Announcement

Collapse
No announcement yet.

কি আছে আরবের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভাগ্যে⚠️⚠️⚠️

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কি আছে আরবের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভাগ্যে⚠️⚠️⚠️

    ১. সালতানাতের ভূমি তুরস্কের দেখেছি মালাউন কামাল পাশা ক্ষমতায় এসেই সকল ইসলামিক নিয়ম-কানুনের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করে। পশ্চিমা অশ্লীল সভ্যতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমকাম, মদ, যেনা ব্যভিচার, সবকিছু আমদানী করে তুরস্ককে একটি সম্পূর্ণ ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করে। দীর্ঘকাল ধরে কামাল পাশা দুনিয়া থেকে বিদায় হলেও শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেজে তুর্কি জাতির অভ্যন্তরে একটা পশ্চিমা পচন ধরিয়ে দিয়ে গেছে ইসলামী ইমারাহ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ দিয়ে সারানো সম্ভব নয়।

    ২., আলবেনিয়া ছিল ইসলামী খেলাফতের অন্তর্ভুক্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে আলবেনিয়া কমিউনিস্টদের আন্ডারে চলে যায়। বিধি-নিষেধ আরোপ হয় ইসলামের বহু হুকুম-আহকামের উপর। নগ্নতা-অশ্লীলতাকে একদম মুক্ত করে দেওয়া হয়। যেনা-ব্যভিচারের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়। দেশব্যাপী প্রায় কয়েক দশক ধরে চলে কমিউনিস্টদের তান্ডব। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে আলবেনিয়া মুক্ত হয়। কমিউনিস্টদের পতন হয়। স্থলাভিষিক্ত হয়েছে সেকুলার শাসন। কিন্তু ইতিমধ্যে কমিউনিস্টরা কয়েক দশকের নির্যাতনের ফলে আলবেনিয়ায় এমন একটা মুসলিম প্রজন্ম তৈরি হয়েছে যেটা নিজের শিকড়ের সাথে নেই কোন সম্পর্ক। আলবেনিয়ার মুসলিম তরুনীরা রাস্তায় পশ্চিমা তরুনীদের মতো অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে হাটতে লজ্জা পায় না।

    ৩. নীল দরিয়ায় ডুবে ফেরাউনের মৃত্যুর মাধ্যমে বনি ইসরাইলের ফেরাউন এর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু ইতিমধ্যে দীর্ঘ দীর্ঘ কয়েক দশকের নির্যাতনের ফলে ইসরাইল জাতির সম্পূর্ণ কাপুরুষ এবং দাসভিত্তিক মনোভাব তাদের ভেতরে প্রবেশ করে।

    ৪. সমরকন্দ বুখারা যা বর্তমানে সম্ভবত উজবেকিস্তান বা কাজাখস্তান এর অন্তর্ভুক্ত, ছিলো জ্ঞানের নগরী। এশিয়া মাইনরের এই দেশগুলো একসময় ইসলামের পূণ্যভূমি হলেও আজকে এসব এলাকার মুসলিমগুলো সম্পূর্ণ নিষ্প্রাণ। দীর্ঘ কয়েক শতাব্দি জুড়ে যার অতঃপর কমিউনিস্টদের নির্যাতনের ফলে তাদের ভিতর থেকে ইসলামিয়্যাত বের হয়ে গেছে।

    ৫. দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী তাগুতি শাসনের দাসত্বের ফলে উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে তাগুতের আন্ডারে বসবাস করার একটা মনোভাব তৈরি হয়ে গেছে।

    ৬. পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার পর এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেকুলার বানানোর জন্য যিন্দিক মুজিব এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা আল্লাহর ইচ্ছায় পুরোপুরি সফল হয়নি। কারণ শুরু থেকেই এদেশে আলেমগন এই তা-গুত সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ফলে এদেশের মুসলিমরা ধর্মহীনতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তারপরেও এরা কম সফল হয়নি। এরা কতটা সফল হয়েছে তা মুক্তমনা ব্লগ বা ঢাকার রাস্তা দিয়ে এক বিকেল হাঁটলেই বুঝা যায়।

    ৭. সারা বিশ্বের সকল মুসলিমদের দিকে তাকালে দেখা যাবে তা তাগুতের শাসন মুসলিমদের ভিতর থেকে কিভাবে ইসলামিয়াতকে বের করে নিয়ে গেছে।

    তো দেখাই যাচ্ছে এই শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে একটা জাতিকে এক প্রজন্মেই তাদের মূল ঐতিহ্য থেকে বের করে দেয়া যায়। এমনিতেই আরব জাতির বহু আগে থেকেই নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে বিলাসিতা ঢুকেছে আগেই। এরমধ্যে আবার ইথিওপিয়ান ইহুদী নারীর সন্তান মালাউন বিন সালমানের ও বেদুঈন বিন জায়েদের ভিশন-২০৩০ এ প্রকল্পর ধাপগুলো ক্রমে ক্রমে শুরু হয়ে গেছে।

    আল্লাহ না করুন এই এরা যদি তাদের প্রকল্প নিয়ে এগোতে থাকে তাহলে হয়তো আর এক-দেড় দশক পরে নবুয়তের ভূমি আরবে আমরা এমন একটা প্রজন্মকে বেড়ে উঠতে দেখব যেটা সাথে যেটা হবে সম্পূর্ণ ইউরোপীয়দের ন্যায় ও যাদের সঙ্গে ইসলামের কোন সম্পর্ক থাকবে না। ২০৩০ সাল হয়তো আরবের রাস্তায় আরব তরুণীদের ইউরোপীয়ান অর্ধোউলঙ্গদের ন্যায় হেটে বেড়ানোর এবং পার্কগুলোতে বীভৎস দৃশ্য দেখার অপেক্ষা করছে। এখন আল্লাহ আল্লাহ পাকের পরিকল্পনা কি তিনিই জানেন।

    ১৫/১২/২০২১

  • #2
    আল্লাহ তায়ালা আরব ভূমিকে অবশ্যই হিফাজত করবেন।
    কারণ যতই রাতের অন্ধকার হয়,ততই সকালের আলোর কাছাকাছি আসে।

    Comment

    Working...
    X