আফসোস! ( 2)
10)আফসোস!
আফসোস বড়দের জন্য ! যে মানুষ তাদেরকে বড় মনে করেছে।
দ্বীনের রাহবর ধারনা করেছে।
এ সুযোগে তারা মানুষের সাথে গাদ্দারি করেছে।
দ্বীনের আংশিক বিষয়কে পূর্ণদ্বীন হিসেবে ধারনা দিয়েছে।
অথচ উনাদের উচিত ছিল পূর্ণদ্বীন মানুষদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া।
তারা মানুষদেরকে পূর্ণদ্বীন বুঝতে দেয়নি।
আপনাদের নিকট প্রশ্ন।
যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন , আংশিক দ্বীনকে পূর্ণদ্বীন হিসেবে পেশ করেছিলে কেন ?
উওর প্রস্তত করেছেন তো?
অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة..(الاحزاب/٢١)
তোমাদের জন্য রাসুলের মাঝে রয়েছে উওম আদর্শ।
(আয়াতটির সারমর্ম হলো, মুমিন মাত্রই উচিত রাসুলুল্লাহ (সা এর অনুস্বরনকারী ও অনুগত হয়ে যুদ্বে দৃঢ়পদ থাকা, যাতে মুনাফিকরা ঈমানের দাবী করে ঈমান সম্বন্ধীয় কর্তব্য লঙ্গন করার জন্য লজ্জিত হয়। পক্ষান্তরে খাঁটি মুমিনদের জন্য এ শুভ সংবাদ যে, তারাই অত্র আয়াতে লক্ষস্থল। অর্থাৎ, তারাই আল্লাহ ও পরকালের ভয়ে ভীত এবং আল্লাহর অধিক স্বরণকারী - বয়ানুল কোরআন। )
★ এ আয়াত অবতীর্ণের প্রেক্ষাপট★
খন্দকের যুদ্ধে রাসুল সাঃ যখন ধূলা-মলিন অবস্হায় ছিলেন, দেখে চেনা যাচ্ছিলনা । ঐ অবস্হায় উক্ত আয়াত নাযিল হয়।
রাসুল সাঃ এর মদিনার জীবনের অধিকাংশ সময়ই ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাতে অতিবাহিত হয়েছে ।
কারন আপনি চিন্তা-ফিকির করে দেখুন মদিনার 10 বৎসরে 27টি যুদ্ধে স্বয়ন অংশ গ্রহণ করেছেন । গড়ে প্রতি বৎসর 3টি । এখন আপনি বলুন এরজন্য প্রস্ততির প্রয়োজন হয়েছে কি না?
আর এর দ্বারা ফলাফল
সাহাবায়ে কেরাম রাঃ ও রাসুল সাঃ এর এ অাদর্শ আকড়িয়ে ধরেছেন। এ আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দ্বীন আমাদের পর্যন্ত এসেছে।
রাসুল সাঃ বলেছেন
اذا تركتم الجهاد لسلط الله عليهم الظلة
যখন তোমরা জিহাদকে ছেড়ে দিবে ঐ সময় আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর
এলান্ঞনা অবমাননা ডেলে দিবেন।
আল্লাহ তাআলা
ولولا دفع الله الناس بعضهم ببعض لهدمت صوامع وبيع وصلوات يذكر فيهاالاسم الله كثيرا...(الحج/٤٠)
যদি আল্লাহ তাআলা কতককে কতক দ্বারা দমন না করতেন; তবে খৃষ্টান সংসারবিরাগীদের উপাসনালয়, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় এবং মসজিদসমুহ, যে অধিকহারে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, তার সবই ধ্বংস হয়ে যেত।
যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন
قاتلوهم حتى لاتكون فتنة ويكون الدين كله لله فان انتهوا فان الله بما يعملون بصير
তোমরা তাদের সাথে ক্বিতাল কর ( কুফর ও শিরিকের ) ফিৎনা দূর হওয়া পর্যন্ত। এবং সর্বএ দ্বীন আল্লাহর জন্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ...
প্রশ্ন ঃ ফিৎনা দ্বারা উদ্দেশ্য কি?
