**********************আসুন ঈমান যাচাই করি********************
আজ মনে জাগ্রত একটি অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত। ভিতরে জেগে উঠা কিছু আহাজারি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত। আমি উপস্থিত আজ কিছু আবেদন কিছু ভাবনা নিয়ে, যা হয়ত কখনও ভাবারই সুযোগ হয় নি আমাদের, বা ছিল কিন্তু আমরা আমাদের গাফলতিকেই প্রাধান্য দিয়েছি সে ভাবনার উপরে। আজ আমি চেষ্টা করবো সেই ভাবনাকে আপনাদের মধ্যেও জাগিয়ে তোলার। চেষ্টা করবো আপনাকেও সেই চিন্তায় বিভোর করার যা আমাকে ঘুমাতে দেয় নি কিছু রাত। ভেবেছি আর কেদেছি নিজের অসহায়ত্বের উপর। কেদেছি নিজের ঈমানের দুর্বলতার উপর। কেদেছি সাহাবীদের সেই সৌভাগ্যের কথা চিন্তা করে হায়! যদি সেই ভাগ্য আমাদের হত। হায়! যদি অনুভব করতে পারতাম সেই স্বাদ যা সাহাবীরা অর্জন করেছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সোহবতে থেকে। হায়! যদি সাহাবীদের মত হতে পারতাম রাসুল প্রেমিক।
রাসুল সাল্লাল্লহু আলাইহিস সালাম বলেনঃ
لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده و ولده والناس اجمعين
অর্থাৎ তোমাদের মধ্য হতে কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ তার নিকট আমি তার পিতা-মাতা,সন্তান-সন্ততি এবং সকল মানুষ থেকে প্রিয় না হব।
অপর এক বর্ণনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তোমার প্রানের চেয়ে প্রিয় না হব ততক্ষণ তুমি মুমিন নও।
এই হাদিস দুটি নিয়ে কিছু সময় ভাবুন তো ভাই। কি আবেদন ছিল এই হাদিস দু’খানার?????
এটা কি এই জন্য ছিল যে আমি শুধু পাঠ করে যাব আর মানুষকে বলে যাব আমি আমার জানের চেয়ে বেশি রাসুল সাল্লাল্লআহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভালবাসি। ভাল বাসি পৃথিবীর অন্য সকলের চেয়ে অনেক বেশি। কাউকে আমি আমার রাসুলের চাইতে বেশি ভালবাসি না।আর মানুষ যাকে বেশি ভালবাসে তার অনুসরণেও তার খুব ভাল লাগে।
আর দলিল হিসাবে পেশ করা মানুষের কাছে আমি রাসুলের সুন্নাহ সমূহকে পালন করে যাই অর্থাৎ পূরনাঙ্গ করে যাই। রাসুল সাদা পোশাক পছন্দ করতেন । আমিও সাদা জামাই পড়ে বেড়াই। রাসুল মেসওয়াক করতেন আমিও মেসওয়াক করি। রাসুল তিন আঙ্গুলে খেতেন আমিও তিন আঙ্গুলে খাই। রাসুল ডান কাতে ঘুমাতেন। আমিও ডান কাতে ঘুমাই। রাসুল ডান পায়ে আগে জুতা পড়তেন আমিও ডান পায়ে আগে জুতা পড়ি। আরো এই জাতীয় সকল সুন্নাহকে অনুসরন করে যাই।
এটা হল ঐ সকল দ্বীনের নামে দুনিয়া কামানোর বড় বড় ডিলারদের ব্যানার যাদের ধোঁকায় পড়ে আছে আজ অধিকাংশ দ্বীনদার শ্রেনী আর সাধারণ কিছু জনগণ।
আর আরেকদল হল ঐ সমস্ত ব্যক্তি যাদের কে আল্লাহ বড় দয়া করে , বড় মায়া করে দ্বীনকে সঠিক ভাবে বুঝার তৌফিক দিয়েছেন। বাছাই করেছেন দ্বীন হিফাযাতের কাজে। তাঁদেরকেও শয়তান ধোঁকা দিয়ে রেখেছে যে মাশাআল্লাহ দ্বীনকে তোমাদের চাইতে কে ভাল বুঝেছে? তোমরা তো তারা যাদের ব্যাপারে আয়াত আছে। যাদের কে আল্লাহ ভাল ভাল ব্যক্তিদের মধ্য হতে বাছাই করে এনেছেন। তোমরা তো হলে আল্লাহ তায়ালার সেই চারা যা আল্লাহ তায়ালা এই দ্বীনেরর জন্য জমিনে রোপন করেন। তোমরা তো হলে তারা যারা উপরে বর্ণিত দলের মত রাসুলের মিষ্টি খাওা সুন্নাহের অনুসারি হওয়ার দাবিদার না। বরং তোমরা বেছে নিয়েছ রাসুলের দাঁত ভাঙ্গা সুন্নাহের অনুসরণ।
আর এরপর তারা নিজেদের খাহেশের পূজায় ব্যস্ত। সামান্য কাজ করাকে সে মনে করেছে যে সে অনেক কিছু করে ফেলেছে, সে দ্বীনের জন্য অনেক কুরবানি করে ফেলেছে।
