শোকরানা মাহফিল কলষ্ক ও গোমরাহির নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা।
-শাইখ তামিম আল-আদনানী হাফিযাহুল্লাহ
২০১৮ সালের ৪ঠা নভেম্বর, বাংলাদেশে ইসলামের ইতিহাসে এক কলষ্ক হয় ঐদিন, এই দিন সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরিয়া মাহফিলের নামে সূচনা হয় বদদ্বীন ও গোমরাহির এক নতুন অধ্যায়ের, তাগুতের উচ্ছিষ্টভোগী একদল গাদ্দার সুকৌশলে এদেশের আলেম সমাজের একটি অংশকে ধুকা দিয়ে এই লজ্জাজনক ইতিহাসকে জম্মদেয়।
বয় বৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম কিছু মুরুব্বিকে সামনে বসিয়ে তাগুতের এই পা চটা গোলামের দল বরাবরের মত তাদের স্বর্থ আদায়ের ধান্দা করেছে। আজ আমরা শোকরিয়া মাহফিলের গোমরাহি নিয়ে সংক্ষিপে কিছু আত্মপর্যালোচনা ও আত্মসমালোচনা প্রয়াস পাব, তুলে ধরব এমন কিছু অনিবার্য প্রশ্ন যার উত্তর খুঁজা এদেশের আলেম সমাজ, তালিবে ইলম ও আওয়াম ভাইদের ইমানি অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কওমি সনদ নেওয়া ঠিক হল কি হলনা, এই অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে আমরা যাবনা।
সনদ নেওয়ার পরিনাম আপনারা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন, আল্লাহ যদি হায়াত দেন সামনে আরো দেখবেন। আমরা কি পেলাম আর কি হারালাম এই হিসেব আপনারা নিজেরাই করতে পারবেন। আজ আমরা কথা বলব শোকরানা মাহফিল নিয়ে, কেন এই শোকরিয়া? কার জন্য এই শোকরিয়া? চলুন এই প্রশ্নগুলো উত্তর খুঁজা যাক, আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কালামে মজিদে ইরশাদ করেন,
أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
" তারা কি জাহিলিয়্যাতের বিধি-বিধান কামনা করে? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা কে শ্রেষ্ঠতর বিধানদানকারী? (সূরা মায়িদাহ: ৫০)
ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেন এই আয়াতে ঐসব লোকদের খন্ডন করা হয়েছে, যারা আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াহ ছুড়ে ফেলে নিজেদের মনগড়া আইন কানুন অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে। যেমনি ভাবে তাতারিরা তাদের পূর্বপুরুষ চেঙ্গিস খানের প্রনিত ইয়াসিক নামক জাহিলিয়্যাত সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপরিচালনা করে। যারা আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াহ বাদ দিয়ে নিজেদের হাতেগড়া সংবিধান অনুযায়ী ফয়সালা করে তারা কাফির তাদের বিরুদ্ধে ততখন পযর্ন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ফরজ যতখন না তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শরিয়াকে সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করে, এবং ছোট বড় সব বিষয়ে আল্লাহর শরিয়াহ অনুযায়ী ফয়সালা করে।
