আজকের ২য় পর্বের আলোচনার বিষয়বস্তুু হলো ন্যাশনালিজম বা জাতীয়তাবাদ
জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা*---★-★---
জাতীয়তাবাদ একটি আর্থ-সামজিক ও রাজনৈতিক ধারণা যেখানে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির লোকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়। যা তাদেরকে বাইরের অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত করে সার্বভৌমত্ব অর্জনে, আত্ম নিয়ন্ত্রণে ও আত্ম পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করে। জাতীয়তাবাদ হল কতকগুলো বিষয় সম্পর্কে জন সমষ্টির একাত্মবোধের প্রকাশ। জাতীয়তাবাদ ইতিহাসের এক বিশেষ পর্যায়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার ফলশ্রুতি। একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনসমষ্টির মানসিক, অনুভূতি ও চিন্তা চেতনার ফল।
বৈশিষ্ট*→★→★→★
পৃথিবীর সকল জাতীয়তাবাদে দুটি বৈশিষ্ট থাকে- নিজেদের মধ্যে গভীর ঐক্যবোধ ও অন্যদের থেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্যবোধ।
উপাদানঃ→★★
একটি জাতির মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জাগ্রত হয়। এগুলো হল-
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত, ভাষা, বর্ণ-গোত্র, ধর্ম, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, একই পূর্বপুরুষ হতে আগমন, একই অর্থনৈতিক স্বার্থ, রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক আশা আকাঙ্ক্ষা, বীরত্বগাঁথা সম্বলিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইত্যাদি।
উৎপত্তি------★------★
জাতীয়তাবাদ একটি আধুনিক ধারণা। ১৮ শতকে এর উদ্ভব ঘটে।*ম্যাকিয়াভেলিকেআধুনিক জাতীয়তাবাদের জনক বলা হয়। একটি অবিভক্ত ইতালি রাষ্ট্রের ধারণা তিনিই প্রথাম দেন। তবে ইংরেজরা জাতীয়তাবাদ বা জাতি সত্তার পতিকৃৎ। নেপোলিয়ানের বীরত্ব ও রাজ্য বিস্তার তাদের জাতি সত্তা জাগরণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
বিকাশ★-★-★-
১৮ শতকে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। নেপোলিয়ানের রাজ্য বিস্তার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ১৯ শতকে রাজনৈতিক ও সামজিক অঙ্গণে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান একটি। ১৯ শতকে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, সার্বিয়া, পোল্যান্ডে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি অন্যতম কারণ হল জার্মানির উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ইহুদী জাতীবাদের দ্বন্দ্ব।
★★জাতীয়তাবাদের ধরন*★★★★
১/নাগরিক জাতীয়তাবাদ
(Civic Nationalism):*নাগরিক জাতীয়তাবাদে সকল নাগরিক একই গোষ্ঠীভূক্ত না হয়েও রাজনৈতিক ভাবে একাত্মতা প্রকাশ করে। যেমন ভারতের জাতীয়তাবাদ।
২/নৃতাত্ত্বিক জাতিয়তাবাদ
(Ethnic Nationalism):*একই গোত্র বা বর্ণের মানুষের জাতীয়তাবাদ। যেমন কুর্দি জাতীয়তাবাদ।
৩/ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ
(Religious nationalism):*১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুই রাষ্ট্রের সৃষ্টিই হয় ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ থেকে। ইসরাইলের ইহুদী জাতীয়তাবাদ ও এর একটি উদাহরণ।
৪/ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ
(Territorial nationalism):*একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মানুষ যারা কোন এক সুত্রে(ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষা, ইত্যাদি) একাতাবদ্ধ হয়।
৫/উপনিবেশ বিরোধী জাতীয়তাবাদ(Anti-colonial nationalism):*দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এশিয়া ও আফ্রিকায় এ ধরনের জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। ফলে ইউরোপের উপনিবেশ গুলো ভেঙ্গে যায়।
৬/জাতিগত জাতীয়তাবাদ
( Racial nationalism):*শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাজ্ঞ ইত্যাদি হল জাতিগত জাতীয়তাবাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
এছাড়াও খেলাধুলা(ফুটবল) ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ও দেখা যায়।
এই পর্ব এখানেই সমাপ্ত ★-
চলবে ইনশাআল্লাহ.........