উওর ঃ কুফুরও শিরিক।
প্রশ্ন ঃ বর্তমানে কুফুর দূর হয়েছে কি ?
শিরিক দূর হয়েছে কি?
কুফুর ও শিরিক দূরের জন্য কোন চিন্তা-ফিকির করেছেন কি?
যদি চিন্তা-ফিকির করে থাকেন, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে বর্ণিত নিয়মে?
নাকি আপনার মনগড়া পদ্ধতিতে?
যদি আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে বর্ণিত নিয়মের কথা বলেন তাহলে শুনুন মুজাহিদরাত এটাই করছে ।
واجعل لنامن لدنك وليا واجعل لنامن لدنك نصيرا (النساء/٧٥)
অর্থাৎ অলিও নাসিরের কাজগুলো করছে।
তাহলে আপনার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে কেন?
যদি বলেন নিজেদের বানানো পদ্ধতিতে চিন্তা-ফিকির করতেছেন ,তাহলে তা যে তাহরিফ হবে/ অপবেখ্যা হবে, তা বুঝতেছেন কি?
না কি বুঝেও না বুঝার ভান ধরেছেন।
উলামায়ে ইয়াহুদ ও খিষ্টানরা বুঝেও না বুঝার ভান ধরত । একারনে তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ হতে গজব নাজিল হয়েছে।
আপনার তা স্বরন আছে কি?
পদও মর্যাদার লোভে পরে তা ভূলে গেলেন কি?
হক কথা বল্লে জেল/জরিমানার মাধ্যমে ইজ্জত - সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে। তা চিন্তা-ফিকির করতেছেন কি?
বড়ত্ব নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে কি?
কেননা আপনিত বড়?
বড়র উপাদি আপনার জন্য বাকি থাকা এটাত তাদেরই দয়া?
তা নাহলে আপনার নাম যে জঙ্গির খাতায় চলে যেত আপনি তা জানেন কি?
সুযোগে আপনার উপরও যখন আসবে তার থেকে বাচার চেষ্টা করেছেন কি?
কারন আপনি ঈমান থেকে সরে যাবেন কি?
يايهاالذين امنوالاتتخذوااليهودوالنصارى اولياء بعضهم اولياءبعض ومن يتولهم فانه منكم. .
ولايزالون يقاتلونكم حتى يردوكم عن دينكم ان استطاعوا
জিঙ্গাসিত হলে কি বলবেন এর উওর প্রস্তত করেছেন কি?
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে।
الجهاد ذروة سنام الاسلام
জিহাদ হল ইসলামের চূড়া ।
চূড়ার হেফাজতের দ্বারা যেমন পাহাড়ের হেফাজত হয়। তেমনিভাবে জিহাদের হেফাজতের দ্বারাও পরিপুর্ণ দ্বীনের হেফাজত হয়।
যদি আপনাদের জিঙ্গাসা করা হয়,
বড়র স্হানে পৌছে রাসুলের দাত ভাঙ্গা, রক্ত ঝরা দ্বীনের অপব্যাখা করেছিলে কেন?
মানুষদেরকে পরিপুর্ণ দ্বীন বুঝার সুযোগ দিলেনা কেন ?
কেন তাদের সাথে ধোঁকা বাজি করেছিলে?
কেন তাদের সাথে প্রতারণা করেছিলে ?
কোন উওর প্রস্তত করেছেন কি?
মক্কায় 13 বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও রাসুল সাঃ এর সাথে মাএ 100 জনের মত সাহাবা হিজরত করে ছিলেন।
ি
আর রাসুল সাঃ এর মদিনায় জিবনে অষ্টম হিজরি পর্যন্ত গড়ে প্রতি বৎসর গড়ে (1000) এক হাজার মুসলমান হয়। মক্কা বিজয়ের সময় (10000)দশ হাজার সাহাবা অংশ গ্রহণ করেন।
মক্কা বিজয়ের পর মাএ 2 বৎসর । এদুই বৎসরে এত পরিমাণ লোক ইসলামে ধাবিত হয়েছে, যে দশম হিজরিতে বিদায় হজ্বের ভাষণে সোয়া লক্ষ সাহাবা উপস্থিত ছিলেন।
আর এ সফলতা অর্জন হয়েছে আল্লাহ তাআলার আদেশ ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
10 বৎসরে মতান্তরে 63/70/ এতগুলো যুদ্ধ হয়েছে তা উম্মতের সামনে পেশ করলে না কেন?
