আল্লাহর ইচ্ছায় বিগত কয়েক বছরে বর্তমান যুগের
খারেজীদের
ব্যাপারে উম্মাহ একটা সুস্পষ্ট ধারনা লাভ করেছে।
কিন্তু অনেকেই
আরেক আপদ ‘মুরজিয়া গোষ্ঠীর’ ফিতনার কথা
ভুলে গেছেন।
.
মুরজিয়া গোষ্ঠী খারেজীদের বিপরীত।
খারেজীরা কবিরা গুনাহের
কারণে মুসলিমকে কাফির মনে করে আর মুরজিয়া
গোষ্ঠী সুস্পষ্ট
শিরকে আকবার ও কুফরে আকবার (নাওয়াক্বিদ)
করলেও ঈমান
অক্ষুন্ন থাকে বলে মনে করে। তারা ঈমান
বিনষ্টকারী বিষয়গুলোকে
(নাওয়াক্বিদুল ঈমান) জুহুদ এর শর্ত দিয়ে আটকে
দেয়।
.
কিন্তু আহলে সুন্নাহ এই দুই বিভ্রান্ত দলের
মধ্যবর্তী অবস্থান
গ্রহন করে। তারা খারেজীদের বিপরীতে কবিরা
গুনাহের কারণে ঈমান
নষ্ট হয়ে যায় বলে মনে করেন না। আবার
মুরজিয়াদের বিপরীতে
নাওয়াক্বিদের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যায় বলে
মনে করেন।
.
ইতিহাসে যখন খারেজীদের আবির্ভাব হয়, একই
সময় মুরজিয়াদেরও
আবির্ভাব হয়।
বর্তমান যুগের মুরজিয়ারা যদিও মুখে মুখে এই দাবী
করে যেঃ “ঈমান
হচ্ছে অন্তরে বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও আ’মলের
সমন্বয়”
কিন্তু বাস্তবে তারা নানা অযুহাতে আ’মলকে ঈমান এর
বাইরে রেখে
দেয়।
.
যেমনঃ মুসলিম নামধারী শাসকরা একাধিক ‘নাওয়াকিদুল ঈমান’
করলেও তাদের দৃষ্টিতে তারা ঈমানদার, কারণ
হিসেবে তারা দাবী করেঃ
‘হয়তো অন্তরে তারা এই কাজকে খারাপ জানে’,
অথবা ‘আমরা তো
তাদের অন্তরের খবর জানি না’ ইত্যাদি।
.
অর্থাৎ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের দাবী হচ্ছে,
অন্তরে কুফরী না করলে
সেটা ঈমান বিনষ্টকারী হবে না। শুধু বাহ্যিক আ’মলের
মাধ্যমে ঈমান
বিনষ্ট হতে পারে না!!
এছাড়া তারা এটাও দাবী করে যে, অন্তরে যতক্ষণ
ঈমান আছে,
ততক্ষণ বাইরের আ’মল যেমনঃ ইস্তেহলাল (আল্লাহ্র
দেয়া
বিধানকে পরিবর্তন বা হালালকে হারাম করা কিংবা হারামকে
হালাল
করা) এর কারণে ঈমান নষ্ট হয় না।
.
জঘন্য মুরজিয়া গোষ্ঠী সম্পর্কে সালাফদের কিছু
বক্তব্যঃ
.
ক) ইমাম ইব্রাহীম নাখয়ী (রঃ) বলেছেন,
ﻷﻧﺎ ﻟﻔﺘﻨﺔ ﺍﻟﻤﺮﺟﺌﺔ ﺃﺧﻮﻑ ﻋﻠﻰ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻣﺔ ﻣﻦ ﻓﺘﻨﺔ ﺍﻻﺯﺍﺭﻗﺔ
.
‘এই উম্মাহর জন্য আমরা মুরজিয়াদের ফিতনাকে
আজারিক্বাহদের
(চরম এক প্রকার খারেজী গোষ্টী) ফিতনা
থেকে বেশী ভয় করি’।
.
