Announcement

Collapse
No announcement yet.

একজন দুনিয়াদার আলেমের কাণ্ডটি দেখুন!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একজন দুনিয়াদার আলেমের কাণ্ডটি দেখুন!

    একজন দুনিয়াদার আলেমের কাণ্ডটি দেখুন!



    জঙ্গিবাদ ঠেকাতে ‘ফতোয়ার দাওয়াই’
    নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
    Published: 2015-12-17 14:38:37.0 BdST Updated: 2015-12-17 17:59:42.0 BdST




    জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের এক লাখ ওলামার স্বাক্ষরে একটি ‘ফতোয়া’ প্রচারের পরামর্শ দিয়েছেন শোলাকিয়ার ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

    জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে ধর্মীয় নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক যৌথসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ পরামর্শ দেন।

    তার পরামর্শ শুনে ‘কীভাবে এক লাখ আলেমের সই নিয়ে ফতোয়া দেওয়া যায়’- সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে মাওলানা মাসঊদকে কমিটি করার অনুরোধ জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক।

    শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম বলেন, “যারা ধর্মের নামে হত্যা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাস করছেন তারা সঠিক কাজ করছেন না। ইসলাম ধর্মে হত্যাকে কোনোভাবে সমর্থন করে না। তাই জনগণকে সচেতন করার জন্য সারা দেশের এক লাখ ওলামাকে নিয়ে তাদের স্বাক্ষরিত একটি ‘কমন ফতোয়া’ লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

    “যুবক ছেলেরা ভুল করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তখন এই ভুল থেকে ইয়ং যুবকরা দূরে থাকবে। ভুল পথে পা বাড়াবে না,” বলেন এই ধর্মীয় নেতা।

    একজন বিদেশি সাংবাদিক বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন- জানিয়ে শোলাকিয়ার ইমাম বলেন, “আমি তাকে না বলেছি।

    “এদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইএস নাই। তবে যেখানে জামায়াতে ইসলামীর মতো দল আছে সেখানে আইএস থাকার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”

    জামায়াতে ইসলামী ৭১ সালে যে ‘নিষ্ঠুরতা’ দেখিয়েছে তা বর্তমান আইএসের চেয়েও ভয়াবহ ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, আনসারউল্লাহ বাংলাটিম, জেএমবিসহ সব জঙ্গি সংগঠনের প্রজননক্ষেত্র জামায়াতে ইসলামী।

    অনুষ্ঠানে মাওলানা ও আলেমদের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়েছেন জানিয়ে পুলিশপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, আলেম-ওলামা ও জনগণ সাথে থাকলে এদেশ থেকে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে সক্ষম হব।

    তিনি বলেন, “যারা বলেন কওমী মাদ্রাসা জঙ্গিবাদের ‘ব্রিডিং সেন্টার’- এটা আমি কখনও বিশ্বাস করি না। এই পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের লোক।”

    হবিগঞ্জের মাওলানা সাইদুর রহমানও জামায়াতের লোক ছিল- জানিয়ে শহিদুল হক বলেন, তবে দুয়েকজন কওমী মাদ্রাসার আছে- তা সংখ্যায় কম। তাই কওমী মাদ্রাসা জঙ্গিবাদের ব্রিডিং সেন্টার- যারা এগুলো বলছেন তাদের সঙ্গে আমরা (পুলিশ) একমত নই। এটা ঠিক নয়।

    “কওমী মাদ্রাসায় আমরা যারা মুসলমান; তারা ইসলাম চর্চা করি, ধর্ম চর্চা করি।”

    পুলিশ কোনো মসজিদের খুতবা বা ইমামের ওপর নজরদারি বা গোয়েন্দা নজরদারি করতে চাচ্ছে না- একথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, “শুধু আপনাদের কাছে অনুরোধ করতে চাই। খুতবার আগে ওয়াজ বা বয়ানের মাধ্যমে জঙ্গিবাদবিরোধী বয়ান করবেন।”

    সকালে পুলিশ সদরদপ্তর আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আইজিপি শহিদুল হক ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    এতে দেশের ১৪ জন আলেম বক্তব্য রাখেন।


