Announcement

Collapse
No announcement yet.

হে আল্লাহ কেমন দেশে আমরা বসবাস করছি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হে আল্লাহ কেমন দেশে আমরা বসবাস করছি?

    হে আল্লাহ কেমন দেশে বাস করছি যে দেশের সর্বোচ্চ পীর সরাসরি সাহাবাদের নাম নিয়েই তাদের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করতে দ্বিধা করে না।

    আসলে এই সমস্ত লোকের নাম গোপন করা উচিত হবে না।

    এরা হচ্ছে এমন লোক যাদের একটা মিথ্যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিভ্রান্ত করাতে সম্ভব।

    চরমোনাই পীর ফয়জুল করিম সাহেব সাহাবাদের শানে যে মিথ্যাচার করেছেন তা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা পরিপন্থী বরং এমন মিথ্যা অপবাদকারী এবং সাহাবাদের শনে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য শব্দ ব্যবহার করীকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেমগন তাকফির পর্যন্ত করেছেন।

    আমি তাকে তাকফীর করতেছি না তবে এ বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেমদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি অভিযোগ করেছেন ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বেশি শরমাতেন এবং সহজে মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলতেন। সহজ সরল এবং বুজুর্গ টাইপের ছিলেন যার কারণে মুনাফিকেরা সুযগ পেয়েছে, ফেৎনা ঢুকেছে অথচ ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর জামানায় শুধু বিজয় বিজয় এর থেকে তিনি নুকতা বের করেছেন মারাত্মক নুকতা যে আসলে যারা বেশি সরল সোজা থাকে এ সমস্ত লোকদের কোন ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সর্বোচ্চ চূড়ায় থাকা উচিত নয় তারা যদি থাকে তাহলে শুধু শুধু ফিতনা বাড়বে।

    এখানে তিনি সরাসরি উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর নাম নিয়ে পরোক্ষভাবে উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে চরমভাবে অপদস্থ করেছেন
    এমন অপদস্থ মূলক শব্দ ব্যহার ককরে তিনি ক্ষমতার নালায়েক সাব্যস্ত করেছেন নাউজুবিল্লাহ।

    এখন আসুন আমরা এক নজরে দেখে নিই ওসমান রাঃ কেমন ছিলেন।

    ওসমান রাঃ ঐ সমস্ত সাহাবাদের মধ্য ছিলেন যারা সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি এতটাই নিষ্ঠা ও বিচক্ষণ ছিলেন যে জাহেলী যুগেও তার কোন অপকর্ম প্রকাশ পায় নি এমনকি কখনো মদ পান করেন নি এবং মূর্তিকে সেজদা করেনি। এমন একজন লোককে কিভাবে বলা যায় তিনি একজন সাদাসিধা এবং হাফ কাপ কিছুই বোঝেন নাই।

    ইসলাম গ্রহণের পরে সাহাবাদের নিয়ে হাফসার দিকে উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হিজরত করেছিলেন
    তার বাহহাদুরির বিষয়ে বলতে গেলে পুরো একটি কিতাব রচনা করা যায়।
    অহুদের ময়দানে যখন সমস্ত সাহাবারা কাফেরদের হাতে নিহত হচ্ছিল এবং চার দিকে খবর ছড়ানো হলো যে আল্লাহর রাসূল মৃত্যুবরণ করেছেন তখন ওসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মাঠে বের হলেন এবং খোলা আকাশের নিচে চিৎকার করে বলতে থাকলেন যদি আল্লাহর নবী মৃত্যুবরণ করে আর নিশ্চয় আল্লাহর নবী মৃত্যবরণ করবে তাহলে কি আমরা যুদ্ধের ময়দান থেকে পালন করব এটা কখনোই হতে পারে না।
    আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা ওসমান রাঃ এ কথার উপর আয়াত নাজিল করে দিয়েছিলেন।
    হায় আফসোস কিভাবে বলা যায় উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বিচক্ষণ ছিলেন না।

    ৭ষ্ঠম হিজরীতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম মক্কা তাওয়াফ এর জন্য হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকেই প্রথম পাঠিয়েছিলেন তাহলে মনে করুন যাকে আল্লাহর রাসূল প্রথমে পাঠাচ্ছেন তিনি কি বিচক্ষণ ছিলেন না?
    মক্কার কাফেররা ওসমান রাঃ কে বলেছিল তুমি এসেছ ভালো করেছো তুমি যদি চাও তাহলে মক্কা তাওয়াফ করতে পারো তখন উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছিলেন আল্লাহর কসম আমি কখনোই মক্কা তোয়াফ করবো না যতক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ রাসুল এটাকে তো তোয়াফ না করেন।

    নিশ্চয় ওসমান রাঃ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি যদি বোকা হতেন অথবা অথবা সাদাসিধে হতেন তাহলে তোয়াফ করে ফেলতেন ।