খ) ইমাম আওজায়ী (রঃ) বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻻﻭﺯﺍﻋﻲ ﻛﺎﻥ ﻳﺤﻴﻰ ﻭﻗﺘﺎﺩﺓ ﻳﻘﻮﻻﻥ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺍﻻﻫﻮﺍﺀ ﺷﻲﺀ
ﺃﺧﻮﻑ ﻋﻨﺪﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻻﻣﺔ ﻣﻦ ﺍﻻﺭﺟﺎﺀ
.
‘ইয়াহইয়া ও ক্বাতাদা বলেছেন, যে বিদয়াত প্রচলন
হয়েছে, এর মধ্যে
উম্মাহর জন্য ইরজা এর চেয়ে বেশী অন্য
কিছুকে ভয় করি না’।
.
গ) সাইয়্যেদ ইবনে জুবায়ের (রঃ) বলেছেন,
ﻗﺎﻝ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺟﺒﻴﺮ ﻏﻴﺮ ﺳﺎﺋﻠﻪ ﻭﻻ ﺫﺍﻛﺮﺍ ﺫﺍﻙ ﻟﻪ ﻻ ﺗﺠﺎﻟﺲ ﻃﻠﻘﺎ
ﻳﻌﻦ
ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺮﻯ ﺭﺃﻱ ﺍﻟﻤﺮﺟﺌﺔ
.
‘তাকে প্রশ্ন করবে না, এবং তার কাছে সেটা
উল্লেখও করবে না,
তালকা (তালকা বিন হাবীব) এর সাথে বসবে না’ (কারণ
সে
মুরজিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতো)
.
অপর এক বর্ণনায় আছে, সাইয়্যেদ ইবনে জুবায়ের
(রঃ) বলেছেন,
ﺍﻟﻤﺮﺟﺌﺔ ﻳﻬﻮﺩ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ
.
‘মুরজিয়া হচ্ছে ক্বেবলার (অনুসরণকারী) ইহুদী’।
.
আল্লাহ মুরজিয়াদের ফিতনা থেকে এই উম্মাহকে
হেফাজত করুন। আমিন
খারেজীদের
ব্যাপারে উম্মাহ একটা সুস্পষ্ট ধারনা লাভ করেছে।
কিন্তু অনেকেই
আরেক আপদ ‘মুরজিয়া গোষ্ঠীর’ ফিতনার কথা
ভুলে গেছেন।
.
মুরজিয়া গোষ্ঠী খারেজীদের বিপরীত।
খারেজীরা কবিরা গুনাহের
কারণে মুসলিমকে কাফির মনে করে আর মুরজিয়া
গোষ্ঠী সুস্পষ্ট
শিরকে আকবার ও কুফরে আকবার (নাওয়াক্বিদ)
করলেও ঈমান
অক্ষুন্ন থাকে বলে মনে করে। তারা ঈমান
বিনষ্টকারী বিষয়গুলোকে
(নাওয়াক্বিদুল ঈমান) জুহুদ এর শর্ত দিয়ে আটকে
দেয়।
.
কিন্তু আহলে সুন্নাহ এই দুই বিভ্রান্ত দলের
মধ্যবর্তী অবস্থান
গ্রহন করে। তারা খারেজীদের বিপরীতে কবিরা
গুনাহের কারণে ঈমান
নষ্ট হয়ে যায় বলে মনে করেন না। আবার
মুরজিয়াদের বিপরীতে
নাওয়াক্বিদের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যায় বলে
মনে করেন।
.
ইতিহাসে যখন খারেজীদের আবির্ভাব হয়, একই
সময় মুরজিয়াদেরও
আবির্ভাব হয়।
বর্তমান যুগের মুরজিয়ারা যদিও মুখে মুখে এই দাবী
করে যেঃ “ঈমান
হচ্ছে অন্তরে বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও আ’মলের
সমন্বয়”
কিন্তু বাস্তবে তারা নানা অযুহাতে আ’মলকে ঈমান এর
বাইরে রেখে
দেয়।
.