আর মনে মনে সে ভাবছে যে , আমিই আসলে সে যে রাসুল কে নিজের জানের চেয়ে বেশি ভালবাসি। পৃথিবীর সকলের চাইতেও আমিই রাসুল কে বেশি ভালবাসি এই জন্যই তো আমি এই জন্যই তো আমি বেছে নিয়েছি তার দাঁত ভাঙ্গা সুন্নাহকে। যদিও ভাল করে আদায় করি আর না করি অন্যদের চাইতে তো আমি ভালই আছি। কত বড় বড় আলেম মুফতী বুঝে নাই, আল্লাহ তাঁদের কবুল করে নাই, আল্লাহ আমাকে কবুল করেছেন, খারাপ হই আর ভাল হই এখন তো আল্লাহর মনোনীত বান্দা।
আর আরেকদল তো রাসুলের মহব্বতকে ঠেকিয়ে দিয়েছে শুধু মিলাদ আর কিয়ামের মধ্যে। আর মুখের ফাঁকা বুলির মধ্যে। আর নিজেদের দাবী করে বসে আছে যে তারাই জমিনে আশেকে রাসুল। রাসুলের মহব্বতকে বানিয়ে দিয়েছে বুলি সর্বস্ব আবেদন আর আকুতি। যারা হাজারো বিদায়াত আর মুনকারাতের ভিতর লিপ্ত। সঠিক দ্বীন থেকে হাজারো গজ দূরে। দ্বীনকে যারা করেছে বিকৃত। ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়েছে রাসুলের সঠিক সম্মান আর ভালোবাসা কে বুঝতে। তাদের মুখের এই আবেদন হয়ত আল্লাহর ক্রোধাগ্নি কে আরো বাড়িয়ে দেয়।
আরেকদল যারা বেখবর তার দ্বীন সম্পর্কে। বেখবর তার নবী সম্পর্কে। আর বেখবর নবী পক্ষ থেকে আসা সেই ঘোষণা সম্পর্কে যেখানে তিনি মুমিন হওয়ার জন্য তার ভালবাসাকে নিজের জানের চাইতে বেশি প্রাধান্য দিতে বলেছেন। ফলে সে আত্মপ্রবঞ্চনায় ডুবে আছে যে, সেও একজন মুমিন। অথচ যদি শরিয়ার আলোকে যাচাই করি তাহলে দেখা যাবে বহু আগেই সে ঈমান হারা হওয়ার সকল উপায় উপকরন জমা করে বসে আছে। আর এটা হল সমাজের অধিকাংশ মুমিন দাবীদারের অবস্থা।
তাহলে এই হাদিস দুই খানার আবেদন কি ? সে আমার কাছে কোন জিনিস চাচ্ছে? কি করলে আমি এই হাদিসের তাকাজা কে পুরা করতে পারব। কেউ কি ছিল এই হাদিসের তাকাজাকে পূর্ণকারী।? কেউ কি ছিল এই হাদিসের মর্মার্থ কে বাস্তবায়ন কারী?
আজ সে বিষয়টাই আমরা মুজাকার করব যাতে করে আমরা অন্যদের মত ধোঁকায় জীবনের মূল্যবান সময়গুলা নষ্ট না করি। আর আত্মপ্রবঞ্চনায় নিজেকে ডুবিয়ে না রাখি।
****************এখন কথগুলা মনযোগ দিয়ে পড়ব আর বুঝার চেষ্টা করব**********
আমরা আমাদের বাবাকে ভালবাসি। কেউ যদি বলে তোর বাবা তো কুত্তার চাইতেও খারাপ(ভাই কিছু মনে করবেন না শুধু বুঝানোর জন্য বলছি)। অথবা এর চাইতে আরো জঘন্য কোন গালি দিল। আপনার মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করল। সাথে আপনার বাবা-মার নামে এমন জঘন্য অপবাদ মানুষের মাঝে প্রচার করতে লাগল যা আপনার বাবা মা করবে তো দূরের কথা কখনও কল্পনাও করেন নি। আপনার বাবা আর মার নামে এমন খারাপ ছবি তৈরী করল যা ইজ্জত সম্মান কে চিরতরে বিদায় করে দেয়। আর সেই ছবি পুরা পৃথিবীর কোনায় কোনায় পৌঁছে গেল। আপনার বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে মানুষ বসে বসে সে নিয়ে কথা বলতে লাগল। কেউ কেউ বলেছে ভালই হয়েছে। এই দেখ দেখ ছবি টা খুব চমৎকার হয়েছে তাই না। আর মাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা গুলো একের পর এক বকেই যাচ্ছে লোকজন। কেউ প্রতিবাদ করার নাই।আর আপনিও প্রতিবাদ করে হয়েছেন অপরাধী। বিচার চেয়েছেন আইনের লোকের কাছে তারাও আপনাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিল।বড় আশা করে গিয়েছিলেন বিচারের আশায় কিন্তু তারাও ঐ অপরাধীর পক্ষ অবলম্বন করল। আর বাসায় যখন ফিরলেন আর দেখলেন আপনার মা বাবা লজ্জায় শরমে কাঁদছেন। কাউকে কিছুই বলছেন না। আচ্ছা বলেন তো ভাই, আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি আপনি আপনার মনের সাথে একটু মিলিয়ে বলুন তো আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে তখন!!!!!? আপনার কি করতে মনে চাইবে।?!!! আল্লাহর শপথ দিয়ে আবার বলছি ভাই বাস্তব কথাটাই বলবেন।
