করোনা থেকে মুমিনের শিক্ষা ও আশু আশঙ্কা :
পুরো পৃথিবীর মানুষ আজ করোনার ভয়ে আতঙ্কিত। পরাশক্তি থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্বের গরিব রাষ্ট্রগুলোও নব-আবির্ভূত এ ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। একে একে পৃথিবীর সব যোগাযোগব্যবস্থা, অর্থনৈতিকব্যবস্থা, চিকিৎসাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে। বন্দী হয়ে পড়ছে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে কৃষক-মজুর সকল শ্রেণির মানুষ। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাইরাস বা মহামারী পূর্বেও অনেক এসেছে, কিন্তু পুরো পৃথিবী এভাবে একসাথে স্থবির হয়ে পড়েনি কখনো। এখনো আমরা পুরোপুরি অনুমান করতে পারছি না যে, এর রোখ কোনদিকে! অন্ধকার এক ফিতনার রূপ মনে হচ্ছে, যার পেছনে আছে বহু অনিষ্ট। আরও কিছুদিন পার হলে এ ব্যাপারে একটি সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করি।
এ মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষের ভীতি ও ছুটোছুটি দেখে ভাবছি কুরআনে বর্ণিত কিয়ামতের 'আল-ফাঝাউল আকবার' বা মহাভীতির কথা। যেদিন অবস্থা এতটাই বিভীষিকাময় হবে যে, সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, আল্লাহর প্রিয় রাসুল ও নিকটবর্তী ফেরেশতাগণ পর্যন্ত ভয়ে কাঁপতে থাকবেন। সেদিনের ভয়াবহতা এতটাই মারাত্মক হবে যে, নিজের সন্তান বা মা-বাবার বিনিময়ে হলেও সে কঠিন অবস্থা থেকে মানুষ বাঁচতে চাইবে। কেউ কারও পরিচয় স্বীকার করবে না। কেবল নিজেকে নিয়েই ভাববে সবাই। সেদিনের ভয়াবহ অবস্থার তুলনায় আজকের এ ভীতি তো অতিনগণ্য, একেবারেই তুচ্ছ। তাই মুমিনদের উচিত নয়, এ বিপর্যয়ে মুষড়ে পড়া। বরং আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ ও তাওবা-ইসতিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার এ এক মোক্ষম সুযোগ। যা বুদ্ধিমান কোনো মুমিন হাতছাড়া করতে পারে না।
মানুষ আজ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য এদিক থেকে সেদিক ছুটোছুটি করছে, ছোট থেকে বড় সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হায়! যদি এর এক শতাংশ প্রস্তুতিও তারা কিয়ামতের 'আল-ফাঝাউল আকবার' এর জন্য নিত, এর সামান্যতম প্রস্তুতি যদি তারা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য নিত, তাহলে কতই না উত্তম হতো! এতে করে তাদের আখিরাত হতো সাফল্যময়, আর দুনিয়া হতো শান্তিময়। কিন্তু নাহ, মানুষ দুনিয়ার মোহে পড়ে মৃত্যুকে যতটা ভয় পায়, আখিরাতকে তার কিঞ্চিৎ পরিমাণও ভয় করে না। বস্তুত মানুষের পার্থিব ভোগবিলাস ও উপায়-উপকরণ যত বেশি হবে, দুনিয়ার প্রতি তার মোহও তত গাঢ় হবে। আর এজন্যই আজ করোনার জন্য মানুষ যতটা না উদগ্রীব, মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য সে তুলনায় সামান্যতমও চিন্তিত নয়।
করোনা বিষয়ে আমি এখন এমন কিছু দিক ভাবছি, যে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ গাফিল। এখনো শিওর হতে পারিনি, তাই এ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছি। তবে এ পর্যন্ত যতটুকু আপডেট পাচ্ছি, আমার ধারণাই বাস্তব বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমি কামনা ও দুআ তো করি, আমার ধারণা বাস্তবায়িত না হোক। কিন্তু পরিস্থিতি ও অন্তর বলছে, ঘটনা সেদিকেই কেমন যেন এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাকদিরের লিখন আমরা কেউই এড়াতে পারব না। ভয় পাচ্ছি এজন্য যে, যদি আমার ধারণা সত্যিই হয়ে যায়, তাহলে তার সামান্য কোনো প্রস্তুতিও আমার নেই; অথচ তা হবে জীবনের সবচেয়ে বড় ও কঠিন পরীক্ষা। আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা ও আফিয়াত কামনা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন এবং বিশুদ্ধ আকিদা ও ইমানের ওপর অটল রেখে শহিদি মৃত্যু দান করুন।
