আফসোস!
1)
আফসোস!
হিন্দুদের জন্য যে, তারা 33 কুটি দেবতার পুজা করে। অর্থাৎ তারা আল্লাহ তাআলার সাথে অনেক অংশিদার সাভ্যস্ত করেছে। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন
قل هو الله احد (١)
(হে নবি) আপনি বলেদিন , আল্লাহ এক।
অদৃতীয়।
الله الصمد(٢)
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
অথচ তারা ,আইক্কা ওয়ালা বাঁস দিয়ে দাড় করিয়েছে নিজেদের খোদাকে । অতঃপর তারা তাদের ইবাদত করতে শুরু করেছে।
অর্থাৎ তারা তাদের খোদাকে আইক্কাওয়ালা বাঁসের মুখাপেক্ষী বানিয়েছে।
অথচ আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।
//////////////////
2)
আফসোস !
নাসারাদের জন্য যে , তারা আহলে কিতাব।
তাদের নিকট ইন্জিল এসেছে।
ইন্জিলে রাসুল সাঃ এর বিস্তারিত বর্ণণা এসেছে । এগুলো তারা জেনেছে । বুঝেছে । চিনেছে ।জানা, বুঝা , চিনার পরও তারা রাসুল সাঃ কে মানেনি। অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
الذين اتيناهم الكتاب يعرفونه كما يعرفون ابناءهم الذين خسروا انفسهم فهم لا يؤمنون.(الانعام/٢٠)
আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা রাসুলকে চিনে। তাদের সন্তানকে চিনার মত।
★তারা তা জেনেছে , বুঝেছে। অতঃপর জেনে বুঝেও তারা না জানার ভান ধরেছে।
তারা জানা বুঝার পরও লুকিয়েছে ।
অতঃপর অাল্লাহ তাআলার সাথে
অংশিদার সাব্যস্ত করেছে ।অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
لم يلد ولم يولد
তিনি কাওকে জন্মদেননি, আর তিনিও কাহারো হতে জন্মনেননি।
অথচ তোমরা এমন খোদার দাবিদার যে অন্যকে জন্ম দেয়। এবং সে অন্য থেকে জন্ম নেয়। যথা
তারা বলে
وقالت النصارى المسيح ابن الله... (التوبة/٣٠)
খৃষ্টানরা বলেছে যে মাসিহ আল্লাহর পুত্র।
বরং তারা 3 খোদার দাবি করেছে।
তারা বলেছে।
لقد كفر الذين قالوا ان الله ثالث ثلثة ... (المائدة/٧٣)
বরং তারা বলে আল্লাহ তাআলা 3 নের 3য়।
জেনে, বুঝেও তারা এগুলো করেছে।
জনসাধারণকে তা বুঝতে দেয়নি। কারন হাদিয়া -তুহফা কমে যাওয়ার ভয়।
///////////?///
3)
আফসোস !
ওলামায়ে ইয়াহুদ ও সাধারণ ইয়াহুদীদের জন্য , তারা আহলে কিতাব, যে তাদের নিকট তাওরাত এসেছে। তাওরাতে রাসুল সাঃ এর সম্পুর্ণ পরিচয় এসেছে। তাদের নবী মুসা আঃও তাদেরকে শেষ নবীর পূর্ণ পরিচয় দিয়েগেছেন । তাদের ধারনা ছিল শেষও বনীইসরাইল থেকে আসবে ।
তাদের ধারনা অনুযায়ী না হওয়ার কারনে শুধু হিংসাবশতঃ ঈমান আনেনি।
আল্লাহ তাআলা বলেন
يعرفو نه كما يعرفون ابناءهم ...(البقرة/١٦٧)
তারা রাসুল সাঃ কে চিনত যেভাবে তারা তাদের সন্তানকে চিনে...।
তারা আল্লাহ তাআলার সাথে শরিক সাব্যস্ত করেছে। শিরিক করেছে।
অর্থাৎ দুই খোদার দাবি করেছে
তারা বলেছে
وقالت اليهود عزيربن الله ...(التوبة/٣٠)
ইয়াহুদ সম্পদায় উজাইর আঃ কে আল্লাহর পুত্র বলেছে।
অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
(তিনি এক, । আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ।
তিনি কাওকে জন্মদেননি।)
(لم يلد )ولم يولد...(الاحد/٣)
এবং তিনি কাহারো থেকে জন্ম নেননি।
তারা এমন খোদার দাবিদার, যারা জন্ম নিয়েছে। অর্থাৎ সে অন্যর মুখাপেক্ষী।
তারা তা জেনেছে, বুঝেছে। যানা, বুঝার পরও তারা তা জনসাধারণ থেকে লুকিয়েছে । তাদেরকে তা বুঝতে দেয়নি।
কারন হাদিয়া -তুহফা কমে যাওয়ার ভয়। নেতৃত্ব চলে যাওয়ার ভয়।
//////
4)
আফসোস !