বাকি পর্বগুলো পেতে নিয়মিত চোখ রাখুন দাওয়া ইলাললাহ তে ইনশাআল্লাহ
জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা*---★-★---
জাতীয়তাবাদ একটি আর্থ-সামজিক ও রাজনৈতিক ধারণা যেখানে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির লোকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়। যা তাদেরকে বাইরের অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত করে সার্বভৌমত্ব অর্জনে, আত্ম নিয়ন্ত্রণে ও আত্ম পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করে। জাতীয়তাবাদ হল কতকগুলো বিষয় সম্পর্কে জন সমষ্টির একাত্মবোধের প্রকাশ। জাতীয়তাবাদ ইতিহাসের এক বিশেষ পর্যায়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার ফলশ্রুতি। একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনসমষ্টির মানসিক, অনুভূতি ও চিন্তা চেতনার ফল।
বৈশিষ্ট*→★→★→★
পৃথিবীর সকল জাতীয়তাবাদে দুটি বৈশিষ্ট থাকে- নিজেদের মধ্যে গভীর ঐক্যবোধ ও অন্যদের থেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্যবোধ।
উপাদানঃ→★★
একটি জাতির মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জাগ্রত হয়। এগুলো হল-
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত, ভাষা, বর্ণ-গোত্র, ধর্ম, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, একই পূর্বপুরুষ হতে আগমন, একই অর্থনৈতিক স্বার্থ, রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক আশা আকাঙ্ক্ষা, বীরত্বগাঁথা সম্বলিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইত্যাদি।
উৎপত্তি------★------★
জাতীয়তাবাদ একটি আধুনিক ধারণা। ১৮ শতকে এর উদ্ভব ঘটে।*ম্যাকিয়াভেলিকেআধুনিক জাতীয়তাবাদের জনক বলা হয়। একটি অবিভক্ত ইতালি রাষ্ট্রের ধারণা তিনিই প্রথাম দেন। তবে ইংরেজরা জাতীয়তাবাদ বা জাতি সত্তার পতিকৃৎ। নেপোলিয়ানের বীরত্ব ও রাজ্য বিস্তার তাদের জাতি সত্তা জাগরণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
বিকাশ★-★-★-
১৮ শতকে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। নেপোলিয়ানের রাজ্য বিস্তার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ১৯ শতকে রাজনৈতিক ও সামজিক অঙ্গণে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান একটি। ১৯ শতকে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, সার্বিয়া, পোল্যান্ডে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি অন্যতম কারণ হল জার্মানির উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ইহুদী জাতীবাদের দ্বন্দ্ব।
★★জাতীয়তাবাদের ধরন*★★★★
১/নাগরিক জাতীয়তাবাদ
(Civic Nationalism):*নাগরিক জাতীয়তাবাদে সকল নাগরিক একই গোষ্ঠীভূক্ত না হয়েও রাজনৈতিক ভাবে একাত্মতা প্রকাশ করে। যেমন ভারতের জাতীয়তাবাদ।
২/নৃতাত্ত্বিক জাতিয়তাবাদ
(Ethnic Nationalism):*একই গোত্র বা বর্ণের মানুষের জাতীয়তাবাদ। যেমন কুর্দি জাতীয়তাবাদ।
৩/ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ
(Religious nationalism):*১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুই রাষ্ট্রের সৃষ্টিই হয় ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ থেকে। ইসরাইলের ইহুদী জাতীয়তাবাদ ও এর একটি উদাহরণ।
৪/ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদ
(Territorial nationalism):*একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মানুষ যারা কোন এক সুত্রে(ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষা, ইত্যাদি) একাতাবদ্ধ হয়।
৫/উপনিবেশ বিরোধী জাতীয়তাবাদ(Anti-colonial nationalism):*দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এশিয়া ও আফ্রিকায় এ ধরনের জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। ফলে ইউরোপের উপনিবেশ গুলো ভেঙ্গে যায়।
৬/জাতিগত জাতীয়তাবাদ
( Racial nationalism):*শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাজ্ঞ ইত্যাদি হল জাতিগত জাতীয়তাবাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
এছাড়াও খেলাধুলা(ফুটবল) ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ও দেখা যায়।
এই পর্ব এখানেই সমাপ্ত ★-
চলবে ইনশাআল্লাহ.........
বাকি পর্বগুলো পেতে নিয়মিত চোখ রাখুন দাওয়া ইলাললাহ তে ইনশাআল্লাহ
Comment