয়েকটি বক্তব্য দেখি। ইনশাআল্লাহ পরিষ্কার হয়ে যাবে।


    দখলদারিত্ব কায়েম করার পূর্বেই শত্রু প্রতিহত করা ফরয:
    ইমাম জাসসাস রহ. (৩৭০ হি.) বলেন,
    ومعلوم في اعتقاد جميع المسلمين أنه إذا خاف أهل الثغور من العدو، ولم تكن فيهم مقاومة لهم فخافوا على بلادهم وأنفسهم وذراريهم أن الفرض على كافة الأمة أن ينفر إليهم من يكف عاديتهم عن المسلمين، وهذا لاخلاف فيه بين الأمة إذ ليس من قول أحد من المسلمين إباحة القعود عنهم حتى يستبيحوا دماء المسلمين و سبي ذراريهم. اهـ
    “সকল মুসলমানের সুবিদিত আকীদা যে, যখন সীমান্তবর্তী মুসলমানেরা শত্রুর আক্রমণের আশঙ্কা করে; আর তাদের মাঝে শত্রু প্রতিরোধের ক্ষমতা বিদ্যমান না থাকে; ফলে তারা নিজ পরিবার-পরিজন, দেশ ও জানের ব্যাপারে শঙ্কাগ্রস্ত হয়, তখন পুরো উম্মাহর উপর ফরজ হয়ে যায়, শত্রুর ক্ষতি থেকে মুসলমানদের রক্ষা করতে পারে পরিমাণ লোক তাদের সাহায্যে জিহাদে বের হওয়া। এ বিষয়ে উম্মাহর মাঝে কোনো দ্বিমত নেই। এমন কথা কোনো মুসলমানই বলেনি যে, শত্রুরা মুসলমানদের রক্ত প্রবাহিত করবে, তাদের পরিবার-পরিজনকে বন্দী করবে, আর মুসলমানদের জন্য তাদেরকে সাহায্য না করে বসে থাকা বৈধ হবে।”- আহকামুল কুরআন ৪/৩১২



    আল্লামা আলাউদ্দীন কাসানী রহ: (৫৮৭ হি.) বলেন-
    فأما إذا عم النفير بأن هجم العدو على بلد، فهو فرض عين يفترض على كل واحد من آحاد المسلمين ممن هو قادر عليه؛ لقوله سبحانه وتعالى {انفروا خفافا وثقالا} قيل: نزلت في النفير. اهـ
    “যদি নাফিরে আম হয়ে যায়; অর্থাৎ কোন এলাকায় শত্রুরা আক্রমন চালায়, তাহলে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। এই ফরজ প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের উপর বর্তায়। এর প্রমাণ আল্লাহ তায়ালার বাণী- ‘তোমরা হালকা-ভারী উভয় অবস্থায় জিহাদে বের হও।’ বলা হয়, আয়াতটি নাফিরে আম সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।” -বাদায়িউস সানায়ি’: ৭/৯৮



    আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহ. (৮৫৫ হি.) বলেন,
    يجب الجهاد على الكفاية إلا إذا كان النفير عاماً بأن لا يندفع شر الكفار إذا هجموا ببعض المسلمين ... فيفترض على كل واحد. اهـ
    “জিহাদ ফরজে কেফায়া। তবে নাফিরে আম হয়ে গেলে সকলের উপর ফরজ হয়ে যায়। আর নাফিরে আম হল- যখন কাফেররা আক্রমন করে বসে এবং কিছু সংখ্যক মুসলমানের দ্বারা তাদের অনিষ্ট প্রতিহত যায় না।... তখন সকলের উপর জিহাদ ফরজ হয়ে যায়।” –আলবিনায়া:৭/৯৬



    ইমাম কুরতুবী রহ. (৬৭১হি.) বলেন-
    ولو قارب العدو دار الإسلام ولم يدخلوها لزمهم أيضا الخروج إليه. اهـ
    “যদি এমন হয় যে, শত্রুরা দারুল ইসলামের নিকটবর্তী হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও দারুল ইসলামে আগ্রাসন চালায়নি, তাহলেও তাদের উপর ফরজ, শত্রু প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া।” -তাফসীরে কুরতুবী: ৮/ ১৫২


    এ চার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট- শত্রু আগ্রাসন চালালে বা চালাতে আসলে তাকে প্রতিহত করার জন্য জিহাদ ফরয। দখলদারিত্ব কায়েম করার পূর্বেই তাকে প্রতিহত করে দিতে হবে।




    দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করা ফরয:
    আল্লামা ইবনে আবিদিন শামী রহ. (১২৫২হি.) বলেন-
    الجهاد إذا جاء النفير إنما يصير فرض عين على من يقرب من العدو، فأما من وراءهم ببعد من العدو فهو فرض كفاية عليهم، حتى يسعهم تركه إذا لم يحتج إليهم. فإن احتيج إليهم بأن عجز من كان يقرب من العدو عن المقاومة مع العدو أو لم يعجزوا عنها، لكنهم تكاسلوا ولم يجاهدوا: فإنه يفترض على من يليهم فرض عين كالصلاة والصوم، لا يسعهم تركه ثم وثم إلى أن يفترض على جميع أهل الإسلام شرقا وغربا على هذا التدريج. اهـ
    “যদি শত্রুরা মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালায়, তাহলে (প্রথমত) জিহাদ ফরজে আইন হয় ঐসব মুসলমানের উপর, যারা শত্রুর সবচেয়ে নিকটবর্তী। আক্রান্ত এলাকা থেকে যারা দূরে অবস্থান করছে, (শত্রু প্রতিহত করতে) যদি তাদের সাহায্যের প্রয়োজন না হয়, তাহলে তাদের উপর জিহাদ (ফরজে আইন নয়; বরং) ফরজে কেফায়া। এ অবস্থায় তাদের জিহাদে শরীক না হওয়ার অবকাশ থাকে। তবে শত্রুর নিকটে যারা রয়েছে, তারা যদি শত্রু প্রতিরোধে অপারগ হয় বা অলসতাবশত জিহাদ না করে, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে; যেমন নামাজ-রোজা ফরজে আইন। তখন তাদের জন্য জিহাদ না করার কোনো অবকাশ থাকবে না। এভাবে তার পরের এবং তার পরের মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরজে আইন হতে থাকবে। পর্যায়ক্রমে পূর্ব থেকে পশ্চিম; সমগ্র বিশ্বের সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে।” -রদ্দুল মুহতার: ৪/১২৪



    ইমাম তুসূলী রহ. (১২৫৮ হি.) বলেন,
    فالجهاد: فرض عين على من نزل بهم عدوّ الدين، فإن لم تكن فيهم كفاية، أو لم تجتمع لهم كلمة: فعلى الذين يلونهم، (فإن لم تكن في الذين يلونهم كفاية، أو لم تجتمع لهم كلمة: فعلى الذين يلونهم)، وهكذا إلى أن تحصل الكفاية، ولو اتّصل ذلك من مثل "المغرب" لبغداد"، وعمّ ذلك من الآفاق الحاضر والباد. اهـ
    “যাদের উপর শত্রুরা আগ্রাসন চালিয়েছে, (সর্বপ্রথম) তাদের উপর জিহাদ ফরযে আইন। যদি তাদের দ্বারা যথেষ্ট না হয় বা তাদের পরস্পরে ঐক্য না থাকে, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর। যদি তাদের পার্শ্ববর্তীদের দ্বারা যথেষ্ট না হয় বা তাদের পরস্পরে ঐক্য না থাকে, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর। এভাবে পর্যায়ক্রমে ফরযে আইন হতে থাকবে, যতক্ষণ না প্রতিহত করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের ব্যবস্থা হয়। যদিও এই ফরয মাগরিব থেকে নিয়ে বাগদাদ পর্যন্ত, এমনকি সার্বজনীনভাবে পৃথিবীর সর্বপ্রান্তের গ্রাম-শহর সকলের উপর বর্তায়।”- আজবিবাতুত তুসূলী ২৬৩



    লক্ষ করুন- বলা হয়েছে, যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে সর্বপ্রথম তাদের উপর জিহাদ ফরয। তারা যদি প্রতিহত করতে সক্ষম না হয় বা না করে তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর। এভাবে হতে হতে সারাবিশ্বের সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরয হয়ে যাবে।



    এই বক্তব্যের দু’টি উদ্দেশ্য হতে পারে-
    ক.
    কাফেররা কোন এক জায়গায় আক্রমণ করলে আগ্রাসী কাফেরদের প্রতিহত করতে যে পরিমাণ মুসলমানের জিহাদের শরীক হওয়ার দরকার, সে পরিমাণ মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন। প্রথমত এ দায়িত্ব যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে তাদের উপর বর্তাবে। তারা জিহাদে শরীক হবে। তাদের দ্বারা যথেষ্ট হবে না মনে হলে তাদের পার্শ্ববর্তীরাও শরীক হবে। তাদের দ্বারাও যথেষ্ট হবে না মনে হলে তাদের পার্শ্ববর্তীরাও শরীক হবে। এভাবে যদি এমন হয় যে, সারা বিশ্বের সকল মুসলমান শরীক না হলে কাফেরদের আক্রমণ প্রতিহত করা যাবে না, তারা দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলবে, তাহলে সকলের উপরই জিহাদে শরীক হওয়া আবশ্যক। অর্থাৎ কোন ভূখণ্ডে আগ্রাসন হওয়া মাত্রই এমন সংখ্যক মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যাবে, যে সংখ্যক মুসলমান দিয়ে দখলদারিত্ব বসানোর আগেই কাফেরদের প্রতিহত করা যায়।
    এ হল এক উদ্দেশ্য। প্রথমে উল্লিখিত জাসসাস, কাসানী, আইনী ও কুরতুবি- এ চারজনের বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্টভাবে আলোচিত হয়েছে।


