আফসোস! (3) সূচী (1)
ফরিদুদ্দিন মাসউদের জন্য, একারনে যে আল্লাহ তাআলা তাকে ইলম দিয়েছিল, আর এ ইলম দ্বারা সে দুনিয়া উপার্জন করেছে। অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
ولا تشتروا باياتى ثمناقليلا...(البقرة/٤١)
তোমরা অল্প মূল্য আমার আয়াতকে বিক্রি করিও না।
মাসউদ সাব ! আপনি কি উক্ত আয়াত ভুলেগিয়েছেন?
না দুনিয়াবি পদ ও মর্যাদার লোভে বালআম বায়ুরার দলের অন্তভুক্ত হলেন।
না ইচ্ছা করেই বালআম বায়োরার স্হান পুরা করলেন?
বালআম বায়োরাও আপনার নিকট পরাজিত।
কারন আপনি যে কাজ করেছেন, বালআম বায়োরাও তা পারেনি।
যেমন :- আপনি (নুরানি, ) হেফজ, তাইসির, মিজান, নাহবেমির, হেদাতুন্নাহুসহ সকল জামাতের ছাএদেরকে শুধু একটি দস্তখতের মাধ্যমে মুফতী বানিয়ে দিলেন। এটাশুধু আপনারই কৃতিত্ব। আপনার এ কৃতিত্ব থেকে মহিলারাও বাদ পরেনি।
যে দেশে মহিলাদের জন্য ফাতওয়ার অনুশীলনের কোন ব্যবস্থা নেই ।সে দেশে দশ হাজার মহিলা মুফতীর স্বাক্ষর গ্রহণ।
এটা শুধু আপনারই কৃতিত্ব। আপনারই অবদান। আপনার এ কৃতিত্ব ও অবদান ভুলার নই। কিভাবে ভুলব?
কারন বাংলাদেশ নামক মুসলিম রাষ্ট্রটি আজ বিশ্ব মুসলিমদের নিকট ঘৃণিত।
★ আপনার এ কৃতিত্ব দ্বারা বাংলাদেশ 2য় আরেকটি কৃতিত্ব অর্জন করল।
★প্রথম কৃতত্ব অর্জন করেছিল , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা-ক্যাডার , প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সোনার ছেলে "মানিক" । 100 ধর্ষণের সেন্চুরির মাধ্যমে 1ম স্হান অধিকার করেছিল।
(সূত্র : ইন্টারনেট)
আর আপনি 2য় স্হানটি অর্জন করলেন, লক্ষ দস্তখত পূরণের মাধ্যমে।
বাহ!কতইনা চমৎকার মিল ।
আপনি হয়ত বলতে পারেন?
এরপরও আমাকে পুরুস্কৃত করা হলনা কেন?
আর আপনার এ বলাটা স্বাভাবিক ও যুক্তি সংঘত।
তবে কথা হল আপনার শ্বান মোতাবিক পুরুস্কৃত করা আধৌ আমার দ্বারা সম্ভবনা।
একারনে আশা করি আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে ঘোষণাকৃত পুরুস্কারটি উপহার স্বরুপ রইল। তা আপনার শ্বান অনুযায়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
1)
আল্লাহ তাআলা বলেন
بشر المنافقين بان لهم عذابا اليما (النساء/١٣٨)
আপনি মুনাফিকদের জন্য সুসংবাদদিন যে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
2)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন
ان المنافقين في الدرك الاسفل من النار ولن تجد لهم نصيرا (النساء/١٤٥)
মুনাফিকের ঠিকানা জাহান্নামের নিন্মস্তর , কখনো তুমি তাদের জন্য সাহায্যকারি পাবে না।
★শয়তানও আপনার নিকট হার মানবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
وقال الشيطان لما قضي الامر ان الله وعدكم وعد الحق ووعدتكم فاخلفتكم ماكان لى عليكم من سلطان فلا تلومونى ولوموا انفسكم ماانا بمصرخكم وماانتم بمصرخى.. (ابراهيم/٢٢)
যখন ফায়সালা হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে।
অবশ্যই অাল্লাহ তাআলা তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছেন , যা বাস্তব সত্য।
আর আমিও তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছি। অতঃপর তা ভঙ্গ করেছি।
সুতরাং তোমরা অামাকে মালামত করিও না। তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে তিরস্কার
কর। আমি তোমাদেরকে কোন সাহায্য করতে পারব না। আর তোমরাও আমাকে কোন সাহায্য করতে পারবে না।
মাসউদ সাব! আপনার এআয়াতটির কথা স্বরন আছে কি?
