মুজাহিদগণ কি ফেরেশতা???
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وحده والصلاة و السلام على من لا نبي بعده. اما بعد:
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আমার এই শিরোনাম দেখে অনেকে হয়তো অবাক হয়ে বলবেন, এ আবার কেমন কথা। মানুষ কি কখনো ফেরেশতা হয় নাকি? আমিও জানি মানুষ ফেরেশেতা হতে পারে না, হওয়া সম্ভবও নয়। তাহলে কেন এই শিরোনাম দেওয়া হলো??? আসুন এর কারণ জেনে নেই।
একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করি, আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে দুজন মুফতী সাহেবকে দেখলাম তর্ক করছে। এর একজন হলেন, ভাসাভাসা ইলমের অধিকারী(?)অপরিনামদর্শি (?) অবিবেচক(?) যুগ সম্পর্কে অসচেতন(?) এবং জিহাদী। জিহাদী হওয়ার কারণেই তাকে এতগুলো অপবাদের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। দ্বিতীয়জন হলেন, গভির ইলমের অধিকারী(?) যুগ সম্পর্কে ওয়াকিফহাল(?) আরো এমন অনেক গুণে গুণান্বিত যা সাধারণত জিহাদবিরোধীরা নিজেদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে।
তর্কের বিষয় হলো, মুজাহিদগণ কেন দাড়ি কাটে?
বিরোধী সাহেব: আল কায়েদার মুজাহিদরা কেন দাড়ি কাটে? তারা কিসের জিহাদ করে যাদের কাছে সুন্নতের কোন মুল্য নেই?
জিহাদী ভাই: আচ্ছা মানুষ হিসেবে তাদের তো ভুল থাকতে পারে। তারাতো ভুলের উর্ধে নয়।
বিরোধী: তারা কোন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে? নিজেরাই তো ইসলাম মানে না।
জিহাদী ভাই: আরে ভাই! দাড়িতো অল্প কিছু মুজাহিদ কাটে। অধিকাংশই তো দাড়ি রাখে এবং পুরোপুরি সুন্নতের উপর চলে। দু-একজনের কারণে তো আপনি পুরো জামাতকে গুমরাহ বলতে পারেন না।
বিরোধী: যারা দাড়ি কাটে তারা কেমন?
জিহাদী ভাই: দাড়ি কাটা নামাজী ব্যক্তি যেমন। আপনি তো তাদের কিছু বলেন না, তাদের নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যাথাও নেই। আপনার মাথাব্যাথা শুধু মুজাহিদদের নিয়ে? এর কারণ কি? আপনি কি এই অযুহাতে জিহাদ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পাবেন?
বিরোধী: নামাজ আর জিহাদ এক নয়।
জিহাদী ভাই: জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়ে যায় তখন নামাজের মত ফরজ হয়ে যায়।
বিরোধী: কোন কিতাবে আছে?
জিহাদী ভাই: ফতোয়ায়ে শামীতে আছে।
আমি এতটুকুই শুনেছি। এর পর কি হয়েছে জানি না। তাদের মাঝে তর্কের ধরণটা এমনই ছিলো। হয়তো কিছু এদিক-সেদিক হবে কিন্তু বিষয় এটাই।
বিরোধী সাহেব মুজাহিদদের দোষ ধরে জিহাদ থেকে দুরে থাকার অযুহাত পেশ করতে চাচ্ছেন।
এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতিনিয়তই এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। যখন জিহাদীদের সাথে দালিলে হেরে যায় তখন শুরু হয় এসব কথা। অমুক দল টাকা মেরে খেয়েছে, অমুকে এই করেছে সেই করেছে। এই নানান অভিযোগ। এর উদ্দেশ্যে হলো, যাতে জিহাদ থেকে দুরে থাকা যায়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! এইসব আপত্তি পেশ করে কি পার পাওয়া যাবে? আল্লাহ যখন প্রশ্ন করবেন, জিহাদ করোনি কেন? তখন এই অযুহাত কি কোন কাজে আসবে?
