Announcement

Collapse
No announcement yet.

কওমী উলামাদেরকে সাধ্যানুযায়ী প্রত্যেকের সাহায্য করা জরুরী মনে করছি।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কওমী উলামাদেরকে সাধ্যানুযায়ী প্রত্যেকের সাহায্য করা জরুরী মনে করছি।

    নিচের খবরটার আলোকে কিছু পরামর্শ:
    ১) আমাদের ভাইদের কি আহবান করা যায় নিরাপত্তা বজায় রেখে যার যার নিজ উদ্যেগে তার নিজের এলাকার কওমী উলামাদেরকে যাথাসাধ্য সহযোগীতা করতে। মিনিমাম কাউকে একবেলার ইফতার করিয়ে হলেও?
    ২) কওমী আলেমরা প্রত্যেকে তাদের মাদরাসার উদ্যেগে মাদরাসার ছাত্রদের অভিভাবক থেকে ২/৩ মাসের বেতন সাদাকা হিসেবে নিতে পারেন। যেহেতু খেদমতের ইচ্ছা থাকা সত্বেও সুযোগ হয়নি। এজন্য প্রতিটি মাদরাসা কর্তপক্ষ থেকে একটি বিকাশ নাম্বার সকল অভিভাবকের মোবাইলে সাদাকার মেসেজের সাথে জানিয়ে দেয়া যায় মনে হয়।
    ৩) পাশাপাশি যারা অর্থের বদলে খাদ্য-সামগ্রী বা ভিন্ন কিছু দিয়ে সাহা্য করতে চান তাদের কালেকশন রিসিভের জন্য বিকাশ নাম্বারেই যোগাযোগ করে মাদরাসার পক্ষ থেকে নির্ধারিত গাড়ি পাঠাতে বলা যেতে পারে। যাতে মুটামুটি বেশ কিছু অর্থ বাদে সামান্য পরিমাণ কেউ কিছু দিতে চাইলে সেই সযোগটাও যাতে তৈরী হয়।
    ৪) সম্পূর্ণ দানের সংগ্রহকে মাদরাসার গেইটের সামনে স্পষ্ট হিসাব তুলে দেয়া যেতে পারে যাতে স্বচ্ছতা থাকে।
    আল্লাহ চাইকে কিছু তো ব্যবস্থা হবে মনে হয়। আমরা নিজেরা যদি কিছু হরকত করি এবং কওমি ওলামায়ে কেরামরাও নতুন নতুন ফিকির করে যদি আগান।

    বিষয়টায় আসলে ফোরামে কিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু দীর্ঘ একটা সময় যাবত এই ধরনের নিউজ দেখছিলাম। যা উলামায়ে কেরামের জন্য আসলে খুবই কঠিন একটি অবস্থা।
    নিচের খবরটা ভাইয়েরা পড়ে দেখতে পারেন। তাহলে বাস্তব অবস্থা বুঝে আসবে ইনশা-আল্লাহ।

    [বিপদের সময়, নিজের ঘাটতির সময় সামান্য পরিমাণ সাদাকা করতে পারাটাও বিরাট কিছু। সাহাবাদের ঘটনা থেকে জেনেছিলাম তাদের দারিদ্রতার মধ্যেই তারা অন্যের উপকরা করেছেন। আমার কাছে সবচেয়ে শিহরণ লাগে শাহাদাতের সময় ৩জনেরই পানি নিজে না খেয়ে অন্যকে দিয়ে দেয়ার ঘটনাটা ]

    সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান, অবহেলিত শিক্ষকদের পাশে নেই কেউ

    May 7, 2020 / 04:41pm

    সুফিয়ান ফারাবী
    স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

    দীর্ঘদিন যাবৎ মাদরাসা বন্ধ থাকায় বেতন পাচ্ছেন না কওমি মাদরাসার অধিকাংশ শিক্ষক। তাদের মাঝে কেউ কেউ মার্চ মাসের অর্ধেক বেতন পেয়েছেন। আবার কারো ভাগ্যে জুটেনি তাও। প্রাতিষ্ঠানিক অর্থসংকটের কারণে বড় বড় মাদরাসাগুলো ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকরা দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তাদের জীবন।

    এদিকে বেফাক জানিয়েছে, কওমি মাদরাসার ঐতিহ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে সরকারি সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারছেন না তারা। তারা মনে করছেন, সরকারি অনুদান বা সাহায্য গ্রহণ করলে কওমি মাদরাসার মূলনীতি বা উসুলে হাশতেগানার ব্যত্যয় ঘটে। এজন্য কোনোভাবেই সরকারি অনুদান গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বেফাক।