মুফতীয়ে আজম কেফায়াতুল্লাহ দেহলবী রহিমাহুল্লাহ তাঁর বিখ্যাত ফতোয়া সংকলন 'কেফাতুল মুফতীর' প্রথম খন্ডের ১৩৯ পৃষ্ঠায় বলেন, যেসব শাসক আল্লাহর নাজিল কৃত বিধান অনুযায়ী ফসাল করেনা তারা তাগুত। আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াহ অনুযায়ী যারা ফয়সালা করেনা তারাই তো কাফির। তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি এমন তাগুতকে উলুল আমর বা মুসলমানদের মাননীয় শাসক বলে আক্ষায়িত করে সে হয় পাগল, নয় মুর্খ, নযতো ফাসেক, তাকে ইমাম বানানো নাজায়িজ। ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ ও মুফতী আজম কেফায়াতুল্লাহ দেহলবী রহিমাহুল্লাহ এর এই সুস্পষ্ট ফতোয়া অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে তাগুত।
প্রিয় ভাই! তাগুতের সঙ্গে সুস্পষ্ট ভাষায় সম্পর্ক নিশ্চিহৃের ঘোষনা দেয়া ইমানের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ইসলাম আমাদের এই শিখাই দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন আয়াতের অর্থঃ- আল্লাহর ইবাদত করার জন্য এবং তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দিয়ে আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই রাসুল প্রেরণ করেছি।
একটু চিন্তা করে দেখুন! হাসিনার মত তাগুতকে যেখানে সুস্পষ্ট ভাষায় প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়ার কথা, যেখানে তাকে বলার কথা যতখন না আপনি নাপাক কুফরি সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াকে মুসলিমদের সংবিধানরূপে গ্রহণ করছেন, ততখন পর্যন্ত আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে তাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা হল, তাকে শুকরিয়া জানানো হল, জনৈক দুনিয়া লোভি আলেম তো ভরা মজলিসে তাগুত হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি পর্যন্ত দিয়ে বসল। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। وَاللهِএটা প্রকাশ্যে গোমরাহি ছাড়া আর কিছুই নয়, আল্লাহ আমাদের ইমানের হিফাজত করুন, মউত পর্যন্ত সিরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল অবিচল রাখুন।
প্রিয় ভাই! এই তাগুত সরকার কেবল শরিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেই ক্ষেন্ত হয়নি, বরং তারা শরিয়া কায়েমের জন্য উত্তিত প্রতিটি আওয়াজকে থামিয়ে দিয়েছে। ইক্বামাতে দ্বীনের প্রতিটি আন্দোলনকে তারা বন্দুকের নলের মুখে কোণঠাসা করে রেখেছে যখনেই প্রয়োজন পড়েছে আন্দোলনরত মুমিনদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, ক্রসফায়ারে তাদের বুক ঝাঝঁরা করেছে নবী প্রমিক জনতার রক্তে তারা রাজপথ রঞ্জিত করেছে। এমন জঘন্য এক তাগুতকে কিভাবে শুকরিয়া জানানো যায়? কেন এই শুকরিয়া? কিসের স্বর্থে এই শুকরিয়া? এই তাগুত সরকারের অপরাধের ফিরিস্থি বড়ই দীর্ঘ। আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে এই তাগুত আল্লাহ জমিনে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
সুদভিত্তিক অর্থনিতীক চালুকরে এই তাগুত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, গ্রামে গঞ্জে পর্যন্ত সুদ বিস্তার ঘটিয়ে পুরো জাতিকে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। এই তাগুত গোষ্ঠি মদের লাইসেন্স দিয়ে মদকে হালাল ঘোষণা করেছে। ব্যবসাখানা খোলে বেবিচারের বৈধতা দিয়ে আল্লাহর আইনকে বাতিল করেছে। এই তাগুত সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা ইসলামের হুদুদ-কিসাসকে মধ্যযোগিয় বর্বরতা বলে কটাক্ষ্য করেছে। এই তাগুত হাসিনা শাতিমে রাসূলদের নিরাপ্তা দিয়েছে, মালাউন রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ হিসেবে আক্ষায়িত করেছে। কত বড় দুঃসাহস এই তাগুতের, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নবীﷺএর অবমাননা কারিকে শহিদ বলে ঘোষণা করেছে। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক! এই সেই তাগুক হাসিনা যে প্রিয় নবী অবমাননা কারিদের বিচারের দাবীতে আন্দোলনরত জনাতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষন করেছে।
এবং অসংখ্য মুমিনকে শহিদ করেছে। এই সেই তাগুত হাসিনা যে হিন্দুদের পুজয় গিয়ে বলেছে মা দুর্গায় গজে চড়ে এসেছে বলে এইভার ফসল ভালো হয়েছে। এমন এক জঘন্য তাগুতের শুকরিয়া কিভাবে করা যায়? নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। আমরা যাবতীয় বদদ্বীনি ও গোমরাহি থেকে আল্লাহর কাছে পানাচাই। এটা কিসের শুকরিয়া? আল্লাহর কুরআনকে পিছনে ছুড়ে ফেলার শুকরিয়া? হাজারো তাওহিদী জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার শুবরিয়া? প্রিয় নবীর অবমান না কারিদের নিরাপ্তা দেয়ার শুকরিয়া? আল্লাহ তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যারা চব্বিশ ঘন্টা যুদ্ধেলিপ্ত এই তাগুতের সাথে মুমিনদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারেনা।
শুকরিয়া মাফিলের নির্লজ্জ দৃশ্যগুলো যখনেই মনে পড়ে বুকটা ঘৃণায় মুচড়ে উঠে। এখানে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরতে চাই, সচেতন আলেম সমাজ, তালিবে ইলম, মুসলিম জনতার এই বিষয়গুলো ভাবা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব ভরা মজলিসে দাবীকরে বসলেন শাপলার একজন লোকই মারা যায়নি, আর মাফিলে উপস্থিত এতগুলো আলেমের কেউ এই মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করার গরজ বোধ করলেন না। তারা কি আসলেই তাগুতের শুকরিয়া আদায় করতে গিয়েছিলেন? নাকি তাগুতের জন্য শাপলার রক্তের বৈধতা দিতে গিয়েছিলেন? শাপলার শহিদদের সাথে গাদ্দারি করতে গিয়ে ছিলেন? এতো শুধু গাদ্দারীনা শহিদদের আত্মত্যেগ এবং তাঁদের অস্তিত্বকেই পিছনে ছুড়ে ফেলা। সনদের কি এতই দাম? যে এর বিনিময়ে শাপলার খুনির হাতে ক্মেস তুলে দিতে হবে? মুমিনভাইদের রক্তের বৈধতা দিতে হবে?। এতই দাম মাস্টার্স সমমানের সনদের? সুবাহানাল্লাহ!
সনদের স্বীকৃতির পর অনেক ভাইকে বলতে শোনা গিয়েছিল 'হেফাজত অান্দোলন এক জিনিস আর সনদের স্বীকৃতি আরেক জিনিস' দুটোকে গুলিয়ে ফেলবেন না। এখন সামরিক সচিব যে, দুটিকে এক করে ফেললেন? তার প্রতিবাদ করা কেন হল না? আসলে শাপলা আর স্বীকৃতি দুটোকে দুজিনিস বলা অাত্মপ্রবঞ্চনাবই কিছুই নয়। শাপলার রক্ত মুছতেই যে, এই স্বীকৃতি তা আমাদের মুখে স্বীকার না করলেও সবাই অন্তরে বিশ্বাসকরি।
আমরা জানিনা! কিসের স্বর্থে একদল মাওলানা হাসিনার মত একজন জঘন্য তাগুতের এমন নির্লজ্জ চাটুকারিতায় লিপ্ত হলেন। জৈনিক দুনিয়া-লোভি আলিম চাটুকারিতা করতে গিয়ে তাগুত হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি পর্যন্ত দিয়ে বসলেন, আর তার অনেক চেলাচামুণ্ডাকে রাজনৈতিক জার্সি পড়িয়ে মাহফিলে হাজির করলেন। অাশ্চর্য! একজন ফাসিক নারী কিভাবে কওমি জননী হতে পারে?