যদি আপনি রক্তে মাংসে গড়া স্বাভাবিক বিবেকসম্পন্ন মানুষ হন আপনি কখনো আপনার মা বাবার এই চোখের পানি সইতে পারবেন না। সইতে পারবেন না এই অপমান। তখন আপনি প্রতিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন। অজান্তেই আপনার মন সেই লোকটা কে নানা অযাচিত ভাষায় গালাগাল করতে থাকবে। আর হিংস্র নেকড়ের মত খোঁজ করতে থাকবে তার দেহ টাকে যাতে করে বুঝিয়ে দিতে পারে তার পাওনা। অথবা আরো ভয়াবহ কোন পরিকল্পনা আপনার মাথায় তখন খেলবে। শুধু কি সেই ব্যক্তির প্রতিই আপনার ঘৃণা হবে নাকি যারা যারা তার পক্ষ অবলম্বন করেছে, যারা তার সুরে সুর মিলিয়ে আপনার বাবা আর মার অপমানে শরিক হয়েছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি এই অবস্থা হবে আপনার।???????আশা করি সত্যি কথাটাই বলবেন ভাই।
যদি আপনার বাবা মা ভালো মানুষ হয় তখন এই অবস্থা তো নিশ্চিত। যদি বাস্তবেও খারাপ হয় তারপরও আপনি কখন বরদাশত করবেন না যে,এমন টা হোক আপনার বাবা আর মায়ের সাথে… ঠিক না ভাই???????????
আপনি কি বলতে পারবেন ভাই্, কেন আপনার এমন অনুভূতি হল। কেন আপনার মত শান্ত মানুষটা এখন এমন হায়নার মত হিংস্র হয়ে গেলো।!!????
অবশ্যই তা দুই কারনের কোন এক কারন থেকে খালি হবে না। আর তা হলঃ
১) আপনি আপনার মা বাবা কে খুব ভালবাসেন। ফলে তাদের এই সামান্য কষ্ট আপনি সহ্য করতে পারেন নি। তাদের ইজ্জতের উপর আসা আঘাত আপনাকে মরিয়া করে তুলেছে প্রতিশোধ গ্রহন করার জন্য। (এই অবস্থাটা হল যারা বাস্তবে মা বাবা কে খুব ভালোবাসে, তাদের। আর এই অবস্থাটা অধিকাংশ মানুষের।)
২) (আর যারা মা বাব কে তেমন ভালবাসে না। শুধু নাম মাত্র ভালবাসে যেমনটা আজকালের মডার্ন ফ্যামিলিদের অবস্থা।) আপনি যদি তাদের মত হন তাহলে লোকেরা যখন বলবে আপনার বাবা মার তো এই অবস্থা তখন নিজের সম্মানে আঘাত লেগেছে বিধায় আপনি প্রতিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন।
তাহলে বুঝা গেল, আর এই ভালবাসাই আপনাকে এমন করে তুলেছে। একমাত্র ভালবাসা। হয়ত মা বার প্রতি ভালবাসা। নয়ত নিজের আত্মসম্মানের ভালবাসা।
এখন আসি সেই দুঃখের কথায় যা আমাদের সমাজের ৯৫% বা আরো বেশি (আল্লাহ আমাদের কে এর থেকে হিফাযাত করুক) মানুষের অবস্থা। যা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর ভেবে যখন দেখেছি নিজেও তাদেরই একজন। তখন কান্না ছাড়া আর হাহাকার করা ছাড়া কিছুই করতে পারছি না। আর নিজের এই পোড়া কপালের কথা আমার ভাইদের সাথে শেয়ার করছি যাতে তাদের মধ্যে যদি কেউ আমার মত হয় সে যেন শুধরে যায়। যেমনটা চেষ্টা করছি। আর কেউ যদি ঐ ভাগ্যবানদের কাতারে থাকে আমাকে বাতলে দেয় সে কিভাবে অর্জন করল এই মহাভাগ্যের বিষয়টি কে।
**********************প্রাণ প্রিয় ভাই আমার******************
আজকে জায়গায় জায়গায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননাকর কত কথা, কত খারাপ খারাপ ছবি, তার চরিত্রের উপর কালিমা লেপন হচ্ছে কিন্তু আল্লাহর শপথ, আল্লাহর শপথ আল্লাহর শপথ আমাদের দিলে ঐ ব্যথা টুকু সামান্য পরিমানেও জেগে উঠে না। যা আমার মা বাবার বেলায় আমার হয়।যা আমার নিজের বেলায় আমার হয়। আল্লাহ তায়ালাকে গালি দেয় আমাদের দিলে কোন ব্যথা জাগে না। আর জাগলেও তা দূর হয়ে যায় কিছু মিছিল মিটিং আর সভা সেমিনার করার মাধ্যমে। আর আমরা বসে থাকি আমাদের মধ্যে থেকে কেউ যাবে তাকে মেরে ফেলবে কিন্তু নিজে কখনও আশা করি না আমি মারব তাকে। আর আশা করলেও আমাদের অবস্থা হল আল্লাহ তায়ালার সেই কথা মত যেখানে তিনি বলেনঃ
ولو أردوا الخروج لأعدوا له عدة و لكن كره الله انبعثهم وثبطهم وقيل اقعدوا مع القاعدين
