Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংশয় নিরসন- ০২, খ. গুপ্ত হত্যা- হাদিস ২. আবু রাফের ঘটনা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংশয় নিরসন- ০২, খ. গুপ্ত হত্যা- হাদিস ২. আবু রাফের ঘটনা

    ইয়াহুদি আবু রাফে আব্দুল্লাহ ইবনে আবিল হুকাইক। তাকে সাল্লাম ইবনে আবিল হুকাইক-ও বলা হয়। সে হিজাযের বড় ব্যবসায়ী ছিল। অঢেল ধন-সম্পদের মালিক ছিল। খায়বারের পাশেই হিজাযের একটি দূর্গে সে থাকতো। সে ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘোরতর দুশমন। গাতফানসহ আরবের অন্যান্য মুশরিক গোত্রকে সে আর্থিক সহায়তার মধ্য দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উস্কে দিত। আনসারি সাহাবিগণ দুর্ধর্ষ এক অভিযানের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেন।


    মদীনার আনসারি সাহাবিগণ প্রধান দু’টি গোত্রে বিভক্ত ছিলেন: আউস ও খাযরাজ। তাদের মাঝে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা চলতো। এক গোত্র কোন কৃতিত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য গোত্রের আর প্রশান্তি হতো না- যতক্ষণ না তারাও অনুরূপ কোন কৃতিত্ব আঞ্জাম দিতে পারেন। কা’ব বিন আশরাফকে হত্যার মর্যাদা লাভ করেছিলেন আউস গোত্রের সাহাবাগণ। খাযরাজ গোত্রের সাহাবায়ে কেরাম দেখলেন, আউসের সাহাবাগণ এক অভূতপূর্ব কৃতিত্ব লাভ করেছেন যা তাদের নেই। এতে তারা মনস্থির করলেন, কা’ব বিন আশরাফের মতো আরও কোন নবীর দুশমনকে হত্যা করে তারাও এই মর্যাদা লাভ করবেন। পরস্পরে পরামর্শ করলেন- কা’ব বিন আশরাফের মতো আর কে আছে এমন নবীর দুশমন? শেষে দেখলেন, আছে একজন। সে হল ইয়াহুদি আবু রাফে। মনস্থির করলেন, একেই হত্যা করা যায়।


    নিজেরা পরামর্শের পর খাযরাজের সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবু রাফেকে হত্যার অনুমতি চাইলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিলেন এবং সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক রাদিয়াল্লাহু আনহুর নেতৃত্বে ছয়জনের একটি ছোট্ট সারিয়্যা পাঠালেন আবু রাফেকে হত্যার জন্য। তারা হলেন,

    ১. আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক (সারিয়্যার আমীর)।
    ২. আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা।
    ৩. মাসউদ ইবনে সিনান।
    ৪. আব্দুল্লাহ ইবনে উনাইস।
    ৫. আবু কাতাদা।
    ৬. খুযায়ি ইবনে আসউয়াদ- রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন।



    তাদের মধ্যে সারিয়্যার আমীর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক রাদিয়াল্লাহু আনহু ইয়াহুদিদের ঢঙে কথা বলতে পারতেন। তিনি সন্ধা বেলা কৌশলে দূর্গের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে আবু রাফেকে হত্যা করেন।



    ইমাম বুখারি রহ. কিতাবুল জিহাদ ও কিতাবুল মাগাজিতে বিভিন্ন সনদে সংক্ষিপ্ত এবং বিস্তারিত উভয়ভাবে এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কিতাবুল জিহাদের এক বর্ণনায় এনেছেন,

    عن البراء بن عازب رضي الله عنهما قال : بعث رسول الله صلى الله عليه و سلم رهطا من الأنصار إلى أبي رافع ليقتلوه فانطلق رجل منهم فدخل حصنهم قال فدخلت في مربط دواب لهم قال وأغلقوا باب الحصن ثم إنهم فقدوا حمارا لهم فخرجوا يطلبونه فخرجت فيمن خرج أريهم أنني أطلبه معهم فوجدوا الحمار فدخلوا ودخلت وأغلقوا باب الحصن ليلا فوضعوا المفاتيح في كوة حيث أراها