না আপনি তা ভুলেগিয়েছেন?
★দুঃখ লাগে এজন্য যে আপনি এগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন কি?
ইচ্ছাকৃত হলেও চিন্তা-ফিকির করে ঈমানের মত দৌতলত হাতছাড়া করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আশা করি একটু চিন্তা-ফিকির করবেন ইনশাআল্লাহ।
এরপরও একটি প্রবাদ বাক্য আছে " নুন খায় যার গুনগায় তার"
সরকারের নুন খেয়ে তার গুনগেয়ে ঈমানের দৌতলত হারানো তা স্বাভাবিক ।
না অনিচ্ছাই তা করেছেন ?
অথবা লোভে পড়ে করেছেন?
অনিচ্ছা/লোভে পরে করে থাকলেও আবার ঈমান আনতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
আপনিত জানেন ফেরাউন খোদা দাবি করেছিল।
সে বলেছিল
فقال انا ربكم الاعلى (النازعات/٢٤)
সে বলল , আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক।
এরপরও কিন্ত মৃত্যুর ফেরেস্তা দেখে ঈমান এনেছিল।
প্রশ্নঃ ঈমান কবুল হয়েছিল কি না?
ঈমান কবুল হওয়া না হওয়া ভিন্ন ব্যপার।
আর আপনিত আর খোদাদাবি করেননি।
ফেরাউনও তো মৃত্যুর সময় ঈমান এনেছিল।
ফেরাউন মৃত্যুর সময় বলেছিল
حتى اذا ادركه الغرق قال امنت انه لااله الا الذى امنت به بنوا اسرئيل و انامن المسلين (يونس/٩٠)
যখন সে ডুবতেছিল তখন সে বলল ,আমি ঈমান আনলাম ঐসত্তার উপর যার উপর বনি ইসরাইল ঈমান এনেছে। আর আমি মুসলমানদের অন্তভুক্ত।
★মাসউদ সাব! ফেরাউন ও তো সে ঈমান এনেছিল, যদিও অসময়ে হওয়ার কারনে ঈমান কবুল হয়নি।
আপনার এখনো সময় আছে ইচ্ছা করলে ঈমান এনে সংশোধণ হয়ে যেতে পারেন।
এরদ্বারা আপনি উপকৃত হবেন। আর জাতিও পথভ্রষ্টতা হতে বেচেগেল।
আল্লাহ তাআলা বলেন
فاليوم ننجيك ببدنك لتكون لمن خلفك اية. . .(يونس/٩١)
আজ আমি তোমার শরিরের হেফাজত করলাম যাতে পশ্চাৎ ধাবনকারি
ধারনকারিদের জন্য নিদর্শন হয়।
মাসউদ সাব! ফেরাউন কিন্তু আগে চলেগেছে। আর বর্তমান সময়টা কিন্তু ফেরাউনের পরেরই সময়। এখনো কিন্তু সময় আছে তাওবা করেন। এরপর জনসম্মুখেও অাপনার ভূলগুলো প্রচার করেদেন ,যাতেকরে মানুষ উক্ত ভূল গুলো হতে ফিরে ঈমানী দৌতলত নিয়ে পরলোকগমন করতে পারে।
وان كثيرامن الناس عن ايتنالغفلون(يونس/٩١)
আর বহুত লোক আমার নিদর্শন থেকে গাফেল।
আশা করি আপনি গাফেলদের অন্তভুক্ত হবেননা।
এরপরও যদি নিফাকি বেছেনেন ও মুনাফিকদের অন্তভুক্ত হন , এটা ভিন্ন কথা।
19)আফসোস!
আফসোস মাসউদ সাবের অনুসারিদের জন্য , তারা জানে যে ,
1)তিনি জামাতে ইসলামির বিরোধিতা করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে যোগ দিয়েছেন।
আর আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডগুলো এই-
★নিজেরা সংবিধান রচনা করেছে। বা রচিত সংবিধানের উপর চলতে মানুষকে বাধ্য করেছে । এটা কুফুরি নয় কি?
সুস্পষ্ট কুফুরি হলে ঈমান বাকি থাকবে কি?
