Tweet
#গতপরশু: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল ঘিরে রেখে হামলা চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। ঐ এলাকাটিতে হিন্দুদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করাই তাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে তারা প্রতিনিয়ত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এলাকাটিতে।
#গতকাল: মুসলিমদের এলাকাকে হিন্দুদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায়না। তাই, প্রতিরোধ গড়ে তুলে এলাকাটিতে বাসরত স্বাধীনতাকামীরা। পাল্টা আঘাত হানে হিন্দুত্ববাদীদের দুর্গে। আর, এতে নিন্দার মুখে পড়তে হয় স্বাধীনতাকামীদের।
#আজ: ঐ এলাকাতেই বাস করে হাসানের চাচা।হাসান বাস করে ঢাকা। আজ হিন্দুরা এসে হাসানের চাচার পরিবারে আঘাত হেনেছে এবং সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। তখন, হাসানকে স্বান্তনা দিতে ‘‘তারা’’ এসে বলে- ‘‘আরে ভাই, তুমি কিছু বললে কাল আরো দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে তোমার পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে! So, Don’t talk, চুপ করে দেখে যাও। ফেসবুকেও কিন্তু এ বিষয়ে পোস্ট দিয়ো না, তাও তোমার উপর বিপদ ডেকে আনবে!’’
#আগামিকাল: হিন্দুরা স্লোগান তুলছে, ‘‘আল্লাহর নাম নেওয়ার মত কাউকে আমরা রাখবো না, কোন মুসলিমকে আমরা ছাড়বো না’’। অতঃপর, যেমন কথা তেমন কাজ! আঘাত হানলো আব্দুর রহমান সাহেবের(হাসানের বাবা) বাড়িতে। চাচার এলাকার পাশেই ছিল তার বাড়ি। কিন্তু, আগেই আলাদা হয়ে ঢাকা চলে যাওয়ায় এ যাত্রায় সরাসরি হামলা থেকে বেঁচে গেল হাসান। কিন্তু যেই বাবাকে বাঁচাতে যাবে, ‘‘তারা’’ এসে বলে- ‘‘আহ! কীভাবে আঘাতটাই না হানলো! খুব কষ্ট লাগছে! তোমার কিন্তু ঘরে বিবি-বাচ্চা আছে। এখন তুমি গেলে তোমার পরিবারকে নিঃশেষ করে দিবে। তার চেয়ে বরং, তুমি তাদের সাথে মিলে যে সকল ব্যক্তিরা (স্বাধীনতাকামীরা) তাদের (হিন্দুত্ববাদীদের) উপর হামলা চালিয়েছিল তাদের হামলার নিন্দা জানাও। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলো। হিকমাহ অবলম্বন করো ব্যাটা, হিকমাহ অবলম্বন করো! ’’
#পরের দিন: শেষ রক্ষা হলো না! হাসানের পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো হিন্দুত্ববাদীরা। কেননা, তাদের লক্ষ্য ছিল আল্লাহ নাম নেওয়ার মত কাউকেই তারা রাখবে না। হাসান যেহেতু সামাজিকতা রক্ষায় মুখে আল্লাহর নাম নিতো, তাই তাকেও হিন্দুত্ববাদীদের হামলার মুখে পড়তেই হলো। কিন্তু, হাসানের উপর হামলার সময় ‘তাদেরকে’ও(যারা হাসানকে বুদ্ধি দিতো) হাসানের পাশে দেখা গিয়েছিল! কিন্তু, ‘তাদের’ পাঁ ছিল হাসানের মাথায়! অর্থাৎ, মাটিতে ফেলে হাসানকে ‘তারা’ই মেরেছে!
#এরপরের দিন: রাস্তায় দেখা যাচ্ছে ‘তাদেরকে’(যারা হাসানকে হিকমাহ শেখাতো)! কিন্তু, তাদের পেছনে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসছে হিন্দুত্ববাদীরা!! রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছে ‘তাদের’! ‘তাদের’ মধ্যে আবার অনেককে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশের বাতির খুঁটিতে ঝুলে রয়েছে! ঝুলেও রয়েছে আবার অনেককে ঝুলানোও হয়েছে!! হায়! এবার কী ঘটলো? ‘তাদেরকে’ কেন মারলো?!
আল্লাহু আ’লাম!
বি.দ্র: [এটা কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নিকটবর্তী ভবিষ্যতে উপমহাদেশে উদ্ভূত সম্ভাব্য পরিস্থিতি, যা এই লেখকের চিন্তা-চেতনার লৈখিক রূপকরূপ! লেখাটির সাথে কোন ঘটনা মিলে গেলে, এর জন্য লেখক কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না । আর, এই চেতনায় কেউ আঘাত পেলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার তার নিজের!]
এই লেখাটি ২০১৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী বা তার এক-দুই দিন আগে লেখা হয়। লেখাটির মূল লিংক: https://mahmudfarhan.home.blog/2019/...6%89%e0%a6%a6/
লেখাটি এখন নতুন করে শেয়ার করার কারণ হলো, লেখকের আশংকা আমার মতে কিছুটা হলেও বাস্তবায়িত হয়েছে। লেখাটির ঠিক এক বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই ভারতের মুসলিমদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে হিন্দুরা। কাশ্মীরে যখন মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হয়, তখন ভারতের মুসলিমরা কোনো ধরণের প্রতিবাদ করেনি। হয়তো, সরকার কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ভয় করেছে। কিন্তু, শেষ রক্ষা তাদের হয়নি। আজ ভারতের মুসলিমদের উপরও মালাউনরা হামলে পড়েছে। কাল যে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। বরং, এই মালাউনরা শীঘ্রই আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। কিন্তু, মালাউনদের আঘাত প্রতিহত করার মতো প্রস্তুতি কি এই অঞ্চলের মুসলিমদের আছে?