.... কাসেম নানুতুবি, মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, অানোয়ার শাহ কাশ্মীরীর ভাগ্যবান রুহানি সন্তানদের মা। কিভাবে একজন বেপর্দা, ফাসেক, তাগুত মহিলা হতেপারে, নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক! এমন একটি জঘন্য কথা ঐ মাওলানা উচ্চারণ করার দুঃসাহস দেখালেন? আর এত বড় মজলিসে একজন আল্লাহর বান্দার গাইরদ জেগে উঠলনা? উপস্থিত একজন আলিমও এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করলেন না? .. মাহফিল থেকে আসার পরেও আজ পর্যন্ত কেউ একজন বিবরিতি পর্যন্ত দিলেন না। তাদের কি একটি বারের জন্য মনে পরেনি শাপলার কথা? শাপলার রক্তের কথা? শাপলার শহিদ ভাইদের রক্তের কথা? যে তাগুত হাসিনা বলেছিল শাপলায় কেউ হতাহত হয়নি সবাই রং মেখে শুয়েছিল আর পুলিশ আসতেই দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
কত বড় জঘন্য দুনিয়া পুজারি হলে এমন একজন কওমির খুনিকে কওমি জননী উপাধি দেয়া যায়। এই তাগুত হাসিনা ও তার চেলাচামুণ্ডারা শুকরিয়া মাহফিলের মসনদ থেকে ইসলামের নতুন ব্যাখ্যা দিল, ইসলাম মানে শান্তি, সম্প্রতি, ভ্রাতৃত্ব আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা। আর একজন আলেমও প্রতিবাদ করলেন না, এটি তো জানা কথা যে তাগুত হাসিনা ও তার চেলাচামুণ্ডারা অসাম্প্রদায়িক বলতে কি বুঝায়? ' ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এমন শ্লোগান তো আপনারা সবাই শুনেছেন, তাদের কাছে সব ধর্মই সমান। একজন মুমিনের যে মর্যাদা....একজন মালাউন মুশরিকেরর একই মর্যাদা। তারা মনে করে কাফিরদের ধর্ম ভুল বলা যাবেনা। দেশে চলবে কুফরি সংবিধান মুজিব কিংবা জিয়ার অার্দশে।
রাসুলুল্লাহ আদর্শ এখানে অচল। বন্ধুত্ব শত্রুতা নির্ধারিত হবে ভিন্ন জাতীয়তার মাফকাঠিতে, এসব কথা তাদের মুখ থেকেই অনেকবার বের হয়েছে।
প্রিয় ভাই! এই জঘন্য অাকিদা কি কোনো মুসলিম রাখতে পারে? এত আলেম ও হাজার হাজার তালিবুল ইলমের উপস্থিতিতে এক তাগুত ইসলামের বিক্রীত অর্থ করল আর সবাই নিরবে সম্মতি জানাল, একজনও কথা বললনা আফসোস! তাগুত মুর্তাদরা এসে আজ আমাদের দ্বীন শিখিয়ে গেল। পুরো মাহফিল জুড়ে আমরা আলিমদের দেখেছি তারা নিজেদের অাত্মসম্মান ও গায়রত জলান জলিন দেয়ার এক নিকৃষ্ট প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। একজন তাগুত নারীর সামনে এত নতজানুতা, এমন ঘৃণ্য চাটুকারিতা যা শোনে যে কোনো মুসলিমই লজ্জায় মুখ ডাকবে। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক! ........ আলিম ওলামাদের মুখ থেকে তাগুত হাসিনার এমন চাটুকারিতা বক্তব শোনতে আসলে আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলামনা।
প্রিয় ভাই! একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, এই শুকরিয়া মাহফিল আসলে অনেক বড় সরজন্তের একটি সূচনা বিন্দু, তাগুত শাসক গোষ্ঠি দিরে দিরে কওমি অঙ্গনে একটি শক্তিশালী সমর্থক গোষ্ঠি তৈরি চেষ্টা করে যাচ্ছে, যাতে তারা তাদের পোষা মৌলভীদের দিয়ে উল্টা পাল্টা ফতোয়া দিয়ে তাওহিদী জনতাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।
