কে যেন বলেছিলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার প্রতি আন্তরিকতা রাখতে বলেছেন। আর কেউ না আল্লাহর রাসূল বলেছেন।"
এ নিয়ে এক ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। আমি এই বক্তব্যের ব্যাপারে আপত্তি তুললে, ভাই আমাকে উদ্দেশ্য করে এক দীর্ঘ বক্তব্য দিলেন।
যার সারসংক্ষেপ, "হে বালক! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাসকের আনুগত্য করতে বলেছেন। এমনকি যালেম হলেও। তুমি না একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছ। ইদানিং তুমি কেমন যেনো বেয়াড়া হয়ে গেছো!"
ভালো কথা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই মুসলিম জালেম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাকে নিষেধ করেছেন এবং বিভেদ সৃষ্টি না করতে বলেছেন। কখনো কখনো আল্লাহ পাক আমাদেরকে জালেম শাসক দিয়ে পরীক্ষা দেন সেটার জন্য আমাদেরকে সফল করতে হয়।
মুসলিম জাতির জন্য এটা অনেক বড় হিকমাহ যে তারা অনেক জালেম শাসকের অত্যাচার সয়েছে কিন্তু তারা কথায় কথায় বিদ্রোহ করেনি। ফলে মুসলিম ভূখণ্ডগুলো বিস্তার লাভ করেছে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ অনেক বড় একজন জালেম ছিলেন। বহু তাবেঈ ও আলেমকে হত্যা করেছে। কিন্তু মুসলিম জাতি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নি।
তিনি ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন এবং ভারতবর্ষে ইসলামের প্রসার ঘটে। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হয়।
যদি মুসলিমরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতো তাহলে তাকে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ সামাল দিতে দিতেই ভারতের দিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হতো না।
অথচ দেখুন জালেম হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর পরিনতি এমন হয়েছিল যে মৃত্যুর সময় চোখ বন্ধ করলেই নির্যাতনের বীভৎস দৃশ্য দেখত। ভয়ঙ্কর এক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। একজন চিকিৎসক একটি সুতায় মাংসের টুকরা বেঁধে তার গলায় প্রবেশ করান। এরপর সুতা টেনে বের করে দেখেন হাজার হাজার কীড়া পোকা মাংসের টুকরো কামড়ে আছে।
তেমনিভাবে ইউরোপের ক্রুসেডারদের মহাতঙ্ক সুলতান রুকনউদ্দিন বাইবার্সও ছিলেন জালেম। জানা যায় একজন বড় আলেমের বদদোয়া দেওয়ার কারণে তিনি মারা যান। অথচ তিনি ক্রুসেডার ও তাতারীদের মেরুদন্ড ভেঙে দেন। সিরিয়া থেকে ক্রুসেডারদের বিতাড়িত করেন। তাতারীদের বহু ময়দানে পরাজিত করেন। ক্রুসেডার বা তাতারী কারো প্রতি তার দয়ামায়া ছিল না
এইতো গেল মুসলিম জালেম শাসকের কথা। এখন বুঝেন কেনো প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম জালেম শাসকের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কুফরী দেখার আগ পর্যন্ত বিদ্রোহ করতে নিষেধ করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো হাসিনা কি এই মুসলিম জালেম শাসকদের মধ্যে পড়ে?
অতীতের যে জালিম শাসকগণ ছিলেন তারা তো ছিলেন মুসলিম। যতই জুলুম করেন না কেন তারা মুসলিম ভূখণ্ডগুলো শাসনের জন্য সমস্ত আইন-কানুন কুরআন হাদীস থেকেই নিয়েছেন। বিচার-আচার এর জন্য ইসলামিক কোর্টে যেতে হতো। সেখানে কুরআন-হাদীসের জ্ঞান দ্বারাই বিচার করা হতো। তারা জালেম হলেও রোমান সংবিধান থেকে আইন নেয়নি। পারস্যের অগ্নি-পূজারীদের সংবিধান দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোকে চালায়নি।
হাসিনাও জালিম, জালিম হাজ্জাজ বিন ইউসুফও। কিন্তু হাসিনা এবং হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে রাষ্ট্রজীবনে একজন আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করেছে আরেকজন আল্লাহর আইনকে স্বীকার করেছে। একজন দেশ চালাচ্ছে ব্রিটিশ সংবিধান দিয়ে আরেকজন তার অধিভুক্ত ভূখণ্ড চালিয়ে গেছে আল্লাহর কুরআন দিয়ে।
তেমনিভাবে কি ইমরান খান, এরদোগান তারা প্রত্যেকেই আল্লাহর আইনের উৎস হিসেবে কুরআনকে বাদ দিয়ে মানবরচিত সেকুলার সংবিধানকে রাষ্ট্রপরিচালনার মাধ্যম হিসেবে মেনে নিয়েছে। এসব সংবিধান যেমন মানবরচিত তেমনি এর অধিকাংশই আমদানি করা হয়েছে ব্রিটিশ ও মার্কিন সংবিধান থেকে।
একজন মানুষ যতই পাক্কা নামাজী হোক, কুরআন তেলাওয়াত করুক তিনি যদি রাষ্ট্রপরিচালনার উৎস হিসেবে আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করেন, হোক মৌখিকভাবে কিংবা ব্যবহারিকভাবে, তিনি অবশ্যই মুরতাদ ও ত্বাগুতের অন্তর্ভুক্ত।
সম্রাট আকবর যেমন জালেম ছিলো তেমনি ত্বাগুত ছিলো। দ্বীন ইলাহী চালু করে ইসলামকে রদ করে। তৎকালীন উলামায়ে কেরাম ব্যাপকভাবে আকবরকে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাহলে এবার আপনি বলুন কিভাবে জালেম শাসকের আনুগত্য করার হাদিসকে ত্বাগুত শাসকের সঙ্গে মিলানো হচ্ছে? যদি হাসিনার আনুগত্য করতে হয় তাহলে আকবরের আনুগত্য করতে সমস্যা কি?