    কওমি শিক্ষকদের সাময়িক এই অসুবিধার কথা যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে, তখন দীর্ঘ এক মাস পর বেফাক এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাময়িক অসুবিধাগ্রস্ত শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে ২৬ (রোববার) এপ্রিল বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া একটি সাময়িক কল্যাণ তহবিল গঠন করে। বেফাকের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী এই তহবিলে দান করার জন্য বিত্তবান ও দীন-দরদিদেরর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু কার্যত এখনো এর কোনো ফলাফল দৃশ্যমান হয়নি। ১৬ মার্চ সর্বসম্মতিক্রমে মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস হতে চলেছে।

    বেফাকের একটি নীতিনির্ধারণী সূত্র আমাদেরকে বলেছে, তারা এখনো দেশের কোথাও সহযোগিতা পাঠাতে পারেনি। সারাদেশে অসংখ্য কওমি মাদরাসা। সেসব মাদরাসার সাময়িক অসুবিধায় পড়া শিক্ষকদের তালিকা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলার তালিকা বেফাকের হাতে এসেছে। সারাদেশে তালিকা সংগ্রহের কাজ এখনো চলমান।

    সূত্রের দাবি, যেহেতু বাছাই করা শিক্ষকদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হচ্ছে, তাই তালিকা তৈরির কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। সূত্রটি জানিয়েছে, ঈদের আগে শিক্ষকদের সহযোগিতা করা যাবে এমনটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কতদিন সময় লাগবে তা কারো জানা নেই। তবে তাদের চেষ্টা থাকবে ঈদের পূর্বে তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকের পাশে দাঁড়ানো।

    বেফাকের তহবিলে এপর্যন্ত কী পরিমাণ অর্থ এসেছে তা পরিষ্কার করতে নারাজ বেফাকের কর্মকর্তারা। তহবিলে বেফাকের পক্ষ থেকে কী পরিমাণ অংক দেওয়া হবে এটিও জানা যায়নি। জমা পড়া অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে যথেষ্ট হবে কি না -এমন প্রশ্নেরও কোনো উত্তর মেলেনি।

    এদিকে শিক্ষকদের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম অনুল্লেখের শর্তে মানিকগঞ্জের একটি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক আওয়ার ইসলামকে বলেন, সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মুরুব্বিদের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, ঐতিহ্যের কথা চিন্তা করে যেমনিভাবে সরকারি অনুদান গ্রহণ করা হয়নি ঠিক তেমনিভাবে আমাদের নিজেদের অধিকার (বেতন) বা সহযোগিতার বিষয়টিও কর্তাব্যক্তিদের গুরুত্বসহকারে নেয়া উচিত। তাদের কাজের অগ্রগতি কতটুকু তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।

    একই শর্তে আরেকজন শিক্ষক বলেন, ‘মার্চ মাসের বেতন এখনো পাইনি। এপ্রিল শেষ হয়ে মে চলছে। অন্যান্য বছর রমজান মাসে তারাবি বাবদ কিছু হাদিয়া পেতাম। এবছর সেটাও হয়নি। যখন ছাত্র ছিলাম তখনো পরিবারে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করতাম, যদিও দায়িত্ব ছিল না। এখন সংসার করছি। আমার বেতনের উপর পুরো পরিবার নির্ভরশীল। তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়া শিক্ষকের আর কী অবস্থা জানতে চান!’

    সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। ঘোষণাটি বাস্তবায়িত হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীগণ -এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এমন পরিস্থিতিতে বেফাক কতটুকু তার কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারবে -এই বিষয়টি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

    -এএ

  • #2
    বেফাক উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারবে না বলেই মনে হয়।তবে কাকতালীয়ভাবে পারলে সেটা ভিন্ন কথা। বিষয়টা একটু সমস্যাই। আল্লাহ তাদের সহায় হোন! এটা একটা পরিক্ষাও। আসলে যে দু’জনের মতামত প্রকাশ করা হয়েছে, তারা সরকার থেকে অনুদান গ্রহণ না করার বেফাকি সিদ্ধান্তের প্রতি অস্পষ্টভাবে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। আল্লাহ তাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন! মুমিন বান্দাদের জীবনে এমন অবস্থা আসা স্বাভাবিক। এ সময় শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন না ইনশআল্লাহ। এখানেই ধৈর্য, অবিচলতা ও আল্লাহর উপর ভরসার মাসআলা। এখন সরকার থেকে অনুদান নেওয়া মানে মারাত্মক খারাপ কিছু। আল্লাহ মাদরাসাগুলোকে ঈমানের উপর অটল রাখুন

    Comment


    • #3
      সরকারী অনুদান হলো, সাত হাজার মাদ্রাসার জন্য আট কোটি টাকা। তাহলে প্রত্যেকজন শিক্ষকের ভাগে কত টাকা পড়বে, যদি প্রতিটি মাদ্রাসায় গড়ে দশজন করে শিক্ষক ধরা হয় তাহলে একজনের ভাগে পড়বে, ১১৫০ টাকার মতো। যেখানে সরকার মাত্র একহাজার মন্দির মেরামতের জন্য ২২৮ কোটি টাকা প্রদান করছে সেখানে মাদ্রাসার জন্য এই সামান্য অনুদান কি প্রহসন নয়?