নিন্মোক্ত আয়াতগুলোর বিরোধিতা করেছে।
1)
আল্লাহ তাআলা বলেন
يايها امنوا ادخلوا فى السلم كافة....(البقرة/٢٠٨)
হে ঈমানগণ ! তোমরা পরিপুর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর।
★তারা পরিপুর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করেনি।
2) নামাজ প্রতিষ্ঠা কর।
যথা:- আল্লাহ তাআলা বলেন
اقيموا الصلوة..(البقرة/٤٣)
★তারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করেনি।
3) ছেলে, মেয়ের অংশকে সমান বলেছে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন*
للذكر مثل حظ الانثيين ...(النساء/١١)
পুরুষদের জন্য দুই মেয়ের অংশের বরাবর।
★ আল্লাহ তাআলা পুরুষের জন্য মেয়েদের দ্বিগুণ নির্ধারণ করেছেন।
★★তাগুতরা বলে ছেলে মেয়ের অংশ সমান।
4) সমঅধিকারের নামে পর্দার বিধানের সাথে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করেছে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন*
و قرن فى بيوتكن ولاتبرجن تبرج الجاهلية الاولى..(الاحزاب/٣٣)
★ আল্লাহ তাআলার প্রতি, ও পরকালের প্রতি ঈমান আনেনি।
5)আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
قاتلوا الذين لايؤمون بالله ولاباليوم الاخر...
(التوبة/٢٦)
★আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছেন তারা তা হালাল মনে করেছে।
6)আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
ولايحرمون ماحرم الله ورسوله ولايدينون دين الحق من الذين اتوا الكتاب حتى يعطوا الجزية عن يد وهم صاغرون(التوبة/٢٦)
এবং আল্লাহ ও তার রাসুল যা করেছেন, তা হারাম গণ্য করে না,তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই কর, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে নিজের হাতে জিযিয়া প্রদান করে (সুরা তাওবা:২৯)
ক) সুদকে হালাল বলে তার লাইসেন্স দিয়েছে।
7) আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
.. احل الله البيع وحرم الرباء..)البقرة/٢٧٥)
খ)লাইসেন্স এর মাধ্যমে মদকে হালাল বলেছে।
8) আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام رجس من عمل الشيطان فاجتنوه. الماءدة/٩٠)
গ) জুয়ার বৈধতা দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر ..(الماءدة/٩٠)
★আল্লাহ তাআলা জুয়াকে শয়তানি কাজ বলেছেন।
আর তারা এর বৈধতা দিয়েছে।
ঘ) লটারির অনুমোদন দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام...م
3)আল্লাহ তাআলা যা হালাল করেছেন তা হারাম বলার কারনে।
ক) যথা:- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের পূর্বে বিবাহর জন্য বাধা সৃষ্টি করার কারনে।
10)আল্লাহ তাআলা বলেন:-
و انكحوا الايامى منكم والصالحين من عبادكم وامائكم..(النور/٣٢)
অথচ উক্ত আয়াতে কোন সময়সিমা নেই।
খ)
গ) রাসুল সাঃ আম্মাজান আয়েশা রাঃ বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল মাএ ছয় বৎসর।*
18 বৎসরের শর্তযুক্ত করে রাসুল সাঃ কে দূষি সাব্যস্ত করার কারনে।
ঘ)আল্লাহ তাআলা ক্বিতাল ফরজ করেছেন
তা অস্বিকার করাও এর বিরোধিতা করার কারনে।অথচ*
11)আল্লাহ তাআলা বলেন:-*
كتب عليكم القتال وهو كره لكم...(البقرة/٢١٦)
তোমাদের উপর ক্বিতাল ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের নিকট অপছন্দনিয় ....
12) বা শর্তযুক্ত করে দেওয়ার কারনে।
যথা:-*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-*
فانكحوا ماطاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع...(النساء/٣)
তোমরা পছন্দসই দুইটি, তিনটি, চারটি বিবাহ কর..
★ উক্ত আয়াতে কোথাও স্ত্রীর অনুমিতর কথা নেই।
★ অথচ তারা বলে স্ত্রীর অনুমতি অাবশ্যক।
13)পতিতালয়ের অনুমোদন দেওয়ার কারনে।*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتقربواالزنا انه كان فاحشة وساء سبيلا..(الاسراء/٣٢)
তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়োনা, কেননা তা খারাফ....