সংগৃহীত
পুরো পৃথিবীর মানুষ আজ করোনার ভয়ে আতঙ্কিত। পরাশক্তি থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্বের গরিব রাষ্ট্রগুলোও নব-আবির্ভূত এ ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। একে একে পৃথিবীর সব যোগাযোগব্যবস্থা, অর্থনৈতিকব্যবস্থা, চিকিৎসাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে। বন্দী হয়ে পড়ছে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে কৃষক-মজুর সকল শ্রেণির মানুষ। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাইরাস বা মহামারী পূর্বেও অনেক এসেছে, কিন্তু পুরো পৃথিবী এভাবে একসাথে স্থবির হয়ে পড়েনি কখনো। এখনো আমরা পুরোপুরি অনুমান করতে পারছি না যে, এর রোখ কোনদিকে! অন্ধকার এক ফিতনার রূপ মনে হচ্ছে, যার পেছনে আছে বহু অনিষ্ট। আরও কিছুদিন পার হলে এ ব্যাপারে একটি সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করি।
এ মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষের ভীতি ও ছুটোছুটি দেখে ভাবছি কুরআনে বর্ণিত কিয়ামতের 'আল-ফাঝাউল আকবার' বা মহাভীতির কথা। যেদিন অবস্থা এতটাই বিভীষিকাময় হবে যে, সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, আল্লাহর প্রিয় রাসুল ও নিকটবর্তী ফেরেশতাগণ পর্যন্ত ভয়ে কাঁপতে থাকবেন। সেদিনের ভয়াবহতা এতটাই মারাত্মক হবে যে, নিজের সন্তান বা মা-বাবার বিনিময়ে হলেও সে কঠিন অবস্থা থেকে মানুষ বাঁচতে চাইবে। কেউ কারও পরিচয় স্বীকার করবে না। কেবল নিজেকে নিয়েই ভাববে সবাই। সেদিনের ভয়াবহ অবস্থার তুলনায় আজকের এ ভীতি তো অতিনগণ্য, একেবারেই তুচ্ছ। তাই মুমিনদের উচিত নয়, এ বিপর্যয়ে মুষড়ে পড়া। বরং আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ ও তাওবা-ইসতিগফারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার এ এক মোক্ষম সুযোগ। যা বুদ্ধিমান কোনো মুমিন হাতছাড়া করতে পারে না।
মানুষ আজ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য এদিক থেকে সেদিক ছুটোছুটি করছে, ছোট থেকে বড় সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হায়! যদি এর এক শতাংশ প্রস্তুতিও তারা কিয়ামতের 'আল-ফাঝাউল আকবার' এর জন্য নিত, এর সামান্যতম প্রস্তুতি যদি তারা মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য নিত, তাহলে কতই না উত্তম হতো! এতে করে তাদের আখিরাত হতো সাফল্যময়, আর দুনিয়া হতো শান্তিময়। কিন্তু নাহ, মানুষ দুনিয়ার মোহে পড়ে মৃত্যুকে যতটা ভয় পায়, আখিরাতকে তার কিঞ্চিৎ পরিমাণও ভয় করে না। বস্তুত মানুষের পার্থিব ভোগবিলাস ও উপায়-উপকরণ যত বেশি হবে, দুনিয়ার প্রতি তার মোহও তত গাঢ় হবে। আর এজন্যই আজ করোনার জন্য মানুষ যতটা না উদগ্রীব, মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য সে তুলনায় সামান্যতমও চিন্তিত নয়।
করোনা বিষয়ে আমি এখন এমন কিছু দিক ভাবছি, যে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ গাফিল। এখনো শিওর হতে পারিনি, তাই এ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছি। তবে এ পর্যন্ত যতটুকু আপডেট পাচ্ছি, আমার ধারণাই বাস্তব বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমি কামনা ও দুআ তো করি, আমার ধারণা বাস্তবায়িত না হোক। কিন্তু পরিস্থিতি ও অন্তর বলছে, ঘটনা সেদিকেই কেমন যেন এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাকদিরের লিখন আমরা কেউই এড়াতে পারব না। ভয় পাচ্ছি এজন্য যে, যদি আমার ধারণা সত্যিই হয়ে যায়, তাহলে তার সামান্য কোনো প্রস্তুতিও আমার নেই; অথচ তা হবে জীবনের সবচেয়ে বড় ও কঠিন পরীক্ষা। আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা ও আফিয়াত কামনা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন এবং বিশুদ্ধ আকিদা ও ইমানের ওপর অটল রেখে শহিদি মৃত্যু দান করুন।
সংগৃহীত
Comment