    তার খেলাফত জামানায় কি ঘটেছিল সেই ইতিহাস সম্পর্কিত আলোচনা খুব লাম্বা তিনি কি রকম পরীক্ষার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছিলেন কি ধরনের সমস্যা তা সামনে এসেছিল তা ইতিহাসের পাতা উল্টালেই বুঝা যায়।

    তিনি খাওয়ারেজদের অবস্থান কিরকম ভাবে অকার্যকর করে দিয়েছিল যার কারণে তাকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছিল আল্লাহ উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুক।

    #এবার আসুন আমরা আলোচনা করি যারা সাহাবাদের শানে গালি মূলক বাক্য উচ্চারণ করে তাদের সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ইমামগণ কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রতিষ্ঠিত আকিদা হচ্ছে সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম তারা সমস্ত দোষ ত্রুটি থেকে পবিত্র তারা সকলেই ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত এই আকিদা কুরআন সুন্নাহ ইজমা এবং কিয়াস চারটি মূলনীতি দ্বারাই প্রমাণিত।

    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ আস সারিমুল মাসলুল কিতাবে বলেছেনঃ (572)।

    সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ছিলেন ইনসাফ এবং আদলের সর্বোচ্চ চূড়ায়, কোন তাবিয়িন বা তবে তাবিয়ীন এই কথার উপর কোন রকম প্রশ্ন করেনি বরং তারা তাদের অনুসরণ করে গিয়েছেন।

    ইবনে ফারহুন রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

    সুতরাং যে কেউ আল্লাহর রাসূলের সাহাবাদের কষ্ট দেয় আবু বকর ওমর ওসমান আলী মুয়াবিয়া ও ওমর ইবনুল আস যদি তারা বলে যে তারা পথভ্রষ্টের উপরে ছিল তাহলে

    অবশ্যই তারা কাফের এবং তাদের কতল করতে হবে ।
    ( তাবসিরাতুল হুক্কাম 2/213)

    ইমাম যাহাবী রহ বলেনঃ।

    সুতরাং যে সাহাবাদের দোষ-ত্রুটি বনর্ণা করে অথবা তাদের গালিগালাজ করে এবং কষ্ট দেয় সে দ্বীন ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে মুসলিমদের জামাত থেকে ছিটকে পড়বে,
    কেননা দোষ বর্ণনা করা এইটা সম্ভব হয় না যদি কোন সাহাবীর প্রতি পূর্ণ আস্থা না থাকে আর এটা হচ্ছে আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা যা বলেছেন তা অস্বীকার করা।
    ( আল কাবায়ের 276)

    আব্দুল ওহাব নজদী রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
    যে ব্যক্তি সাহাবাদের দোষ বর্ণনা এবং তাদের গালি দেওয়া কে বৈধ মনে করে এবং তাদের নির্দিষ্ট কোন একজন কে গালিগালাজ করে তার ফজিলত তাওয়াতুরের ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ার পর যেমন খোলাফায়ে রাশেদীন তাহলে সে নিশ্চয় কাফের সে আল্লাহর রাসূলেরর বানী কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে ।
    (আর রদ্দু আলাল রাফিদা 19)

    #সমাধান।
    ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ এর একটি সমাধান বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেনঃ
    যে সাহাবাদের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করে এমন দোষ যা দ্বারা সাহাবাদের ইনসাফের উপর থাকাটা কোন প্রশ্নবিদ্ধ হয় না যেমন কেউ বখিল ছিল অথবা ইলিম কম ছিল অথবা এবাদত কম করত তাহলে এমন ব্যক্তি কে বন্দী করবে এবং তাকে শাস্তি দেবে একে শুধু এ কারণে কাফির বলা যাবে না।
    ( আস সরিমুল মাসলুল 586)

    সংগৃহীত

  • #2
    আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ

    Comment


    • #3
      ভাই! এই বয়ান থেকে নাকি আবার রুজু করেছে এবং ভুল স্বীকার করে তাওবা করেছে। এরকম একটা ভিডিও একজনের কাছে দেখেছিলাম।

      Comment


      • #4
        Originally posted by salahuddin aiubi View Post
        ভাই! এই বয়ান থেকে নাকি আবার রুজু করেছে এবং ভুল স্বীকার করে তাওবা করেছে। এরকম একটা ভিডিও একজনের কাছে দেখেছিলাম।
        তাওবা করার ভিড়িও আমিও দেখেছি, কিন্তু ভিড়িও থেকে স্পষ্ট যে, তাওবা করেছে খাস মজলিসে, সম্ভবত দরসগাহে আর উসমান রাযি. সমালোচনা করেছে জনসভায়, সুতরাং এর খেকে তাওবা করতে হলে জনসভাযই তাওবা করতে হবে, কারণ জনসভায় যে হাজার হাজার মানুষ ছিল তাদের কজনই বা ভিড়িও পাবে, তাহলে তাদের ভুল ভাঙ্গবে কি করে।
        الجهاد محك الإيمان

        জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

        Comment


        • #5
          ভিডিওটি আমাদের দেওয়া হউক।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment

          Working...
          X