Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভারত বিরোধিতা;কিছু কথা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভারত বিরোধিতা;কিছু কথা

    উগ্র হিন্দুত্ববাদিদের দেশ ভারতের বিরোধীতা ক্রমশই ‘স্পর্শকাতর’ হয়ে উঠছে বাংলাদেশে।ভারত বিরোধীতা কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিরোধীতা কারীদের জন্য। বিরোধীতা কারী যেই হোক, হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালাল সরকারের কর্মী-সমর্থক এবং কিছু ক্ষেত্রে খোদ হিন্দুত্ববাদীদের উগ্র নখরাগতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন তিনিই।কেউ হাসপাতালে,কেউ বা কবরস্থানে।রেহাই পাচ্ছেনা কেউ।বিভিন্ন ইস্যুতে যখনই ভারতের বিরোধিতা করে সমালোচনা করা হয়েছে তখনই ক্ষমতাসীনদের কর্মী-সমর্থকদের দ্বারা হামলা কিংবা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে বিরোধীতাকারীদের।নির্যাতন আর নিপীড়নের মাত্রা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে তাদের উপর।

    ক্ষমতাসীন ভারতের দালাল সরকারের মাধ্যমে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রন করছে ভারত;পল্লী অঞ্চল থেকে শহরাঞ্চল,মেম্বার থেকে মন্ত্রী সবাইকে আওয়ামীলীগের মতাদর্শের শরবত পান করিয়ে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছেভারত বিরোধী প্রতিটি বক্ত্যব্য-আন্দোলন অঙ্কুরেই দমন করার জন্য বাংলাদেশের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ক্ষমতায়নকে পাকা পোক্ত করা হচ্ছেফলে এ দেশে আওয়ামী বিরোধীতার চেয়ে ভারত-হিন্দুত্ববাদের বিরোধীতা কঠিন হয়ে উঠছে।কঠিন হাতে দমন করা হচ্ছে হিন্দুত্ববাদের বিরোধীদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্পদ ছাত্র থেকে শুর করে রাজনীতিবীদ,গবেষক,আলেম কেউই বাদ পড়ছেনা তাদের এ হিংস্র থাবা থেকে।
    ভারতের বর্তমান সরকার মালাউন মোদী ও তার দল বিজেপি ‘‘হিন্দুত্ববাদী অখন্ড ভারত’ নীতি অবলম্বন করে সামনে এগুচ্ছেবাংলাদেশ সহ পুরো উপমহাদেশে তারা তাওহীদের আলো নিভিয়ে শিরকের অন্ধকার নিয়ে আসতে চাচ্ছেপুরো উপমহাদেশে তারা তাদের ক্ষমতাকে পাকা পোক্ত করতে চাচ্ছেতাই যারা বলছে হিন্দুত্ববাদীদের বিরোধীতা না করে ভারতের বিরোধীতা করা উচিত;তাদের কথা কোন ভাবেই সঠিক হতে পারেনাকেননা ভারত সরকারের মূল জ্বালানীই হচ্ছে এই ‘হিন্দুত্ববাদ’ফিলোসোফীএই দর্শন ব্যাবহার করে তারা উপমহাদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্টা করতে চায়মুসলিমদেরকে পিষে মেরে ফেলতে চায়তাই হিন্দুত্ববাদের বিরোধীতা না করে ভারত বিরোধীতা সাপের মাথায় আঘাত না করে লেজে আঘাত করার মতই।সমস্যার মূল হচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদ দর্শন।তাই সমস্যার মূলে যতক্ষন না আঘাত না করে একে উপড়ে ফেলা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এর থেকে আরো বহু সমস্যা উৎসারিত হতেই থাকবে।
    স্বাধীনতার এত বৎসর পরও গোলাম হয়ে আছে বাংলাদেশ ও দেশের জনগন।এ ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বুলি আওড়ানো মাথা মোটা দালাল বুদ্ধি জীবিদের জাবর কাটা ছাড়া আর কোন নড়াচড়া পরিলক্ষতি হচ্ছেনাআর সরকার পক্ষ তো ভারতীয়-ই।তাই তাদের কোন কথা বলাটাই বরং আশ্চর্যের বিষয়। ভারতের ভিবিন্ন স্বার্থ এ দেশ থেকে লুটে নেয়ার জন্য সহযোগীতায় আছে ভারতের সমর্থন ও সহযোগীতায় টিকে থাকা ক্ষমতাসীনদের পোষ্য লীগ বাহীনি আর হুকুমের গোলাম পেটুয়া সামরিক বাহীনি।
    ভারত হিন্দুরাষ্ট্র আর বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র বলে শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিরোধিতা নয়;বরং সামরিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্বকৃতিক দিক থেকেও ভারতের সাথে রয়েছে বাংলাদেশের বিরোধ।
    বিরাট রাষ্ট্র ভারতের প্রায় পেটের মধ্যে ছোট বাংলাদেশ।বাংলাদেশের তিন দিকে বেষ্টন করে আছে আগ্রাসী রাষ্ট্র ভারতের সীমানা। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বরাবরই অনেকটা নির্ভর করে ভারতের উপর।কিন্তু আগ্রাসী ভারত প্রতিবারই এই সুযোগকে নিজ কাজে লাগিয়েছে,বিনিময়ে দেয়নি বাংলাদেশকে সামান্য কিছু।
    সম্প্রতি বাংলাদেশে পেঁয়াজ নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হলো তার কারনও ভারত।বাংলাদেশে যখন পেঁয়াজ সংকট শুরু হলো তখন বাংলাদেশ বিকল্প খুজে না পেয়ে ভারতের উপর নির্ভর করল;কিন্তু ভারত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফলাফল নিজ ঘরে উঠালোফলে ইতিহাসে প্রথম ত্রিশ টাকা দরের পেঁয়াজ তিনশ’র ঘর ছুঁ’লশুধু পেঁয়াজ নয় চালের দাম বাড়ানো সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ানোর পিছনেও রয়েছে ভারতের সক্রিয়তা।এভাবে তারা কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সাধারন মুসলিমদের ধবংস করে দিতে চায়।