    “হযরত বারা ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, আবু রাফেকে হত্যার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারিদের কয়েকজনের একটি দল প্রেরণ করলেন। তাদের একজন (তথা আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক রাদিয়াল্লাহু আনহু) দূর্গে প্রবেশ করল। তিনি বলেন, দূর্গে প্রবেশ করে আমি তাদের একটি পশুর আস্তাবলে লুকিয়ে গেলাম। তারা দূর্গের দরজা বন্ধ করে দিল। এরপর তারা দেখলো যে, তাদের একটি গাধা খুঁজে পাচ্ছে না। গাধা খুঁজতে তারা বাহিরে বেরিয়ে এল। তাদের সাথে আমিও বেরিয়ে এলাম। আমি তাদেরকে দেখাচ্ছি, যেন আমিও তাদের সাথে গাধা তালাশ করছি। খোঁজাখুঁজি করে তারা গাধা পেল এবং দূর্গে চলে এল। আমিও চলে এলাম। রাতে দূর্গের দরজা বন্ধ করে দিল এবং চাবিগুলো দেয়ালের একটি ছিদ্রের ফাঁকে রাখলো, যেখানে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম।”- সহীহ বুখারি: ২৮৫৯



    কিতাবুল মাগাজির বর্ণনায় এনেছেন,

    عن البراء بن عازب قال : بعث رسول الله صلى الله عليه و سلم إلى أبي رافع اليهودي رجالا من الأنصار فأمر عليهم عبد الله بن عتيك وكان أبو رافع يؤذي رسول الله صلى الله عليه و سلم ويعين عليه وكان في حصن له بأرض الحجاز فلما دنوا منه وقد غربت الشمس وراح الناس بسرحهم فقال عبد الله لأصحابه أجلسوا مكانكم فإني منطلق ومتلطف للبواب لعلي أن أدخل فأقبل حتى دنا من الباب ثم تقنع بثوبه كأنه يقضي حاجة وقد دخل الناس فهتف به البواب يا عبد الله إن كنت تريد أن تدخل فادخل فإني أريد أن أغلق الباب فدخلت فكمنت فلما دخل الناس أغلق الباب ثم علق الأغاليق على وتد قال فقمت إلى الأقاليد فأخذتها ففتحت الباب وكان أبو رافع يسمر عنده وكان في علالي له فلما ذهب عنه أهل سمره صعدت إليه فجعلت كلما فتحت باب أغلقت علي من الداخل قلت إن القوم نذروا بي لم يخلصوا إلي حتى أقتله فانتهيت إليه فإذا هو في بيت مظلم وسط عياله لا أدري أين هو من البيت فقلت يا أبا رافع قال من هذا ؟ فأهويت نحو الصوت فأضربه ضربة بالسيف وأنا دهش فما أغنيت شيئا وصاح فخرجت من البيت فأمكث غير بعيد ثم دخلت إليه فقلت ما هذا الصوت يا أبا رافع ؟ فقال لأمك الويل إن رجلا في البيت ضربني قبل بالسيف قال فأضربه ضربة أثخنته ولم أقتله ثم وضعت ظبة السيف في بطنه حتى أخذ في ظهره فعرفت أني قتلته فجعلت أفتح الأبواب بابا بابا حتى أنتهيت إلى درجة له فوضعت رجلي وأنا أرى أني قد أنتهيت إلى الأرض فوقعت في ليلة مقمرة فانكسرت ساقي فعصبتها بعمامة ثم انطلقت حتى جلست على الباب فقلت لا أخرج الليلة حتى أعلم أقتلته ؟ فلما صاح الديك قام الناعي على السور فقال أنعى أبا رافع تاجر الحجاز فانطلقت إلى أصحابي فقلت النجاء فقد قتل أبا رافع فانتهيت إلى النبي صلى الله عليه و سلم فحدثته فقال ( ابسط رجلك ) . فبسطت رجلي فمسحها فكأنها لم أشتكها قط