    খ.
    দ্বিতীয় উদ্দেশ্য এটি হতে পারে যে, প্রথমত যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে তারা যদি প্রতিহত করতে না পারে বা না করে, ফলে কাফেররা তাদের উপর দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলে, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর ফরয হবে তাদের উদ্ধার করা। তারা যদি তাদের উদ্ধারে সক্ষম না হয় বা না করে কিংবা কাফেররা তাদের উপরও দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলে, তাহলে তাদের পরবর্তীদের উপর ফরয হবে তাদের সকলকে উদ্ধার করা। এভাবে আক্রান্ত ভূমিতে কাফেরদের দখলদারিত্ব যদি বহাল থাকে কিংবা তারা ক্রমাগত দখল বাড়াতে থাকে, তাহলে বাকি মুসলমানদের উপর ফরয হবে এসব দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করা। এর জন্য সারাবিশ্বের সকল মুসলমানকে জিহাদে শরীক হওয়ার দরকার পড়লে সকলকেই শরীক হতে হবে। কোন মুসলিম ভূমি কাফেদের দখলে থাকতে দেয়া যাবে না।


    আল্লামা তুসূলী রহ. ও আল্লামা ইবনে আবেদীন রহ. সহ আরো যাদের বক্তব্য এমন- তাদের সকলের বক্তব্যেই এ দু’টি বিষয় উদ্দেশ্য হতে পারে।


    চিন্তা করে দেখুন, ফুকাহায়ে কেরাম এ কথাগুলো বলেছেন, যখন উট-ঘোড়া ছাড়া যোগাযোগের আর কোন মাধ্যম ছিল না। সুদূর স্পেন বা মরক্কোতে আক্রমণ হলে এ খবর রাতারাতি মাশরিক তথা বাগদাদ বা হিন্দুস্তানে পৌঁছে যাবে না। আর স্পষ্ট যে, এত দিনে কাফেররা দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলবে। বাগদাদবাসী বা হিন্দুস্তানবাসীর তখন দায়িত্ব হবে, এ দখলদারিত্ব হটিয়ে স্পেন ও মরক্কো মুক্ত করা। ফুকাহায়ে কেরামের এমনটিই উদ্দেশ্য।

    অধিকন্তু তারা বলেছেন, নিকটবর্তীরা যদি সক্ষমতা সত্বেও জিহাদ না করে বসে থাকে, তাহলে বাকিদের দায়িত্ব জিহাদ করা। আর স্পষ্ট যে, নিকটবর্তীরা বসে থাকলে কাফেররা দখলদারিত্ব কায়েম করবে। পরবর্তী মুসলমানদের দায়িত্ব হবে কাফেরদের দখলদারিত্ব থেকে মুসলিম ভূমি উদ্ধার করা



    শাইখুল ইসলাম ইবনে কামাল পাশা রহ. (৯৪০ হি.) এর ফতোয়া
    ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্যের দ্বিতীয় যে উদ্দেশ্যটির কথা বলেছি- অর্থাৎ কোন মুসলিম ভূমি কাফেরদের দখলে চলে গেলে তা উদ্ধার করা ফরয- ইবনে কামাল পাশা রহ. এর ফতোয়া থেকে বিষয়টি ইনশাআল্লাহ পরিষ্কার হবে। তার ফতোয়াটি ছিল দখলদার শীয়াদের ব্যাপারে।


    শীয়ারা মুসলমানদের কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছিল। তখন তৎকালীন উসমানী খেলাফতের শাইখুল ইসলাম ইবনে কামাল পাশা রহ. (৯৪০ হি.) এদের বিরুদ্ধে কিতালের ফতোয়া জারি করেন। মূল ফতোয়াটি তুর্কি ভাষায়। ডক্টর সায়্যিদ বাগজুওয়ান সেটি তাহকিক করে আরবী অনুবাদ করে ছেপেছেন। ফতোয়ায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে কিতালের বিধান বর্ণনা করেছেন। সাথে সাথে ফিকহের বক্তব্য থেকে এর দলীল দিয়েছেন। এখানে প্রয়োজনীয় অংশটুকু উল্লেখ করছি। তিনি বলেন,
    قد تواترت الأخبار والآثار في بلاد المؤمنين أن طائفة من الشيعة قد غلبوا على بلاد كثيرة من بلاد السنيين، حتى أظهروا مذاهبهم الباطلة. اهـ
    “মুসলমানদের রাষ্ট্রসমূহে মুতাওয়াতির সূত্রে অসংখ্য ব্যক্তির মাধ্যমে এ সংবাদ পৌঁছেছে যে, শীয়াদের একটা দল সুন্নীদের অনেকগুলো এলাকা দখল করে নিয়েছে। এমনকি সেগুলোতে তারা তাদের বাতিল মতবাদ প্রকাশ্যে জারি করেছে।”- খামসু রাসায়িল ফিল ফিরাকি ওয়াল মাযাহিব ১৯৫


