আওয়াজ উঠুক সকলেই এতায়াতি হবার…(!)
জহির: জানিস দোস্ত, আমার যদি মনে কর এতায়াতিদের সঙ্গে থেকে ভালো কিছু করার সুযোগ হয়, আমি বুঝলি মিস করবো না।
ফাহিম: কি বললি?! কত বড় সাহস তোর?! কেমন করে পারিস রে তুই এত সহজে এমন বিভ্রান্তিকর কথা বলতে?!
: কেন… এমন কি বিভ্রান্তিকর কথা বলে ফেললাম রে…!
:একটা পথভ্রষ্ট দলের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করছিস আর বলছিস, এটা বিভ্রান্তির কিছু না!?
: আরে পাগল! তাদের সঙ্গে থাকলে আমি আর এতায়াতি হয়ে যাব নাকি!? জাস্ট স্বার্থ হাসিল করবো এই যা!
: এখনো নিজের সপক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছিস তোর সাহস তো কম না?!
: আচ্ছা যা, নিজের ক্যারিয়ারের কথা বাদ দিলাম। তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে তো তাদের সঙ্গে মেশা যেতে পারে তাই না! আমি মনে করি, আমাদের সবার তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া উচিত অন্তত তাদেরকে সঠিক পথে আনার স্বার্থে।
: এই যে কথাগুলো বলছিস, এটা কি আলেমরা বুঝতে পারছেন না?!
: আরে বেটা এই সিস্টেম তো আমি আলেমদের কাছ থেকেই শিখেছি। আই মিন যে সমস্ত আলেমগণ গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চান।
: মানে!?
: মানে তো একদম সোজা।গণতন্ত্রের লেবাস গায়ে জড়িয়ে সত্যিকারের গণতন্ত্রপন্থীদেরকে ধোঁকা দিয়ে যদি তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারেন, তাহলে এতায়াতিদের লেবাস গায়ে জড়িয়ে দাওয়াতের স্বার্থে কেন তাদের সঙ্গে মিশতে পারবো না বলতো।
: পুরোই আউলে দিচ্ছিস আমার মাথাটা।
: আসলে ব্যাপার হচ্ছে কি শোন…এতায়াতিদের সঙ্গে আলেমরা যে আচরণ করছেন, এটাই মূলত পথভ্রষ্ট দলের সঙ্গে আচরণের শরীয়ত সমর্থিত সঠিক রূপরেখা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাজনীতির বেলায় এ বিষয়টা বুঝে হোক বা না বুঝে হোক আমাদের আলেমরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। আসলে তাদেরকে গালিগালাজ করে আমাদের লাভ নেই। তোকে শুধু আমাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়টা দেখাতে চেয়েছি। তাছাড়া সাদ সাহেবের ভুল স্বীকার করা, বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের কারণে তিনি কুফরির সীমানায় পা না রাখা, ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে অন্যান্য অঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ এ সম্পর্কে অবগত না থাকা—এসব দিক বিবেচনা করে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ফেতনার ধারেকাছেও এতায়াতিদের ফেতনা নেই। কারণ ছোট একটা শিরকের ধারেকাছেও যেতে পারে না জঘন্য ধরনের একটা কবিরা গুনাহ। ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে এতায়াতিদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা, নম্র ব্যবহারের মাধ্যমে তাদেরকে সত্যের দিকে আহবান করা,তাদের ভুলগুলোকে সাপোর্ট না করে তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার বজায় রাখা ইত্যাদি কাজ অনেক বেশি জরুরী ছিল। পক্ষান্তরে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীদেরকে প্রত্যাখ্যান করা, তাদের ব্যাপারে কঠোর ভাষা ব্যবহার করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে দেখ আমরা কেমন উল্টো কাজ করছি। আমি এতায়াতিদের ফিতনা ছোট করে দেখাচ্ছি না। আমি চাচ্ছি এটা দেখাতে যে, এই ফিতনার চেয়ে হাজার গুণ বেশী জঘন্য ফেতনাবাজদের ব্যাপারে আমাদের কি আচরণ!
: নারে কথাগুলো খারাপ বলিস নি।
: হয়েছে যা…আর বলতে হবে না।
Comment