    “হযরত বারা ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহুদি আবু রাফের (হত্যার) উদ্দেশ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল্লাহ ইবনে আতিক রাদিয়াল্লাহু আনহুর নেতৃত্বে আনসারি কয়েকজন সাহাবিকে পাঠালেন। আবু রাফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কষ্ট দিত এবং (মুশরিকদেরকে) তার বিরুদ্ধে সহায়তা করত। সে (খায়বারের কাছাকাছি) হিজায ভূমিতে তার একটি দূর্গে বাস করত। সাহাবায়ে কেরাম যখন তার দূর্গের কাছাকাছি পৌঁছলেন, ততক্ষণে সূর্য ডুবে গেছে এবং লোকজন তাদের পশুগুলোকে চারণভূমি থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছে। আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তার সঙ্গীদের বললেন, তোমারা এখানেই বসে থাক। আমি যাই। দারোয়ানের সাথে কোন কৌশল করে ঢুকতে পারি কি’না দেখি।


    তিনি দরজার কাছে পৌঁছলেন। পৌঁছে কাপড় মুড়ি দিয়ে এমনভাবে বসে গেলেন, যেন তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করছেন। এতক্ষণে লোকজন দূর্গে ঢুকে গেছে। দারোয়ান আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ করে বলল, ওহে আল্লাহর বান্দা! ঢুকতে চাইলে ঢুক। আমি দরজা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছি।


    আমি ঢুকে গেলাম। ঢুকে (আস্তাবলে) লুকিয়ে গেলাম। সবার ঢুকা শেষ হলে দারোয়ান দরজা বন্ধ করে দিল। চাবিগুলো একটি পেরেকে লটকিয়ে রাখল। তিনি বলেন, আমি চাবিগুলো নিয়ে নিলাম। দরজা খুললাম। আবু রাফের অভ্যাস ছিল, রাতে তার কাছে খোশ-গল্পের আসর বসত। সে দূর্গের উপরের তলায় থাকত। তার গল্পের সঙ্গীরা যখন চলে গেল, আমি সিঁড়ি বেয়ে উপর তলায় উঠলাম। আমি যে দরজাই খুলতাম, ভিতর থেকে লাগিয়ে দিতাম; এই ভেবে যে, যদি লোকজন আমার ব্যাপারে টের পেয়ে যায়, তাহলে হত্যা করে শেষ করা পর্যন্ত যেন তারা আমার কাছে পৌঁছতে না পারে। আমি তার কক্ষে পৌঁছলাম।


    (অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি গিয়ে আবু রাফেকে ডাক দেন। তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করে, তুমি কে? তিনি জওয়াব দেন, আমি আবু রাফের জন্য একটু হাদিয়া নিয়ে এসেছি। এতে স্ত্রী দরজা খোলে দেয়।) সে অন্ধকার কক্ষে তার পরিবারের লোকদের মাঝখানে শুয়ে ছিল। বুঝতে পারছিলাম না যে, ঠিক কোথায় সে। ডাক দিলাম, আবু রাফে! সে জওয়াব দিল, এই লোক কে? আমি আওয়াজটা লক্ষ করে তরবারি চালালাম। আমার তখন দিশেহারার মতো অবস্থা। কিন্তু না! কোন কাজ হল না। উল্টো সে চিৎকার দিয়ে উঠল।


    আমি ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। অল্প কিছুক্ষণ পর আবার গেলাম। (গলার স্বর পরিবর্তন করে যেন আমি তাকে সাহায্য করতে এসেছি এই ভান করে) বললাম, ‘আবু রাফে! আওয়াজ কিসের’? সে উত্তর দিল, ‘তোমার মায়ের সর্বনাশ হোক! এই মাত্র কক্ষে এক ব্যক্তি আমাকে তরবারি দিয়ে আঘাত করেছে’। তিনি বলেন, এবার আরেকটা কোপ দিলাম। এতে সে মারাত্মক জখম হল। কিন্তু হত্যা করতে পারলাম না। এরপর আমি তরবারির ধারালো দিকটা তার পেটের উপর ধরে সজোরে চাপ দিলাম। একেবারে পিটে গিয়ে ঠেকল। বুঝতে পারলাম, হত্যা করতে পেরেছি।