    সামনে বলেন,
    وبالجملة أن أنواع كفرهم المنقولة إلينا بالتواتر مما لا يعد ولا يحصى. فنحن لا نشك في كفرهم وارتدادهم. وإن دارهم دار حرب. اهـ
    “মোটকথা, মুতাওয়াতির সূত্রে অসংখ্য ব্যক্তি মারফত আমাদের নিকট এসব শীয়ার এত অধিক কুফরির কথা পৌঁছেছে যে, তার কোন হিসাব কিতাব নেই। কাজেই, তারা কাফের ও মুরতাদ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। আর তাদের দখলকৃত রাষ্ট্র দারুল হরবে পরিণত হয়েছে।”- খামসু রাসায়িল ফিল ফিরাকি ওয়াল মাযাহিব ১৯৬


    সামনে বলেন,
    ثم أن أحكامهم كانت من أحكام المرتدين. حتى إنهم لو غلبوا على مدائنهم صارت هى دار الحرب، فيحل للمسلمين أموالهم ونسائهم وأولادهم ... ويجب أن يعلم أيضا أن جهادهم كان فرض عين على جميع أهل الإسلام الذين كانوا قادرين على قتالهم. اهـ
    “এদের বিধান মুরতাদদের বিধানের অনুরূপ। তাদের দখলকৃত শহরগুলো দারুল হরব। তাই মুসলমানদের জন্য তাদের মাল গনিমত বানানো এবং তাদের নারী শিশুদের বন্দী করা হালাল। ... আরো জেনে রাখা আবশ্যক যে, সকল সক্ষম মুসলমানের উপর তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরযে আইন।”- খামসু রাসায়িল ফিল ফিরাকি ওয়াল মাযাহিব ১৯৬



    জিহাদ ফরযে আইন হওয়ার পক্ষে তিনি সদরুশ শরীয়া রহ. (৭৪৭ হি.) এর নিম্নোক্ত বক্তব্য পেশ করেছেন-
    إذا هجمَ الكفارُ على ثغرٍ من الثّغورِ يصيرُ فرضَ عينٍ على مَن كان يقربُ منه، وهم يقدرونَ على الجهاد. وأمَّا على مَن ورائِهم، فإذا بلغَ الخبرُ إليهم يصيرُ فرضَ عينٍ عليهم إذا احتيجَ إليهم، بأن خيفَ على مَن كان يقربُ منهم، بأنَّهم عاجزونَ عن المقاومة، أو بأن لم يعجزوا، ولكن تكاسلوا، ثُمَّ وثُمَّ إلى أن يصيرَ فرضَ عينٍ على جميعِ أهلِ الإسلام شرقاً وغرباً. اهـ
    “কাফেররা মুসলমানদের কোন সীমান্তে আক্রমণ করলে সীমান্তের নিকটবর্তী সক্ষম মুসলমানদের উপর (সর্বপ্রথম) জিহাদ ফরযে আইন। তাদের পরবর্তীদের কাছে যদি সংবাদ পৌঁছে এবং প্রয়োজন পড়ে, তাহলে তাদের উপরও ফরযে আইন। প্রয়োজন পড়বে এভাবে যে, সীমান্তবর্তীরা অক্ষম হওয়ার কারণে তাদের ব্যাপারে আশঙ্কা হচ্ছে (যে, তারা প্রতিহত করতে পারবে না) কিংবা অক্ষম নয় কিন্তু অলসতা করছে। এভাবে হতে হতে (ক্রমানুসারে) পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম সকল প্রান্তের মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যাবে।”- শরহুল বিকায়া ৬/৮৩-৮৪



    ইবনে কামাল পাশা রহ. এর ফতোয়া থেকে দু’টি বিষয় বুঝা গেল-
    ১. কাফেররা কোন মুসলিম ভূমি দখল করে নিলে তা উদ্ধার করা ফরয। কারণ, তিনি এ ফতোয়া এমন মুসলিম ভূমি উদ্ধারের ব্যাপারে দিয়েছিলেন, যেগুলো ইতিমধ্যে শীয়া কাফেররা দখল করে নিয়েছিল।


    ২. ফুকাহায়ে কেরাম যেখানে বলেছেন যে, ‘কাফেররা আক্রমণ করলে প্রয়োজন পড়লে পৃথিবীর সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন’- এর দ্বারা পূর্বোক্ত উভয়টি উদ্দেশ্য। অর্থাৎ দখলদারিত্ব কায়েম করার আগেই প্রতিহত করতে হবে। প্রতিহত করা সম্ভব না হলে এবং কাফেররা দখলদারিত্ব কায়েম করে নিলে সেটি উদ্ধার করা ফরয। কেননা, সদরুশ শরীয়ার যে বক্তব্য দিয়ে তিনি দলীল দিয়েছেন যে, শীয়াদের দখলকৃত ভূমিগুলো উদ্ধার করা ফরয, সেখানে এ কথা পরিষ্কার নেই যে, দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে হবে। সেখানে শুধু এতটুকুই আছে যে, আক্রমণ হলে ক্রমে ক্রমে সারা বিশ্বের সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যাবে। এ থেকে বুঝা যায়, ফুকাহায়ে কেরামের এ ধরণের সকল বক্তব্য দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য যে, যেকোনভাবে কাফেরকে দারুল ইসলাম থেকে বের করে দিতে হবে। দখলদারিত্ব কায়েম করার আগে সম্ভব হলে আগেই। সম্ভব না হলে দখলদারিত্ব কায়েম করার পর হলেও যুদ্ধের মাধ্যমে হটিয়ে মুসলিম ভূমি উদ্ধার করতে হবে।



