তাগুতের প্রকারভেদ:
.
শাইখ খালিদ বিন আলী আল মিরদি আল গামিদি বলেন,
.
তাগুত তিন প্রকার:
.
১। طاغوت الاتباع (তাগুত আল ইত্তিবা’আ):
.
সে সকল কিছু যাকে আল্লাহ্* ব্যতীত অনুসরণ করা হয়, তা তাগুত।
.
২। طاغوت العبادة (তাগুত আল ইবাদাহ):
.
সে সকল কিছু যাকে আল্লাহ্* ব্যতীত ইবাদাত করা হয়, তা তাগুত।
.
৩। طاغوت الطاعة (তাগুত আত তা’আহ):
.
সে সকল কিছু যার কথা আল্লাহ্*কে বাদ দিয়ে মান্য করা হয়।
.
শাইখ ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন إعلام الموقعين গ্রন্থে তাগুতের সংজ্ঞা হিসেবে,
.
সে সকল কিছু যাকে দিয়ে বান্দা তার সীমা অতিক্রম করে থাকে, উপাস্য, অনুসরণকৃত অথবা যার কথা (আল্লাহকে বাদ দিয়ে) মানা হয়।
.
এ সংজ্ঞা থেকে তাগুতের প্রকারভেদ তিন প্রকার:
.
১। المعبود : (আল মা’বুদ, অর্থাৎ যাকে উপাসনা করা হয় আল্লাহ্*কে বাদ দিয়ে):
.
আল্লাহ্* বলেন,
وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَن يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَى فَبَشِّرْ عِبَادِ
.
আর যারা তাগুতের পূজা হতে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে সুসংবাদ, সুতরাং বান্দাদের সুসংবাদ দাও। (৩৯ঃ১৭)
.
قُلْ هَلْ أُنَبِّئُكُم بِشَرٍّ مِّن ذَلِكَ مَثُوبَةً عِندَ اللَّهِ مَن لَّعَنَهُ اللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ وَعَبَدَ الطَّاغُوتَ أُوْلَئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضَلُّ عَن سَوَاء السَّبِيلِ
.
বলুন (হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি কি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব এর চাইতেও অধিক নিকৃষ্ট কোন কিছুর ব্যপারে, আল্লাহর নিকট হতে পুরষ্কার প্রসঙ্গেঃ যাকে আল্লাহ্* অভিসম্পাত করেছেন এবং তার উপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন, এবং তাদের মধ্য হতে বানর এবং শুকর বানিয়েছেন এবং তারা তাগুতের ইবাদাত করেছিল। এরাই হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থানের এবং সত্য পথ হতে অধিকতর বিচ্যুত।(৫ঃ৬০)
.
২। المتبوع (আল মাতবু’ অর্থাৎ যাকে অনুসরণ করা হয় আল্লাহ্*কে বাদ দিয়ে):
.
আল্লাহ বলেন,
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُواْ يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ
.
আল্লাহ্* তাদের অভিভাবক, যারা বিশ্বাস এনেছে। তিনি তাদের অন্ধকার হতে বের করে আনেন আলোতে। আর যারা অবিশ্বাস করে, তাদের অভিভাবক তাগুতেরা, যারা তাদের আলো হতে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। (২ঃ২৫৭)
.
الَّذِينَ آمَنُواْ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُواْ أَوْلِيَاء الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
.
যারা বিশ্বাস এনেছে তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাস্তায় আর যারা অবিশ্বাস করেছে তারা যুদ্ধ করে তাগুতের রাস্তায়, সুতরাং শয়তানের সহযোগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত দূর্বল। (৪ঃ৭৬)
.
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُواْ نَصِيبًا مِّنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ هَؤُلاء أَهْدَى مِنَ الَّذِينَ آمَنُواْ سَبِيلاً
.
আপনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি লক্ষ্য করেন না তাদের প্রতি যাদেরকে গ্রন্থের একাংশ দেওয়া হয়েছে? তারা জিবত এবং তাগুতের উপাসনা করে এবং অবিশ্বাসীদের বলে যে (অনুসরণ করবার) পথ প্রসঙ্গে বিশ্বাসীদের অপেক্ষা তারাই অধিক হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত। (৪ঃ৫১)
.