    ট্রানজিটের কথা কে না যানে;প্রায় বিনামূল্যে এমন ট্রানজিট সুবিধা এই বিশ্ব বোধহয় খুব কমই দেখেছেকিন্তু এত বড় কিছু দেয়ার পরেও বিনিময়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা টুকুও আমরা পাইনি।বরং উলটো ফেনী নদীর পানিও আমরা হারালাম।আর ফারাক্কাবাদ দিয়ে নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করার প্লান তো বহু আগেই সমপন্ন হয়েছে। যার কার্যকর বাস্তবায়ন আমরা এখন দেখছি।শুষ্ক মৌসুমে যখন বাংলাদেশ পানির অভাবে হাহাকার করে ;তখন জুলুম বাজ ভারত পানি বন্ধ রেখে বাংলাদেশ কে মরুভুমিতে রুপন্তর করে; কিন্তু বর্ষার ভরা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে প্লাবিত করে ফেলে। কি আজীব দৃশ্য!!দিবে –নিবে;এই তো চুক্তি।এটাই তো স্বাভাবিক সূত্র। কিন্তু কথিত বন্ধু প্রতীম এই রাষ্ট্রটি কখনো এই চুক্তি পালন করা বা এই সূত্র মেনে অংক কষেছে কিনা সেটা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা।

    বাংলাদেশে ভারতের সাংস্বকৃতিক আগ্রাসনের কথা তো সচেতন প্রতিটি ব্যাক্তিই জানে।তাদের নষ্ট সাংস্বকৃতিক আগ্রাসনে তছনছ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সমাজ।শহর থেকে পাড়া-মহল্লা এমন ঘর-দোকান কমই আছে যেখানে কুসংস্বকারাচ্ছন ভারতীয় টিভি চ্যানেলের কুসংসকার পৌঁছেনি।ভারতীয় এই নষ্ট সাংস্বকৃতির প্রতাপে বাংলাদেশের মানুষের ইমান-আমাল হুমকির মুখে।শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই নষ্ট আগ্রাসনের স্বীকার।মুসলিম প্রধান এ দেশের সমাজকে কুসংস্বকারাচ্ছন্ন হিন্দুত্ববাদের ছাঁচে ঢেলে সাজানোর পায়তারা চলছে।যার সক্রিয় সহায়তায় রয়েছে;এ দেশের দালাল বুদ্ধিজিবী আর মিডিয়া।

    বন্ধু প্রতীম রাক্ষসীয় এই রাষ্টের সীমানায় যে পরিমান নিরপরাধ মানুষ নির্যাতন-নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছেন ,হচ্ছেন আর যে পরিমাণ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছেন; পৃথীবীর বিরোধ পূর্ন কোন রাষ্ট্রের সীমান্তেও বোধ হয় এত মানুষ হতাহতের মুখোমুখি হয়নি। ফেলানী হত্যা সহ প্রতিনিয়ত সীমান্তে মানুষ হতাহত করা এক নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিনত হয়েছে।নামমাত্র বিচার হয়ত হচ্ছে গুটি কয়েকটির।বিচারীক কার্যক্রমের বাহিরেই থেকে যাচ্ছে বেশিরভাগ।

    বাংলাদেশ ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা “অধিকার” এর রেকর্ড অনুযায়ী,শুধু ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ।আর আহতের পরিসংখ্যান তো আল্লাহই ভালো জানেন।

    বঙ্গপ সাগর থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ চুরি,খনিজ সম্পদের দিকে লোলুপ দৃষ্টি,পায়রা বন্দর নেয়ার পায়তারা সহ এরকম অসংখ্য অপরাধ করে যাচ্ছে ভারত।এতসব অপরাধ সত্ত্বেও ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার মত নেই কেউ। দু-চারজন যারা বলছে বা বলার চেষ্টা করছে তাদেরকে গুম-খুনের স্বীকার হতে হচ্ছে।ফলে জানের মায়া ত্যাগ করে জালিম শাহীর বিরুদ্ধে কেউ আর দাঁড়াচ্ছেনা।এভাবে মুসলিমদের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের কালো মেঘের ছায়া দিন দিন বেড়েই চলছে।