রাসুল সাঃ দুনিয়া থেকে বিদায়ের সময় কয়েকটি তরবারী , ঢাল, যুদ্ধের পোশাক, রেখে গেছেন , তা উম্মতের সামনে পেশ করলে না কেন?
ঐসময়ের জন্য কোন উওর প্রস্তত করেছেন কি?
আল্লাহর তাআলার পক্ষ হতে প্রশ্ন হলে, পার পাওয়ার কোন সুরত আছে কি?
তারা মানুষদের সামনে মিথ্যাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে। যার কারনে মানুষ, সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্যকে মনে করতে শুরু করেছে।
মানুষকে তারা তাদের প্রাপ্য সঠিকভাবে আদায় করেনি।
তাদেরকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বন্চিত করেছে।
মানুষ তাদেরকে ধর্মের গুরু মনে করেছে।
আর তারা ধর্মের নামে মানুষদের সাথে প্রতারণা করেছে।
তারা গণতন্ত্র নামক ধর্মের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
গণতন্ত্র আলাদা ধর্ম এটা আপনি জানেন কি?
"গণতন্ত্র আলাদা ধর্ম " এজাতীয় কিছু বই দলিল আদিল্লাসহ বের হয়েছে। আপনি
তা পড়েছেন কি?
আপনি বড় হিসেবে এবিষয়গুলো আপনার ভক্তবিন্দ ও অনুসারীদেরকে জানানো দায়িত্বের অন্তভুক্ত মনে করেন কি?
আপনাদের নিকট প্রশ্ন । গণতন্ত্র আলাদা ধর্ম এটা আপনাদের বুঝে আসে কি ?
ইসলামের পরিভাষা, আর গণতন্ত্রের পরিভাষাগুলো নিয়ে আপনি ফিকির করেছেন কি না?
ইসলামের গণতন্ত্রের
পরিভাষা পরিভাষা
1)ফরজ 1) ডিউটি
2)আক্বিদা 2)দৃষ্টিভঙ্গি
3)শরীয়ত 3)আইন
4)হালাল 4)আইনসম্মত
5)হারাম 5)বে-আইনি
আল্লাহ তাআলা যদি এব্যপারে জিঙ্গাসা করেন , তার উওর প্রস্তত করেছেন কি ?
মুজাহিদিনকে জঙ্গি উপাদি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ফিকির করেছেন কি না?
)>
11) আফসোস!
বড়দের অনুসারীদের জন্য!
তারা বলে বড়রা কি কম বুঝে?
তারা এগুলো বলেনা কেন?
তাদের এ কথাগুলো কাফেরদের কথার মত নয় কি ?
কাফেররাত বলত
وقالوا لولا نزل هذا القرءان على رجل من القريتين عظيم (الزخرف/٣١)
কাফেররা বলত এ কুরআন কেন বড় দুই গোত্রের কোন একজনের উপর অবতরণ করা হয়নি?
আপনাদের নিকট প্রশ্ন?
হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনবো?
না ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনবো?
যদি বলেন হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনতে হবে?
তাহলে কুরআন ও হাদীসকে আকরিয়ে ধরেন। তাহলেই সঠিক দ্বীন পেয়ে যাবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন
واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا....(ال عمران/١٠٣)
তোমরা আল্লাহর রশিকে মজবুতির সাথে ধরো , বিচ্ছিন্ন হয়োনা।
রাসুল সাঃ বলেছেন
تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله
তোমাদের মাঝে দুইটি জিনিষ রেখে গেলাম, কখনও তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তা আকরিয়ে ধরবে।
1) কিতাবুল্লাহ ।
2)সুন্নাতে রাসুল সাঃ।
যদি বলেন ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনতে হবে।
তাহলে কুরআনও হাদিসের বৃত্তিত্বে দলিল পেশ করুন।
বিঃদ্রঃ- 1) যদি বলেন দলিল আদিল্লা ছাড়াই মানতে হবে, তাহলে বালআম বায়োরা হতে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
সে মুস্তাজাবুদ্দাওয়াহ হওয়ার পরও পথভ্রষ্ট হয়েগেছে। তা আপনার স্বরন আছে কি?
