চুক্তি এবং কিছু কথা
দরবারি আলেমরা ছাড়াও কোন কোন বড় ব্যক্তি থেকে এ ধরনের কথা শুনা গেছে যে, বর্তমানে কোনো দারুল হরব নেই। কারণ, জাতিসংঘের মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মাঝে চুক্তি হয়ে গেছে। তাই ফিকহ ফাতাওয়ার কিতাবাদিতে যে দারুল হরবের কথা বলা হয়েছে সেটা এ যামানায় নেই। তবে হ্যাঁ, ইজরাঈলকে দারুল হরব বললে বলা যেতে পারে।
অর্থাৎ তাদের দৃষ্টিতে ইজরাঈলও পূর্ণ দারুল হরব না। তবে বললে বলা যেতে পারে বা কেউ কেউ বলেনও।
এ মতের প্রবক্তারা প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন যে, মুসলিম বিশ্বের দালাল শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক কাফের গোষ্ঠীর সাথে যেসকল চুক্তি করে এসেছে – শরীয়তের মুওয়াফিক হোক কি মুখালিফ- সব ধরনের চুক্তি সহীহ হয়েছে এবং প্রতিটি মুসলিমকে তা মেনে চলতে হবে। যদি চুক্তি সহীহ না-ই হতো তাহলে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকতো না আর সকল কাফের রাষ্ট্র দারুল হরব থেকেও বের হয়েও যেতো না। চুক্তি সহীহ হয়েছে বলেই এমনটা হয়েছে। অতএব, চুক্তি সহীহ হয়নি বলার কোনো সুযোগ তাদের নেই।
কাফেরগোষ্ঠীর সাথে কি কি চুক্তি হয়েছে?
যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর অন্যতম হলো,
- মুসলিমদেরকে তাদের রব প্রদত্ত ধর্ম ইসলামের বিপরীতে কুফরি ধর্মের নিয়মকানুন এবং কাফের মুরতাদ ও ধর্মনিরপেক্ষদের বানানো মনগড়া আইনকানুন দিয়ে শাসন করতে হবে।
- যেকোনো মূল্যে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েমের সকল আন্দোলন ও প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিতে হবে। আন্দোলনকারীদের জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দেশদ্রোহী ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষিত করে জঘন্য অপরাধী সাব্যস্ত করতে হবে এবং যেকোনো মূল্যে তাদেরকে নাস্তানুবাদ করতে হবে। হ্যাঁ, গৃহপালিত ও নামসর্বস্ব কিছু ইসলামী দল রাখতে অসুবিধে নেই, যারা নামে ইসলামিক, কাজে-কর্মে গণতান্ত্রিক।
- সন্ত্রাস দমনের নামে কুফরি বিশ্ব ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যখন ও যেখানে যুদ্ধে নামবে, দালাল শাসকগোষ্ঠী তাদের সমর্থন করবে এবং সর্বপ্রকার সহায়তা করবে।
- যত জায়গায় মুসলিমদের উপর নির্যাতন আসবে, সেগুলোকে উক্ত ভূখণ্ডগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চালাতে হবে এবং দালাল শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের সহায়তার জন্য সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এবং অপরাপর মুসলমানদেরকেও করতে দেবে না।
- কোনো মুসলিম দেশ কোনো কাফের দেশে জিহাদের নামে বা অন্য কোনো ইস্যু ধরে আক্রমণ চালাতে পারবে না বা কেউ আক্রমণ চালালে সহায়তা করতে পারবে না, বরং প্রতিরোধ করবে।
এগুলো মৌলিক কিছু পয়েন্ট। এগুলোর বাস্তবতা আমরা এক শতক ধরেই দেখে আসছি।
পরিণতিতে:
- মুসলিম বিশ্ব থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জিহাদ সম্পূর্ণ উৎখাত হয়েছে এবং জিহাদ সবচেয়ে বড় অপরাধে পরিণত হয়েছে, যার অপরাধীরা কোনোভাবেই মাফ পাওয়ার যোগ্য নয়।
- মুসলিমরা আজ রবের শরীয়তের পরিবর্তে নিকৃষ্ট জন্তু জানোয়ারদের বানানো কুফরি আইনকানুনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
- বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে মুসলিমরা নির্যাতিত। দালাল শাসকগোষ্ঠী সেগুলোকে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চুপ করে আছে। বরং সমর্থন করে যাচ্ছে এবং সর্বপ্রকার সহায়তা করে যাচ্ছে।
- যারা নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়াতে চাচ্ছে বা শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন ও জিহাদে নামতে চাচ্ছে তারা জঘন্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে এবং সমগ্র বিশ্বের আগ্রাসনের একক টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
মোটামুটি এগুলো চুক্তির মৌলিক ফলাফল।
উপরোল্লিখিত চুক্তি এবং সেসব চুক্তির উপরোল্লিখিত ফলাফলের পরিণতিতে সকল কাফের রাষ্ট্র দারুল হরব থেকে বেরিয়ে গেছে। আজ যারা মুসলিমদের কর্ণধার বলে সমাজে পরিচিত তাদের বক্তব্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সারকথা এটাই।
একটি আপত্তি
হয়তো কেউ আপত্তি করবেন যে, তারা বলেছেন দারুল হরব রয়নি। কিন্তু তাই বলে যে সেগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদ হারাম হয়ে গেছে তা তো জরুরী নয়। দারুল হরব না হলেও তো জিহাদ হতে পারে। যেমন বাগী ও খাওয়ারেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হয়। তাদের এলাকা তো দারুল হরব হয়ে যায়নি।
জওয়াব
কল্পনার প্রাসাদ নির্মাণ করে লাভ নেই। আকলপ্রসূত নতিজা অনেক বের করা যাবে; বাস্তবতা এর বিপরীত। যারা বলেছেন দারুল হরব রয়নি, তারা কখনও এ অর্থে বলেন না যে, সেগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদ জায়েয। দারুল হরব থেকে বের করার মূল মাকসাদই তো জিহাদ হারাম করা। নয়তো দারুল হরব থেকে বের করার কি ফায়েদা আছে তাদের কাছে? তাদের কেউ কেউ তো স্পষ্ট করেই বলেছেন, সেগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদ হারাম। বরং সেসব কাফের রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বানও মুসলিমদের তারা জানিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ তো আরো এগিয়ে বলেছেন, আমেরিকার পক্ষ হয়ে আফগান তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আমেরিকার মুসলমানদের জন্য জায়েয। নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক।
পর্যালোচনা
কর্ণধারদের বক্তব্য ও বক্তব্যের ফলাফল আমরা দেখলাম। এবার শরীয়তের আলোকে আমরা একটু পর্যালোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
এক.
চুক্তি মুসলমানদের উপর বর্তানোর জন্য চুক্তিকারী ঈমানদার হতে হবে। আর বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বেঈমান। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَلَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكَافِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا
“আল্লাহ কিছুতেই কাফেরদের জন্য মু’মিনদের উপর কোন (কর্তৃত্বের) পথ রাখবেন না।” –নিসা ১৪১কাসানী রহ. (৫৮৭হি.) বলেন,
ومنها: الإسلام، فلا يصح أمان الكافر. اهـ
“আমান (শান্তি চুক্তি) সহীহ হওয়ার আরেক শর্ত হল- আমানদাতা (চুক্তিকারী) মুসলমান হওয়া। কাজেই কাফেরের আমান (চুক্তি) সহীহ নয়।” -বাদায়িউস সানায়ি’: ১৫/৩০৪তারা হয়তো এর জওয়াবে বলবেন, আমরা শাসকদের কাফের মনে করি না। উলূল আমর মনে করি। খলিফা-সুলতান মনে করি।
তখন দ্বিতীয় পয়েন্ট আসবে:
দুই.