    তারপর একেক করে দরজাগুলো খুলতে লাগলাম। আসতে আসতে একটা সিঁড়িতে এসে পা রাখলাম। (আমি চোখে একটু কম দেখতাম।) রাত ছিল চাঁদনী। মনে করেছি (সব সিঁড়ি শেষ) নিচে এসে গেছি। (কিন্তু তখনও একটি সিঁড়ি বাকি ছিল)। আমি পড়ে গেলাম। পড়ে গিয়ে পায়ের গোছার হাড় ভেঙে গেল। পাগড়ি খোলে পা বেঁধে নিলাম।


    সেখান থেকে এসে দরজার নিকট বসে রইলাম। বললাম, হত্যা করতে পেরেছি কি’না জানা পর্যন্ত আজ রাতে আর বের হচ্ছি না। যখন (ভোর হল এবং) মোরগ ডাকতে লাগল, তখন ঘোষক প্রাচীরের উপর উঠে ঘোষণা দিল, ‘আমি ঘোষণা দিচ্ছি যে, হিজাযের ব্যবসায়ী আবু রাফে মারা গেছে’।


    ঘোষণা শুনে (নিশ্চিত হয়ে) আমার সঙ্গীদের নিকট এলাম। বললাম, তাড়াতাড়ি পালাও। আল্লাহ তাআলা আবু রাফেকে হত্যা করেছেন। (এরপর আমরা দিনের বেলা লুকিয়ে থাকতাম আর রাতের বেলা পথ চলতাম। এভাবে খায়বার থেকে মদীনায় উপস্থিত হলাম।) তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিবরণ শুনালাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বললেন, তোমার পা এদিকে বাড়াও দেখি। পা বাড়িয়ে দিলাম। তিনি পায়ে হাত বুলিয়ে দিলেন। এমনভাবে ভাল হয়ে গেলাম, যেন কখনও কোন ব্যথাই পাইনি।”- সহীহ বুখারি: ৩৮১৩, কিতাবুল মাগাজি।

    ***



    হাফেয ইবনে হাজার রহ. (৮৫২ হি.) এ ঘটনা থেকে উৎসারিত বিধানাবলীর বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন,

    وفي هذا الحديث من الفوائد جواز اغتيال المشرك الذي بلغته الدعوة وأصر وقتل من أعان على رسول الله صلى الله عليه و سلم بيده أو ماله أو لسانه وجواز التجسيس على أهل الحرب وتطلب غرتهم. اهـ

    “এ হাদিস থেকে বুঝা গেল, যেসব মুশরিক দাওয়াত পৌঁছার পরও কুফরে অটল থাকবে, তাদের গুপ্ত হত্যা করা জায়েয। বুঝা গেল, যে ব্যক্তি হাত, মাল বা যবান- কোনভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে সহায়তা করবে, তাকে হত্যা করা হবে। বুঝা গেল, হরবিদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি এবং সুযোগ সন্ধান জায়েয।”- ফাতহুল বারি: ৭/৩৪৫, কিতাবুল মাগাজি


    অন্যত্র বলেন,

    وفيه جواز التجسيس على المشركين وطلب غرتهم وجواز اغتيال ذوي الأذية البالغة منهم وكان أبو رافع يعادي رسول الله صلى الله عليه و سلم ويؤلب عليه الناس ويؤخذ منه جواز قتل المشرك بغير دعوة أن كان قد بلغته الدعوة قبل ذلك. اهـ

    “এ হাদিস দলীল যে, মুশরিকদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি এবং সুযোগ সন্ধান জায়েয। তাদের মধ্যে যারা অত্যধিক কষ্টপ্রদায়ি, তাদের গুপ্ত হত্যা জায়েয। আবু রাফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দুশমনি পোষণ করতো এবং লোকজনকে তার বিরুদ্ধে উস্তে দিত। এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, মুশরিকের কাছে একবার দাওয়াত পৌঁছে গেলে, দ্বিতীয়বার দাওয়াত দেয়া ছাড়াই তাকে হত্যা করা জায়েয।”- ফাতহুল বারি: ৬/১৫৬, কিতাবুল জিহাদ

    ***


  • #2
    আল্লাহ সুব. আপনার মেহনতকে কবুল করুন ও উত্তম যাঝা দান করুন,আমীন
    বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
    কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

    Comment

    Working...
    X