মুসলিম ও তাগুত বাহিনীর মনস্তাত্ত্বিক লড়াই : একটি সতর্কবার্তা !
.
মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাগুত বাহিনীর চার পদক্ষেপ :
.
- প্রথম ধাপে উগ্রবাদ বিস্তার প্রতিরোধ (Preventing Radicalization),
- দ্বিতীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো (Countering Radicalization),
- তৃতীয় ধাপে উগ্রবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা (Deradicalization) ও
- চতুর্থ ধাপে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো (Counter Terrorism)।
.
প্রথম ধাপে উগ্রবাদ প্রতিরোধের জন্য তারা তাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে । এছাড়া পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা প্রভৃতি উদ্যোগ নিবে।
.
আর দ্বিতীয় ধাপে তারা অনলাইন অফলাইনে মুজাহিদদের ভাই ও দাই ভাইদের চিহ্নিত করবে।
.
তৃতীয় ধাপে তারা দরবারি আলেমদের ব্যবহার করবে। তাদের মাধ্যমে তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুজাহিদদের ফিরেয়ে আনার এবং সমাজে অপপ্রচারের একটা চেষ্টা করবে।
.
চতুর্থ ধাপে তারা বিভিন্ন সামরিক অপারেশন চালাবে।
.
আমি এখানে দুইটা পয়েন্টে গুরুত্ব দিবো। কারণ, মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে আমাদের এই দুই পয়েন্ট বোঝা জরুরি।
প্রথম পয়েন্টে তারা দেশপ্রেমের নামে জাতিয়তাবাদ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল (সংবিধানের আইনের প্রতি অনুগত) হওয়ার একটা প্রচারনা চালাবে। যা অলরেডি তারা বিভিন্ন উপায়ে চালিয়ে যাচ্ছে- জাতীয়তাবাদকে এখন সব যায়গায় তারা ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলেও এখন জাতীয়তাবাদের দীক্ষা চলছে..।
.
আর তৃতীয় পয়েন্ট: আলেম উলামাদের তাদের কাজে ব্যবহার করা। আর এটাও তারা খুব সফল ভাবেই করে যাচ্ছে - যেমন কিছুদিন আগে আল্লামা আজিজুল হক রহ: কে জঙ্গি নেতা বলে কওমী আলেমদের দিয়ে জঙ্গিবিরোধী একটা প্রচারনা করালো বিনে পয়সায়।
২ দিন আগে একটা সংবাদ প্রকাশিত হইছে সমস্ত পত্রিকায় যে জঙ্গিবাদে জড়িত ৯০%ই আহলে হাদিস। এই সংবাদ অনেকে পড়লেও গোপনে যেটা রয়ে গেছে তা হলো: আরেক পুলিশ অফিসার বলেছে, আমাদের আহলে হাদিস পন্ডিতদের ব্যবহার করতে হবে। এটা তো সবার জানা কথা যে, ইলমি দিক থেকে, একটু যাচাই বাচাই এর দিক থেকে তারা সাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্য ।
.
অর্থাৎ তারা জঙ্গিবাদে জড়িত এই নিউজ প্রকাশের উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহার করা। আর যেহেতু তাদেরকে জঙ্গি বলা হইছে সেহেতু নিজ ইচ্ছায় তারা কুফরি সংবিধানের প্রতি আনুগত্যশীল এবং তারা জঙ্গি নয় এটা প্রমানে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
আর তাগুত বাহিনী মূলত: এটাই চায়।
.
তাগুতের এই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্লানকে দেখে আমাদেরও কর্মপন্থা ঠিক করা উচিত..!
এ ব্যাপারে সংক্ষেপে কিছু পয়েন্ট উপস্থাপন করছি-
১. সেক্যুলার গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার করতে হবে।
২. দাওয়াতের ক্ষেত্রে আসল শত্রুকে নিশানা করে অনলাইন ও অফলাইনে দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত- সেক্যুলারিজম, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও সংসদ এবং সংবিধান বর্জন এর দাওয়াত। সুতরাং আলেম উলামাগন এই কাজটায় এগিয়ে আসলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী বিভিন্ন কৌশলে এই দাওয়াতটা চালিয়ে যাব, ইনশা আল্লাহ।
৩. দরবারী আলেমদের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। যাতে করে জনগণ তাদের অপব্যাখ্যা দ্বারা বিভ্রান্ত না হন।
৪. সকল তাগুত বাহিনীর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। তাদের অপকর্মের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। যেন জনগণ তাদেরকে বন্ধু ভেবে ধোঁকা না খান এবং মুজাহিদীন বিদ্বেষী না হন। বরং জনগণের সামনে এই বাস্তবতা তুলে ধরতে হবে যে, উম্মাহর প্রকৃত কল্যাণকামী মুজাহিদগণ। আর এই তাগুত বাহিনী মুজাহিদদেরকেই ধ্বংস করার জন্য প্ল্যান-প্রোগ্রাম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি উম্মাহকে জাগাতে হবে, সোচ্চার করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বাস্তবতা বুঝার ও তদনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করার তাওফীক দান করুন। আমীন
.
মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাগুত বাহিনীর চার পদক্ষেপ :
.
- প্রথম ধাপে উগ্রবাদ বিস্তার প্রতিরোধ (Preventing Radicalization),
- দ্বিতীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো (Countering Radicalization),
- তৃতীয় ধাপে উগ্রবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা (Deradicalization) ও
- চতুর্থ ধাপে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো (Counter Terrorism)।
.
প্রথম ধাপে উগ্রবাদ প্রতিরোধের জন্য তারা তাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে । এছাড়া পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা প্রভৃতি উদ্যোগ নিবে।
.
আর দ্বিতীয় ধাপে তারা অনলাইন অফলাইনে মুজাহিদদের ভাই ও দাই ভাইদের চিহ্নিত করবে।
.
তৃতীয় ধাপে তারা দরবারি আলেমদের ব্যবহার করবে। তাদের মাধ্যমে তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুজাহিদদের ফিরেয়ে আনার এবং সমাজে অপপ্রচারের একটা চেষ্টা করবে।
.
চতুর্থ ধাপে তারা বিভিন্ন সামরিক অপারেশন চালাবে।
.
আমি এখানে দুইটা পয়েন্টে গুরুত্ব দিবো। কারণ, মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে আমাদের এই দুই পয়েন্ট বোঝা জরুরি।
প্রথম পয়েন্টে তারা দেশপ্রেমের নামে জাতিয়তাবাদ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল (সংবিধানের আইনের প্রতি অনুগত) হওয়ার একটা প্রচারনা চালাবে। যা অলরেডি তারা বিভিন্ন উপায়ে চালিয়ে যাচ্ছে- জাতীয়তাবাদকে এখন সব যায়গায় তারা ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলেও এখন জাতীয়তাবাদের দীক্ষা চলছে..।
.
আর তৃতীয় পয়েন্ট: আলেম উলামাদের তাদের কাজে ব্যবহার করা। আর এটাও তারা খুব সফল ভাবেই করে যাচ্ছে - যেমন কিছুদিন আগে আল্লামা আজিজুল হক রহ: কে জঙ্গি নেতা বলে কওমী আলেমদের দিয়ে জঙ্গিবিরোধী একটা প্রচারনা করালো বিনে পয়সায়।
২ দিন আগে একটা সংবাদ প্রকাশিত হইছে সমস্ত পত্রিকায় যে জঙ্গিবাদে জড়িত ৯০%ই আহলে হাদিস। এই সংবাদ অনেকে পড়লেও গোপনে যেটা রয়ে গেছে তা হলো: আরেক পুলিশ অফিসার বলেছে, আমাদের আহলে হাদিস পন্ডিতদের ব্যবহার করতে হবে। এটা তো সবার জানা কথা যে, ইলমি দিক থেকে, একটু যাচাই বাচাই এর দিক থেকে তারা সাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্য ।
.
অর্থাৎ তারা জঙ্গিবাদে জড়িত এই নিউজ প্রকাশের উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহার করা। আর যেহেতু তাদেরকে জঙ্গি বলা হইছে সেহেতু নিজ ইচ্ছায় তারা কুফরি সংবিধানের প্রতি আনুগত্যশীল এবং তারা জঙ্গি নয় এটা প্রমানে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
আর তাগুত বাহিনী মূলত: এটাই চায়।
.
তাগুতের এই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের প্লানকে দেখে আমাদেরও কর্মপন্থা ঠিক করা উচিত..!
এ ব্যাপারে সংক্ষেপে কিছু পয়েন্ট উপস্থাপন করছি-
১. সেক্যুলার গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার করতে হবে।
২. দাওয়াতের ক্ষেত্রে আসল শত্রুকে নিশানা করে অনলাইন ও অফলাইনে দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত- সেক্যুলারিজম, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও সংসদ এবং সংবিধান বর্জন এর দাওয়াত। সুতরাং আলেম উলামাগন এই কাজটায় এগিয়ে আসলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী বিভিন্ন কৌশলে এই দাওয়াতটা চালিয়ে যাব, ইনশা আল্লাহ।
৩. দরবারী আলেমদের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। যাতে করে জনগণ তাদের অপব্যাখ্যা দ্বারা বিভ্রান্ত না হন।
৪. সকল তাগুত বাহিনীর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। তাদের অপকর্মের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। যেন জনগণ তাদেরকে বন্ধু ভেবে ধোঁকা না খান এবং মুজাহিদীন বিদ্বেষী না হন। বরং জনগণের সামনে এই বাস্তবতা তুলে ধরতে হবে যে, উম্মাহর প্রকৃত কল্যাণকামী মুজাহিদগণ। আর এই তাগুত বাহিনী মুজাহিদদেরকেই ধ্বংস করার জন্য প্ল্যান-প্রোগ্রাম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি উম্মাহকে জাগাতে হবে, সোচ্চার করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বাস্তবতা বুঝার ও তদনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করার তাওফীক দান করুন। আমীন
Comment