5) আল্লাহ তাআলার বিধান পরিবর্তন করার কারনে তারা কাফের।
অথবা অন্যর তৈরী বিধান বাস্তবায়ন করার কারন কাফের।
আল্লাহ তাআলা বলেন
..ان الحكم الا لله..(الانعام/٣٥)
ক)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الشيخ والشيخة اذا زنيا فارجموهما
- রজম অর্থাৎ প্রস্তাগাতে হত্যা করা।*
উক্ত আয়াতের হুকুম বাকি আছে।
★বর্তমান আইন হল জেল /জরিমানা
খ)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الزانية والزانى فاجلدوا كل واحد منهما ماةجلدة.(النور/٢)
(অবিবাহিত )ব্যভিচারিণী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ উভয়কে একশত ব্যতরাঘাত কর।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
গ)চোর চোরনি উভয়ের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
السارق والسارقة فاقطعوا ايديهما جزاء بماكسب نكالا من الله.( المائدة/٣٨)*
তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
6) আল্লাহর দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করে নিজেরা সংবিধান রচনা করেছে।
অথবা গাইরুল্লার রচিত সংবিধান বাস্তবায়নের কারনে ,। অথচ*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ক)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم
الكافرون(المائدة/٤٤)
খ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الفاسقون(المائدة/٤٧)
গ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الظالمون(المائدة/٤٥)
7) যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বিকার করেছে তাদের অনুস্বরণের কারনে তারা কাফের।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتتبع اهواء الذين كذبوا بايتنا و لا يؤمنون باليوم الاخر (المائدة/١٥٠)
যারা আমার আয়াতকে মিথ্যপ্রতিপন্ন করেছে, ও পরকালের প্রতি ঈমাম আনেনি তোমরা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরন করোনা।
8)আল্লাহ তাআলার বিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করে যারা শয়তানের অনুস্বরণ করে ।
তারপরও কি মুসলমান ?
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
وان احكم بينهم بما انزل الله ولا تتبع خطوات الشيطان...(المائدة/٤٩)
আর তুমি তাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করোনা।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন ।
এতকিছুর পরও তাদের ঈমান বাকি থাকবে কি?
আপনি তাদের ঈমানের দায়িত্ব নিবেন কি?
বা আপনি তাদের ঈমানের দায়িত্ব নিয়েছেন কি?
একটু ভেবে দেখেছেন কি?
আজকে যে চুপ থাকতেছেন আল্লাহর দরবারে উওর দেবেন কি?
এতকিছুর পরও এগুলো মেনে নিলে ঈমানের 12টা বাজবে কি?
ঈমান থাকবে কি?
আল্লাহর দরবারে কি উওর দেবেন?
এর কিছু ফিকির করেছেন কি?
এরপরও কি তারা মুসলমান?
দলিল-প্রমাণসহ পেশ করবেন কি?
★★(2)
শাহবাগ গিয়ে নাস্তিকদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।
এরা দ্বারা তার ঈমান বাকি থাকবে কি?
আপনিত তার ঈমানের দ্বায়িত্ব নিবেন কি?
বা এর দায়িত্ব আপনি নিয়েছেন কি?
★★ (3)
জঙ্গি বিরোধী একলক্ষ ফাতওয়া যে সংগ্রহ করেছে এবিষয়টি আপনি জানেন কি?
এ ফাতওয়া যে কুরআন ও হাদিস বিরোধ এটা আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন কি?
★★
জঙ্গি বিরোধী একলক্ষ ফাতওয়া সংগ্রহের পরও আপনার মুরুব্বি শেষ পর্যন্ত নিজেই জঙ্গি হয়েগেল ।
এটা আপনি জানেন কি?
পৃয়া সাহা ! তুমি পারলে, মাসউদ সাবকে জঙ্গি বানাতে।
আল্লাহ তাআলার বাণী
ولن ترضى عنك اليهود ولن النصرى حتى تتبع ملتهم..(البقرة/١٢٠)
ইয়াহুদ এবং নাসারা কখনো আপনার প্রতি সন্তষ্ট হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাদের ধর্ম গ্রহণ না করেন।
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার বাণী বাস্তবায়ন হল
ومن اصدق من الله قيلا (النساء/١٢٢)
ফরিদুদ্দিন মাসউদের জন্য, একারনে যে আল্লাহ তাআলা তাকে ইলম দিয়েছিল, আর এ ইলম দ্বারা সে দুনিয়া উপার্জন করেছে। অথচ
আল্লাহ তাআলা বলেন
ولا تشتروا باياتى ثمناقليلا...(البقرة/٤١)
তোমরা অল্প মূল্য আমার আয়াতকে বিক্রি করিও না।
মাসউদ সাব ! আপনি কি উক্ত আয়াত ভুলেগিয়েছেন?