অর্থাৎ যদি তারা বের হওয়ার ইচ্ছা করত তাহলে অবশ্যই তারা প্রস্তুতি নিত কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের বের হওয়াকে অপছন্দ করেছেন ফলে তাদের কে এটে দিয়েছেন। আর তাদের কে বলা হয়েছে বসে থাক যারা বসে আছে তাদের সাথে।
আমরা হয়ে গেছি এই সকল মুনাফিকদের মত। আল্লাহ হিফাযাত করে। আমীন।
*********************************ভাই আমার!!************************
আজকে হারিয়ে গেছে মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ, হারিয়ে গেছে আব্দুল্লাহ বিন আতিক। আজ হয়ে আছি আমরা বিবেকবরজিত এক কাপুরুষ জাতি হিসাবে। যাদের অনুভূতি গুলা বহু আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই হাদিসের আহ্বান তো ছিল
আমি যতক্ষণ আমার ইজ্জতের চাইতে আমার রাসুলকে বেশি ভাল না বাসবো ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার বাবা মায়ের ইজ্জতের চেয়ে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার সন্তান সন্ততির ইজ্জতের চেয়ে বেশি ভাল না বাসবো ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার ভাই এর ইজ্জতের চেয়ে ভাল না বাসবো ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার স্ত্রীর ইজ্জতের চেয়ে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার উস্তাদের ইজ্জতের চাইতে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না।
এমন করতে করতে পুরা পৃথিবীর সকল মানুষের ইজ্জতের চাইতে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না। আমি মুমিন না । আমি মুমিন না।। হতে পারি না। হওয়া যাবে না।
ভাবুন হাদিসটি নিয়ে সেখানে বলা হয়েছে নিজের জানের চেয়ে বেশি প্রিয় হতে হবে । জানের মধ্যে কি ইজ্জত নাই। ? আপনাকে শুধু অপমান করল আর আপনি ঐ ব্যক্তি থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেলেন। যদি আপনার গায়ে হাত তুলত, আপনাকে জুতা পেটা করত বা আরো কোন নিকৃষ্ট কোন শাস্তি যদি আপনার জন্য প্রস্তুত করত তাহলে কি আপনি তাকে ছেড়ে দিতেন????????? আপনার মা বাবা জানের বেলায়ও একি কথা। আপনার সন্তানের ব্যাপারেও একি কথা। এমন প্রতিটি ব্যক্তির বেলায়ও একি কথা যাকে আপনি খুব ভালবাসেন। এখন নিজেই মিলান আপনি কোন কাতারে এখনও আছেন । কি করছেন। কি করা দরকার ছিল??????
ভেবে দেখুন তো এই হাদিসটি কি এটাই দাবি করছে না আপনার কাছে???????????
না করতে পারবেন।???? আল্লাহ আমাদের কে হিফাযাত করে।
আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের ঈমান কে নিয়ে চিন্তা করার তৌফিক দিক। নিজের ঈমান কে নবায়ন করার তৌফিক দিক। রাসুল কে যেন নিজের জান মালের চাইতে , পৃথিবীর সকল ভালবাসার বস্তু থেকে বেশি ভালবাসতে পারি। সেই তৌফিক দিক। আর এই ভালবাসা যেন এমন না হয় যে কেবল মাত্র মুখের বুলি। বরং কাজে পরিনত করার তৌফিক দিক। আর পৃথিবীর যেখানে কোন শাতেম মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে তাকে তার আসল ঠিকানা জাহান্নামে পৌঁছে দেয়ার সৎ সাহস আমাদের কে দান করুক আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
তাহলে এই হাদিস দুই খানার আবেদন কি ? সে আমার কাছে কোন জিনিস চাচ্ছে? কি করলে আমি এই হাদিসের তাকাজা কে পুরা করতে পারব। >>>>>>>এতক্ষন যা আলোচনা করলাম তা ছিল এই অংশটুকুর আলোচনা।
কেউ কি ছিল এই হাদিসের তাকাজাকে পূর্ণকারী।? কেউ কি ছিল এই হাদিসের মর্মার্থ কে বাস্তবায়ন কারী?>>>>>>> এই অংশের আলোচনা করতে পারতাম। কিন্তু ভাই সময় কম ছিল তাই লিখে শেষ করা যায় নি। এটা জন্য
https://file.fm/u/5v79tz9u>>>>>>>>>>>>>>>>>>> এই লিঙ্ক থেকে কিতাব নামিয়ে সকলে পরে
কথাগুলো লিখলাম দিন দিন এই শাতেম গুলার সাহস বেড়েই চলেছে আমাদের গাফলতির কারনে।। আমাড় কোন কথায় যদি আমি সহ আল্লাহর কোন বান্দার বোধোদয় হয় তাহল এই লিখা সার্থক।