মুনাফিকদের জন্য যে , তারা যেনে বু্ঝে কুরআন ও হাদীসের বিরোধিতা করেছে।
স্বচক্ষে দেখার পরও কাব ইবনে আশরাফকে সমর্থন করেছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে উবায়ের অনুসরন করেছে।
কাফের,মুরতাদ, ধর্মদ্রুহিদের পা চেটেছে ।
মুনাফিকদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন
بشر المنافقين بان لهم عذابا اليما(النساء/١٣٨)
মুনাফিকদের জন্য সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন
ان المنافقين فى الدرك الاسفل من النار...(النساء/١٤٥)
মুনাফিকদের ঠিকানা জাহান্নামের নিন্মস্তর।
/////////
5)
আফসোস !
ঐ সকল আলেমদের জন্য , যারা সঠিক দ্বীন বুঝেও এসিরোম হারানোর আসায়, এহতেমামির দায়িত্ব চলে যাওয়ার ভয়ে, জেল -জুলুম বা নির্যাতনের সম্ভবনায়, বুজুর্গী হারানোর আশংকায়, হক কথা বলা, ও সমর্থন করা থেকে বিরত রয়েছে।
//////////
6)
আফসোস !
ঐ সকল আলেমদের জন্য , যখন তাদের নিকট সরাসরি কুরআনে কারীমের আয়াত পেশ করা হয় , তখন তারা বলে আমার শাইখ,আমার উস্তাদ ,আমার মুরুব্বি আমার হযরত, ইমুক বড় হুজুর ,তমুক বড় হুজুর কি কম বুঝে। তুমি কি তাদের চেয়ে বেশি বুঝ নাকি?
(না ভাই তাদের চেয়ে বেশি বুঝারত প্রশ্নই আসে না, কারন তারাত তোমার ধারনা অনুযায়ী কুরআনে কারীম থেকে ও বেশি বুঝে। আমারত ভাই কুরআনে কারীম থেকে বেশি বুঝার প্রশ্নই আসেনা।)
এটাত ঐ কাফের-মুশরিকদেরই কথা। প্রত্যাক যুগে -যুগে নবি রাসুলগণ যখন দ্বীনের দাওয়াত দিত ।
তখন তারা বলত,
واذا قيل لهم تعالوا الى ما انزل الله قالوا بل نتبعوا ما وجدنا عليه اباءنا....(لقمان/٢١)
অথচ এসব পথ ভ্রষ্টদের ব্যপারেই আল্লাহ তাআলা বলেছেন
ا هم يقسمون رحمة ربك ..(الزخرف/٣٢)
তারা কি তোমার রবের রহমত বন্টন করে
نحن قسمنا بينهم معيشتهم في الحيوة الدنيا..(الزخرف/٣٢)
আমি প্রার্থিব জিবনে ওদের মধ্যে ওদের জিবিকা বন্টন করেদিয়েছি।
।।।।।
7)
আফসোস !