তাহলে শুনোন আল্লাহ তাআলা বলেন
مثله كمثل الكلب ان تحمل عليه يلهث او تتركه يلهث ذلك مثل القوم الذين كذبوا باياتنا..(الاعراف/١٧٦)
তার দৃষ্টান্ত কুকুরের মত আপনি যদি তার উপর বুঝা উঠান, তাহলে সে হাফাতে থাকে। যদি আপনি নিজ অবস্হায় ছেড়েদেন, তাহলেও সে হাফাতে থাকে। এদৃষ্টান্ত ঐসমস্ত লোকদের জন্য যারা আমার আয়াতকে অস্বিকার করে ...
2) কাফেরদের কথা
واذا قيل لهم تعالوا الي ما انزل الله قا لوا حسبنا ما وجدنا عليه اباءنا اولو كان اباؤهم لا يعقلون شيئا ولايهتدون..(المائده/١٠٤)
যখন তাদেরকে বলা হত, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে আস। তারা বলত ,আমাদের পিতৃপুরুষদের যার উপর পেয়েছি ,তাই আমাদের জন্য যতেষ্ট । যদিও তাদের পিতৃপুরুষগণ কোনো কিছু বুঝত না।
পথভ্রষ্ট ছিল, হিদায়াতের উপর ছিলনা তাহলেও ।
★আপনার কথাটি যে, কাফেরদের কথার সাথে মিলে যায় । তা একটু ফিকির করেছেন কি?
ক্বিতালকে অস্বিকার করলে আপনি কাফের, মুশরিক মুনাফিক,মুরতাদ, মুলহিদ,গাদ্দারদের অন্তভুক্ত হবেন কি?
এটা অস্বিকার করলে পরকালে পার পা
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হক্ব বুঝার ও তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুক ।আমিন।
হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।
10)আফসোস!
আফসোস বড়দের জন্য ! যে মানুষ তাদেরকে বড় মনে করেছে।
দ্বীনের রাহবর ধারনা করেছে।
এ সুযোগে তারা মানুষের সাথে গাদ্দারি করেছে।
দ্বীনের আংশিক বিষয়কে পূর্ণদ্বীন হিসেবে ধারনা দিয়েছে।
অথচ উনাদের উচিত ছিল পূর্ণদ্বীন মানুষদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া।
তারা মানুষদেরকে পূর্ণদ্বীন বুঝতে দেয়নি।
আপনাদের নিকট প্রশ্ন।
যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন , আংশিক দ্বীনকে পূর্ণদ্বীন হিসেবে পেশ করেছিলে কেন ?
উওর প্রস্তত করেছেন তো?
অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة..(الاحزاب/٢١)
তোমাদের জন্য রাসুলের মাঝে রয়েছে উওম আদর্শ।
(আয়াতটির সারমর্ম হলো, মুমিন মাত্রই উচিত রাসুলুল্লাহ (সা এর অনুস্বরনকারী ও অনুগত হয়ে যুদ্বে দৃঢ়পদ থাকা, যাতে মুনাফিকরা ঈমানের দাবী করে ঈমান সম্বন্ধীয় কর্তব্য লঙ্গন করার জন্য লজ্জিত হয়। পক্ষান্তরে খাঁটি মুমিনদের জন্য এ শুভ সংবাদ যে, তারাই অত্র আয়াতে লক্ষস্থল। অর্থাৎ, তারাই আল্লাহ ও পরকালের ভয়ে ভীত এবং আল্লাহর অধিক স্বরণকারী - বয়ানুল কোরআন। )
★ এ আয়াত অবতীর্ণের প্রেক্ষাপট★
খন্দকের যুদ্ধে রাসুল সাঃ যখন ধূলা-মলিন অবস্হায় ছিলেন, দেখে চেনা যাচ্ছিলনা । ঐ অবস্হায় উক্ত আয়াত নাযিল হয়।
রাসুল সাঃ এর মদিনার জীবনের অধিকাংশ সময়ই ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাতে অতিবাহিত হয়েছে ।
কারন আপনি চিন্তা-ফিকির করে দেখুন মদিনার 10 বৎসরে 27টি যুদ্ধে স্বয়ন অংশ গ্রহণ করেছেন । গড়ে প্রতি বৎসর 3টি । এখন আপনি বলুন এরজন্য প্রস্ততির প্রয়োজন হয়েছে কি না?