এই ধরণের আলেমদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আচ্ছা কত মানুষ নামাজ পরে আবার নিয়মিত টেলিভিষণ দেখে, সুদ খায়, ঘুষ খায়, দাড়ি কাটে ইত্যাদি আরো অনেক পাপাচারে লিপ্ত। আপনি কি এই অযুহাতে নামাজ ছাড়েন? রোযা ছাড়েন? হজ্বে গিয়ে তো দেখেন কত দাড়ি ছাড়া হাজী, কখনো কি এ নিয়ত করেন যে আর হজ্বে আসবো না? আমরা তো দেখি দেশে এসে আবার হজ্বে যাওয়ার চেষ্টায় থাকেন। অথচ দ্বিতীয়বার হজ্ব আপনার জন্য নফল। এই অযুহাতে তো আপনি নফলও ছাড়েন না। তাহলে জিহাদের মত এত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কিভাবে ছেড়েদেন? আল্লাহকে ভয় করুন। মনে রাখবেন সেদিন এ ধরণের ওজর কোনই কাজে আসবে না।
আমি আরো জিজ্ঞাসা করতে চাই, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মুজাহিদদের থেকে গনিমত চুরির ঘটনা কি ঘটেনি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাওদা বহনকারী গোলাম কি গনিমতের চাদর চুরি করেনি? আত্মহত্যার মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। সহিহ হাদিসে এসব ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
এসব কারণে সাহাবায়ে কেরাম কি জিহাদ ছেড়ে দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি এটা বলেছেন, যেহেতু মুজাহিদদের থেকে গুনাহ হয়ে যায় তাই আর জিহাদ করতে হবে না। সাহাবায়ে কেরাম কি এই অযুহাত পেশ করেছেন?
প্রিয় আলেমগণ! এসব খোড়া যু্ক্তি ছেড়ে জিহাদের পথে আসুন। মুজাহিদদের ভুলগুলো শুধরে দিন। তাদের তো গুনাহ হতে পারে, তারা তো আর ফেরেশতা নয়। আপনি এসে তাদের সংশোধন করুন। তাদেরকে উপদেশ দিন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন। জিহাদের জন্য কবুল করুন। আমীন।
وصلى الله تعالي على خير خلقه محمد و اله واصحابه اجمعين.
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وحده والصلاة و السلام على من لا نبي بعده. اما بعد:
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আমার এই শিরোনাম দেখে অনেকে হয়তো অবাক হয়ে বলবেন, এ আবার কেমন কথা। মানুষ কি কখনো ফেরেশতা হয় নাকি? আমিও জানি মানুষ ফেরেশেতা হতে পারে না, হওয়া সম্ভবও নয়। তাহলে কেন এই শিরোনাম দেওয়া হলো??? আসুন এর কারণ জেনে নেই।
একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করি, আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে দুজন মুফতী সাহেবকে দেখলাম তর্ক করছে। এর একজন হলেন, ভাসাভাসা ইলমের অধিকারী(?)অপরিনামদর্শি (?) অবিবেচক(?) যুগ সম্পর্কে অসচেতন(?) এবং জিহাদী। জিহাদী হওয়ার কারণেই তাকে এতগুলো অপবাদের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। দ্বিতীয়জন হলেন, গভির ইলমের অধিকারী(?) যুগ সম্পর্কে ওয়াকিফহাল(?) আরো এমন অনেক গুণে গুণান্বিত যা সাধারণত জিহাদবিরোধীরা নিজেদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে।
তর্কের বিষয় হলো, মুজাহিদগণ কেন দাড়ি কাটে?
বিরোধী সাহেব: আল কায়েদার মুজাহিদরা কেন দাড়ি কাটে? তারা কিসের জিহাদ করে যাদের কাছে সুন্নতের কোন মুল্য নেই?
জিহাদী ভাই: আচ্ছা মানুষ হিসেবে তাদের তো ভুল থাকতে পারে। তারাতো ভুলের উর্ধে নয়।
বিরোধী: তারা কোন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে? নিজেরাই তো ইসলাম মানে না।
জিহাদী ভাই: আরে ভাই! দাড়িতো অল্প কিছু মুজাহিদ কাটে। অধিকাংশই তো দাড়ি রাখে এবং পুরোপুরি সুন্নতের উপর চলে। দু-একজনের কারণে তো আপনি পুরো জামাতকে গুমরাহ বলতে পারেন না।
বিরোধী: যারা দাড়ি কাটে তারা কেমন?
