একজন ডাক্তারের যোগ্যতা এখানেই যে, সে রোগীর অসুখের মূল জায়গা চিহ্নিত করতে পারে। আর এটাই তার মূল বৈশিষ্ট্য। এজন্য দেখা যায়, সে কলমের এক খোঁচাতেই রোগীদের থেকে বড় অংকের অর্থ নিয়ে থাকে। মানুষও টাকা দিতে তেমন কার্পণ্য করে না। কারণ, তারা জানে, তার কাছ থেকে মূল রোগ চিহ্নিত করে ওষুধ সেবন করলে দ্রুতই আরোগ্য লাভ করা যাবে। একজন আলিম হলেন রুহানি ডাক্তার। তাকে বুঝতে হবে, উম্মাহর এ রোগের মূল উৎস কী। মূল উৎস চিহ্নিত না করে শুধু উপসর্গ দূর করার চেষ্টা করা হলে উপসর্গের মাত্রা বাড়তেই থাকবে। একটা সারবে তো ওদিকে নতুন করে আরও দুটি উপসর্গ তৈরি হবে। এভাবে কিয়ামত চলে আসবে, কিন্তু তাদের অসুখ কখনও ভালো হবে না।
এখন উম্মাহর কোনো সচেতন রুহানি ডাক্তার যদি মূল রোগ চিহ্নিত করে উপদেশ দেয় যে, এসব উপসর্গ দূর করার পেছনে সময় নষ্ট না করে মূল জায়গাটি ঠিক করুন, তখন তারা রৈ রৈ করে হাঁক দিয়ে বসে, “মিয়া যাও, ভাগো। নিজে তো সমাজ ও রাষ্ট্রে ভালো কোনো কাজ করবেই না, আমরা যাও-বা ছোটোখাটো কাজ করার চেষ্টা করছি, তাতেও এদের বাধা। আমরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ও মিছিল-মিটিং করে কত কিছু পরিবর্তন করেছি, তোমরা কী করেছ শুনি দেখি?” এভাবে উপহাস ও অবজ্ঞার সাথে তার কথাকে ফেলে দেওয়া হয়। সামান্য ভাবারও ফুরসত হয় না যে, ভাইটি আসলে কী বলতে চাচ্ছে, ভালো করে একবার শুনেই দেখি না!
আজ পুরো বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে কত হাজার কোটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা গুনে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সেগুলোর কয়টা প্রতিহত করা হচ্ছে? গুনেগুনে কি আদৌ সবগুলোকে প্রতিহত করা সম্ভব? আপনি যতই দাওয়াত দেন না কেন, প্রজন্ম এখন ব্যস্ত সিনেমা, ফুটবল, ক্রিকেট, গেমিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি নিয়ে। যতক্ষণ না এর গোড়া ধ্বংস করতে পারবেন, ততদিন আপনার নরম কথার দাওয়াত আমভাবে ফলপ্রসূ হবে না। এটা দুনিয়ার একটা স্বভাবজাত নিয়ম যে, মানুষ সবসময় বিজয়ী জাতির অনুগামী হয়। বর্তমান পৃথিবীতে যারা আজ বিজয়ী, আজ তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিই আমাদের সমাজে বিস্তার লাভ করেছে। আপনি হাজারো ধর্মের দোহাই দিয়েও এদেরকে ফিরিয়ে রাখতে পারবেন না। তিক্ত হলেও এ প্রাকৃতিক নিয়ম আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। তাই পরাজিত জাতি প্রতিরোধের চিন্তা না করে কখনো নিজেদের আদর্শ প্রচার করতে পারে না। করলেও সেটা কখনো প্রকৃত আদর্শের প্রচার হবে না, বরং তা হবে বিকৃত বা আংশিক আদর্শ।
কুফরি শক্তির পরিচালিত ষড়যন্ত্রের বিপরীতে যারা তাদেরই প্রণীত নিয়মে গণতান্ত্রিক ধারায় মিছিল-মিটিং করে এসব প্রতিহত করার চিন্তা করছে, তারা বুঝতেও পারছেন না যে, এভাবে প্রতিহত করাও ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। কারণটি খুব সংক্ষেপে বলি। আপনি যখন আঘাত খেতে থাকবেন, যখন আপনার ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, তখন আপনার অন্তরে প্রতিশোধের একটি আগুনের স্ফূলিঙ্গ তৈরি হয়। এভাবে বারবার হতে হতে একটি পর্যায়ে তা বিস্ফোরিত হয়ে জালিমদের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় এবং সফল কোনো নেতৃত্ব থাকলে সেটা পরিণত হয় মহাবিপ্লবে। কিন্তু আপনি যদি এ প্রতিশোধের আগুন অন্তরে লালন না করে সামান্য মিছিল-মিটিং করেই দমিয়ে দেন, তখন বাসায় এসে এ আত্মতৃপ্তি কাজ করে যে, আজ একটা কাজের কাজ করে এসেছি। হুমকি-ধমকি দিয়ে ময়দান কাঁপিয়ে এসেছি। এভাবে প্রতিটি মিছিল-মিটিং ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন আপনার এক একটি স্ফূলিঙ্গকে নিভিয়ে দিচ্ছে; অথচ আপনি আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন। এসব দেখে তাগুতিশক্তি নিজেদের বৈঠকে হাসে আর বলে, “দেখো, মুসলিমরা কত বোকা! আমরা ওদের সমূলে ধ্বংস করে দিচ্ছি, আর ওরা সামান্য প্রতিবাদ করেই খুশি হয়ে যাচ্ছে!!”