আর এর দ্বারা ফলাফল
সাহাবায়ে কেরাম রাঃ ও রাসুল সাঃ এর এ অাদর্শ আকড়িয়ে ধরেছেন। এ আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দ্বীন আমাদের পর্যন্ত এসেছে।
রাসুল সাঃ বলেছেন
اذا تركتم الجهاد لسلط الله عليهم الظلة
যখন তোমরা জিহাদকে ছেড়ে দিবে ঐ সময় আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর
এলান্ঞনা অবমাননা ডেলে দিবেন।
আল্লাহ তাআলা
ولولا دفع الله الناس بعضهم ببعض لهدمت صوامع وبيع وصلوات يذكر فيهاالاسم الله كثيرا...(الحج/٤٠)
যদি আল্লাহ তাআলা কতককে কতক দ্বারা দমন না করতেন; তবে খৃষ্টান সংসারবিরাগীদের উপাসনালয়, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় এবং মসজিদসমুহ, যে অধিকহারে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, তার সবই ধ্বংস হয়ে যেত।
যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন
قاتلوهم حتى لاتكون فتنة ويكون الدين كله لله فان انتهوا فان الله بما يعملون بصير
তোমরা তাদের সাথে ক্বিতাল কর ( কুফর ও শিরিকের ) ফিৎনা দূর হওয়া পর্যন্ত। এবং সর্বএ দ্বীন আল্লাহর জন্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ...
প্রশ্ন ঃ ফিৎনা দ্বারা উদ্দেশ্য কি?
উওর ঃ কুফুরও শিরিক।
প্রশ্ন ঃ বর্তমানে কুফুর দূর হয়েছে কি ?
শিরিক দূর হয়েছে কি?
কুফুর ও শিরিক দূরের জন্য কোন চিন্তা-ফিকির করেছেন কি?
যদি চিন্তা-ফিকির করে থাকেন, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে বর্ণিত নিয়মে?
নাকি আপনার মনগড়া পদ্ধতিতে?
যদি আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে বর্ণিত নিয়মের কথা বলেন তাহলে শুনুন মুজাহিদরাত এটাই করছে ।
واجعل لنامن لدنك وليا واجعل لنامن لدنك نصيرا (النساء/٧٥)
অর্থাৎ অলিও নাসিরের কাজগুলো করছে।
তাহলে আপনার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে কেন?
যদি বলেন নিজেদের বানানো পদ্ধতিতে চিন্তা-ফিকির করতেছেন ,তাহলে তা যে তাহরিফ হবে/ অপবেখ্যা হবে, তা বুঝতেছেন কি?
না কি বুঝেও না বুঝার ভান ধরেছেন।
উলামায়ে ইয়াহুদ ও খিষ্টানরা বুঝেও না বুঝার ভান ধরত । একারনে তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ হতে গজব নাজিল হয়েছে।
আপনার তা স্বরন আছে কি?
পদও মর্যাদার লোভে পরে তা ভূলে গেলেন কি?
হক কথা বল্লে জেল/জরিমানার মাধ্যমে ইজ্জত - সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে। তা চিন্তা-ফিকির করতেছেন কি?
বড়ত্ব নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে কি?
কেননা আপনিত বড়?
বড়র উপাদি আপনার জন্য বাকি থাকা এটাত তাদেরই দয়া?
তা নাহলে আপনার নাম যে জঙ্গির খাতায় চলে যেত আপনি তা জানেন কি?
সুযোগে আপনার উপরও যখন আসবে তার থেকে বাচার চেষ্টা করেছেন কি?
কারন আপনি ঈমান থেকে সরে যাবেন কি?
يايهاالذين امنوالاتتخذوااليهودوالنصارى اولياء بعضهم اولياءبعض ومن يتولهم فانه منكم. .