(অনুবাদকঃ উলামারা جبت (জিবত) এর অর্থের ব্যপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব, ইবনু আব্বাস, প্রমুখ বলেন, জিবত হচ্ছে জাদু। ইবনু আব্বাস আবার আরেক রিওয়ায়াতে শয়তানকে জিবত বলেছেন। আবার আরেক রিওয়ায়াতে শিরক বলেছেন। আবার আরেক রিওয়ায়াতে মূর্তি বলেছেন। শু’বা একে গণক বলেছেন)।
.
৩। المتاع و المتحاكم إليه (আল মাতা’ ওয়াল মুতাহাকিম ইলাইহি, অর্থাৎ যাকে মান্য করা হয় এবং বিচার আচারের জন্যে তার নিকট যাওয়া হয়):
.
আল্লাহ বলেন,
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُواْ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُواْ إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُواْ أَن يَكْفُرُواْ بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُضِلَّهُمْ ضَلالاً بَعِيدًا
.
আপনি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করেন না, যারা দাবী করে যে তারা বিশ্বাস এনেছে তার উপর যা আপনার উপর এবং আপনার পূর্ব্বর্তীগণের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। তারা তাগুতের নিকট তাদের বিচার আচার নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের আদেশ করা হয়েছে যেন তাকে (তাগুতকে) তারা অবিশ্বাস করে। আর শয়তান চায় যে সে যেন তাদের সঠিক পথবিচ্যুত করে বহু দূরে নিয়ে যায়।(৪ঃ৬০)
.
তাগুতের মাথা:
.
ইবনু সাহমান বলেন, হুকুমের তাগুত, ইবাদাতের তাগুত, মান্য করবার ক্ষেত্রে তাগুত আর অনুসরণ করবার ক্ষেত্রে তাগুত। দাওয়াতের ইমাম (শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহহাব রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এদের মাথা পাঁচটি:
.
১। শয়তান
.
২। (আল্লাহর শারীয়াত বাদ দিয়ে) নতুন শারীয়াত প্রদানকারী
.
৩। সে বিচারক যে আল্লাহ্* যা নাযিল করেছেন তা ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে বিচার করে
.
৪। অদৃশ্যের জ্ঞানের দাবীদার
.
৫। উলুহিয়্যাতের দাবীদার এমন কেউ নিজেকে ইবাদাত করবার দাওয়াত দেয় অথবা যে এতে খুশী।
.
তাগুতের ধরন:
১। الجماد (নিরেট): উদাহরণ স্বরূপ মূর্তি, (আল্লাহর বিরুদ্ধে) আইনের বিচারালয়, টেলিভিশন এবং সে সকল কিছু যা আল্লাহর দীনের পথের বাধা। এ কারণেই الات (আল লাত, কুরাঈশদের জাহিলি জমানার উপাস্য) এবং الخلصة (আল খালসাহ, কাবা ঘরে এ মূর্তিটি রাখা ছিল) কেও তাগুত বলা হয়েছে।
.
২। الاحياء و العاقل (জীবিত এবং বুদ্ধি সম্পন্ন): এদের মধ্যে রয়েছে শয়তান, জাদুকর, উলুহিয়্যাতের অধিকার এবং অদৃশ্যের জ্ঞানের দাবীদার।
.
৩। الأمور المعنوية (ভাবগত অর্থে বিষয় সমূহ): বস্তুতঃ সে সকল কিছু যা আল্লাহর দ্বীনের এবং তাঁকে (আল্লাহকে) ইবাদাত করবার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়, তাকেই তাগুত বলা হয়। ইবনুল কায়্যিম المجاز (উপমা) এবং التؤويل (মনগড়া ব্যাখ্যা) কেও তাগুত বলেছেন। এবং অনুরূপ বিষয়সমূহ আমাদের জমানাতে তাগুতের গন্ডিভূক্ত।
.
সুত্র: আল আকিদাতুল ইসলামিয়্যাহ
মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনু
ব্যাখ্যা সংকলনঃ আবু হাযম মুহাম্মাদ সাকিব চৌধুরী বিন শামস আদ দীন আশ শাতকানী
স্বত্বাধিকারীর অনুমতিদাতাঃ যুলফিকার ইবরাহীম মেমোন আল আথারী।
.
শাইখ খালিদ বিন আলী আল মিরদি আল গামিদি বলেন,
.