মুবাল্লিগ ভাইদের জন্য যে তাদের মাঝে দুটি গ্রুপ
1) সা'দ পন্থি, যা পথভ্রষ্ট হিসেবে পরিচিত।
সা`দ পন্থি খারাফ। কারন সে কুরআন ও হাদীসের বহু অপব্যাখা করেছে। মিথ্যা চর্চায় লিপ্ত।
2)জুবাইর পন্থি । যাদের অজাহাতের জন্য উলামায়ে কেরাম বহু কাঠ-খড়ি পুড়িয়েছে ।
ভাইয়েরা আপনাদের নিকট প্রশ্ন ?
জুবাইর সাব কি বেশি ভাল?
দুধের ধুয়া?
কারন দীর্ঘদিন যাবত সা'দ সাব! কুরআনের তাহরীফ করেছে। হাদীসের অপবেক্ষা করেছে।
জুবাইর সাব ! এগুলো এতদিন গোপন করেছে।
আপনার নিকট প্রশ্ন । সা'দ সাব! যে এগুলো করেছে। তিনি তা যানতেন কি না?
যদি জেনে থাকে, তাহলে এতদিন তা গোপন করল কেন?
কে তাকে গোপন করার অধিকার দিল?
কোন সার্থে এতদিন গোপন রাখল?
আর এখনই বা তা প্রকাশ করল কেন?
সার্থে আঘাত আসল কি না?
কাদের সার্থ রক্ষাত্রে এতদিন গোপন করল?
আপনাকে কে এগুলো গোপন করার অধিকার দিল?
সার্থ আদায় হয়েগেলে পূনরায় ফিরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে কি?
একক নেতৃত্ব চলে আসলে পূর্বের অবস্হায় ফিরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে কি?
এপ্রশ্ন গুলোর কোন উওর আসবে কি?
এপ্রশ্ন গুলোর উওরের আশা রাখতে পারি কি?
কতদিন?
।।।।।।
8)
আফসোস !
জঙ্গী বিরোধী মানব বন্ধনকারীদের জন্য
তারা কুরআন, হাদীস পড়েছে। বুঝেছে । তারা ভাল করেই জানে ইয়াহুদি ও খৃষ্টান সম্পদায় জঙ্গি। ,মুজাহিদদেরকেই বলে। এরপর ও তারা যেনে বুঝা হেকমতের দুহাইদিয়ে মানব বন্ধন করেছে।
আপনাদের নিকট প্রশ্ন?
আপনারা যে হিকমতের কথা বলেন , আল্লাহ তাআলা ঐ হিকমত বুঝেন কি?
বদরিনদের ব্যপারে আল্লাহ তাআলা যে বলেছেন فلم تقتلوهم ولكن الله قتلهم وما رميت اذ رميت ولكن الله رمى
তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি ।বরং আল্লাহ তাআলাই তাদেরকে হত্যা করেছে। তুমি নিক্ষেপ করনি, যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে । তবে তা আল্লাহ তাআলাই নিক্ষেপ করেছে।
ক্বিতালের নিসবত আল্লাহ নিজের দিকে নেওয়া এটা কি হিকমতের অন্তরভুক্ত?
না তার বহিভূত?
যদি হিকমতের অন্তরভুক্ত হয় তাহলে আপনারা মুখে যে হিকমতের ফেনা তুলেন, এটা কিসের অন্তর্ভুক্ত?
এভাবে জনসাধারণের সাথে আর কতদিন প্রতারণা করবেন?
আর কতদিন উম্মতে মুসলিমাকে ধোঁকা দিবেন?
আল্লাহর দরবারে কি উওর দিবেন?
ফিকির করেছেন কি?
। ।।।।।।
9)
আফসোস !
বিভিন্ন সংস্থার প্রধান/ মুহতামিমদের জন্য যে তারা ফার্মের মুরগ-মুরগী , ফার্মের ডিম পাঙ্গাশ মাছ ইত্যাদি যেগুলোর ক্ষতি যেনেও বডিংয়ে দেওয়া বাধ্য করে দিয়েছে। তাদের ধারনা এগুলো ব্যতিত বডিং চলবে না।
অাপনাদের কাছে প্রশ্ন ?