না দুনিয়াবি পদ ও মর্যাদার লোভে বালআম বায়ুরার দলের অন্তভুক্ত হলেন।
না ইচ্ছা করেই বালআম বায়োরার স্হান পুরা করলেন?
বালআম বায়োরাও আপনার নিকট পরাজিত।
কারন আপনি যে কাজ করেছেন, বালআম বায়োরাও তা পারেনি।
যেমন :- আপনি (নুরানি, ) হেফজ, তাইসির, মিজান, নাহবেমির, হেদাতুন্নাহুসহ সকল জামাতের ছাএদেরকে শুধু একটি দস্তখতের মাধ্যমে মুফতী বানিয়ে দিলেন। এটাশুধু আপনারই কৃতিত্ব। আপনার এ কৃতিত্ব থেকে মহিলারাও বাদ পরেনি।
যে দেশে মহিলাদের জন্য ফাতওয়ার অনুশীলনের কোন ব্যবস্থা নেই ।সে দেশে দশ হাজার মহিলা মুফতীর স্বাক্ষর গ্রহণ।
এটা শুধু আপনারই কৃতিত্ব। আপনারই অবদান। আপনার এ কৃতিত্ব ও অবদান ভুলার নই। কিভাবে ভুলব?
কারন বাংলাদেশ নামক মুসলিম রাষ্ট্রটি আজ বিশ্ব মুসলিমদের নিকট ঘৃণিত।
★ আপনার এ কৃতিত্ব দ্বারা বাংলাদেশ 2য় আরেকটি কৃতিত্ব অর্জন করল।
★প্রথম কৃতত্ব অর্জন করেছিল , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতা-ক্যাডার , প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সোনার ছেলে "মানিক" । 100 ধর্ষণের সেন্চুরির মাধ্যমে 1ম স্হান অধিকার করেছিল।
(সূত্র : ইন্টারনেট)
আর আপনি 2য় স্হানটি অর্জন করলেন, লক্ষ দস্তখত পূরণের মাধ্যমে।
বাহ!কতইনা চমৎকার মিল ।
আপনি হয়ত বলতে পারেন?
এরপরও আমাকে পুরুস্কৃত করা হলনা কেন?
আর আপনার এ বলাটা স্বাভাবিক ও যুক্তি সংঘত।
তবে কথা হল আপনার শ্বান মোতাবিক পুরুস্কৃত করা আধৌ আমার দ্বারা সম্ভবনা।
একারনে আশা করি আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে ঘোষণাকৃত পুরুস্কারটি উপহার স্বরুপ রইল। তা আপনার শ্বান অনুযায়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
1)
আল্লাহ তাআলা বলেন
بشر المنافقين بان لهم عذابا اليما (النساء/١٣٨)
আপনি মুনাফিকদের জন্য সুসংবাদদিন যে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
2)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন
ان المنافقين في الدرك الاسفل من النار ولن تجد لهم نصيرا (النساء/١٤٥)
মুনাফিকের ঠিকানা জাহান্নামের নিন্মস্তর , কখনো তুমি তাদের জন্য সাহায্যকারি পাবে না।
★শয়তানও আপনার নিকট হার মানবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
وقال الشيطان لما قضي الامر ان الله وعدكم وعد الحق ووعدتكم فاخلفتكم ماكان لى عليكم من سلطان فلا تلومونى ولوموا انفسكم ماانا بمصرخكم وماانتم بمصرخى.. (ابراهيم/٢٢)
যখন ফায়সালা হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে।
অবশ্যই অাল্লাহ তাআলা তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছেন , যা বাস্তব সত্য।
আর আমিও তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছি। অতঃপর তা ভঙ্গ করেছি।
সুতরাং তোমরা অামাকে মালামত করিও না। তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে তিরস্কার
কর। আমি তোমাদেরকে কোন সাহায্য করতে পারব না। আর তোমরাও আমাকে কোন সাহায্য করতে পারবে না।
মাসউদ সাব! আপনার এআয়াতটির কথা স্বরন আছে কি?
না আপনি তা ভুলেগিয়েছেন?
★দুঃখ লাগে এজন্য যে আপনি এগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন কি?