তাগুত তিন প্রকার:
.
১। طاغوت الاتباع (তাগুত আল ইত্তিবা’আ):
.
সে সকল কিছু যাকে আল্লাহ্* ব্যতীত অনুসরণ করা হয়, তা তাগুত।
.
২। طاغوت العبادة (তাগুত আল ইবাদাহ):
.
সে সকল কিছু যাকে আল্লাহ্* ব্যতীত ইবাদাত করা হয়, তা তাগুত।
.
৩। طاغوت الطاعة (তাগুত আত তা’আহ):
.
সে সকল কিছু যার কথা আল্লাহ্*কে বাদ দিয়ে মান্য করা হয়।
.
শাইখ ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন إعلام الموقعين গ্রন্থে তাগুতের সংজ্ঞা হিসেবে,
.
সে সকল কিছু যাকে দিয়ে বান্দা তার সীমা অতিক্রম করে থাকে, উপাস্য, অনুসরণকৃত অথবা যার কথা (আল্লাহকে বাদ দিয়ে) মানা হয়।
.
এ সংজ্ঞা থেকে তাগুতের প্রকারভেদ তিন প্রকার:
.
১। المعبود : (আল মা’বুদ, অর্থাৎ যাকে উপাসনা করা হয় আল্লাহ্*কে বাদ দিয়ে):
.
আল্লাহ্* বলেন,
وَالَّذِينَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوتَ أَن يَعْبُدُوهَا وَأَنَابُوا إِلَى اللَّهِ لَهُمُ الْبُشْرَى فَبَشِّرْ عِبَادِ
.
আর যারা তাগুতের পূজা হতে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে সুসংবাদ, সুতরাং বান্দাদের সুসংবাদ দাও। (৩৯ঃ১৭)
.
قُلْ هَلْ أُنَبِّئُكُم بِشَرٍّ مِّن ذَلِكَ مَثُوبَةً عِندَ اللَّهِ مَن لَّعَنَهُ اللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ وَعَبَدَ الطَّاغُوتَ أُوْلَئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضَلُّ عَن سَوَاء السَّبِيلِ
.
বলুন (হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি কি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব এর চাইতেও অধিক নিকৃষ্ট কোন কিছুর ব্যপারে, আল্লাহর নিকট হতে পুরষ্কার প্রসঙ্গেঃ যাকে আল্লাহ্* অভিসম্পাত করেছেন এবং তার উপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন, এবং তাদের মধ্য হতে বানর এবং শুকর বানিয়েছেন এবং তারা তাগুতের ইবাদাত করেছিল। এরাই হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থানের এবং সত্য পথ হতে অধিকতর বিচ্যুত।(৫ঃ৬০)
.
২। المتبوع (আল মাতবু’ অর্থাৎ যাকে অনুসরণ করা হয় আল্লাহ্*কে বাদ দিয়ে):
.
আল্লাহ বলেন,
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُواْ يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ
.
আল্লাহ্* তাদের অভিভাবক, যারা বিশ্বাস এনেছে। তিনি তাদের অন্ধকার হতে বের করে আনেন আলোতে। আর যারা অবিশ্বাস করে, তাদের অভিভাবক তাগুতেরা, যারা তাদের আলো হতে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। (২ঃ২৫৭)
.
الَّذِينَ آمَنُواْ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُواْ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُواْ أَوْلِيَاء الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
.
যারা বিশ্বাস এনেছে তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাস্তায় আর যারা অবিশ্বাস করেছে তারা যুদ্ধ করে তাগুতের রাস্তায়, সুতরাং শয়তানের সহযোগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত দূর্বল। (৪ঃ৭৬)
.
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُواْ نَصِيبًا مِّنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ هَؤُلاء أَهْدَى مِنَ الَّذِينَ آمَنُواْ سَبِيلاً
.
আপনি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি লক্ষ্য করেন না তাদের প্রতি যাদেরকে গ্রন্থের একাংশ দেওয়া হয়েছে? তারা জিবত এবং তাগুতের উপাসনা করে এবং অবিশ্বাসীদের বলে যে (অনুসরণ করবার) পথ প্রসঙ্গে বিশ্বাসীদের অপেক্ষা তারাই অধিক হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত। (৪ঃ৫১)
.