    পাঁচ.
    দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে হবে- এ কথাটি কোন কোন ফকিহ স্পষ্টও বলেছেন।

    ইমাম কুরতুবী রহ. (৬৭১হি.) বলেন-
    وقد تكون حالة يجب فيها نفير الكل، وهي: الرابعة- وذلك إذا تعين الجهاد بغلبة العدو على قطر من الأقطار، أو بحلوله بالعقر، فإذا كان ذلك وجب على جميع أهل تلك الدار أن ينفروا ويخرجوا إليه خفافا وثقالا، شبابا وشيوخا، كل على قدر طاقته، من كان له أب بغير إذنه ومن لا أب له، ولا يتخلف أحد يقدر على الخروج، من مقاتل أو مكثر. فإن عجز أهل تلك البلدة عن القيام بعدو هم كان على من قاربهم وجاور هم أن يخرجوا على حسب ما لزم أهل تلك البلدة، حتى يعلموا أن فيهم طاقة على القيام بهم ومدافعتهم. وكذلك كل من علم بضعفهم عن عدو هم وعلم أنه يدركهم ويمكنه غياثهم لزمه أيضا الخروج إليهم، فالمسلمون كلهم يد على من سواهم، حتى إذا قام بدفع العدو أهل الناحية التي نزل العدو عليها واحتل بها سقط الفرض عن الآخرين. ولو قارب العدو دار الإسلام ولم يدخلوها لزمهم أيضا الخروج إليه، حتى يظهر دين الله وتحمى البيضة وتحفظ الحوزة ويخزى العدو. ولا خلاف في هذا. اهـ
    “কোনো কোনো অবস্থায় সকলের উপরই জিহাদে বের হওয়া ফরজ হয়ে যায়। চতুর্থ মাসআলায় এটাই বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। উক্ত অবস্থা হল- যখন কোনো (মুসলিম) ভূখণ্ডে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলার কারণে বা কোনো ভূখণ্ডে শত্রু ঢুকে পড়ার কারণে জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় উক্ত ভূখণ্ডের হালকা-ভারি, যুবক-বৃদ্ধ সকল অধিবাসীর উপর ফরজ- শত্রুর মোকবেলায় জিহাদে বেরিয়ে পড়া। প্রত্যেকে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী শত্রু প্রতিহত করবে। যার পিতা নেই সে তো যাবেই, যার পিতা আছে সেও পিতার অনুমতি ছাড়াই বেরিয়ে পড়বে। যুদ্ধ করতে সক্ষম কিংবা (অন্তত মুজাহিদদের) সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম, এমন কেউ বসে থাকবে না। ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা যদি শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম হয়, তাহলে উক্ত ভূখণ্ডের অধিবাসীদের মতো তাদের নিকটবর্তী এবং প্রতিবেশীদের উপরও আবশ্যক- জিহাদে বের হয়ে পড়া; যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারবে যে, এখন তাদের শত্রু প্রতিহত করার এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার সামর্থ্য অর্জিত হয়েছে। তেমনি যে ব্যক্তিই জানতে পারবে যে, তারা শত্রু প্রতিহত করতে অক্ষম এবং সে বুঝতে পারবে- আমি তাদের কাছে পৌঁছতে এবং তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হব; তার উপরই আবশ্যক সাহায্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। কারণ, সকল মুসলমান তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে এক হস্তের ন্যায়। তবে যে এলাকায় শত্রু আগ্রাসন চালিয়েছে, তারা নিজেরাই যদি শত্রু প্রতিহত করতে পারে, তাহলে অন্যদের উপর থেকে ফরজ রহিত হয়ে যাবে। যদি এমন হয় যে, শত্রুরা দারুল ইসলামের নিকটবর্তী হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও দারুল ইসলামে আগ্রাসন চালায়নি, তাহলেও তাদের উপর ফরজ শত্রু প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। যাতে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী থাকে, ইসলামী ভূখণ্ড সংরক্ষিত থাকে এবং শত্রু অপদস্থ ও পরাস্ত হয়। এ বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই।” -তাফসীরে কুরতুবী: ৮/১৫১-১৫২



    ইমাম কুরতুবী রহ.-এর বক্তব্য থেকে বুঝা গেল, নিম্নোক্ত তিন সূরতের প্রতিটিতেই জিহাদ ফরজে আইন।