    ভারতকে খুশী করার জন্য দেশের অবৈধ এই সরকার যতই দিচ্ছে ভারত ততই বায়না ধরছে।আবার সেই বায়না পূরন করতে বাংলাদেশের মুসলিমদের রক্ত-গামে অর্জিত সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে সরকার।শুষে নিচ্ছে জনসাধারনের সম্পদ।কিন্তু ভারতের এই বায়না কখনো শেষ হবার নয়;যতক্ষন না বাংলাদেশে মুসলমানদেকে নিঃশেষ করে দিয়ে রাম রাজত্ব প্রতিষ্টা করা হয়।
    এভাবেই হিন্দুত্ববাদী অখন্ড ভারত গড়ার দিকে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।ক্রমশই পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপ তর হচ্ছে।আকাশে হিন্দ্বুত্ববাদের কালো মেঘের ছায়া দেখা যাচ্ছে কিন্তু মুসলিমরা এখনো গভীর ঘুমে অচেতন।এখনই যদি মুসলিমরা জেগে না ঊঠে; হিন্দুত্ববাদ ও হিন্দুত্ববাদের দালাল সরকার কে প্রতিহত না করে তাহলে অচিরেই রক্তের গংগায় নিজেকে ভাসতে দেখবে।

    আশ্চর্য এক নীরবতা বিরাজ করছে চারিদিকে।তাগুত সরকার আর কুফফার জোটের কাছে ভালো থাকার আশায় দেখেও সবাই না দেখার ভান করছে। জীবনের স্বাদ আরেকটু চেখে দেখার আশায় সবাই নিজেকে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কেন যানি ধেয়ে আসা রক্ত লাল ভবিষ্যতকে সবাই অস্বীকার করতে চাইছে।

    মুসলমানদের কর্ণধার আলেম-উলামাগণ আজ তাগুতকে খুশী রাখতে পারলেই বরং বেশী খুশী হচ্ছে। কাল্পনিক তাওয়ীল আর হিকমতের দোহাই দিয়ে নিজেদের ও আম –মুসলিমদের ইমান আমল হিন্দুত্ববাদের ফিতনার সম্মুখে নিক্ষেপ করছেন।যাদের কাঁধে দায়িত্ব ছিল সমুহ সব বিপদাপদ থেকে উম্মাহ কে সতর্ক করা,উম্মাহর দুর্দিনে উম্মাহকে সাহস যোগানো,উম্মাহকে বিজয়ী করতে নিজেদের জান মালকে নজরানা রুপে পেশ করা,জালিম শাষকের সামনে হকের মশালবাহী ইমাম আবু হানিফার প্রতিনিধিত্ব করা, কাফনের কাপন মাথায় বেঁধে ইমাম তাইমিয়ার পথে চলা, তারাই আজ তাগুতের ভয়ে চুপসে গেছে।

    ময়দানে দাপিয়ে বেড়ানো মুসলিম যুবকরা আজ অহেতুক খেল তামাশা আর অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়ে আছে। তাদের শীরা-উপশীরায় আজ আর উমর,খালিদ তারেকের চেতনা প্রবাহিত হয়না।তাদের মডেল আজ আর রাসূলুল্লাহ হয়না। তারা ষ্টাইল হিসেবে রাসূলুল্লাহর সুন্নাহকে ফলো করেনা।পশিচমা সভ্যতা তাদের কাছে আধুনিক আর চির-সুন্দর ইসলাম ও ইসলামের বিধিবিধান তাদের কাছে সেকেলে ঠেকে।

    হায়! কী হবে এ জাতীর।এ জাতির বর্তমান প্রজন্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কি জবাব দেবে! কি জবাব দেবে হাশরের কঠিন ময়দানে আল্লাহ্* তায়ালার সামনে!!

    আল্লাহ্ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর রক্তে উষ্ণতা দান করুন। হক্ব বাতিল পার্থক্য করে হক্বের উপর চলার তাওফীক দান করুন। তাদেরকে তাদের পূর্বসূরীদের পথে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন…
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-23-2020, 02:38 PM.

  • #2
    মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর বলেছেন। বারাকাল্লাহু ফিক।
    বাকি এই লেখারটার বানান ইত্যাদির এডিট প্রয়োজন।
    আশা করি লেখক এদিকে একটু নজর দিবেন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ। অনেক সুন্দর হয়েছে লেখাটা। এরকম আরো লেখার জন্য উৎসাহিত করছি।

      Comment


      • #4
        ভাইয়েরা হেল্প হিন্দুদের সাথে সম্পর্কছেদের ঘোষণা এই পোস্টটাতে ক্লিক করলে লেখা আসছে না প্লিজ হেল্প

        Comment

        Working...
        X