বাংলার মাটিতে ভ্রাম্যণ্যবাদ ভারতের এজেন্টা বাস্তবায়ন করতে তাদের এরকম একটি দালাল চক্র খুবই প্রয়োজন। যারা সবসময় এই অবৈধ সরকারের পক্ষে সাফাই গাইবে এবং জনগণের কাছ থেকে দেশের প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাখবে। ইতিমধ্যেই আপনারা এই প্রতিক্রিয়ার কিছুটা দেখতে পাচ্ছেন। সামনের পরিস্থিতি আরো কঠিন হবে। তাই এখন থেকে সর্তক হকে হবে কওমি অঙ্গনকে, বিষেশ করে কওমি তরুনদেরকে সচেতন হতে হবে ভিতরের বাহিরের গাদ্দারদের সম্পর্কে।
আল্লাহ তাআলা দ্বীনের এই দূর্গগুলোকে তাগুতের অনিষ্ঠ থেকে হিফাজত করুন,আমিন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
-শাইখ তামিম আল-আদনানী হাফিযাহুল্লাহ
২০১৮ সালের ৪ঠা নভেম্বর, বাংলাদেশে ইসলামের ইতিহাসে এক কলষ্ক হয় ঐদিন, এই দিন সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরিয়া মাহফিলের নামে সূচনা হয় বদদ্বীন ও গোমরাহির এক নতুন অধ্যায়ের, তাগুতের উচ্ছিষ্টভোগী একদল গাদ্দার সুকৌশলে এদেশের আলেম সমাজের একটি অংশকে ধুকা দিয়ে এই লজ্জাজনক ইতিহাসকে জম্মদেয়।
বয় বৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম কিছু মুরুব্বিকে সামনে বসিয়ে তাগুতের এই পা চটা গোলামের দল বরাবরের মত তাদের স্বর্থ আদায়ের ধান্দা করেছে। আজ আমরা শোকরিয়া মাহফিলের গোমরাহি নিয়ে সংক্ষিপে কিছু আত্মপর্যালোচনা ও আত্মসমালোচনা প্রয়াস পাব, তুলে ধরব এমন কিছু অনিবার্য প্রশ্ন যার উত্তর খুঁজা এদেশের আলেম সমাজ, তালিবে ইলম ও আওয়াম ভাইদের ইমানি অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কওমি সনদ নেওয়া ঠিক হল কি হলনা, এই অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে আমরা যাবনা।
সনদ নেওয়ার পরিনাম আপনারা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন, আল্লাহ যদি হায়াত দেন সামনে আরো দেখবেন। আমরা কি পেলাম আর কি হারালাম এই হিসেব আপনারা নিজেরাই করতে পারবেন। আজ আমরা কথা বলব শোকরানা মাহফিল নিয়ে, কেন এই শোকরিয়া? কার জন্য এই শোকরিয়া? চলুন এই প্রশ্নগুলো উত্তর খুঁজা যাক, আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কালামে মজিদে ইরশাদ করেন,
أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
" তারা কি জাহিলিয়্যাতের বিধি-বিধান কামনা করে? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা কে শ্রেষ্ঠতর বিধানদানকারী? (সূরা মায়িদাহ: ৫০)
ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেন এই আয়াতে ঐসব লোকদের খন্ডন করা হয়েছে, যারা আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াহ ছুড়ে ফেলে নিজেদের মনগড়া আইন কানুন অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে। যেমনি ভাবে তাতারিরা তাদের পূর্বপুরুষ চেঙ্গিস খানের প্রনিত ইয়াসিক নামক জাহিলিয়্যাত সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপরিচালনা করে। যারা আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াহ বাদ দিয়ে নিজেদের হাতেগড়া সংবিধান অনুযায়ী ফয়সালা করে তারা কাফির তাদের বিরুদ্ধে ততখন পযর্ন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ফরজ যতখন না তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শরিয়াকে সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করে, এবং ছোট বড় সব বিষয়ে আল্লাহর শরিয়াহ অনুযায়ী ফয়সালা করে।