    ১. যখন শত্রু কোনো মুসলিম ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালিয়ে তা দখল করে নেয়। (بغلبة العدو على قطر من الأقطار)
    ২. যদি শত্রু কোনো মুসলিম ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে, তবে এখনও তা দখলে নিতে সক্ষম হয়নি। (بحلوله بالعقر)
    ৩. যদি শত্রু আগ্রাসন চালানোর উদ্দেশ্যে দারুল ইসলামের দিকে আসতে থাকে এবং দারুল ইসলামের কাছাকাছি এসে পড়ে। (لو قارب العدو دار الإسلام ولم يدخلوها)



    কাজি ইয়ায রহ. (৫৪৪ হি.) বলেন-
    وقوله: (وإذا استنفرتم فانفروا) هو على وجهين؛ فأما الاستنفار لعدو صدم اْرض قوم، فنفيرهم له واجب فرض متعين عليهم، وكذلك لكل عدو غالب ظاهر حتى يقع، وأما لغير هذين الوجهين فيتكد النفير لطاعة الإمام لذلك، ولا يجب وجوب الأول. اهـ
    “হাদিসের বাণী (وإذا استنفرتم فانفروا) ‘যখন তোমাদেরকে জিহাদে বের হতে আহবান করা হবে, তোমরা বের হয়ে পড়।’ -এর দু’টি সূরত:

    ১. যদি এমন কোনো শত্রু প্রতিহত করতে আহবান করা হয়, যারা মুসলমানদের কোনো ভূখণ্ডে আক্রমণ করেছে, তাহলে তাদেরকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে জিহাদে বের হওয়া তাদের উপর ফরজে আইন।

    ২. একইভাবে যে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলেছে, তাদের প্রতিহত করার জন্যে জিহাদে বের হওয়াও ফরজে আইন। এ ফরজ বলবৎ থাকবে, যতক্ষণ না শত্রু পরাজিত হয়।

    এই দুই সূরত ছাড়াও ইমাম যদি জিহাদে বের হওয়ার আদেশ দেন, তবুও ইমামের আনুগত্যের ভিত্তিতে জিহাদে বের হওয়া আবশ্যক। তবে এটি পূর্বোক্ত দু’টির মতো জোরদার ফরজ নয়।” -ইকমালুল মু’লিম: ৬/২৭৫



    ইমাম কুরতুবী রহ. ও কাজি ইয়ায রহ. এর বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, শত্রু কোন মুসলিম ভূখণ্ড দখল করে নিলে, তার বিরুদ্ধে কিতাল ফরয; যতক্ষণ না শত্রু পরাজিত হয় এবং মুসলিম ভূমি উদ্ধার হয়। যেমন শত্রু আসতে থাকলে বা আগ্রাসন চালালে তা প্রতিহত করার জন্য কিতাল ফরয।



    সারকথা-
    উপরোক্ত আলোচনার সারকথা দাঁড়াল: নিম্নোক্ত তিন সূরতের প্রত্যেকটিতেই জিহাদ ফরয-
     কাফেররা কোন মুসলিম ভূমি আক্রমণের উদ্দেশ্যে আসতে থাকলে।
     কোন মুসলিম ভূমিতে আক্রমণ চালালে।
     কোন মুসলিম ভূমি দখল করে নিলে।

    প্রথম দুই সূরতে দখলদারিত্ব বসাবার পূর্বেই আক্রমণ প্রতিহত করে দিতে হবে। তৃতীয় সূরতে দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে হবে। অতএব, বর্তমান ফিলিস্তিন, কাশ্মির, ভারত, মায়ানমার, পূর্বতুর্কিস্তানসহ সকল গণতান্ত্রিক বা রাজতান্ত্রিক মুসলিম ভূমি, যেগুলো কাফের মুরতাদদের দখলে আছে, সেগুলো উদ্ধারের জন্য জিহাদ ফরযে আইন। কোন না কোনভাবে জান, মাল বা যবান দিয়ে জিহাদে সক্ষম এমন কোন মুসলমানই এই ফরয থেকে মুক্ত নয়।

    والله سبحانه وتعالى أعلم، وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وعلى آله وصحبه أجمعين








  • #2
    আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      jazakallah,,,barakallahu fi elmikum
      wa amalikum

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন আমীন।

        Comment


        • #5
          بارك الله في علمك
          وزادكم الله علما
          হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

          Comment


          • #6
            আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন আমীন।

            Comment


            • #7
              Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
              সংশয়-১:
              [B]

              লক্ষ করুন- বলা হয়েছে, যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে সর্বপ্রথম তাদের উপর জিহাদ ফরয। তারা যদি প্রতিহত করতে সক্ষম না হয় বা না করে তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর। এভাবে হতে হতে সারাবিশ্বের সকল মুসলমানের উপর জিহাদ ফরয হয়ে যাবে।