ইচ্ছাকৃত হলেও চিন্তা-ফিকির করে ঈমানের মত দৌতলত হাতছাড়া করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আশা করি একটু চিন্তা-ফিকির করবেন ইনশাআল্লাহ।
এরপরও একটি প্রবাদ বাক্য আছে " নুন খায় যার গুনগায় তার"
সরকারের নুন খেয়ে তার গুনগেয়ে ঈমানের দৌতলত হারানো তা স্বাভাবিক ।
না অনিচ্ছাই তা করেছেন ?
অথবা লোভে পড়ে করেছেন?
অনিচ্ছা/লোভে পরে করে থাকলেও আবার ঈমান আনতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
আপনিত জানেন ফেরাউন খোদা দাবি করেছিল।
সে বলেছিল
فقال انا ربكم الاعلى (النازعات/٢٤)
সে বলল , আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক।
এরপরও কিন্ত মৃত্যুর ফেরেস্তা দেখে ঈমান এনেছিল।
প্রশ্নঃ ঈমান কবুল হয়েছিল কি না?
ঈমান কবুল হওয়া না হওয়া ভিন্ন ব্যপার।
আর আপনিত আর খোদাদাবি করেননি।
ফেরাউনও তো মৃত্যুর সময় ঈমান এনেছিল।
ফেরাউন মৃত্যুর সময় বলেছিল
حتى اذا ادركه الغرق قال امنت انه لااله الا الذى امنت به بنوا اسرئيل و انامن المسلين (يونس/٩٠)
যখন সে ডুবতেছিল তখন সে বলল ,আমি ঈমান আনলাম ঐসত্তার উপর যার উপর বনি ইসরাইল ঈমান এনেছে। আর আমি মুসলমানদের অন্তভুক্ত।
★মাসউদ সাব! ফেরাউন ও তো সে ঈমান এনেছিল, যদিও অসময়ে হওয়ার কারনে ঈমান কবুল হয়নি।
আপনার এখনো সময় আছে ইচ্ছা করলে ঈমান এনে সংশোধণ হয়ে যেতে পারেন।
এরদ্বারা আপনি উপকৃত হবেন। আর জাতিও পথভ্রষ্টতা হতে বেচেগেল।
আল্লাহ তাআলা বলেন
فاليوم ننجيك ببدنك لتكون لمن خلفك اية. . .(يونس/٩١)
আজ আমি তোমার শরিরের হেফাজত করলাম যাতে পশ্চাৎ ধাবনকারি
ধারনকারিদের জন্য নিদর্শন হয়।
মাসউদ সাব! ফেরাউন কিন্তু আগে চলেগেছে। আর বর্তমান সময়টা কিন্তু ফেরাউনের পরেরই সময়। এখনো কিন্তু সময় আছে তাওবা করেন। এরপর জনসম্মুখেও অাপনার ভূলগুলো প্রচার করেদেন ,যাতেকরে মানুষ উক্ত ভূল গুলো হতে ফিরে ঈমানী দৌতলত নিয়ে পরলোকগমন করতে পারে।
وان كثيرامن الناس عن ايتنالغفلون(يونس/٩١)
আর বহুত লোক আমার নিদর্শন থেকে গাফেল।
আশা করি আপনি গাফেলদের অন্তভুক্ত হবেননা।
এরপরও যদি নিফাকি বেছেনেন ও মুনাফিকদের অন্তভুক্ত হন , এটা ভিন্ন কথা।
19)আফসোস!
আফসোস মাসউদ সাবের অনুসারিদের জন্য , তারা জানে যে ,
1)তিনি জামাতে ইসলামির বিরোধিতা করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে যোগ দিয়েছেন।
আর আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডগুলো এই-
★নিজেরা সংবিধান রচনা করেছে। বা রচিত সংবিধানের উপর চলতে মানুষকে বাধ্য করেছে । এটা কুফুরি নয় কি?
সুস্পষ্ট কুফুরি হলে ঈমান বাকি থাকবে কি?