মুফতীয়ে আজম কেফায়াতুল্লাহ দেহলবী রহিমাহুল্লাহ তাঁর বিখ্যাত ফতোয়া সংকলন 'কেফাতুল মুফতীর' প্রথম খন্ডের ১৩৯ পৃষ্ঠায় বলেন, যেসব শাসক আল্লাহর নাজিল কৃত বিধান অনুযায়ী ফসাল করেনা তারা তাগুত। আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াহ অনুযায়ী যারা ফয়সালা করেনা তারাই তো কাফির। তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি এমন তাগুতকে উলুল আমর বা মুসলমানদের মাননীয় শাসক বলে আক্ষায়িত করে সে হয় পাগল, নয় মুর্খ, নযতো ফাসেক, তাকে ইমাম বানানো নাজায়িজ। ইমাম ইবনে কাসির রহিমাহুল্লাহ ও মুফতী আজম কেফায়াতুল্লাহ দেহলবী রহিমাহুল্লাহ এর এই সুস্পষ্ট ফতোয়া অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে তাগুত।
প্রিয় ভাই! তাগুতের সঙ্গে সুস্পষ্ট ভাষায় সম্পর্ক নিশ্চিহৃের ঘোষনা দেয়া ইমানের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ইসলাম আমাদের এই শিখাই দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন আয়াতের অর্থঃ- আল্লাহর ইবাদত করার জন্য এবং তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দিয়ে আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই রাসুল প্রেরণ করেছি।
একটু চিন্তা করে দেখুন! হাসিনার মত তাগুতকে যেখানে সুস্পষ্ট ভাষায় প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়ার কথা, যেখানে তাকে বলার কথা যতখন না আপনি নাপাক কুফরি সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াকে মুসলিমদের সংবিধানরূপে গ্রহণ করছেন, ততখন পর্যন্ত আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে তাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা হল, তাকে শুকরিয়া জানানো হল, জনৈক দুনিয়া লোভি আলেম তো ভরা মজলিসে তাগুত হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি পর্যন্ত দিয়ে বসল। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। وَاللهِএটা প্রকাশ্যে গোমরাহি ছাড়া আর কিছুই নয়, আল্লাহ আমাদের ইমানের হিফাজত করুন, মউত পর্যন্ত সিরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল অবিচল রাখুন।
প্রিয় ভাই! এই তাগুত সরকার কেবল শরিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেই ক্ষেন্ত হয়নি, বরং তারা শরিয়া কায়েমের জন্য উত্তিত প্রতিটি আওয়াজকে থামিয়ে দিয়েছে। ইক্বামাতে দ্বীনের প্রতিটি আন্দোলনকে তারা বন্দুকের নলের মুখে কোণঠাসা করে রেখেছে যখনেই প্রয়োজন পড়েছে আন্দোলনরত মুমিনদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, ক্রসফায়ারে তাদের বুক ঝাঝঁরা করেছে নবী প্রমিক জনতার রক্তে তারা রাজপথ রঞ্জিত করেছে। এমন জঘন্য এক তাগুতকে কিভাবে শুকরিয়া জানানো যায়? কেন এই শুকরিয়া? কিসের স্বর্থে এই শুকরিয়া? এই তাগুত সরকারের অপরাধের ফিরিস্থি বড়ই দীর্ঘ। আল্লাহর নাজিল কৃত শরিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে এই তাগুত আল্লাহ জমিনে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