জিহাদী ভাই: দাড়ি কাটা নামাজী ব্যক্তি যেমন। আপনি তো তাদের কিছু বলেন না, তাদের নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যাথাও নেই। আপনার মাথাব্যাথা শুধু মুজাহিদদের নিয়ে? এর কারণ কি? আপনি কি এই অযুহাতে জিহাদ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পাবেন?
বিরোধী: নামাজ আর জিহাদ এক নয়।
জিহাদী ভাই: জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়ে যায় তখন নামাজের মত ফরজ হয়ে যায়।
বিরোধী: কোন কিতাবে আছে?
জিহাদী ভাই: ফতোয়ায়ে শামীতে আছে।
আমি এতটুকুই শুনেছি। এর পর কি হয়েছে জানি না। তাদের মাঝে তর্কের ধরণটা এমনই ছিলো। হয়তো কিছু এদিক-সেদিক হবে কিন্তু বিষয় এটাই।
বিরোধী সাহেব মুজাহিদদের দোষ ধরে জিহাদ থেকে দুরে থাকার অযুহাত পেশ করতে চাচ্ছেন।
এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতিনিয়তই এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। যখন জিহাদীদের সাথে দালিলে হেরে যায় তখন শুরু হয় এসব কথা। অমুক দল টাকা মেরে খেয়েছে, অমুকে এই করেছে সেই করেছে। এই নানান অভিযোগ। এর উদ্দেশ্যে হলো, যাতে জিহাদ থেকে দুরে থাকা যায়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! এইসব আপত্তি পেশ করে কি পার পাওয়া যাবে? আল্লাহ যখন প্রশ্ন করবেন, জিহাদ করোনি কেন? তখন এই অযুহাত কি কোন কাজে আসবে?
এই ধরণের আলেমদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আচ্ছা কত মানুষ নামাজ পরে আবার নিয়মিত টেলিভিষণ দেখে, সুদ খায়, ঘুষ খায়, দাড়ি কাটে ইত্যাদি আরো অনেক পাপাচারে লিপ্ত। আপনি কি এই অযুহাতে নামাজ ছাড়েন? রোযা ছাড়েন? হজ্বে গিয়ে তো দেখেন কত দাড়ি ছাড়া হাজী, কখনো কি এ নিয়ত করেন যে আর হজ্বে আসবো না? আমরা তো দেখি দেশে এসে আবার হজ্বে যাওয়ার চেষ্টায় থাকেন। অথচ দ্বিতীয়বার হজ্ব আপনার জন্য নফল। এই অযুহাতে তো আপনি নফলও ছাড়েন না। তাহলে জিহাদের মত এত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কিভাবে ছেড়েদেন? আল্লাহকে ভয় করুন। মনে রাখবেন সেদিন এ ধরণের ওজর কোনই কাজে আসবে না।
আমি আরো জিজ্ঞাসা করতে চাই, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মুজাহিদদের থেকে গনিমত চুরির ঘটনা কি ঘটেনি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাওদা বহনকারী গোলাম কি গনিমতের চাদর চুরি করেনি? আত্মহত্যার মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। সহিহ হাদিসে এসব ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
এসব কারণে সাহাবায়ে কেরাম কি জিহাদ ছেড়ে দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি এটা বলেছেন, যেহেতু মুজাহিদদের থেকে গুনাহ হয়ে যায় তাই আর জিহাদ করতে হবে না। সাহাবায়ে কেরাম কি এই অযুহাত পেশ করেছেন?
প্রিয় আলেমগণ! এসব খোড়া যু্ক্তি ছেড়ে জিহাদের পথে আসুন। মুজাহিদদের ভুলগুলো শুধরে দিন। তাদের তো গুনাহ হতে পারে, তারা তো আর ফেরেশতা নয়। আপনি এসে তাদের সংশোধন করুন। তাদেরকে উপদেশ দিন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন। জিহাদের জন্য কবুল করুন। আমীন।
وصلى الله تعالي على خير خلقه محمد و اله واصحابه اجمعين.
Comment