ولايزالون يقاتلونكم حتى يردوكم عن دينكم ان استطاعوا
জিঙ্গাসিত হলে কি বলবেন এর উওর প্রস্তত করেছেন কি?
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে।
الجهاد ذروة سنام الاسلام
জিহাদ হল ইসলামের চূড়া ।
চূড়ার হেফাজতের দ্বারা যেমন পাহাড়ের হেফাজত হয়। তেমনিভাবে জিহাদের হেফাজতের দ্বারাও পরিপুর্ণ দ্বীনের হেফাজত হয়।
যদি আপনাদের জিঙ্গাসা করা হয়,
বড়র স্হানে পৌছে রাসুলের দাত ভাঙ্গা, রক্ত ঝরা দ্বীনের অপব্যাখা করেছিলে কেন?
মানুষদেরকে পরিপুর্ণ দ্বীন বুঝার সুযোগ দিলেনা কেন ?
কেন তাদের সাথে ধোঁকা বাজি করেছিলে?
কেন তাদের সাথে প্রতারণা করেছিলে ?
কোন উওর প্রস্তত করেছেন কি?
মক্কায় 13 বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও রাসুল সাঃ এর সাথে মাএ 100 জনের মত সাহাবা হিজরত করে ছিলেন।
ি
আর রাসুল সাঃ এর মদিনায় জিবনে অষ্টম হিজরি পর্যন্ত গড়ে প্রতি বৎসর গড়ে (1000) এক হাজার মুসলমান হয়। মক্কা বিজয়ের সময় (10000)দশ হাজার সাহাবা অংশ গ্রহণ করেন।
মক্কা বিজয়ের পর মাএ 2 বৎসর । এদুই বৎসরে এত পরিমাণ লোক ইসলামে ধাবিত হয়েছে, যে দশম হিজরিতে বিদায় হজ্বের ভাষণে সোয়া লক্ষ সাহাবা উপস্থিত ছিলেন।
আর এ সফলতা অর্জন হয়েছে আল্লাহ তাআলার আদেশ ক্বিতাল ফিসাবিলিল্লাহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
10 বৎসরে মতান্তরে 63/70/ এতগুলো যুদ্ধ হয়েছে তা উম্মতের সামনে পেশ করলে না কেন?
রাসুল সাঃ দুনিয়া থেকে বিদায়ের সময় কয়েকটি তরবারী , ঢাল, যুদ্ধের পোশাক, রেখে গেছেন , তা উম্মতের সামনে পেশ করলে না কেন?
ঐসময়ের জন্য কোন উওর প্রস্তত করেছেন কি?
আল্লাহর তাআলার পক্ষ হতে প্রশ্ন হলে, পার পাওয়ার কোন সুরত আছে কি?
তারা মানুষদের সামনে মিথ্যাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে। যার কারনে মানুষ, সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্যকে মনে করতে শুরু করেছে।
মানুষকে তারা তাদের প্রাপ্য সঠিকভাবে আদায় করেনি।
তাদেরকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বন্চিত করেছে।
মানুষ তাদেরকে ধর্মের গুরু মনে করেছে।
আর তারা ধর্মের নামে মানুষদের সাথে প্রতারণা করেছে।
তারা গণতন্ত্র নামক ধর্মের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
গণতন্ত্র আলাদা ধর্ম এটা আপনি জানেন কি?
"গণতন্ত্র আলাদা ধর্ম " এজাতীয় কিছু বই দলিল আদিল্লাসহ বের হয়েছে। আপনি
তা পড়েছেন কি?
আপনি বড় হিসেবে এবিষয়গুলো আপনার ভক্তবিন্দ ও অনুসারীদেরকে জানানো দায়িত্বের অন্তভুক্ত মনে করেন কি?
আপনাদের নিকট প্রশ্ন । গণতন্ত্র আলাদা ধর্ম এটা আপনাদের বুঝে আসে কি ?
ইসলামের পরিভাষা, আর গণতন্ত্রের পরিভাষাগুলো নিয়ে আপনি ফিকির করেছেন কি না?