সুদভিত্তিক অর্থনিতীক চালুকরে এই তাগুত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, গ্রামে গঞ্জে পর্যন্ত সুদ বিস্তার ঘটিয়ে পুরো জাতিকে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। এই তাগুত গোষ্ঠি মদের লাইসেন্স দিয়ে মদকে হালাল ঘোষণা করেছে। ব্যবসাখানা খোলে বেবিচারের বৈধতা দিয়ে আল্লাহর আইনকে বাতিল করেছে। এই তাগুত সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা ইসলামের হুদুদ-কিসাসকে মধ্যযোগিয় বর্বরতা বলে কটাক্ষ্য করেছে। এই তাগুত হাসিনা শাতিমে রাসূলদের নিরাপ্তা দিয়েছে, মালাউন রাজিব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ হিসেবে আক্ষায়িত করেছে। কত বড় দুঃসাহস এই তাগুতের, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নবীﷺএর অবমাননা কারিকে শহিদ বলে ঘোষণা করেছে। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক! এই সেই তাগুক হাসিনা যে প্রিয় নবী অবমাননা কারিদের বিচারের দাবীতে আন্দোলনরত জনাতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষন করেছে।
এবং অসংখ্য মুমিনকে শহিদ করেছে। এই সেই তাগুত হাসিনা যে হিন্দুদের পুজয় গিয়ে বলেছে মা দুর্গায় গজে চড়ে এসেছে বলে এইভার ফসল ভালো হয়েছে। এমন এক জঘন্য তাগুতের শুকরিয়া কিভাবে করা যায়? নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। আমরা যাবতীয় বদদ্বীনি ও গোমরাহি থেকে আল্লাহর কাছে পানাচাই। এটা কিসের শুকরিয়া? আল্লাহর কুরআনকে পিছনে ছুড়ে ফেলার শুকরিয়া? হাজারো তাওহিদী জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার শুবরিয়া? প্রিয় নবীর অবমান না কারিদের নিরাপ্তা দেয়ার শুকরিয়া? আল্লাহ তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যারা চব্বিশ ঘন্টা যুদ্ধেলিপ্ত এই তাগুতের সাথে মুমিনদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারেনা।
শুকরিয়া মাফিলের নির্লজ্জ দৃশ্যগুলো যখনেই মনে পড়ে বুকটা ঘৃণায় মুচড়ে উঠে। এখানে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরতে চাই, সচেতন আলেম সমাজ, তালিবে ইলম, মুসলিম জনতার এই বিষয়গুলো ভাবা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব ভরা মজলিসে দাবীকরে বসলেন শাপলার একজন লোকই মারা যায়নি, আর মাফিলে উপস্থিত এতগুলো আলেমের কেউ এই মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করার গরজ বোধ করলেন না। তারা কি আসলেই তাগুতের শুকরিয়া আদায় করতে গিয়েছিলেন? নাকি তাগুতের জন্য শাপলার রক্তের বৈধতা দিতে গিয়েছিলেন? শাপলার শহিদদের সাথে গাদ্দারি করতে গিয়ে ছিলেন? এতো শুধু গাদ্দারীনা শহিদদের আত্মত্যেগ এবং তাঁদের অস্তিত্বকেই পিছনে ছুড়ে ফেলা। সনদের কি এতই দাম? যে এর বিনিময়ে শাপলার খুনির হাতে ক্মেস তুলে দিতে হবে? মুমিনভাইদের রক্তের বৈধতা দিতে হবে?। এতই দাম মাস্টার্স সমমানের সনদের? সুবাহানাল্লাহ!
সনদের স্বীকৃতির পর অনেক ভাইকে বলতে শোনা গিয়েছিল 'হেফাজত অান্দোলন এক জিনিস আর সনদের স্বীকৃতি আরেক জিনিস' দুটোকে গুলিয়ে ফেলবেন না। এখন সামরিক সচিব যে, দুটিকে এক করে ফেললেন? তার প্রতিবাদ করা কেন হল না? আসলে শাপলা আর স্বীকৃতি দুটোকে দুজিনিস বলা অাত্মপ্রবঞ্চনাবই কিছুই নয়। শাপলার রক্ত মুছতেই যে, এই স্বীকৃতি তা আমাদের মুখে স্বীকার না করলেও সবাই অন্তরে বিশ্বাসকরি।
আমরা জানিনা! কিসের স্বর্থে একদল মাওলানা হাসিনার মত একজন জঘন্য তাগুতের এমন নির্লজ্জ চাটুকারিতায় লিপ্ত হলেন। জৈনিক দুনিয়া-লোভি আলিম চাটুকারিতা করতে গিয়ে তাগুত হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি পর্যন্ত দিয়ে বসলেন, আর তার অনেক চেলাচামুণ্ডাকে রাজনৈতিক জার্সি পড়িয়ে মাহফিলে হাজির করলেন। অাশ্চর্য! একজন ফাসিক নারী কিভাবে কওমি জননী হতে পারে?