    ভাইয়েরা ! দেখুন উপরের ছবির আলেমের মত লোকগুলোকে চিনেন কিনা? চিনলে তাঁদের পরিচয় আমাদের জানিয়ে দিন। আমরা ওদের থেকে নিরাপদ দুরুত্ত বজায় রাখবো।

  • #2
    মহাখালীস্থ আইপিএস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাইফী, চট্টগ্রামের হযরত মাওলানা যাকারিয়া নো’মান ফয়েজী, প্রিন্সিপ্যাল, দিনাজপুরের হযরত মাওলানা আইয়ূব আনসারী, পূর্ব নাখালপাড়ার সিএন্ডবি জামে মসজিদের খতিব হযরত মওলানা যাইনুল আবেদীন, সাতক্ষীরার হযরত মওলানা হাবীবুর রহমান খান, ঢাকার হযরত মাওলানা শোআইব আহমদ, খুলনার হযরত মাওলানা নাসীরুদ্দীন কাসেমী, ইক্বরা’র (বাংলাদেশ) প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, শাইখুল হাদীস (মোমেন শাহী) হযরত মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা রুহুল আমীন খান উজানী।
    See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/1....7eQWrYcq.dpuf
    Last edited by কাল পতাকা; 12-18-2015, 03:27 AM.

    Comment


    • #3
      বিশ্মিত হয়েছি
      ইলম আমাদের বুঝতে শিখায় এবং জিহাদ আমাদের মানতে শিখায়

      Comment


      • #4
        এটা সরকারের একটা চক্রান্ত। এখন যারা ফতুয়ায় ছাইন না দিবে তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখবে। ও নজরদারি করবে। এবং ব্লগার হত্যার ইন্দনদাতা রূপে জেলে চালান করতে তাদের এছাড়া আর কিছুই লাগবে না।
        কাউকে আল-কায়েদার শুরা সদস্য বা আমীর বানিয়ে ফেললেও আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই।

        Comment


        • #5
          ইমাম ও আলেমদের সামনে একটা বিশাল পরীক্ষা। এখন আর দুই নৌকায় পা দেওয়ার সুযোগ নাই। সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা আসতে পারে। বসে থাকার সময় নেই, এমনকি সুযোগও পাবে না। আপনাকে এক পক্ষ না এক পক্ষে গিয়ে আপনার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।

          রাজিব হত্যার পর যেমন দেশ দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল তেমনি এখন ইমাম ও আলেমরাও দুই ভাগ হতে পারে। আসলে সময়ই বলে দিবে।

          তাতে আমরা যেমন হক্ক্ব আলেমদের চিনতে পারব, তেমনি কুফফাররাও বুঝতে পারবে।

          তবে শায়েখ ও মুফতী সাহেবগন যদি কৌশল (শরীয়তের মাপকাঠিতে) হিসেবে গ্রহণ করেন তা ভিন্ন কথা।

          Comment


          • #6
            ভাই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই এ ধরনের পরিস্তিতিতে পতিত হওয়ার থেকে । তবে আমার মনে হয় যত দ্রুত এ পরিস্তিতি সৃষ্টি হবে তত দ্রুত আমাদের ঘুম ভাঙবে।
            আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ঈমানের দাবীতে অটল থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন!!!

            Comment


            • #7


              ওলামাদের সমন্বয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠনের উদ্যোগকে বেফাকের স্বাগত
              স্টাফ রিপোর্টার | শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ |

              বেফাক মহাসচিব আল্লামা শেখ আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী
              পুলিশ ও ওলামাদের সমন্বয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠনে আইজিপির উদ্যোগকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ( বেফাক ) এর মহাসচিব আল্লামা শেখ আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী।

              গণমাধ্যমে প্রেরিতএক বিবৃতিতে জাহানাবাদী বলেন, আলেম সমাজ দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধা। ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেম সমাজ মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকে রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। যা অনস্বীকার্য।

              জাহানাবাদী আরো বলেন, সবুজ-শ্যামল স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখতে, দেশের নাগরিকের নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে জঙ্গিবাদকে ধ্বংশ করার জন্য আইজিপির উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।

              জঙ্গিবাদবিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ওলামা -মাশায়েখগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ কার্যকর হলে ওলামায়ে কেরাম দেশপ্রেমিক হিসেবে আরো বেশী অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

              Comment

              Working...
              X