ইসলামের গণতন্ত্রের
পরিভাষা পরিভাষা
1)ফরজ 1) ডিউটি
2)আক্বিদা 2)দৃষ্টিভঙ্গি
3)শরীয়ত 3)আইন
4)হালাল 4)আইনসম্মত
5)হারাম 5)বে-আইনি
আল্লাহ তাআলা যদি এব্যপারে জিঙ্গাসা করেন , তার উওর প্রস্তত করেছেন কি ?
মুজাহিদিনকে জঙ্গি উপাদি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ফিকির করেছেন কি না?
)>
11) আফসোস!
বড়দের অনুসারীদের জন্য!
তারা বলে বড়রা কি কম বুঝে?
তারা এগুলো বলেনা কেন?
তাদের এ কথাগুলো কাফেরদের কথার মত নয় কি ?
কাফেররাত বলত
وقالوا لولا نزل هذا القرءان على رجل من القريتين عظيم (الزخرف/٣١)
কাফেররা বলত এ কুরআন কেন বড় দুই গোত্রের কোন একজনের উপর অবতরণ করা হয়নি?
আপনাদের নিকট প্রশ্ন?
হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনবো?
না ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনবো?
যদি বলেন হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনতে হবে?
তাহলে কুরআন ও হাদীসকে আকরিয়ে ধরেন। তাহলেই সঠিক দ্বীন পেয়ে যাবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন
واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا....(ال عمران/١٠٣)
তোমরা আল্লাহর রশিকে মজবুতির সাথে ধরো , বিচ্ছিন্ন হয়োনা।
রাসুল সাঃ বলেছেন
تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وسنة رسوله
তোমাদের মাঝে দুইটি জিনিষ রেখে গেলাম, কখনও তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তা আকরিয়ে ধরবে।
1) কিতাবুল্লাহ ।
2)সুন্নাতে রাসুল সাঃ।
যদি বলেন ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনতে হবে।
তাহলে কুরআনও হাদিসের বৃত্তিত্বে দলিল পেশ করুন।
বিঃদ্রঃ- 1) যদি বলেন দলিল আদিল্লা ছাড়াই মানতে হবে, তাহলে বালআম বায়োরা হতে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
সে মুস্তাজাবুদ্দাওয়াহ হওয়ার পরও পথভ্রষ্ট হয়েগেছে। তা আপনার স্বরন আছে কি?
তাহলে শুনোন আল্লাহ তাআলা বলেন
مثله كمثل الكلب ان تحمل عليه يلهث او تتركه يلهث ذلك مثل القوم الذين كذبوا باياتنا..(الاعراف/١٧٦)
তার দৃষ্টান্ত কুকুরের মত আপনি যদি তার উপর বুঝা উঠান, তাহলে সে হাফাতে থাকে। যদি আপনি নিজ অবস্হায় ছেড়েদেন, তাহলেও সে হাফাতে থাকে। এদৃষ্টান্ত ঐসমস্ত লোকদের জন্য যারা আমার আয়াতকে অস্বিকার করে ...
2) কাফেরদের কথা
واذا قيل لهم تعالوا الي ما انزل الله قا لوا حسبنا ما وجدنا عليه اباءنا اولو كان اباؤهم لا يعقلون شيئا ولايهتدون..(المائده/١٠٤)
যখন তাদেরকে বলা হত, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে আস। তারা বলত ,আমাদের পিতৃপুরুষদের যার উপর পেয়েছি ,তাই আমাদের জন্য যতেষ্ট । যদিও তাদের পিতৃপুরুষগণ কোনো কিছু বুঝত না।
পথভ্রষ্ট ছিল, হিদায়াতের উপর ছিলনা তাহলেও ।
★আপনার কথাটি যে, কাফেরদের কথার সাথে মিলে যায় । তা একটু ফিকির করেছেন কি?
ক্বিতালকে অস্বিকার করলে আপনি কাফের, মুশরিক মুনাফিক,মুরতাদ, মুলহিদ,গাদ্দারদের অন্তভুক্ত হবেন কি?
এটা অস্বিকার করলে পরকালে পার পা
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হক্ব বুঝার ও তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুক ।আমিন।
হক্বের মাধ্যমে ব্যক্তি চিনো,
ব্যক্তির মাধ্যমে হক্ব চিনো না।
Comment