.... কাসেম নানুতুবি, মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, অানোয়ার শাহ কাশ্মীরীর ভাগ্যবান রুহানি সন্তানদের মা। কিভাবে একজন বেপর্দা, ফাসেক, তাগুত মহিলা হতেপারে, নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক! এমন একটি জঘন্য কথা ঐ মাওলানা উচ্চারণ করার দুঃসাহস দেখালেন? আর এত বড় মজলিসে একজন আল্লাহর বান্দার গাইরদ জেগে উঠলনা? উপস্থিত একজন আলিমও এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করলেন না? .. মাহফিল থেকে আসার পরেও আজ পর্যন্ত কেউ একজন বিবরিতি পর্যন্ত দিলেন না। তাদের কি একটি বারের জন্য মনে পরেনি শাপলার কথা? শাপলার রক্তের কথা? শাপলার শহিদ ভাইদের রক্তের কথা? যে তাগুত হাসিনা বলেছিল শাপলায় কেউ হতাহত হয়নি সবাই রং মেখে শুয়েছিল আর পুলিশ আসতেই দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
কত বড় জঘন্য দুনিয়া পুজারি হলে এমন একজন কওমির খুনিকে কওমি জননী উপাধি দেয়া যায়। এই তাগুত হাসিনা ও তার চেলাচামুণ্ডারা শুকরিয়া মাহফিলের মসনদ থেকে ইসলামের নতুন ব্যাখ্যা দিল, ইসলাম মানে শান্তি, সম্প্রতি, ভ্রাতৃত্ব আর অসাম্প্রদায়িক চেতনা। আর একজন আলেমও প্রতিবাদ করলেন না, এটি তো জানা কথা যে তাগুত হাসিনা ও তার চেলাচামুণ্ডারা অসাম্প্রদায়িক বলতে কি বুঝায়? ' ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এমন শ্লোগান তো আপনারা সবাই শুনেছেন, তাদের কাছে সব ধর্মই সমান। একজন মুমিনের যে মর্যাদা....একজন মালাউন মুশরিকেরর একই মর্যাদা। তারা মনে করে কাফিরদের ধর্ম ভুল বলা যাবেনা। দেশে চলবে কুফরি সংবিধান মুজিব কিংবা জিয়ার অার্দশে।
রাসুলুল্লাহ আদর্শ এখানে অচল। বন্ধুত্ব শত্রুতা নির্ধারিত হবে ভিন্ন জাতীয়তার মাফকাঠিতে, এসব কথা তাদের মুখ থেকেই অনেকবার বের হয়েছে।
প্রিয় ভাই! এই জঘন্য অাকিদা কি কোনো মুসলিম রাখতে পারে? এত আলেম ও হাজার হাজার তালিবুল ইলমের উপস্থিতিতে এক তাগুত ইসলামের বিক্রীত অর্থ করল আর সবাই নিরবে সম্মতি জানাল, একজনও কথা বললনা আফসোস! তাগুত মুর্তাদরা এসে আজ আমাদের দ্বীন শিখিয়ে গেল। পুরো মাহফিল জুড়ে আমরা আলিমদের দেখেছি তারা নিজেদের অাত্মসম্মান ও গায়রত জলান জলিন দেয়ার এক নিকৃষ্ট প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। একজন তাগুত নারীর সামনে এত নতজানুতা, এমন ঘৃণ্য চাটুকারিতা যা শোনে যে কোনো মুসলিমই লজ্জায় মুখ ডাকবে। নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক! ........ আলিম ওলামাদের মুখ থেকে তাগুত হাসিনার এমন চাটুকারিতা বক্তব শোনতে আসলে আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলামনা।
প্রিয় ভাই! একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, এই শুকরিয়া মাহফিল আসলে অনেক বড় সরজন্তের একটি সূচনা বিন্দু, তাগুত শাসক গোষ্ঠি দিরে দিরে কওমি অঙ্গনে একটি শক্তিশালী সমর্থক গোষ্ঠি তৈরি চেষ্টা করে যাচ্ছে, যাতে তারা তাদের পোষা মৌলভীদের দিয়ে উল্টা পাল্টা ফতোয়া দিয়ে তাওহিদী জনতাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।
বাংলার মাটিতে ভ্রাম্যণ্যবাদ ভারতের এজেন্টা বাস্তবায়ন করতে তাদের এরকম একটি দালাল চক্র খুবই প্রয়োজন। যারা সবসময় এই অবৈধ সরকারের পক্ষে সাফাই গাইবে এবং জনগণের কাছ থেকে দেশের প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাখবে। ইতিমধ্যেই আপনারা এই প্রতিক্রিয়ার কিছুটা দেখতে পাচ্ছেন। সামনের পরিস্থিতি আরো কঠিন হবে। তাই এখন থেকে সর্তক হকে হবে কওমি অঙ্গনকে, বিষেশ করে কওমি তরুনদেরকে সচেতন হতে হবে ভিতরের বাহিরের গাদ্দারদের সম্পর্কে।
আল্লাহ তাআলা দ্বীনের এই দূর্গগুলোকে তাগুতের অনিষ্ঠ থেকে হিফাজত করুন,আমিন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
Comment