Announcement

Collapse
No announcement yet.

ওয়ালা-বারা এবং শরীফ হাতেম আলআউনীর বিভ্রান্তি-০২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ওয়ালা-বারা এবং শরীফ হাতেম আলআউনীর বিভ্রান্তি-০২

    গত পর্বে কয়েকজনের বক্তব্য তুলে ধরেছিলাম। আজ শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. (১২০৬ হি.) এর বক্তব্য তুলে ধরছি।

    পাঁচ.
    শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. (১২০৬ হি.)

    তিনি ঈমান ভঙ্গের প্রসিদ্ধ দশটি কারণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে কাফেরদের দ্বীনকে সঠিক মনে করা, কাফেরদের দ্বীনকে পছন্দ করা বা ইসলাম ধর্মকে অপছন্দ করা- এগুলোকে ঈমান ভঙ্গের স্বতন্ত্র কারণ বলেছেন, আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করাকে স্বতন্ত্র কারণ ধরেছেন। তিনি বলেন,

    الثالث: من لم يكفر المشركين، أو شك في كفرهم، أو صحح مذهبهم، كفر إجماعا

    الرابع: من اعتقد أن غير هدي النبي صلى الله عليه وسلم أكمل من هديه، أو أن حكم غيره أحسن من حكمه، كالذين يفضلون حكم الطاغوت على حكمه، فهو كافر
    .
    الخامس: من أبغض شيئا مما جاء به الرسول صلى الله عليه وسلم ولو عمل به، كفر إجماعا، والدليل قوله تعالى: {ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ}
    ...
    الثامن: مظاهرة المشركين ومعاونتهم على المسلمين، والدليل قوله تعالى: (ومن يتولهم منكم فإنه منهم إن الله لا يهدي القوم الظالمين). اهـ الدرر السنية 10\91-92

    “তৃতীয়:
    যে ব্যক্তি মুশরিকদেরকে কাফের বলে না, কিংবা তারা কাফের হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করে, কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক মনে করে- সকলের ঐক্যমতে সে কাফের হয়ে যাবে।

    চতুর্থ: যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, ভিন্ন কারো জীবনাদর্শ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শের চেয়ে অধিকতর পরিপূর্ণ, কিংবা ভিন্ন কারো বিধান তাঁর বিধানের চেয়ে অধিক ভাল- যেমন ঐসব লোক, যারা তাগুতের বিধানকে তাঁর বিধানের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেয়: সে ব্যক্তি কাফের।

    পঞ্চম: যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত কোন বিধানকে অপছন্দ করে, সেটি অনুযায়ী আমল করলেও সে সকলের ঐক্যমতে কাফের হয়ে যাবে। এর দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘তা এ কারণে যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা অপছন্দ করেছে। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের সকল আমল বরবাদ করে দিয়েছেন।” –মুহাম্মাদ ৯ ...

    অষ্টম: মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাহায্য-সহযোগিতা করা। এর দলীল- আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘তোমাদের মধ্যে যে তাদেরক সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালেমদের পথ প্রদর্শন করেন না।’- মায়েদা ৫১
    ”- আদদুরারুস সানিয়্যাহ ১০/৯১-৯২


    দেখুন, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম কারণে তিনি কাফেরদের দ্বীনকে সঠিক মনে করা, কিংবা ইসলামের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা কিংবা ইসলামকে অপছন্দ করাকে স্বতন্ত্র কারণ ধরেছেন। এরপর অষ্টম কারণ বলেছেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করা। এটি একটি স্বতন্ত্র ও ভিন্ন কারণ। এর জন্য কাফেরদের দ্বীনকে সঠিক মনে করা বা পছন্দ করা শর্ত নয়। এটিকে তিনি আগেই কুফর বলে এসেছেন। বুঝা গেল, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করা আমলটিই স্বয়ং কুফর। এর জন্য কাফেরদের দ্বীনকে মহব্বত করা বা ইসলামকে অপছন্দ করা শর্ত নয়। হ্যাঁ, কেউ যদি সহায়তার পাশাপাশি মহব্বতও করে, তাহলে সে দু’টি কুফর করলো: সহায়তা ও মহব্বত। আর যে মহব্বত করেনি কিন্তু সহায়তা করেছে, সে একটি কুফর করল। আর তা হল, সহায়তা। আর স্পষ্ট যে, কাফের হওয়ার জন্য একটি কুফরই যথেষ্ট। অতএব, যে ব্যক্তি মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করবে, সে কাফের। কাফেরদের দ্বীনকে পছন্দ করলেও কাফের, না করলেও কাফের। ইসলামকে অপছন্দ করলেও কাফের, না করলেও কাফের। শায়খ হামদ ইবনে আতিক আননজদি রহ. (১৩০১ হি.) এর বক্তব্য উল্লেখ করে এসেছি যে, তিনি বলেছেন,
    فهو مرتد ، وإن كان مع ذلك يبغض الكفار ويحب المسلمين. اهـ
    “সে মুরতাদ; যদিও সে পাশাপাশি কাফেরদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে এবং মুসলমানদের মহব্বত করে থাকে।”- আদদিফা আন আহলিস সুন্নাহ ৩০


    অতএব, ওয়ালা বারার মাসআলায় কাফেরদের দ্বীনকে মহব্বত করা বা সঠিক মনে করার শর্ত সম্পূর্ণ বাতিল ও জাহমি ও মুরজিদের ত্বরিকা।


  • #2
    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে আল-ওয়ালা ওয়াল বারা-এর সঠিক র্মম বুঝার ও সে অনুাযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন
    ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন এবং জিহাদের পথে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X