নিন্মোক্ত আয়াতগুলোর বিরোধিতা করেছে।
1)
আল্লাহ তাআলা বলেন
يايها امنوا ادخلوا فى السلم كافة....(البقرة/٢٠٨)
হে ঈমানগণ ! তোমরা পরিপুর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর।
★তারা পরিপুর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করেনি।
2) নামাজ প্রতিষ্ঠা কর।
যথা:- আল্লাহ তাআলা বলেন
اقيموا الصلوة..(البقرة/٤٣)
★তারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করেনি।
3) ছেলে, মেয়ের অংশকে সমান বলেছে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন*
للذكر مثل حظ الانثيين ...(النساء/١١)
পুরুষদের জন্য দুই মেয়ের অংশের বরাবর।
★ আল্লাহ তাআলা পুরুষের জন্য মেয়েদের দ্বিগুণ নির্ধারণ করেছেন।
★★তাগুতরা বলে ছেলে মেয়ের অংশ সমান।
4) সমঅধিকারের নামে পর্দার বিধানের সাথে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করেছে।
যথা :- আল্লাহ তাআলা বলেন*
و قرن فى بيوتكن ولاتبرجن تبرج الجاهلية الاولى..(الاحزاب/٣٣)
★ আল্লাহ তাআলার প্রতি, ও পরকালের প্রতি ঈমান আনেনি।
5)আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
قاتلوا الذين لايؤمون بالله ولاباليوم الاخر...
(التوبة/٢٦)
★আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছেন তারা তা হালাল মনে করেছে।
6)আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
ولايحرمون ماحرم الله ورسوله ولايدينون دين الحق من الذين اتوا الكتاب حتى يعطوا الجزية عن يد وهم صاغرون(التوبة/٢٦)
এবং আল্লাহ ও তার রাসুল যা করেছেন, তা হারাম গণ্য করে না,তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই কর, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে নিজের হাতে জিযিয়া প্রদান করে (সুরা তাওবা:২৯)
ক) সুদকে হালাল বলে তার লাইসেন্স দিয়েছে।
7) আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
.. احل الله البيع وحرم الرباء..)البقرة/٢٧٥)
খ)লাইসেন্স এর মাধ্যমে মদকে হালাল বলেছে।
8) আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام رجس من عمل الشيطان فاجتنوه. الماءدة/٩٠)
গ) জুয়ার বৈধতা দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :-*
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر ..(الماءدة/٩٠)
★আল্লাহ তাআলা জুয়াকে শয়তানি কাজ বলেছেন।
আর তারা এর বৈধতা দিয়েছে।
ঘ) লটারির অনুমোদন দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
يايهاالذين امنواانما الخمر والميسر والانصاب والازلام...م
3)আল্লাহ তাআলা যা হালাল করেছেন তা হারাম বলার কারনে।
ক) যথা:- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের পূর্বে বিবাহর জন্য বাধা সৃষ্টি করার কারনে।
10)আল্লাহ তাআলা বলেন:-
و انكحوا الايامى منكم والصالحين من عبادكم وامائكم..(النور/٣٢)
অথচ উক্ত আয়াতে কোন সময়সিমা নেই।
খ)
গ) রাসুল সাঃ আম্মাজান আয়েশা রাঃ বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল মাএ ছয় বৎসর।*
18 বৎসরের শর্তযুক্ত করে রাসুল সাঃ কে দূষি সাব্যস্ত করার কারনে।
ঘ)আল্লাহ তাআলা ক্বিতাল ফরজ করেছেন
তা অস্বিকার করাও এর বিরোধিতা করার কারনে।অথচ*
11)আল্লাহ তাআলা বলেন:-*
كتب عليكم القتال وهو كره لكم...(البقرة/٢١٦)
তোমাদের উপর ক্বিতাল ফরজ করা হয়েছে অথচ তা তোমাদের নিকট অপছন্দনিয় ....
12) বা শর্তযুক্ত করে দেওয়ার কারনে।
যথা:-*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-*
فانكحوا ماطاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع...(النساء/٣)
তোমরা পছন্দসই দুইটি, তিনটি, চারটি বিবাহ কর..
★ উক্ত আয়াতে কোথাও স্ত্রীর অনুমিতর কথা নেই।
★ অথচ তারা বলে স্ত্রীর অনুমতি অাবশ্যক।
13)পতিতালয়ের অনুমোদন দেওয়ার কারনে।*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتقربواالزنا انه كان فاحشة وساء سبيلا..(الاسراء/٣٢)
তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়োনা, কেননা তা খারাফ....