এজন্য আজ বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের এ ব্যাপারে কোনো মতভেদ করা উচিত হবে না যে, আমাদের এ বিপদ ও নির্যাতনের মূল উৎস খুঁজে বের করতে হবে। দংশনকারী সাপের লেজে আঘাত করে কিছুই হবে না, খুঁজতে হবে সাপের মাথা। লেজ দিয়ে যতই আঘাত করুক, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না, সবার মনোযোগ থাকতে হবে মাথার দিকে। সুযোগ পেলেই মাথায় আঘাত করতে হবে। আপনি কি জানেন, সাপটি কে? সে সাপ হলো জাতিসংঘ, যার সদস্য হলো, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। এদেরকে না দমিয়ে আপনি যত কিছুই করেন না কেন, তা হবে বিশাল সাগরের বিক্ষুব্ধ উর্মিমালার মধ্যে কাগজে নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার নামান্তর। পুরো পৃথিবীতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সব পরিচালিত হচ্ছে এ পাঁচটি দেশ থেকে। এদের বিরুদ্ধে যদি আজ থেকেই কাজ শুরু করেন, তাহলে কাল না হোক, পরশু না হোক, দশ বছর পর হলেও তারা পরাজিত হতে বাধ্য হবে। আর তাগুতের এসর মাথা ধ্বংস হলে আমাদের ছোটো-বড়ো এমন হাজারও সমস্যা মুহূর্তেই ঠিক হয়ে যাবে।
তাই শেষে আবারও বলছি, বুঝার চেষ্টা করুন। প্লিজ, সাপের মাথায় আঘাত করুন, সাপের মাথায়, লেজে নয়। আমরা যেন এ সবক কখনো ভুলে না যাই। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দিন।
এখন উম্মাহর কোনো সচেতন রুহানি ডাক্তার যদি মূল রোগ চিহ্নিত করে উপদেশ দেয় যে, এসব উপসর্গ দূর করার পেছনে সময় নষ্ট না করে মূল জায়গাটি ঠিক করুন, তখন তারা রৈ রৈ করে হাঁক দিয়ে বসে, “মিয়া যাও, ভাগো। নিজে তো সমাজ ও রাষ্ট্রে ভালো কোনো কাজ করবেই না, আমরা যাও-বা ছোটোখাটো কাজ করার চেষ্টা করছি, তাতেও এদের বাধা। আমরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ও মিছিল-মিটিং করে কত কিছু পরিবর্তন করেছি, তোমরা কী করেছ শুনি দেখি?” এভাবে উপহাস ও অবজ্ঞার সাথে তার কথাকে ফেলে দেওয়া হয়। সামান্য ভাবারও ফুরসত হয় না যে, ভাইটি আসলে কী বলতে চাচ্ছে, ভালো করে একবার শুনেই দেখি না!
