তামিম আল আদনানি সাহেব সম্পর্কে সংশয় নিরসনঃ
وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصبحه أجمعين. أما بعد
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দিক বিষয় টি একটু স্পস্ট করে তুলে ধরার। আমিন , ইয়া রাব্বাল আলামিন।
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক সাহেবের ছেলে যেই বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যটি আসলে বর্তমান যমানার বিবেচনায় একটি ভিত্তিহীন মতের উপর প্রতিষ্ঠিত।
(১) কেননা উনি যেই মত টি উল্লেখ করেছেন যে মাজহুল ব্যক্তি থেকে কোন ইলম নেয়া যায় না। এটি হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি ছিল।
আর উল্লেখ্য হাদিসের ক্ষেত্রে যেই মাজহুল আর মারুফের কথা বলা হয়েছে সেটা কেবল হাদিস সংকলনের যুগের সাথেই খাস। কেননা ঐ সময়ের অবস্থাটা এমন ছিল যে তাদের সামনে রাবি অর্থাৎ হাদিস বর্ণনাকারী ব্যতিত হাদিস জানার কোন মাধ্যম ছিল না। রাবি হাদিস বর্ণনা করবে আর উনারা হাদিস শুনে নিবে তার কাছ থেকে। তাই ঐ সময় এই বিষয় টা জানা জরুরি ছিল যে, যার থেকে আমি হাদিস টি শুনেছি, সেকি সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদি, সে কি দুর্বল স্মৃতি শক্তির অধিকারি নাকি প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারি। সেকি ফাসেক নাকি নেককার। সেই কি ন্যায়পরায়ণ নাকি জালেম। এরকম আর অনেক কিছু। কেননা এগুলার উপর নির্ভর করবে তার থেকে হাদিস নেয়া যাবে নাকি যাবে না।
এখন যেহেতু তার অবস্থা আমার জানা নাই তাই তখন তার থেকে আমার জন্য হাদিস নিতে মানা। কেননা তার হাদিস সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। এইজন্য তৎকালীন সময়ে মাহজুল ব্যক্তি থেকে না নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবিস্কার হয়েছে রিজাল শাস্ত্র। যাতে করে হাদিসের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তির কথাকেই হাদিস হিসাবে সংকলন করা না হয়। যাচাই বাছাই করে সংকলন করা হয়। আর এভাবেই সংকলন হয়েছে সমগ্র হাদিস। ফলশ্রুতিতে কোনটা সহীহ,কোনটা হাসান, কোনটা দুর্বল আর কোনটা জাল এটা তখনি নির্ণয় হয়ে গেছে। এখন শুধু আমরা সেগুলা তাদের কিতাব থেকে দেখে নিচ্ছি।
(২)এখন আমাদের যামানার অবস্থাই শুধু না বরং যেই যুগ হাদিস সংকলনের যুগ ছিল সেই যুগের পর থেকেই উপরের মূলনীতির আর কোন দরকার হয় নি। কেননা এখন সকল হাদিসের সনদ সহ রাসুল পর্যন্ত , সাহাবি পর্যন্ত প্রমান করা হয়ে গেছে। কিতাবাদিতে তা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এখন কেউ কোন কথাকে হাদিস বলে দিলে আমদের কাজ হল কেবল, উনি কোন কিতাবের হাওয়ালাতে কথাগুলা বলেছেন সেই কিতাবের সাথে তার কথা কে মিলিয়ে নেয়া যে উনি কি ঠিক করে বলেছেন নাকি কিছু বাড়িয়ে বলেছেন বা কমিয়ে বলেছেন। অথবা তিনি হাদিস দিয়ে যেই ব্যাখ্যা করেছেন সালাফরা কি এই হাদিস দিয়ে সেই ব্যাখ্যাই করেছেন নাকি ভিন্ন কোন ব্যখ্যা করেছেন।
এখন শুধু এতটুকুই খেয়াল করার বিষয় যে কোন স্থান থেকে কথা বলেন। তিনি কি নিজের মনগড়া কথা বলেন? নাকি কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক ভাবে আলোচনা করে। সে যেই রেফারেঞ্চেগুলা দেয় সেগুলা কি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য। নাকি বানানো। মোট কথা হল এখন মাজহুল আর মারুফ সকলেই বরাবর।
এখন এই জাতীয় পার্থক্যের কথা বলে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করা কখনই সমীচিন হবে না।
وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصبحه أجمعين. أما بعد
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দিক বিষয় টি একটু স্পস্ট করে তুলে ধরার। আমিন , ইয়া রাব্বাল আলামিন।
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক সাহেবের ছেলে যেই বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যটি আসলে বর্তমান যমানার বিবেচনায় একটি ভিত্তিহীন মতের উপর প্রতিষ্ঠিত।
(১) কেননা উনি যেই মত টি উল্লেখ করেছেন যে মাজহুল ব্যক্তি থেকে কোন ইলম নেয়া যায় না। এটি হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি ছিল।
আর উল্লেখ্য হাদিসের ক্ষেত্রে যেই মাজহুল আর মারুফের কথা বলা হয়েছে সেটা কেবল হাদিস সংকলনের যুগের সাথেই খাস। কেননা ঐ সময়ের অবস্থাটা এমন ছিল যে তাদের সামনে রাবি অর্থাৎ হাদিস বর্ণনাকারী ব্যতিত হাদিস জানার কোন মাধ্যম ছিল না। রাবি হাদিস বর্ণনা করবে আর উনারা হাদিস শুনে নিবে তার কাছ থেকে। তাই ঐ সময় এই বিষয় টা জানা জরুরি ছিল যে, যার থেকে আমি হাদিস টি শুনেছি, সেকি সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদি, সে কি দুর্বল স্মৃতি শক্তির অধিকারি নাকি প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারি। সেকি ফাসেক নাকি নেককার। সেই কি ন্যায়পরায়ণ নাকি জালেম। এরকম আর অনেক কিছু। কেননা এগুলার উপর নির্ভর করবে তার থেকে হাদিস নেয়া যাবে নাকি যাবে না।
এখন যেহেতু তার অবস্থা আমার জানা নাই তাই তখন তার থেকে আমার জন্য হাদিস নিতে মানা। কেননা তার হাদিস সত্যও হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। এইজন্য তৎকালীন সময়ে মাহজুল ব্যক্তি থেকে না নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবিস্কার হয়েছে রিজাল শাস্ত্র। যাতে করে হাদিসের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তির কথাকেই হাদিস হিসাবে সংকলন করা না হয়। যাচাই বাছাই করে সংকলন করা হয়। আর এভাবেই সংকলন হয়েছে সমগ্র হাদিস। ফলশ্রুতিতে কোনটা সহীহ,কোনটা হাসান, কোনটা দুর্বল আর কোনটা জাল এটা তখনি নির্ণয় হয়ে গেছে। এখন শুধু আমরা সেগুলা তাদের কিতাব থেকে দেখে নিচ্ছি।
(২)এখন আমাদের যামানার অবস্থাই শুধু না বরং যেই যুগ হাদিস সংকলনের যুগ ছিল সেই যুগের পর থেকেই উপরের মূলনীতির আর কোন দরকার হয় নি। কেননা এখন সকল হাদিসের সনদ সহ রাসুল পর্যন্ত , সাহাবি পর্যন্ত প্রমান করা হয়ে গেছে। কিতাবাদিতে তা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এখন কেউ কোন কথাকে হাদিস বলে দিলে আমদের কাজ হল কেবল, উনি কোন কিতাবের হাওয়ালাতে কথাগুলা বলেছেন সেই কিতাবের সাথে তার কথা কে মিলিয়ে নেয়া যে উনি কি ঠিক করে বলেছেন নাকি কিছু বাড়িয়ে বলেছেন বা কমিয়ে বলেছেন। অথবা তিনি হাদিস দিয়ে যেই ব্যাখ্যা করেছেন সালাফরা কি এই হাদিস দিয়ে সেই ব্যাখ্যাই করেছেন নাকি ভিন্ন কোন ব্যখ্যা করেছেন।
এখন শুধু এতটুকুই খেয়াল করার বিষয় যে কোন স্থান থেকে কথা বলেন। তিনি কি নিজের মনগড়া কথা বলেন? নাকি কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক ভাবে আলোচনা করে। সে যেই রেফারেঞ্চেগুলা দেয় সেগুলা কি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য। নাকি বানানো। মোট কথা হল এখন মাজহুল আর মারুফ সকলেই বরাবর।
এখন এই জাতীয় পার্থক্যের কথা বলে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করা কখনই সমীচিন হবে না।
Comment