যেমনঃ মুসলিম নামধারী শাসকরা একাধিক ‘নাওয়াকিদুল ঈমান’
করলেও তাদের দৃষ্টিতে তারা ঈমানদার, কারণ
হিসেবে তারা দাবী করেঃ
‘হয়তো অন্তরে তারা এই কাজকে খারাপ জানে’,
অথবা ‘আমরা তো
তাদের অন্তরের খবর জানি না’ ইত্যাদি।
.
অর্থাৎ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের দাবী হচ্ছে,
অন্তরে কুফরী না করলে
সেটা ঈমান বিনষ্টকারী হবে না। শুধু বাহ্যিক আ’মলের
মাধ্যমে ঈমান
বিনষ্ট হতে পারে না!!
এছাড়া তারা এটাও দাবী করে যে, অন্তরে যতক্ষণ
ঈমান আছে,
ততক্ষণ বাইরের আ’মল যেমনঃ ইস্তেহলাল (আল্লাহ্র
দেয়া
বিধানকে পরিবর্তন বা হালালকে হারাম করা কিংবা হারামকে
হালাল
করা) এর কারণে ঈমান নষ্ট হয় না।
.
জঘন্য মুরজিয়া গোষ্ঠী সম্পর্কে সালাফদের কিছু
বক্তব্যঃ
.
ক) ইমাম ইব্রাহীম নাখয়ী (রঃ) বলেছেন,
ﻷﻧﺎ ﻟﻔﺘﻨﺔ ﺍﻟﻤﺮﺟﺌﺔ ﺃﺧﻮﻑ ﻋﻠﻰ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻣﺔ ﻣﻦ ﻓﺘﻨﺔ ﺍﻻﺯﺍﺭﻗﺔ
.
‘এই উম্মাহর জন্য আমরা মুরজিয়াদের ফিতনাকে
আজারিক্বাহদের
(চরম এক প্রকার খারেজী গোষ্টী) ফিতনা
থেকে বেশী ভয় করি’।
.
খ) ইমাম আওজায়ী (রঃ) বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻻﻭﺯﺍﻋﻲ ﻛﺎﻥ ﻳﺤﻴﻰ ﻭﻗﺘﺎﺩﺓ ﻳﻘﻮﻻﻥ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺍﻻﻫﻮﺍﺀ ﺷﻲﺀ
ﺃﺧﻮﻑ ﻋﻨﺪﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻻﻣﺔ ﻣﻦ ﺍﻻﺭﺟﺎﺀ
.
‘ইয়াহইয়া ও ক্বাতাদা বলেছেন, যে বিদয়াত প্রচলন
হয়েছে, এর মধ্যে
উম্মাহর জন্য ইরজা এর চেয়ে বেশী অন্য
কিছুকে ভয় করি না’।
.
গ) সাইয়্যেদ ইবনে জুবায়ের (রঃ) বলেছেন,
ﻗﺎﻝ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺟﺒﻴﺮ ﻏﻴﺮ ﺳﺎﺋﻠﻪ ﻭﻻ ﺫﺍﻛﺮﺍ ﺫﺍﻙ ﻟﻪ ﻻ ﺗﺠﺎﻟﺲ ﻃﻠﻘﺎ
ﻳﻌﻦ
ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺮﻯ ﺭﺃﻱ ﺍﻟﻤﺮﺟﺌﺔ
.
‘তাকে প্রশ্ন করবে না, এবং তার কাছে সেটা
উল্লেখও করবে না,
তালকা (তালকা বিন হাবীব) এর সাথে বসবে না’ (কারণ
সে
মুরজিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতো)
.
অপর এক বর্ণনায় আছে, সাইয়্যেদ ইবনে জুবায়ের
(রঃ) বলেছেন,
ﺍﻟﻤﺮﺟﺌﺔ ﻳﻬﻮﺩ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ
.
‘মুরজিয়া হচ্ছে ক্বেবলার (অনুসরণকারী) ইহুদী’।
.
আল্লাহ মুরজিয়াদের ফিতনা থেকে এই উম্মাহকে
হেফাজত করুন। আমিন
Comment