আজ মনে জাগ্রত একটি অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত। ভিতরে জেগে উঠা কিছু আহাজারি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত। আমি উপস্থিত আজ কিছু আবেদন কিছু ভাবনা নিয়ে, যা হয়ত কখনও ভাবারই সুযোগ হয় নি আমাদের, বা ছিল কিন্তু আমরা আমাদের গাফলতিকেই প্রাধান্য দিয়েছি সে ভাবনার উপরে। আজ আমি চেষ্টা করবো সেই ভাবনাকে আপনাদের মধ্যেও জাগিয়ে তোলার। চেষ্টা করবো আপনাকেও সেই চিন্তায় বিভোর করার যা আমাকে ঘুমাতে দেয় নি কিছু রাত। ভেবেছি আর কেদেছি নিজের অসহায়ত্বের উপর। কেদেছি নিজের ঈমানের দুর্বলতার উপর। কেদেছি সাহাবীদের সেই সৌভাগ্যের কথা চিন্তা করে হায়! যদি সেই ভাগ্য আমাদের হত। হায়! যদি অনুভব করতে পারতাম সেই স্বাদ যা সাহাবীরা অর্জন করেছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সোহবতে থেকে। হায়! যদি সাহাবীদের মত হতে পারতাম রাসুল প্রেমিক।
রাসুল সাল্লাল্লহু আলাইহিস সালাম বলেনঃ
لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده و ولده والناس اجمعين
অর্থাৎ তোমাদের মধ্য হতে কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ তার নিকট আমি তার পিতা-মাতা,সন্তান-সন্ততি এবং সকল মানুষ থেকে প্রিয় না হব।
অপর এক বর্ণনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তোমার প্রানের চেয়ে প্রিয় না হব ততক্ষণ তুমি মুমিন নও।
এই হাদিস দুটি নিয়ে কিছু সময় ভাবুন তো ভাই। কি আবেদন ছিল এই হাদিস দু’খানার?????
এটা কি এই জন্য ছিল যে আমি শুধু পাঠ করে যাব আর মানুষকে বলে যাব আমি আমার জানের চেয়ে বেশি রাসুল সাল্লাল্লআহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভালবাসি। ভাল বাসি পৃথিবীর অন্য সকলের চেয়ে অনেক বেশি। কাউকে আমি আমার রাসুলের চাইতে বেশি ভালবাসি না।আর মানুষ যাকে বেশি ভালবাসে তার অনুসরণেও তার খুব ভাল লাগে।
আর দলিল হিসাবে পেশ করা মানুষের কাছে আমি রাসুলের সুন্নাহ সমূহকে পালন করে যাই অর্থাৎ পূরনাঙ্গ করে যাই। রাসুল সাদা পোশাক পছন্দ করতেন । আমিও সাদা জামাই পড়ে বেড়াই। রাসুল মেসওয়াক করতেন আমিও মেসওয়াক করি। রাসুল তিন আঙ্গুলে খেতেন আমিও তিন আঙ্গুলে খাই। রাসুল ডান কাতে ঘুমাতেন। আমিও ডান কাতে ঘুমাই। রাসুল ডান পায়ে আগে জুতা পড়তেন আমিও ডান পায়ে আগে জুতা পড়ি। আরো এই জাতীয় সকল সুন্নাহকে অনুসরন করে যাই।
এটা হল ঐ সকল দ্বীনের নামে দুনিয়া কামানোর বড় বড় ডিলারদের ব্যানার যাদের ধোঁকায় পড়ে আছে আজ অধিকাংশ দ্বীনদার শ্রেনী আর সাধারণ কিছু জনগণ।
আর আরেকদল হল ঐ সমস্ত ব্যক্তি যাদের কে আল্লাহ বড় দয়া করে , বড় মায়া করে দ্বীনকে সঠিক ভাবে বুঝার তৌফিক দিয়েছেন। বাছাই করেছেন দ্বীন হিফাযাতের কাজে। তাঁদেরকেও শয়তান ধোঁকা দিয়ে রেখেছে যে মাশাআল্লাহ দ্বীনকে তোমাদের চাইতে কে ভাল বুঝেছে? তোমরা তো তারা যাদের ব্যাপারে আয়াত আছে। যাদের কে আল্লাহ ভাল ভাল ব্যক্তিদের মধ্য হতে বাছাই করে এনেছেন। তোমরা তো হলে আল্লাহ তায়ালার সেই চারা যা আল্লাহ তায়ালা এই দ্বীনেরর জন্য জমিনে রোপন করেন। তোমরা তো হলে তারা যারা উপরে বর্ণিত দলের মত রাসুলের মিষ্টি খাওা সুন্নাহের অনুসারি হওয়ার দাবিদার না। বরং তোমরা বেছে নিয়েছ রাসুলের দাঁত ভাঙ্গা সুন্নাহের অনুসরণ।
আর এরপর তারা নিজেদের খাহেশের পূজায় ব্যস্ত। সামান্য কাজ করাকে সে মনে করেছে যে সে অনেক কিছু করে ফেলেছে, সে দ্বীনের জন্য অনেক কুরবানি করে ফেলেছে।