আজ পুরো বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে কত হাজার কোটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা গুনে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সেগুলোর কয়টা প্রতিহত করা হচ্ছে? গুনেগুনে কি আদৌ সবগুলোকে প্রতিহত করা সম্ভব? আপনি যতই দাওয়াত দেন না কেন, প্রজন্ম এখন ব্যস্ত সিনেমা, ফুটবল, ক্রিকেট, গেমিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি নিয়ে। যতক্ষণ না এর গোড়া ধ্বংস করতে পারবেন, ততদিন আপনার নরম কথার দাওয়াত আমভাবে ফলপ্রসূ হবে না। এটা দুনিয়ার একটা স্বভাবজাত নিয়ম যে, মানুষ সবসময় বিজয়ী জাতির অনুগামী হয়। বর্তমান পৃথিবীতে যারা আজ বিজয়ী, আজ তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিই আমাদের সমাজে বিস্তার লাভ করেছে। আপনি হাজারো ধর্মের দোহাই দিয়েও এদেরকে ফিরিয়ে রাখতে পারবেন না। তিক্ত হলেও এ প্রাকৃতিক নিয়ম আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। তাই পরাজিত জাতি প্রতিরোধের চিন্তা না করে কখনো নিজেদের আদর্শ প্রচার করতে পারে না। করলেও সেটা কখনো প্রকৃত আদর্শের প্রচার হবে না, বরং তা হবে বিকৃত বা আংশিক আদর্শ।
কুফরি শক্তির পরিচালিত ষড়যন্ত্রের বিপরীতে যারা তাদেরই প্রণীত নিয়মে গণতান্ত্রিক ধারায় মিছিল-মিটিং করে এসব প্রতিহত করার চিন্তা করছে, তারা বুঝতেও পারছেন না যে, এভাবে প্রতিহত করাও ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। কারণটি খুব সংক্ষেপে বলি। আপনি যখন আঘাত খেতে থাকবেন, যখন আপনার ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, তখন আপনার অন্তরে প্রতিশোধের একটি আগুনের স্ফূলিঙ্গ তৈরি হয়। এভাবে বারবার হতে হতে একটি পর্যায়ে তা বিস্ফোরিত হয়ে জালিমদের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় এবং সফল কোনো নেতৃত্ব থাকলে সেটা পরিণত হয় মহাবিপ্লবে। কিন্তু আপনি যদি এ প্রতিশোধের আগুন অন্তরে লালন না করে সামান্য মিছিল-মিটিং করেই দমিয়ে দেন, তখন বাসায় এসে এ আত্মতৃপ্তি কাজ করে যে, আজ একটা কাজের কাজ করে এসেছি। হুমকি-ধমকি দিয়ে ময়দান কাঁপিয়ে এসেছি। এভাবে প্রতিটি মিছিল-মিটিং ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন আপনার এক একটি স্ফূলিঙ্গকে নিভিয়ে দিচ্ছে; অথচ আপনি আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন। এসব দেখে তাগুতিশক্তি নিজেদের বৈঠকে হাসে আর বলে, “দেখো, মুসলিমরা কত বোকা! আমরা ওদের সমূলে ধ্বংস করে দিচ্ছি, আর ওরা সামান্য প্রতিবাদ করেই খুশি হয়ে যাচ্ছে!!”
এজন্য আজ বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের এ ব্যাপারে কোনো মতভেদ করা উচিত হবে না যে, আমাদের এ বিপদ ও নির্যাতনের মূল উৎস খুঁজে বের করতে হবে। দংশনকারী সাপের লেজে আঘাত করে কিছুই হবে না, খুঁজতে হবে সাপের মাথা। লেজ দিয়ে যতই আঘাত করুক, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না, সবার মনোযোগ থাকতে হবে মাথার দিকে। সুযোগ পেলেই মাথায় আঘাত করতে হবে। আপনি কি জানেন, সাপটি কে? সে সাপ হলো জাতিসংঘ, যার সদস্য হলো, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। এদেরকে না দমিয়ে আপনি যত কিছুই করেন না কেন, তা হবে বিশাল সাগরের বিক্ষুব্ধ উর্মিমালার মধ্যে কাগজে নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার নামান্তর। পুরো পৃথিবীতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সব পরিচালিত হচ্ছে এ পাঁচটি দেশ থেকে। এদের বিরুদ্ধে যদি আজ থেকেই কাজ শুরু করেন, তাহলে কাল না হোক, পরশু না হোক, দশ বছর পর হলেও তারা পরাজিত হতে বাধ্য হবে। আর তাগুতের এসর মাথা ধ্বংস হলে আমাদের ছোটো-বড়ো এমন হাজারও সমস্যা মুহূর্তেই ঠিক হয়ে যাবে।
তাই শেষে আবারও বলছি, বুঝার চেষ্টা করুন। প্লিজ, সাপের মাথায় আঘাত করুন, সাপের মাথায়, লেজে নয়। আমরা যেন এ সবক কখনো ভুলে না যাই। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দিন।
Comment