এগুলোত কয়েক বৎসর যাবত শুরু হয়েছে । এ গুলোর পূর্বে ও আল্লাহ তাআলা
রিজিকের ব্যবস্হা করেছেন।
অাপনাদের কাছে প্রশ্ন ?
পূর্বে যে আল্লাহ তাআলা ছিলেন রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন ঐ আল্লাহ তাআলা এখনো আছেন কি?
যদি নুহ আঃ রব যিনি তাকে প্রাবন থেকে মুক্তি দিয়েছেন। ইব্রাহিম আঃ এর রব যিনি তাকে আগুন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
রাসুল সাঃ যাকে হত্যার করার ঘর ঘেরাও করেছিল আবু জেহেল, উক্ত ঘেরাও থেকে মুক্তি দিলেন।
আজো যদি সে রব বাকি থাকে তাহলে কেন ফার্মের মুরগ ,ফার্মের ডিম, অর্থাৎ বিষ মিশ্রিত খাদ্য দ্বারা লালিত এগুলো কেন বাধ্য করা হল?
ফলাফল হিসাব করা হয়েছে কি?
কারণ এর দ্বারা ,মানুষ দৈনন্দিন দূর্বল হচ্ছে। তাদের সামনে মসজিদ ভাঙ্গবে, মাদ্রাসা ভাঙ্গবে , দ্বীনের বিভিন্ন বিধিবিধানের উপর আঘাত আনবে । এগুলো দেখেও সে চেয়ে থাকবে। কিছুই বলবে না বর্তমানে ও তাই হচ্ছে।
আর দাজ্জালের উদ্দেশ্যও তাই। মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে অস্র ধরা থেকে বিরত থাকবে। আর বর্তমানে হচ্ছে ও তাই।
হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।
1)
আফসোস!
হিন্দুদের জন্য যে, তারা 33 কুটি দেবতার পুজা করে। অর্থাৎ তারা আল্লাহ তাআলার সাথে অনেক অংশিদার সাভ্যস্ত করেছে। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেছেন
قل هو الله احد (١)
(হে নবি) আপনি বলেদিন , আল্লাহ এক।
অদৃতীয়।
الله الصمد(٢)
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
অথচ তারা ,আইক্কা ওয়ালা বাঁস দিয়ে দাড় করিয়েছে নিজেদের খোদাকে । অতঃপর তারা তাদের ইবাদত করতে শুরু করেছে।
অর্থাৎ তারা তাদের খোদাকে আইক্কাওয়ালা বাঁসের মুখাপেক্ষী বানিয়েছে।
অথচ আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।
//////////////////
2)
আফসোস !
নাসারাদের জন্য যে , তারা আহলে কিতাব।
তাদের নিকট ইন্জিল এসেছে।
ইন্জিলে রাসুল সাঃ এর বিস্তারিত বর্ণণা এসেছে । এগুলো তারা জেনেছে । বুঝেছে । চিনেছে ।জানা, বুঝা , চিনার পরও তারা রাসুল সাঃ কে মানেনি। অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
الذين اتيناهم الكتاب يعرفونه كما يعرفون ابناءهم الذين خسروا انفسهم فهم لا يؤمنون.(الانعام/٢٠)
আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা রাসুলকে চিনে। তাদের সন্তানকে চিনার মত।
★তারা তা জেনেছে , বুঝেছে। অতঃপর জেনে বুঝেও তারা না জানার ভান ধরেছে।
তারা জানা বুঝার পরও লুকিয়েছে ।
অতঃপর অাল্লাহ তাআলার সাথে
অংশিদার সাব্যস্ত করেছে ।অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
لم يلد ولم يولد
তিনি কাওকে জন্মদেননি, আর তিনিও কাহারো হতে জন্মনেননি।
অথচ তোমরা এমন খোদার দাবিদার যে অন্যকে জন্ম দেয়। এবং সে অন্য থেকে জন্ম নেয়। যথা
তারা বলে
وقالت النصارى المسيح ابن الله... (التوبة/٣٠)
খৃষ্টানরা বলেছে যে মাসিহ আল্লাহর পুত্র।
বরং তারা 3 খোদার দাবি করেছে।
তারা বলেছে।
لقد كفر الذين قالوا ان الله ثالث ثلثة ... (المائدة/٧٣)
বরং তারা বলে আল্লাহ তাআলা 3 নের 3য়।
জেনে, বুঝেও তারা এগুলো করেছে।
জনসাধারণকে তা বুঝতে দেয়নি। কারন হাদিয়া -তুহফা কমে যাওয়ার ভয়।
///////////?///
3)
আফসোস !