আর মনে মনে সে ভাবছে যে , আমিই আসলে সে যে রাসুল কে নিজের জানের চেয়ে বেশি ভালবাসি। পৃথিবীর সকলের চাইতেও আমিই রাসুল কে বেশি ভালবাসি এই জন্যই তো আমি এই জন্যই তো আমি বেছে নিয়েছি তার দাঁত ভাঙ্গা সুন্নাহকে। যদিও ভাল করে আদায় করি আর না করি অন্যদের চাইতে তো আমি ভালই আছি। কত বড় বড় আলেম মুফতী বুঝে নাই, আল্লাহ তাঁদের কবুল করে নাই, আল্লাহ আমাকে কবুল করেছেন, খারাপ হই আর ভাল হই এখন তো আল্লাহর মনোনীত বান্দা।
আর আরেকদল তো রাসুলের মহব্বতকে ঠেকিয়ে দিয়েছে শুধু মিলাদ আর কিয়ামের মধ্যে। আর মুখের ফাঁকা বুলির মধ্যে। আর নিজেদের দাবী করে বসে আছে যে তারাই জমিনে আশেকে রাসুল। রাসুলের মহব্বতকে বানিয়ে দিয়েছে বুলি সর্বস্ব আবেদন আর আকুতি। যারা হাজারো বিদায়াত আর মুনকারাতের ভিতর লিপ্ত। সঠিক দ্বীন থেকে হাজারো গজ দূরে। দ্বীনকে যারা করেছে বিকৃত। ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়েছে রাসুলের সঠিক সম্মান আর ভালোবাসা কে বুঝতে। তাদের মুখের এই আবেদন হয়ত আল্লাহর ক্রোধাগ্নি কে আরো বাড়িয়ে দেয়।
আরেকদল যারা বেখবর তার দ্বীন সম্পর্কে। বেখবর তার নবী সম্পর্কে। আর বেখবর নবী পক্ষ থেকে আসা সেই ঘোষণা সম্পর্কে যেখানে তিনি মুমিন হওয়ার জন্য তার ভালবাসাকে নিজের জানের চাইতে বেশি প্রাধান্য দিতে বলেছেন। ফলে সে আত্মপ্রবঞ্চনায় ডুবে আছে যে, সেও একজন মুমিন। অথচ যদি শরিয়ার আলোকে যাচাই করি তাহলে দেখা যাবে বহু আগেই সে ঈমান হারা হওয়ার সকল উপায় উপকরন জমা করে বসে আছে। আর এটা হল সমাজের অধিকাংশ মুমিন দাবীদারের অবস্থা।
তাহলে এই হাদিস দুই খানার আবেদন কি ? সে আমার কাছে কোন জিনিস চাচ্ছে? কি করলে আমি এই হাদিসের তাকাজা কে পুরা করতে পারব। কেউ কি ছিল এই হাদিসের তাকাজাকে পূর্ণকারী।? কেউ কি ছিল এই হাদিসের মর্মার্থ কে বাস্তবায়ন কারী?
আজ সে বিষয়টাই আমরা মুজাকার করব যাতে করে আমরা অন্যদের মত ধোঁকায় জীবনের মূল্যবান সময়গুলা নষ্ট না করি। আর আত্মপ্রবঞ্চনায় নিজেকে ডুবিয়ে না রাখি।
****************এখন কথগুলা মনযোগ দিয়ে পড়ব আর বুঝার চেষ্টা করব**********
আমরা আমাদের বাবাকে ভালবাসি। কেউ যদি বলে তোর বাবা তো কুত্তার চাইতেও খারাপ(ভাই কিছু মনে করবেন না শুধু বুঝানোর জন্য বলছি)। অথবা এর চাইতে আরো জঘন্য কোন গালি দিল। আপনার মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করল। সাথে আপনার বাবা-মার নামে এমন জঘন্য অপবাদ মানুষের মাঝে প্রচার করতে লাগল যা আপনার বাবা মা করবে তো দূরের কথা কখনও কল্পনাও করেন নি। আপনার বাবা আর মার নামে এমন খারাপ ছবি তৈরী করল যা ইজ্জত সম্মান কে চিরতরে বিদায় করে দেয়। আর সেই ছবি পুরা পৃথিবীর কোনায় কোনায় পৌঁছে গেল। আপনার বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে মানুষ বসে বসে সে নিয়ে কথা বলতে লাগল। কেউ কেউ বলেছে ভালই হয়েছে। এই দেখ দেখ ছবি টা খুব চমৎকার হয়েছে তাই না। আর মাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা গুলো একের পর এক বকেই যাচ্ছে লোকজন। কেউ প্রতিবাদ করার নাই।আর আপনিও প্রতিবাদ করে হয়েছেন অপরাধী। বিচার চেয়েছেন আইনের লোকের কাছে তারাও আপনাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিল।বড় আশা করে গিয়েছিলেন বিচারের আশায় কিন্তু তারাও ঐ অপরাধীর পক্ষ অবলম্বন করল। আর বাসায় যখন ফিরলেন আর দেখলেন আপনার মা বাবা লজ্জায় শরমে কাঁদছেন। কাউকে কিছুই বলছেন না। আচ্ছা বলেন তো ভাই, আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি আপনি আপনার মনের সাথে একটু মিলিয়ে বলুন তো আপনার মনের অবস্থা কেমন হবে তখন!!!!!? আপনার কি করতে মনে চাইবে।?!!! আল্লাহর শপথ দিয়ে আবার বলছি ভাই বাস্তব কথাটাই বলবেন।