      ১. চট্টগ্রাম: কওমী মাদ্রাসার এতিম, দুঃস্থ ও অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছে মিরসরাই উপজেলার ২০টি কওমী মাদ্রসা।
      অর্থাৎ প্রত্যেক মাদ্রাসার জন্য ১৫৭৫০ টাকা।

      ২. লালমাই উপজেলার ৪১টি কওমী মাদ্রাসার এতিম ও দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নগদ অনুদান দেওয়া হয়েছে।
      অর্থাৎ প্রত্যেক মাদ্রাসার জন্য ১৩০০০ টাকা।

      ৩. কক্সবাজার ১৭৫ মাদ্রাসায় ২৯ লাখ টাকা।
      অর্থাৎ প্রত্যেক মাদ্রাসার জন্য ১৬৫০০ টাকা

      ৪. টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার ৯টি কওমী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার এতিম ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের অনুদানের ১ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক মাদ্রাসার প্রধানগণের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
      অর্থাৎ প্রত্যেক মাদ্রাসার জন্য ১১৬০০ টাকা

      এত সামান্য অর্থের জন্য কি আমরা আমাদের দ্বীন বিক্রি করে দিবো? আজ অনুদান দিবে, কাল আমাদের সিলেবাস পরিবর্তন করবে। যারা অনুদান না নেয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা বিষয়গুলো ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।

      তাই সরকারী অনুদানের জন্য বসে না থেকে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছু করতে হবে।
      الجهاد محك الإيمان

      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

      Comment


      • #4
        Originally posted by আদনানমারুফ View Post

        এত সামান্য অর্থের জন্য কি আমরা আমাদের দ্বীন বিক্রি করে দিবো? আজ অনুদান দিবে, কাল আমাদের সিলেবাস পরিবর্তন করবে। যারা অনুদান না নেয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা বিষয়গুলো ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।

        তাই সরকারী অনুদানের জন্য বসে না থেকে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছু করতে হবে।
        জি সঠিক ভাই। এটা আসলে এক ধরনের অপমানই বলা চলে।

        Comment


        • #5
          করোনা ভাইরাস,, এটি আমাদের জন্য একটি বার্তা মাত্র, সামনের দিনগুলোতে আরো কঠিন অবস্থায় পড়া লাগতে পারে। আজ জাতী হারে হারে টের পাচ্ছে ইসলামী শাসন না থাকলে কী হয়। ইসলাম থাকলে আজ মুসলিমরা এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। ত্বাগুত তাদের গদি টিকিয়ে রাখতে তাদের কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে রেখেছে!!! প্রতিটি পণ্যে ট্যাক্সসহ,, বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল, পানির বিল সব কিছুই নাগালের বাইরে, এসব কিছু শুধু তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। প্রতি সপ্তাহে মাত্র দুইদিন অফিস, কিন্তু তার বেতন ৪০ হাজার টাকা!!! এরকম প্রতিটি সরকারি কর্মক্ষেত্রে। তারা তাদের আদর্শ টিকিয়ে রাখতে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রের জন্য বিশাল অংকের টাকা নির্ধারণ করে রেখেছে, যাতে করে মুসলিম সন্তানরা ওহীর ইলম ত্যাগ করে শয়তানের বানানো পঁচা জ্ঞান শিখতে বেশি আগ্রহী হয়। তাই কওমি উলামাদের বলব আসুন এই কুফরি শাসন ভেঙ্গে দেয়, এবং কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি। পরিশেষে আমাদের কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম সাহেবদের প্রতি কয়েকটি কথা রেখে শেষ করছি, হে শাইখ,,আপনার মাদ্রাসার শিক্ষকদের আপনার পরিবারের লোকজন মনে করুন, এবং হুট করে তাদের চাকরিচ্যুত করবেন না, এবং একজন শিক্ষক পড়ানোর ক্ষমতা হারালে তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে বিদায় দিন।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment

          Working...
          X