ওলামায়ে ইয়াহুদ ও সাধারণ ইয়াহুদীদের জন্য , তারা আহলে কিতাব, যে তাদের নিকট তাওরাত এসেছে। তাওরাতে রাসুল সাঃ এর সম্পুর্ণ পরিচয় এসেছে। তাদের নবী মুসা আঃও তাদেরকে শেষ নবীর পূর্ণ পরিচয় দিয়েগেছেন । তাদের ধারনা ছিল শেষও বনীইসরাইল থেকে আসবে ।
তাদের ধারনা অনুযায়ী না হওয়ার কারনে শুধু হিংসাবশতঃ ঈমান আনেনি।
আল্লাহ তাআলা বলেন
يعرفو نه كما يعرفون ابناءهم ...(البقرة/١٦٧)
তারা রাসুল সাঃ কে চিনত যেভাবে তারা তাদের সন্তানকে চিনে...।
তারা আল্লাহ তাআলার সাথে শরিক সাব্যস্ত করেছে। শিরিক করেছে।
অর্থাৎ দুই খোদার দাবি করেছে
তারা বলেছে
وقالت اليهود عزيربن الله ...(التوبة/٣٠)
ইয়াহুদ সম্পদায় উজাইর আঃ কে আল্লাহর পুত্র বলেছে।
অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
(তিনি এক, । আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ।
তিনি কাওকে জন্মদেননি।)
(لم يلد )ولم يولد...(الاحد/٣)
এবং তিনি কাহারো থেকে জন্ম নেননি।
তারা এমন খোদার দাবিদার, যারা জন্ম নিয়েছে। অর্থাৎ সে অন্যর মুখাপেক্ষী।
তারা তা জেনেছে, বুঝেছে। যানা, বুঝার পরও তারা তা জনসাধারণ থেকে লুকিয়েছে । তাদেরকে তা বুঝতে দেয়নি।
কারন হাদিয়া -তুহফা কমে যাওয়ার ভয়। নেতৃত্ব চলে যাওয়ার ভয়।
//////
4)
আফসোস !
মুনাফিকদের জন্য যে , তারা যেনে বু্ঝে কুরআন ও হাদীসের বিরোধিতা করেছে।
স্বচক্ষে দেখার পরও কাব ইবনে আশরাফকে সমর্থন করেছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে উবায়ের অনুসরন করেছে।
কাফের,মুরতাদ, ধর্মদ্রুহিদের পা চেটেছে ।
মুনাফিকদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন
بشر المنافقين بان لهم عذابا اليما(النساء/١٣٨)
মুনাফিকদের জন্য সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন
ان المنافقين فى الدرك الاسفل من النار...(النساء/١٤٥)
মুনাফিকদের ঠিকানা জাহান্নামের নিন্মস্তর।
/////////
5)
আফসোস !
ঐ সকল আলেমদের জন্য , যারা সঠিক দ্বীন বুঝেও এসিরোম হারানোর আসায়, এহতেমামির দায়িত্ব চলে যাওয়ার ভয়ে, জেল -জুলুম বা নির্যাতনের সম্ভবনায়, বুজুর্গী হারানোর আশংকায়, হক কথা বলা, ও সমর্থন করা থেকে বিরত রয়েছে।
//////////
6)
আফসোস !