#গতকাল: মুসলিমদের এলাকাকে হিন্দুদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায়না। তাই, প্রতিরোধ গড়ে তুলে এলাকাটিতে বাসরত স্বাধীনতাকামীরা। পাল্টা আঘাত হানে হিন্দুত্ববাদীদের দুর্গে। আর, এতে নিন্দার মুখে পড়তে হয় স্বাধীনতাকামীদের।
#আজ: ঐ এলাকাতেই বাস করে হাসানের চাচা।হাসান বাস করে ঢাকা। আজ হিন্দুরা এসে হাসানের চাচার পরিবারে আঘাত হেনেছে এবং সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। তখন, হাসানকে স্বান্তনা দিতে ‘‘তারা’’ এসে বলে- ‘‘আরে ভাই, তুমি কিছু বললে কাল আরো দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে তোমার পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে! So, Don’t talk, চুপ করে দেখে যাও। ফেসবুকেও কিন্তু এ বিষয়ে পোস্ট দিয়ো না, তাও তোমার উপর বিপদ ডেকে আনবে!’’
#আগামিকাল: হিন্দুরা স্লোগান তুলছে, ‘‘আল্লাহর নাম নেওয়ার মত কাউকে আমরা রাখবো না, কোন মুসলিমকে আমরা ছাড়বো না’’। অতঃপর, যেমন কথা তেমন কাজ! আঘাত হানলো আব্দুর রহমান সাহেবের(হাসানের বাবা) বাড়িতে। চাচার এলাকার পাশেই ছিল তার বাড়ি। কিন্তু, আগেই আলাদা হয়ে ঢাকা চলে যাওয়ায় এ যাত্রায় সরাসরি হামলা থেকে বেঁচে গেল হাসান। কিন্তু যেই বাবাকে বাঁচাতে যাবে, ‘‘তারা’’ এসে বলে- ‘‘আহ! কীভাবে আঘাতটাই না হানলো! খুব কষ্ট লাগছে! তোমার কিন্তু ঘরে বিবি-বাচ্চা আছে। এখন তুমি গেলে তোমার পরিবারকে নিঃশেষ করে দিবে। তার চেয়ে বরং, তুমি তাদের সাথে মিলে যে সকল ব্যক্তিরা (স্বাধীনতাকামীরা) তাদের (হিন্দুত্ববাদীদের) উপর হামলা চালিয়েছিল তাদের হামলার নিন্দা জানাও। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলো। হিকমাহ অবলম্বন করো ব্যাটা, হিকমাহ অবলম্বন করো! ’’
#পরের দিন: শেষ রক্ষা হলো না! হাসানের পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো হিন্দুত্ববাদীরা। কেননা, তাদের লক্ষ্য ছিল আল্লাহ নাম নেওয়ার মত কাউকেই তারা রাখবে না। হাসান যেহেতু সামাজিকতা রক্ষায় মুখে আল্লাহর নাম নিতো, তাই তাকেও হিন্দুত্ববাদীদের হামলার মুখে পড়তেই হলো। কিন্তু, হাসানের উপর হামলার সময় ‘তাদেরকে’ও(যারা হাসানকে বুদ্ধি দিতো) হাসানের পাশে দেখা গিয়েছিল! কিন্তু, ‘তাদের’ পাঁ ছিল হাসানের মাথায়! অর্থাৎ, মাটিতে ফেলে হাসানকে ‘তারা’ই মেরেছে!
#এরপরের দিন: রাস্তায় দেখা যাচ্ছে ‘তাদেরকে’(যারা হাসানকে হিকমাহ শেখাতো)! কিন্তু, তাদের পেছনে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসছে হিন্দুত্ববাদীরা!! রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছে ‘তাদের’! ‘তাদের’ মধ্যে আবার অনেককে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশের বাতির খুঁটিতে ঝুলে রয়েছে! ঝুলেও রয়েছে আবার অনেককে ঝুলানোও হয়েছে!! হায়! এবার কী ঘটলো? ‘তাদেরকে’ কেন মারলো?!
আল্লাহু আ’লাম!
বি.দ্র: [এটা কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নিকটবর্তী ভবিষ্যতে উপমহাদেশে উদ্ভূত সম্ভাব্য পরিস্থিতি, যা এই লেখকের চিন্তা-চেতনার লৈখিক রূপকরূপ! লেখাটির সাথে কোন ঘটনা মিলে গেলে, এর জন্য লেখক কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না । আর, এই চেতনায় কেউ আঘাত পেলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার তার নিজের!]
এই লেখাটি ২০১৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী বা তার এক-দুই দিন আগে লেখা হয়। লেখাটির মূল লিংক: https://mahmudfarhan.home.blog/2019/...6%89%e0%a6%a6/
লেখাটি এখন নতুন করে শেয়ার করার কারণ হলো, লেখকের আশংকা আমার মতে কিছুটা হলেও বাস্তবায়িত হয়েছে। লেখাটির ঠিক এক বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই ভারতের মুসলিমদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে হিন্দুরা। কাশ্মীরে যখন মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হয়, তখন ভারতের মুসলিমরা কোনো ধরণের প্রতিবাদ করেনি। হয়তো, সরকার কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ভয় করেছে। কিন্তু, শেষ রক্ষা তাদের হয়নি। আজ ভারতের মুসলিমদের উপরও মালাউনরা হামলে পড়েছে। কাল যে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। বরং, এই মালাউনরা শীঘ্রই আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। কিন্তু, মালাউনদের আঘাত প্রতিহত করার মতো প্রস্তুতি কি এই অঞ্চলের মুসলিমদের আছে?
Comment