যদি আপনি রক্তে মাংসে গড়া স্বাভাবিক বিবেকসম্পন্ন মানুষ হন আপনি কখনো আপনার মা বাবার এই চোখের পানি সইতে পারবেন না। সইতে পারবেন না এই অপমান। তখন আপনি প্রতিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন। অজান্তেই আপনার মন সেই লোকটা কে নানা অযাচিত ভাষায় গালাগাল করতে থাকবে। আর হিংস্র নেকড়ের মত খোঁজ করতে থাকবে তার দেহ টাকে যাতে করে বুঝিয়ে দিতে পারে তার পাওনা। অথবা আরো ভয়াবহ কোন পরিকল্পনা আপনার মাথায় তখন খেলবে। শুধু কি সেই ব্যক্তির প্রতিই আপনার ঘৃণা হবে নাকি যারা যারা তার পক্ষ অবলম্বন করেছে, যারা তার সুরে সুর মিলিয়ে আপনার বাবা আর মার অপমানে শরিক হয়েছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি এই অবস্থা হবে আপনার।???????আশা করি সত্যি কথাটাই বলবেন ভাই।
যদি আপনার বাবা মা ভালো মানুষ হয় তখন এই অবস্থা তো নিশ্চিত। যদি বাস্তবেও খারাপ হয় তারপরও আপনি কখন বরদাশত করবেন না যে,এমন টা হোক আপনার বাবা আর মায়ের সাথে… ঠিক না ভাই???????????
আপনি কি বলতে পারবেন ভাই্, কেন আপনার এমন অনুভূতি হল। কেন আপনার মত শান্ত মানুষটা এখন এমন হায়নার মত হিংস্র হয়ে গেলো।!!????
অবশ্যই তা দুই কারনের কোন এক কারন থেকে খালি হবে না। আর তা হলঃ
১) আপনি আপনার মা বাবা কে খুব ভালবাসেন। ফলে তাদের এই সামান্য কষ্ট আপনি সহ্য করতে পারেন নি। তাদের ইজ্জতের উপর আসা আঘাত আপনাকে মরিয়া করে তুলেছে প্রতিশোধ গ্রহন করার জন্য। (এই অবস্থাটা হল যারা বাস্তবে মা বাবা কে খুব ভালোবাসে, তাদের। আর এই অবস্থাটা অধিকাংশ মানুষের।)
২) (আর যারা মা বাব কে তেমন ভালবাসে না। শুধু নাম মাত্র ভালবাসে যেমনটা আজকালের মডার্ন ফ্যামিলিদের অবস্থা।) আপনি যদি তাদের মত হন তাহলে লোকেরা যখন বলবে আপনার বাবা মার তো এই অবস্থা তখন নিজের সম্মানে আঘাত লেগেছে বিধায় আপনি প্রতিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন।
তাহলে বুঝা গেল, আর এই ভালবাসাই আপনাকে এমন করে তুলেছে। একমাত্র ভালবাসা। হয়ত মা বার প্রতি ভালবাসা। নয়ত নিজের আত্মসম্মানের ভালবাসা।
এখন আসি সেই দুঃখের কথায় যা আমাদের সমাজের ৯৫% বা আরো বেশি (আল্লাহ আমাদের কে এর থেকে হিফাযাত করুক) মানুষের অবস্থা। যা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর ভেবে যখন দেখেছি নিজেও তাদেরই একজন। তখন কান্না ছাড়া আর হাহাকার করা ছাড়া কিছুই করতে পারছি না। আর নিজের এই পোড়া কপালের কথা আমার ভাইদের সাথে শেয়ার করছি যাতে তাদের মধ্যে যদি কেউ আমার মত হয় সে যেন শুধরে যায়। যেমনটা চেষ্টা করছি। আর কেউ যদি ঐ ভাগ্যবানদের কাতারে থাকে আমাকে বাতলে দেয় সে কিভাবে অর্জন করল এই মহাভাগ্যের বিষয়টি কে।
**********************প্রাণ প্রিয় ভাই আমার******************
আজকে জায়গায় জায়গায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননাকর কত কথা, কত খারাপ খারাপ ছবি, তার চরিত্রের উপর কালিমা লেপন হচ্ছে কিন্তু আল্লাহর শপথ, আল্লাহর শপথ আল্লাহর শপথ আমাদের দিলে ঐ ব্যথা টুকু সামান্য পরিমানেও জেগে উঠে না। যা আমার মা বাবার বেলায় আমার হয়।যা আমার নিজের বেলায় আমার হয়। আল্লাহ তায়ালাকে গালি দেয় আমাদের দিলে কোন ব্যথা জাগে না। আর জাগলেও তা দূর হয়ে যায় কিছু মিছিল মিটিং আর সভা সেমিনার করার মাধ্যমে। আর আমরা বসে থাকি আমাদের মধ্যে থেকে কেউ যাবে তাকে মেরে ফেলবে কিন্তু নিজে কখনও আশা করি না আমি মারব তাকে। আর আশা করলেও আমাদের অবস্থা হল আল্লাহ তায়ালার সেই কথা মত যেখানে তিনি বলেনঃ
ولو أردوا الخروج لأعدوا له عدة و لكن كره الله انبعثهم وثبطهم وقيل اقعدوا مع القاعدين
অর্থাৎ যদি তারা বের হওয়ার ইচ্ছা করত তাহলে অবশ্যই তারা প্রস্তুতি নিত কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের বের হওয়াকে অপছন্দ করেছেন ফলে তাদের কে এটে দিয়েছেন। আর তাদের কে বলা হয়েছে বসে থাক যারা বসে আছে তাদের সাথে।