              এই বক্তব্যের দু’টি উদ্দেশ্য হতে পারে-
              ক.
              কাফেররা কোন এক জায়গায় আক্রমণ করলে আগ্রাসী কাফেরদের প্রতিহত করতে যে পরিমাণ মুসলমানের জিহাদের শরীক হওয়ার দরকার, সে পরিমাণ মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন। প্রথমত এ দায়িত্ব যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে তাদের উপর বর্তাবে। তারা জিহাদে শরীক হবে। তাদের দ্বারা যথেষ্ট হবে না মনে হলে তাদের পার্শ্ববর্তীরাও শরীক হবে। তাদের দ্বারাও যথেষ্ট হবে না মনে হলে তাদের পার্শ্ববর্তীরাও শরীক হবে। এভাবে যদি এমন হয় যে, সারা বিশ্বের সকল মুসলমান শরীক না হলে কাফেরদের আক্রমণ প্রতিহত করা যাবে না, তারা দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলবে, তাহলে সকলের উপরই জিহাদে শরীক হওয়া আবশ্যক। অর্থাৎ কোন ভূখণ্ডে আগ্রাসন হওয়া মাত্রই এমন সংখ্যক মুসলমানের উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যাবে, যে সংখ্যক মুসলমান দিয়ে দখলদারিত্ব বসানোর আগেই কাফেরদের প্রতিহত করা যায়।
              এ হল এক উদ্দেশ্য। প্রথমে উল্লিখিত জাসসাস, কাসানী, আইনী ও কুরতুবি- এ চারজনের বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্টভাবে আলোচিত হয়েছে।


              খ.
              দ্বিতীয় উদ্দেশ্য এটি হতে পারে যে, প্রথমত যাদের উপর আক্রমণ হয়েছে তারা যদি প্রতিহত করতে না পারে বা না করে, ফলে কাফেররা তাদের উপর দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলে, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর ফরয হবে তাদের উদ্ধার করা। তারা যদি তাদের উদ্ধারে সক্ষম না হয় বা না করে কিংবা কাফেররা তাদের উপরও দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলে, তাহলে তাদের পরবর্তীদের উপর ফরয হবে তাদের সকলকে উদ্ধার করা। এভাবে আক্রান্ত ভূমিতে কাফেরদের দখলদারিত্ব যদি বহাল থাকে কিংবা তারা ক্রমাগত দখল বাড়াতে থাকে, তাহলে বাকি মুসলমানদের উপর ফরয হবে এসব দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করা। এর জন্য সারাবিশ্বের সকল মুসলমানকে জিহাদে শরীক হওয়ার দরকার পড়লে সকলকেই শরীক হতে হবে। কোন মুসলিম ভূমি কাফেদের দখলে থাকতে দেয়া যাবে না।


              আল্লামা তুসূলী রহ. ও আল্লামা ইবনে আবেদীন রহ. সহ আরো যাদের বক্তব্য এমন- তাদের সকলের বক্তব্যেই এ দু’টি বিষয় উদ্দেশ্য হতে পারে।


              চিন্তা করে দেখুন, ফুকাহায়ে কেরাম এ কথাগুলো বলেছেন, যখন উট-ঘোড়া ছাড়া যোগাযোগের আর কোন মাধ্যম ছিল না। সুদূর স্পেন বা মরক্কোতে আক্রমণ হলে এ খবর রাতারাতি মাশরিক তথা বাগদাদ বা হিন্দুস্তানে পৌঁছে যাবে না। আর স্পষ্ট যে, এত দিনে কাফেররা দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলবে। বাগদাদবাসী বা হিন্দুস্তানবাসীর তখন দায়িত্ব হবে, এ দখলদারিত্ব হটিয়ে স্পেন ও মরক্কো মুক্ত করা। ফুকাহায়ে কেরামের এমনটিই উদ্দেশ্য।

              অধিকন্তু তারা বলেছেন, নিকটবর্তীরা যদি সক্ষমতা সত্বেও জিহাদ না করে বসে থাকে, তাহলে বাকিদের দায়িত্ব জিহাদ করা। আর স্পষ্ট যে, নিকটবর্তীরা বসে থাকলে কাফেররা দখলদারিত্ব কায়েম করবে। পরবর্তী মুসলমানদের দায়িত্ব হবে কাফেরদের দখলদারিত্ব থেকে মুসলিম ভূমি উদ্ধার করা।

              আল্লাহ তায়ালা “ইলম ও জিহাদ“ ভাইয়ের ইলম আমলে বারকাহ দান করুন, আমিন। আমাদের কে তার প্রিয় বান্দাদের অন্তরভুক্ত করুন, আমিন।

              ###
              তবে শত্রুর নিকটে যারা রয়েছে, তারা যদি শত্রু প্রতিরোধে অপারগ হয় বা অলসতাবশত জিহাদ না করে, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তীদের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে; যেমন নামাজ-রোজা ফরজে আইন। তখন তাদের জন্য জিহাদ না করার কোনো অবকাশ থাকবে না।