ঐ সকল আলেমদের জন্য , যখন তাদের নিকট সরাসরি কুরআনে কারীমের আয়াত পেশ করা হয় , তখন তারা বলে আমার শাইখ,আমার উস্তাদ ,আমার মুরুব্বি আমার হযরত, ইমুক বড় হুজুর ,তমুক বড় হুজুর কি কম বুঝে। তুমি কি তাদের চেয়ে বেশি বুঝ নাকি?
(না ভাই তাদের চেয়ে বেশি বুঝারত প্রশ্নই আসে না, কারন তারাত তোমার ধারনা অনুযায়ী কুরআনে কারীম থেকে ও বেশি বুঝে। আমারত ভাই কুরআনে কারীম থেকে বেশি বুঝার প্রশ্নই আসেনা।)
এটাত ঐ কাফের-মুশরিকদেরই কথা। প্রত্যাক যুগে -যুগে নবি রাসুলগণ যখন দ্বীনের দাওয়াত দিত ।
তখন তারা বলত,
واذا قيل لهم تعالوا الى ما انزل الله قالوا بل نتبعوا ما وجدنا عليه اباءنا....(لقمان/٢١)
অথচ এসব পথ ভ্রষ্টদের ব্যপারেই আল্লাহ তাআলা বলেছেন
ا هم يقسمون رحمة ربك ..(الزخرف/٣٢)
তারা কি তোমার রবের রহমত বন্টন করে
نحن قسمنا بينهم معيشتهم في الحيوة الدنيا..(الزخرف/٣٢)
আমি প্রার্থিব জিবনে ওদের মধ্যে ওদের জিবিকা বন্টন করেদিয়েছি।
।।।।।
7)
আফসোস !
মুবাল্লিগ ভাইদের জন্য যে তাদের মাঝে দুটি গ্রুপ
1) সা'দ পন্থি, যা পথভ্রষ্ট হিসেবে পরিচিত।
সা`দ পন্থি খারাফ। কারন সে কুরআন ও হাদীসের বহু অপব্যাখা করেছে। মিথ্যা চর্চায় লিপ্ত।
2)জুবাইর পন্থি । যাদের অজাহাতের জন্য উলামায়ে কেরাম বহু কাঠ-খড়ি পুড়িয়েছে ।
ভাইয়েরা আপনাদের নিকট প্রশ্ন ?
জুবাইর সাব কি বেশি ভাল?
দুধের ধুয়া?
কারন দীর্ঘদিন যাবত সা'দ সাব! কুরআনের তাহরীফ করেছে। হাদীসের অপবেক্ষা করেছে।
জুবাইর সাব ! এগুলো এতদিন গোপন করেছে।
আপনার নিকট প্রশ্ন । সা'দ সাব! যে এগুলো করেছে। তিনি তা যানতেন কি না?
যদি জেনে থাকে, তাহলে এতদিন তা গোপন করল কেন?
কে তাকে গোপন করার অধিকার দিল?
কোন সার্থে এতদিন গোপন রাখল?
আর এখনই বা তা প্রকাশ করল কেন?
সার্থে আঘাত আসল কি না?
কাদের সার্থ রক্ষাত্রে এতদিন গোপন করল?
আপনাকে কে এগুলো গোপন করার অধিকার দিল?
সার্থ আদায় হয়েগেলে পূনরায় ফিরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে কি?
একক নেতৃত্ব চলে আসলে পূর্বের অবস্হায় ফিরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে কি?
এপ্রশ্ন গুলোর কোন উওর আসবে কি?
এপ্রশ্ন গুলোর উওরের আশা রাখতে পারি কি?
কতদিন?
।।।।।।
8)
আফসোস !