আমরা হয়ে গেছি এই সকল মুনাফিকদের মত। আল্লাহ হিফাযাত করে। আমীন।
*********************************ভাই আমার!!************************
আজকে হারিয়ে গেছে মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ, হারিয়ে গেছে আব্দুল্লাহ বিন আতিক। আজ হয়ে আছি আমরা বিবেকবরজিত এক কাপুরুষ জাতি হিসাবে। যাদের অনুভূতি গুলা বহু আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই হাদিসের আহ্বান তো ছিল
আমি যতক্ষণ আমার ইজ্জতের চাইতে আমার রাসুলকে বেশি ভাল না বাসবো ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার বাবা মায়ের ইজ্জতের চেয়ে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার সন্তান সন্ততির ইজ্জতের চেয়ে বেশি ভাল না বাসবো ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার ভাই এর ইজ্জতের চেয়ে ভাল না বাসবো ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার স্ত্রীর ইজ্জতের চেয়ে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না।
আমার উস্তাদের ইজ্জতের চাইতে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না।
এমন করতে করতে পুরা পৃথিবীর সকল মানুষের ইজ্জতের চাইতে বেশি ভাল না বাসব ততক্ষন আমি মুমিন না। আমি মুমিন না । আমি মুমিন না।। হতে পারি না। হওয়া যাবে না।
ভাবুন হাদিসটি নিয়ে সেখানে বলা হয়েছে নিজের জানের চেয়ে বেশি প্রিয় হতে হবে । জানের মধ্যে কি ইজ্জত নাই। ? আপনাকে শুধু অপমান করল আর আপনি ঐ ব্যক্তি থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গেলেন। যদি আপনার গায়ে হাত তুলত, আপনাকে জুতা পেটা করত বা আরো কোন নিকৃষ্ট কোন শাস্তি যদি আপনার জন্য প্রস্তুত করত তাহলে কি আপনি তাকে ছেড়ে দিতেন????????? আপনার মা বাবা জানের বেলায়ও একি কথা। আপনার সন্তানের ব্যাপারেও একি কথা। এমন প্রতিটি ব্যক্তির বেলায়ও একি কথা যাকে আপনি খুব ভালবাসেন। এখন নিজেই মিলান আপনি কোন কাতারে এখনও আছেন । কি করছেন। কি করা দরকার ছিল??????
ভেবে দেখুন তো এই হাদিসটি কি এটাই দাবি করছে না আপনার কাছে???????????
না করতে পারবেন।???? আল্লাহ আমাদের কে হিফাযাত করে।
আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের ঈমান কে নিয়ে চিন্তা করার তৌফিক দিক। নিজের ঈমান কে নবায়ন করার তৌফিক দিক। রাসুল কে যেন নিজের জান মালের চাইতে , পৃথিবীর সকল ভালবাসার বস্তু থেকে বেশি ভালবাসতে পারি। সেই তৌফিক দিক। আর এই ভালবাসা যেন এমন না হয় যে কেবল মাত্র মুখের বুলি। বরং কাজে পরিনত করার তৌফিক দিক। আর পৃথিবীর যেখানে কোন শাতেম মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে তাকে তার আসল ঠিকানা জাহান্নামে পৌঁছে দেয়ার সৎ সাহস আমাদের কে দান করুক আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
তাহলে এই হাদিস দুই খানার আবেদন কি ? সে আমার কাছে কোন জিনিস চাচ্ছে? কি করলে আমি এই হাদিসের তাকাজা কে পুরা করতে পারব। >>>>>>>এতক্ষন যা আলোচনা করলাম তা ছিল এই অংশটুকুর আলোচনা।
কেউ কি ছিল এই হাদিসের তাকাজাকে পূর্ণকারী।? কেউ কি ছিল এই হাদিসের মর্মার্থ কে বাস্তবায়ন কারী?>>>>>>> এই অংশের আলোচনা করতে পারতাম। কিন্তু ভাই সময় কম ছিল তাই লিখে শেষ করা যায় নি। এটা জন্য
https://file.fm/u/5v79tz9u>>>>>>>>>>>>>>>>>>> এই লিঙ্ক থেকে কিতাব নামিয়ে সকলে পরে
কথাগুলো লিখলাম দিন দিন এই শাতেম গুলার সাহস বেড়েই চলেছে আমাদের গাফলতির কারনে।। আমাড় কোন কথায় যদি আমি সহ আল্লাহর কোন বান্দার বোধোদয় হয় তাহল এই লিখা সার্থক।