              >> নিকটে যারা রয়েছে এর দারা যদি উদ্দেশ্য এ নেওয়া, ঐ সময়ের মুসলিম যাদের উপস্থিতি তে আক্রমণ হয়েছে।
              >> আর দুরবর্তি দরার যদি এ উদ্দেশ্য নেওয়া হয়, সকল মসুলিম যারা ঐ সময় উপস্তিত ছিলনা, পরবর্তিতে কুফারের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠত হওয়ার পর তারা উপস্থিত হয়েছে, তাহলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ।

              অর্থাৎ সময়ের নিকটবর্তগণ যদি কুফফারদের প্রতিরোধ করতে অপরাগ হয়ে থাকেন, অথবা শক্তি, সামর্থ থাকা সত্বেও কুফফারদের সাথে সখ্যতার কারনে বা অলসতা বসত তাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকে। তাহলে পরবর্তি প্রজন্মের উপর শক্তি অর্জন করা, ও কাফেরদের সাথে লড়াই করা ফরজে আইন এবং দখলকত ভুমিগুলো শত্রু মুক্ত করা আবশ্যক। এ ভাবে প্রজন্মেরপর প্রজন্ম কিয়ামত পর্যন্ত পুর্ব-পশ্চিমপ্রান্তের সকল মুসলিমের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। অর্থাৎ এক প্রজন্ম যদি ফরজে আইন জিহাদ না করে, তাহলে পরবর্তি প্রজন্মের উপর জিহাদ তার ফরজ, তারাও যদি না করে তাহলে তাদের পরবর্তিদের উপর, তারাও যদি না করে বা সামর্থ না হয় তাহলে তাদের পরবর্তিদের উপর এ ভাবে শত্রু কবলিত হওয়ার প্রথম থেকে যতদিন শত্রু মুক্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম সকল ভূন্ডের সকল সক্ষম মুসলিমের উপর জিহাদ ফরজে আইন থেকে যায়।


              এ কারণেই যেমন রাসুলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উম্মার প্রথমাংশ সাহাবা রিজওয়ানুল্লাহি আজমাঈন কুফফারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে, আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করেছেন। পৃথীবিতে কাফেরের শক্তি চুর্ণ করার প্রানন্তকর চেষ্টা করেছেন। তেমনি ভাবে উম্মার শেষাংশ ও এ কর্তব্য পালন করবেন ইনশাআল্লাহ।

              Comment


              • #8
                যখনি কোন জন্মসূত্রে হিন্দু মানুষ প্রগতিশীল কথা চিন্তা করে,দেশকে নিয়ে ভাবে, স্বপ্ন দেখে, কিছু নিচু মানষিকতার অন্ধ হিন্দু মৌলবাদী এসে খুব কোলার ঝাঁকিয়ে বুদ্ধিজীবীর ন্যয় উক্তি করে, " এই দেশ কি আমাদের? ওদের দেশ,ওরা যেমন খুশি তেমন করুক ৷ আমরা সংখ্যালঘু ভাই,আমরা ওসবে না যাওয়াই ভাল ৷ তুমি আমার জাতভাই তাই বললাম ৷ "
                সেইসব হিন্দু কোট্টোর পন্থিদের কাছে প্রশ্ন 'ওরা' টা কারা? আপনি যদি এদেশের নাগরিকত্বের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারেন তবে আপনি এদেশের হিতে কেন চিন্তা করবেন না? আপনার যদি দেশ বাংলাদেশ না হয় তবে আপনি রিফিউজি, এখানে কি করছেন? দেশ ছাড়েন ৷ না আপনাদের ঠিক রিফিউজি ও বলা চলে না আপনারা বেজন্মা ৷ কারণ যে দেশে জন্মে সে দেশের প্রতি তিক্ততা দেখাতে পারেন, তবে অন্যান্য দেশ তো আপনাকে অন্ন দিবে না ৷ আপনার অধিকার প্রাপ্তিতে সরকারের ষড়যন্ত্র থাকলে,আন্দোলন করুন ৷ অধিকার বুঝে নিন ৷ না সেটা করতে তো মানুষ হওয়া প্রয়োজন আর আপনি তো মিনমিনে বিড়াল ৷ যেখানে দুধের বাটি পাবেন সেখানে চুমুক দিবেন ৷ এভাবে চালাতে চাইলে অনেক হয়েছে এবার থামেন ৷ আমার দেশ ছাড়েন ৷ কোন ধর্মান্ধ কট্টোর পন্থি তা ও আবার সুযোগ সন্ধানী তাদের জন্য আমার দেশ না ৷ আর হ্যাঁ, সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা টা পড়ুন, তারপর এই সংখ্যালঘু শব্দটা নিজেদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন ৷ আমার বাংলাদেশে আমি সব মনেপ্রাণে বাংলাদেশি দেখতে চাই, লক্ষ্য করবেন প্রতিপক্ষ "বাংলাদেশি" , "বাঙ্গালী" না ৷ আগে বাংলাদেশি হোন তারপর বাঙ্গালী হবার যোগ্যতা নিবেন ৷৷

                Comment


                • #9
                  jajhakallahu khairan sheikh..

                  Comment


                  • #10
                    বারাকাল্লাহ।

                    Comment

                    Working...
                    X