ফিতনার কথা শুনলেই মারামারি হানাহানি, অন্যায়-অবিচার, ছিনতাই লুটপাট এবং সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির একটি রূপ আমাদের সামনে ভেসে উঠে। এবং এধরণের পরিস্থিতিতে নিরবতা অবলম্বন ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাকেই উত্তম এবং একমাত্র করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
সন্দেহ নাই, এ সব কিছুই ফিতনা এবং এই পরিস্থিতিতে নিরব থাকা ও ফিতনায় না জড়ানোর কথাও হাদিসে এসেছে। কিন্তু আমাদের ভুলে থাকলে চলবে না যে, কুরআন হাদিসে শুধু এসবকেই ফিতনা বলা হয় নি, বরং মৌলিকভাবে কুফর ও শিরককে এবং সাধারণভাবে সব ধরণের হারাম ও অশ্লীলতার বিস্তারকে ফিতনা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এবং ফিতনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত কিতালের নির্দেশ জারি করা হয়েছে–
“তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাক, যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয় এবং দ্বীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।”
ফিতনার সময় যে ব্যক্তি ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরে শত্রুকে ধাওয়া করবে, তাকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে–
আব্দুল্লাহ ইবনে আবাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ফিতনার যুগে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নিজের ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরবে এবং আল্লাহর দুশমনদেরর পিছনে ধাওয়া করবে। আল্লাহর দুশমনদের ভীত-সন্ত্রস্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শন করবে। অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দি হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে।
(ইমাম হাকিম রহ. এই হাদিসটিকে বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহিহ বলেছেন। ইমাম যাহাবি রহ.ও এর সাথে একমত পোষণ করেছেন।)
এই হাদিসের মধ্যে ফিতনার সময় জিহাদকারীকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে। সুতরাং ফিতনার দোহাই দিয়ে জিহাদ থেকে বিমুখ থাকার কোন সুযোগ নাই।
ফিতনার সময় ঐ ব্যক্তিকেও সর্বোত্তম বলা হয়েছে, যে অবৈধ কর্মকাণ্ড, হারাম লেনদেন ও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া নানাবিধ অশ্লীলতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে আপন গৃহে আবদ্ধ করে রাখবে। অথবা ছাগলের পাল নিয়ে পাহাড়ে অথবা বিরানভূমিতে বসবাস করবে। যেমন হাদিসের মধ্যে এসেছে–
আবু সাইদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, এমন একটি সময় খুবই নিকটবর্তী, যখন মুসলমানদের সর্বোত্তম মাল হবে সেসব বকরি, যেগুলোকে নিয়ে ফিতনা থেকে দ্বীন বাঁচানোর জন্য পাহাড়ের চূড়ায় অথবা বিরানভূমিতে পালায়ন করবে। (বুখারি-১/১৫)
সন্দেহ নাই, এ সব কিছুই ফিতনা এবং এই পরিস্থিতিতে নিরব থাকা ও ফিতনায় না জড়ানোর কথাও হাদিসে এসেছে। কিন্তু আমাদের ভুলে থাকলে চলবে না যে, কুরআন হাদিসে শুধু এসবকেই ফিতনা বলা হয় নি, বরং মৌলিকভাবে কুফর ও শিরককে এবং সাধারণভাবে সব ধরণের হারাম ও অশ্লীলতার বিস্তারকে ফিতনা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এবং ফিতনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত কিতালের নির্দেশ জারি করা হয়েছে–
“তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাক, যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয় এবং দ্বীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।”
ফিতনার সময় যে ব্যক্তি ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরে শত্রুকে ধাওয়া করবে, তাকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে–
আব্দুল্লাহ ইবনে আবাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ফিতনার যুগে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নিজের ঘোড়ার লাগাম অথবা নাকের রশি ধরবে এবং আল্লাহর দুশমনদেরর পিছনে ধাওয়া করবে। আল্লাহর দুশমনদের ভীত-সন্ত্রস্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শন করবে। অথবা সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের বাসগৃহে স্বেচ্ছায় বন্দি হয়ে থাকবে এবং আল্লাহর হকসমূহ আদায় করবে।
(ইমাম হাকিম রহ. এই হাদিসটিকে বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহিহ বলেছেন। ইমাম যাহাবি রহ.ও এর সাথে একমত পোষণ করেছেন।)
এই হাদিসের মধ্যে ফিতনার সময় জিহাদকারীকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে। সুতরাং ফিতনার দোহাই দিয়ে জিহাদ থেকে বিমুখ থাকার কোন সুযোগ নাই।
ফিতনার সময় ঐ ব্যক্তিকেও সর্বোত্তম বলা হয়েছে, যে অবৈধ কর্মকাণ্ড, হারাম লেনদেন ও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া নানাবিধ অশ্লীলতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে আপন গৃহে আবদ্ধ করে রাখবে। অথবা ছাগলের পাল নিয়ে পাহাড়ে অথবা বিরানভূমিতে বসবাস করবে। যেমন হাদিসের মধ্যে এসেছে–
আবু সাইদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, এমন একটি সময় খুবই নিকটবর্তী, যখন মুসলমানদের সর্বোত্তম মাল হবে সেসব বকরি, যেগুলোকে নিয়ে ফিতনা থেকে দ্বীন বাঁচানোর জন্য পাহাড়ের চূড়ায় অথবা বিরানভূমিতে পালায়ন করবে। (বুখারি-১/১৫)
Comment