জঙ্গী বিরোধী মানব বন্ধনকারীদের জন্য
তারা কুরআন, হাদীস পড়েছে। বুঝেছে । তারা ভাল করেই জানে ইয়াহুদি ও খৃষ্টান সম্পদায় জঙ্গি। ,মুজাহিদদেরকেই বলে। এরপর ও তারা যেনে বুঝা হেকমতের দুহাইদিয়ে মানব বন্ধন করেছে।
আপনাদের নিকট প্রশ্ন?
আপনারা যে হিকমতের কথা বলেন , আল্লাহ তাআলা ঐ হিকমত বুঝেন কি?
বদরিনদের ব্যপারে আল্লাহ তাআলা যে বলেছেন فلم تقتلوهم ولكن الله قتلهم وما رميت اذ رميت ولكن الله رمى
তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি ।বরং আল্লাহ তাআলাই তাদেরকে হত্যা করেছে। তুমি নিক্ষেপ করনি, যখন তুমি নিক্ষেপ করেছিলে । তবে তা আল্লাহ তাআলাই নিক্ষেপ করেছে।
ক্বিতালের নিসবত আল্লাহ নিজের দিকে নেওয়া এটা কি হিকমতের অন্তরভুক্ত?
না তার বহিভূত?
যদি হিকমতের অন্তরভুক্ত হয় তাহলে আপনারা মুখে যে হিকমতের ফেনা তুলেন, এটা কিসের অন্তর্ভুক্ত?
এভাবে জনসাধারণের সাথে আর কতদিন প্রতারণা করবেন?
আর কতদিন উম্মতে মুসলিমাকে ধোঁকা দিবেন?
আল্লাহর দরবারে কি উওর দিবেন?
ফিকির করেছেন কি?
। ।।।।।।
9)
আফসোস !
বিভিন্ন সংস্থার প্রধান/ মুহতামিমদের জন্য যে তারা ফার্মের মুরগ-মুরগী , ফার্মের ডিম পাঙ্গাশ মাছ ইত্যাদি যেগুলোর ক্ষতি যেনেও বডিংয়ে দেওয়া বাধ্য করে দিয়েছে। তাদের ধারনা এগুলো ব্যতিত বডিং চলবে না।
অাপনাদের কাছে প্রশ্ন ?
এগুলোত কয়েক বৎসর যাবত শুরু হয়েছে । এ গুলোর পূর্বে ও আল্লাহ তাআলা
রিজিকের ব্যবস্হা করেছেন।
অাপনাদের কাছে প্রশ্ন ?
পূর্বে যে আল্লাহ তাআলা ছিলেন রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন ঐ আল্লাহ তাআলা এখনো আছেন কি?
যদি নুহ আঃ রব যিনি তাকে প্রাবন থেকে মুক্তি দিয়েছেন। ইব্রাহিম আঃ এর রব যিনি তাকে আগুন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
রাসুল সাঃ যাকে হত্যার করার ঘর ঘেরাও করেছিল আবু জেহেল, উক্ত ঘেরাও থেকে মুক্তি দিলেন।
আজো যদি সে রব বাকি থাকে তাহলে কেন ফার্মের মুরগ ,ফার্মের ডিম, অর্থাৎ বিষ মিশ্রিত খাদ্য দ্বারা লালিত এগুলো কেন বাধ্য করা হল?
ফলাফল হিসাব করা হয়েছে কি?
কারণ এর দ্বারা ,মানুষ দৈনন্দিন দূর্বল হচ্ছে। তাদের সামনে মসজিদ ভাঙ্গবে, মাদ্রাসা ভাঙ্গবে , দ্বীনের বিভিন্ন বিধিবিধানের উপর আঘাত আনবে । এগুলো দেখেও সে চেয়ে থাকবে। কিছুই বলবে না বর্তমানে ও তাই হচ্ছে।
আর দাজ্জালের উদ্দেশ্যও তাই। মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে অস্র ধরা থেকে বিরত থাকবে। আর বর্তমানে হচ্ছে ও তাই।
হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।
Comment