চুক্তিকারীরা মুসলমানদের প্রতিনিধি নয়। মুসলমানরা তাদেরকে নিজেদের প্রতিনিধি বানায়নি। তারা নিজেরাই অস্ত্রবলে কাফেরদের সাথে আঁতাত করে মুসলমানদের উপর চেপে বসেছে এবং সুবিধামতো চুক্তি করে এসেছে। চুক্তির বিষয়াশয় মুসলমানদের সামনে পেশ করলে নিশ্চিত যে, জনসাধারণ এ ধরনের চুক্তি মানতো না।
এর উত্তরে হয়তো সহজেই তারা বলবেন, অস্ত্রবলে চেপে বসলেও খলিফা হয়ে যায়। আর খলিফার চুক্তি জনসাধারণের জন্য পালনীয়।
আমরা অবশ্য মেনে নিতে পারি না যে, চেপে বসলেই খলিফা হয়ে যায়। কেননা, খলিফা হওয়ার জন্য শরীয়ত কায়েম করা শর্ত। যেমনটা হাদিসে এসেছে,
ولو استعمل عليكم عبد يقودكم بكتاب الله فاسمعوا له وأطيعوا
“যদি তোমাদের উপর কোনো গোলামকেও আমীর বানানো হয়, যে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী পরিচালনা করে, তাহলে তোমরা তার কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করবে।” –সহীহ মুসলিম ৪৮৬৪অতএব, যে আমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী পরিচালনা করবে না, কুফুর দিয়ে শাসন করবে সে আমাদের কেউ নয়। সে আমাদের, আমাদের ধর্মের এবং আমাদের রবের দুশমন। তাগুত।
কথা প্রসঙ্গে যদি মেনেও নেই যে, তারা মুসলমানদের উলূল আমর তবুও আপত্তি কাটছে না-
তিন.
চুক্তি সহীহ হওয়ার জন্য চুক্তি শরীয়ত অনুযায়ী হতে হবে। শরীয়ত বিরোধী চুক্তি শত হাজারো বার করলেও সহীহ নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَهُوَ بَاطِلٌ، وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ
“আল্লাহর কিতাবে নেই এমন যে কোন শর্তই বাতিল; যদিও শত শর্ত হয়।” -সহীহ্ বুখারী, হাদিস নং ২১৬৮ অন্য হাদিসে ইরশাদ করেন,
«الصلح جائز بين المسلمين، إلا صلحا حرم حلالا، أو أحل حراما، والمسلمون على شروطهم، إلا شرطا حرم حلالا، أو أحل حراما» [رواه الترمذي (1352) وقال: هذا حديث حسن صحيح]
“মুসলমানদের পরস্পরে সন্ধি বৈধ। তবে এমন সন্ধি নয়, যা কোন হালালকে হারাম করে বা কোন হারামকে হালাল করে। মুসলমানগণ তাদের কৃত শর্ত মেনে চলবে। তবে এমন শর্ত নয় যা কোন হালালকে হারাম করে বা হারামকে হালাল করে।” -সুনানে তিরমিযি, হাদিস নং ১৩৫২; আলমু’জামুল কাবীর- তাবারানী, ১৭/২২ইমাম সারাখসী রহ. (৪৯০হি.) বলেন,
فإن أعطي الصلح والذمة على هذا بطل من شروطه ما لا يصلح في الإسلام لقوله - صلى الله عليه وسلم - «كل شرط ليس في كتاب الله فهو باطل» -المبسوط 10\85
“যদি এসব (বাতিল শর্তে) সন্ধি ও যিম্মার চুক্তি করে তাহলে শরীয়তে সহীহ নয় এমন সকল শর্ত বাতিল বলে গণ্য হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর কিতাবে নেই এমন সকল শর্তই বাতিল’।” –মাবসূত ১০/৮৫শাসকগোষ্ঠী যদি চুক্তি করে আসে যে, মুসলমানরা নামায পড়তে পারবে না, রোযা রাখতে পারবে না, তাদের মেয়েদেরকে যিনার বাজারে বিকিয়ে দিতে হবে: আশাকরি কর্ণধারগণও মানবেন না যে এগুলো সহীহ হবে এবং মুসলামনদের মেনে চলতে হবে।
যেসব শর্তের ভিত্তিতে কর্ণধারগণ কাফের রাষ্ট্রগুলোকে দারুল হরব থেকে বের করতে চাচ্ছেন সেসব শর্তের প্রত্যেকটাই শরীয়ত বিরোধী। আজীবনের জন্য জিহাদ বন্ধ করে দেয়া ও জিহাদকে অপরাধ সাব্যস্ত করা, শরীয়ত প্রত্যাখ্যান করে কুফরি আইন দিয়ে শাসন করা, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা দেয়া, মুসলমানদেরকে কাফেরদের জুলুমে ঠেলে দেয়া- এসব শর্ত যে শুধু শরীয়ত বিরোধী তাই নয়, বরং কুফর। এ ধরনের চুক্তি সহীহ বলার কোনো সুযোগ নেই। আর মুসলমানদের জন্য মেনে চলা আবশ্যক হওয়ার তো প্রশ্নই নেই। আশাকরি কর্ণধারগণও এ ব্যাপারে দ্বিমত করবেন না।
চার.
এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই যে, চুক্তি হতে হবে মুসলমানদের স্বার্থে। যে চুক্তি মুসলমানদের স্বার্থের বিপরীত হবে তা মুসলমানদের উপর বর্তাবে না। মুসলমানরা তা মানতে বাধ্য নয়। মাওসিলি রহ. (৬৮৩হি.) বলেন,
والمعتبر في ذلك مصلحة الإسلام والمسلمين، فيجوز عند وجود المصلحة دون عدمها
“চুক্তির ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হলো ইসলাম ও মুসলমানদের মাসলাহাত। মাসলাহাত থাকলে জায়েয, অন্যথায় জায়েয নয়।” –আলইখতিয়ার ৪/১২১শাসকগোষ্ঠী যে কাফেরদের দালাল এবং তাদের সকল চুক্তি যে কাফেরদের স্বার্থে তা চক্ষুষ্মান কারো কাছে অস্পষ্ট নয়। বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের অবস্থার দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই যে কেউ তা অনুধাবন করতে পারবে।
পাঁচ.
কাফেরদের সাথে কি কি চুক্তি কি কি শর্তে হতে হবে এগুলো শরীয়তে স্পষ্ট। সেসব শর্তে যদি সহীহ চুক্তিও করা হয়, তাহলেও যে দারুল হরব দারুল হরব থেকে বের হয়ে যায় এমন কোনো দলীল কুরআন হাদিসে নেই, আইম্মায়ে মুসলিমিনের কেউ এ কথা বলেছেন বলেও আমার জানা নেই।
অধিকন্তু কাফেররা যখন মুসলমানদের উপর আগ্রাসন চালাবে, তাদের ভূমি দখল করে নেবে, তাদের সম্পদ লুট করবে, তাদের ইজ্জত-আব্রু ও জান-মাল নষ্ট করবে, তাদের ধর্ম মানতে বাধা দেবে এবং কুফরি আইন মানতে বাধ্য করবে তখনও যে চুক্তি বহাল থাকবে এমনও তো কোনো কথা নেই। চুক্তি তো আর এমন কোন বস্তু নয় যে, একবার হয়ে গেলে কেয়ামত পর্যন্ত আর ভাঙবে না। চুক্তি হয়েই থাকে মুসলমানদের জান, মাল, ইজ্জত-আব্রু ও দ্বীন-ধর্ম রক্ষার্থে। যখন এগুলোর উপর আগ্রাসন আসবে তখন তো আর চুক্তি বহাল থাকার কোনো অর্থ নেই।
ছয়.
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, শাসকগোষ্ঠী কখনও বলে না যে, তারা শরীয়ত মোতাবেক চুক্তি করেছে তাই জনগণকে তা মানতে হবে। তারা শরীয়তের ধার ধারে না। শরীয়ত তাদের কাছে অচল। তারা শরীয়তের অনুসারিও নয়, শরীয়তের কোনো জায়গা তাদের শাসনের নীতিমালায় নেইও। তারা রাষ্ট্র চালায় সমাজতন্ত্র, পূঁজিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের কুফরি নীতির আলোকে। কিন্তু কর্ণধারগণ নিজেদের দায় অন্যের পিঠে চাপাতে বারবার বলে বেড়ায় এবং ঠেলেঠুলে প্রমাণ করতে চায় যে, এসব শাসক আমাদের উলূল আমর। আমরা এখন দায়িত্বমুক্ত। শাসকরা যা বলবে তাই আমাদের মাননীয়, পালনীয়। আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই।
আসলে নিজেদের দায়সারা করতেই এ শোরগোল। কিংবা নিজেদের গদি ঠিক রাখতে। কিংবা পিঠ বাঁচাতে। কিংবা …..।
যারা চুক্তি করেছে তারা চুক্তির যোগ্য নয়, যেসব শর্তে চুক্তি হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী, বরং শরীয়তের কোনো ধারই ধারা হয়নি, চুক্তি সম্পূর্ণ কাফেরদের মাসলাহাত ও কল্যাণে আর মুসলিমদের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র- তখন সে চুক্তি কিভাবে সহীহ হলো আর সেগুলোর আলোকে কিভাবেই বা সকল দারুল হরব মূহুর্তে তার অস্তিত্ব হারাল বুঝতে পারলাম না।
কর্ণধারগণ অবশ্য তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো দলীল দেন না।
এ মোটামুটি হাকিকত। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
Comment