(অনুবাদকঃ উলামারা جبت (জিবত) এর অর্থের ব্যপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব, ইবনু আব্বাস, প্রমুখ বলেন, জিবত হচ্ছে জাদু। ইবনু আব্বাস আবার আরেক রিওয়ায়াতে শয়তানকে জিবত বলেছেন। আবার আরেক রিওয়ায়াতে শিরক বলেছেন। আবার আরেক রিওয়ায়াতে মূর্তি বলেছেন। শু’বা একে গণক বলেছেন)।
.
৩। المتاع و المتحاكم إليه (আল মাতা’ ওয়াল মুতাহাকিম ইলাইহি, অর্থাৎ যাকে মান্য করা হয় এবং বিচার আচারের জন্যে তার নিকট যাওয়া হয়):
.
আল্লাহ বলেন,
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُواْ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُواْ إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُواْ أَن يَكْفُرُواْ بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُضِلَّهُمْ ضَلالاً بَعِيدًا
.
আপনি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করেন না, যারা দাবী করে যে তারা বিশ্বাস এনেছে তার উপর যা আপনার উপর এবং আপনার পূর্ব্বর্তীগণের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। তারা তাগুতের নিকট তাদের বিচার আচার নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের আদেশ করা হয়েছে যেন তাকে (তাগুতকে) তারা অবিশ্বাস করে। আর শয়তান চায় যে সে যেন তাদের সঠিক পথবিচ্যুত করে বহু দূরে নিয়ে যায়।(৪ঃ৬০)
.
তাগুতের মাথা:
.
ইবনু সাহমান বলেন, হুকুমের তাগুত, ইবাদাতের তাগুত, মান্য করবার ক্ষেত্রে তাগুত আর অনুসরণ করবার ক্ষেত্রে তাগুত। দাওয়াতের ইমাম (শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহহাব রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এদের মাথা পাঁচটি:
.
১। শয়তান
.
২। (আল্লাহর শারীয়াত বাদ দিয়ে) নতুন শারীয়াত প্রদানকারী
.
৩। সে বিচারক যে আল্লাহ্* যা নাযিল করেছেন তা ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে বিচার করে
.
৪। অদৃশ্যের জ্ঞানের দাবীদার
.
৫। উলুহিয়্যাতের দাবীদার এমন কেউ নিজেকে ইবাদাত করবার দাওয়াত দেয় অথবা যে এতে খুশী।
.
তাগুতের ধরন:
১। الجماد (নিরেট): উদাহরণ স্বরূপ মূর্তি, (আল্লাহর বিরুদ্ধে) আইনের বিচারালয়, টেলিভিশন এবং সে সকল কিছু যা আল্লাহর দীনের পথের বাধা। এ কারণেই الات (আল লাত, কুরাঈশদের জাহিলি জমানার উপাস্য) এবং الخلصة (আল খালসাহ, কাবা ঘরে এ মূর্তিটি রাখা ছিল) কেও তাগুত বলা হয়েছে।
.
২। الاحياء و العاقل (জীবিত এবং বুদ্ধি সম্পন্ন): এদের মধ্যে রয়েছে শয়তান, জাদুকর, উলুহিয়্যাতের অধিকার এবং অদৃশ্যের জ্ঞানের দাবীদার।
.
৩। الأمور المعنوية (ভাবগত অর্থে বিষয় সমূহ): বস্তুতঃ সে সকল কিছু যা আল্লাহর দ্বীনের এবং তাঁকে (আল্লাহকে) ইবাদাত করবার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়, তাকেই তাগুত বলা হয়। ইবনুল কায়্যিম المجاز (উপমা) এবং التؤويل (মনগড়া ব্যাখ্যা) কেও তাগুত বলেছেন। এবং অনুরূপ বিষয়সমূহ আমাদের জমানাতে তাগুতের গন্ডিভূক্ত।
.
সুত্র: আল আকিদাতুল ইসলামিয়্যাহ
মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনু
ব্যাখ্যা সংকলনঃ আবু হাযম মুহাম্মাদ সাকিব চৌধুরী বিন শামস আদ দীন আশ শাতকানী
স্বত্বাধিকারীর অনুমতিদাতাঃ যুলফিকার ইবরাহীম মেমোন আল আথারী।