5) আল্লাহ তাআলার বিধান পরিবর্তন করার কারনে তারা কাফের।
অথবা অন্যর তৈরী বিধান বাস্তবায়ন করার কারন কাফের।
আল্লাহ তাআলা বলেন
..ان الحكم الا لله..(الانعام/٣٥)
ক)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الشيخ والشيخة اذا زنيا فارجموهما
- রজম অর্থাৎ প্রস্তাগাতে হত্যা করা।*
উক্ত আয়াতের হুকুম বাকি আছে।
★বর্তমান আইন হল জেল /জরিমানা
খ)বিবাহিত নারী,পুরুষ যিনা করলে তাদের ব্যপারে হুকুম :-*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
الزانية والزانى فاجلدوا كل واحد منهما ماةجلدة.(النور/٢)
(অবিবাহিত )ব্যভিচারিণী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ উভয়কে একশত ব্যতরাঘাত কর।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
গ)চোর চোরনি উভয়ের ব্যপারে হুকুম :-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
السارق والسارقة فاقطعوا ايديهما جزاء بماكسب نكالا من الله.( المائدة/٣٨)*
তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও।
★বর্তমান আইন হল জেল/জরিমানা
6) আল্লাহর দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করে নিজেরা সংবিধান রচনা করেছে।
অথবা গাইরুল্লার রচিত সংবিধান বাস্তবায়নের কারনে ,। অথচ*
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ক)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم
الكافرون(المائدة/٤٤)
খ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الفاسقون(المائدة/٤٧)
গ)
ومن لم يحكم بما انزل الله فاولئك هم الظالمون(المائدة/٤٥)
7) যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বিকার করেছে তাদের অনুস্বরণের কারনে তারা কাফের।
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
ولاتتبع اهواء الذين كذبوا بايتنا و لا يؤمنون باليوم الاخر (المائدة/١٥٠)
যারা আমার আয়াতকে মিথ্যপ্রতিপন্ন করেছে, ও পরকালের প্রতি ঈমাম আনেনি তোমরা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরন করোনা।
8)আল্লাহ তাআলার বিধান অনুযায়ী ফায়সালা না করে যারা শয়তানের অনুস্বরণ করে ।
তারপরও কি মুসলমান ?
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
وان احكم بينهم بما انزل الله ولا تتبع خطوات الشيطان...(المائدة/٤٩)
আর তুমি তাদের মাঝে আল্লাহ তাআলা যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করোনা।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন ।
এতকিছুর পরও তাদের ঈমান বাকি থাকবে কি?
আপনি তাদের ঈমানের দায়িত্ব নিবেন কি?
বা আপনি তাদের ঈমানের দায়িত্ব নিয়েছেন কি?
একটু ভেবে দেখেছেন কি?
আজকে যে চুপ থাকতেছেন আল্লাহর দরবারে উওর দেবেন কি?
এতকিছুর পরও এগুলো মেনে নিলে ঈমানের 12টা বাজবে কি?
ঈমান থাকবে কি?
আল্লাহর দরবারে কি উওর দেবেন?
এর কিছু ফিকির করেছেন কি?
এরপরও কি তারা মুসলমান?
দলিল-প্রমাণসহ পেশ করবেন কি?
★★(2)
শাহবাগ গিয়ে নাস্তিকদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।
এরা দ্বারা তার ঈমান বাকি থাকবে কি?
আপনিত তার ঈমানের দ্বায়িত্ব নিবেন কি?
বা এর দায়িত্ব আপনি নিয়েছেন কি?
★★ (3)
জঙ্গি বিরোধী একলক্ষ ফাতওয়া যে সংগ্রহ করেছে এবিষয়টি আপনি জানেন কি?
এ ফাতওয়া যে কুরআন ও হাদিস বিরোধ এটা আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন কি?
★★
জঙ্গি বিরোধী একলক্ষ ফাতওয়া সংগ্রহের পরও আপনার মুরুব্বি শেষ পর্যন্ত নিজেই জঙ্গি হয়েগেল ।
এটা আপনি জানেন কি?
পৃয়া সাহা ! তুমি পারলে, মাসউদ সাবকে জঙ্গি বানাতে।
আল্লাহ তাআলার বাণী
ولن ترضى عنك اليهود ولن النصرى حتى تتبع ملتهم..(البقرة/١٢٠)
ইয়াহুদ এবং নাসারা কখনো আপনার প্রতি সন্তষ্ট হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাদের ধর্ম গ্রহণ না করেন।
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার বাণী বাস্তবায়ন হল
ومن اصدق من الله قيلا (النساء/١٢٢)
Comment