এ নিয়ে এক ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। আমি এই বক্তব্যের ব্যাপারে আপত্তি তুললে, ভাই আমাকে উদ্দেশ্য করে এক দীর্ঘ বক্তব্য দিলেন।
যার সারসংক্ষেপ, "হে বালক! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাসকের আনুগত্য করতে বলেছেন। এমনকি যালেম হলেও। তুমি না একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছ। ইদানিং তুমি কেমন যেনো বেয়াড়া হয়ে গেছো!"
ভালো কথা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই মুসলিম জালেম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাকে নিষেধ করেছেন এবং বিভেদ সৃষ্টি না করতে বলেছেন। কখনো কখনো আল্লাহ পাক আমাদেরকে জালেম শাসক দিয়ে পরীক্ষা দেন সেটার জন্য আমাদেরকে সফল করতে হয়।
মুসলিম জাতির জন্য এটা অনেক বড় হিকমাহ যে তারা অনেক জালেম শাসকের অত্যাচার সয়েছে কিন্তু তারা কথায় কথায় বিদ্রোহ করেনি। ফলে মুসলিম ভূখণ্ডগুলো বিস্তার লাভ করেছে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ অনেক বড় একজন জালেম ছিলেন। বহু তাবেঈ ও আলেমকে হত্যা করেছে। কিন্তু মুসলিম জাতি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নি।
তিনি ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন এবং ভারতবর্ষে ইসলামের প্রসার ঘটে। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হয়।
যদি মুসলিমরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতো তাহলে তাকে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ সামাল দিতে দিতেই ভারতের দিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হতো না।
অথচ দেখুন জালেম হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর পরিনতি এমন হয়েছিল যে মৃত্যুর সময় চোখ বন্ধ করলেই নির্যাতনের বীভৎস দৃশ্য দেখত। ভয়ঙ্কর এক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। একজন চিকিৎসক একটি সুতায় মাংসের টুকরা বেঁধে তার গলায় প্রবেশ করান। এরপর সুতা টেনে বের করে দেখেন হাজার হাজার কীড়া পোকা মাংসের টুকরো কামড়ে আছে।
তেমনিভাবে ইউরোপের ক্রুসেডারদের মহাতঙ্ক সুলতান রুকনউদ্দিন বাইবার্সও ছিলেন জালেম। জানা যায় একজন বড় আলেমের বদদোয়া দেওয়ার কারণে তিনি মারা যান। অথচ তিনি ক্রুসেডার ও তাতারীদের মেরুদন্ড ভেঙে দেন। সিরিয়া থেকে ক্রুসেডারদের বিতাড়িত করেন। তাতারীদের বহু ময়দানে পরাজিত করেন। ক্রুসেডার বা তাতারী কারো প্রতি তার দয়ামায়া ছিল না
এইতো গেল মুসলিম জালেম শাসকের কথা। এখন বুঝেন কেনো প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম জালেম শাসকের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কুফরী দেখার আগ পর্যন্ত বিদ্রোহ করতে নিষেধ করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো হাসিনা কি এই মুসলিম জালেম শাসকদের মধ্যে পড়ে?
অতীতের যে জালিম শাসকগণ ছিলেন তারা তো ছিলেন মুসলিম। যতই জুলুম করেন না কেন তারা মুসলিম ভূখণ্ডগুলো শাসনের জন্য সমস্ত আইন-কানুন কুরআন হাদীস থেকেই নিয়েছেন। বিচার-আচার এর জন্য ইসলামিক কোর্টে যেতে হতো। সেখানে কুরআন-হাদীসের জ্ঞান দ্বারাই বিচার করা হতো। তারা জালেম হলেও রোমান সংবিধান থেকে আইন নেয়নি। পারস্যের অগ্নি-পূজারীদের সংবিধান দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রগুলোকে চালায়নি।
হাসিনাও জালিম, জালিম হাজ্জাজ বিন ইউসুফও। কিন্তু হাসিনা এবং হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে রাষ্ট্রজীবনে একজন আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করেছে আরেকজন আল্লাহর আইনকে স্বীকার করেছে। একজন দেশ চালাচ্ছে ব্রিটিশ সংবিধান দিয়ে আরেকজন তার অধিভুক্ত ভূখণ্ড চালিয়ে গেছে আল্লাহর কুরআন দিয়ে।
তেমনিভাবে কি ইমরান খান, এরদোগান তারা প্রত্যেকেই আল্লাহর আইনের উৎস হিসেবে কুরআনকে বাদ দিয়ে মানবরচিত সেকুলার সংবিধানকে রাষ্ট্রপরিচালনার মাধ্যম হিসেবে মেনে নিয়েছে। এসব সংবিধান যেমন মানবরচিত তেমনি এর অধিকাংশই আমদানি করা হয়েছে ব্রিটিশ ও মার্কিন সংবিধান থেকে।
একজন মানুষ যতই পাক্কা নামাজী হোক, কুরআন তেলাওয়াত করুক তিনি যদি রাষ্ট্রপরিচালনার উৎস হিসেবে আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করেন, হোক মৌখিকভাবে কিংবা ব্যবহারিকভাবে, তিনি অবশ্যই মুরতাদ ও ত্বাগুতের অন্তর্ভুক্ত।
সম্রাট আকবর যেমন জালেম ছিলো তেমনি ত্বাগুত ছিলো। দ্বীন ইলাহী চালু করে ইসলামকে রদ করে। তৎকালীন উলামায়ে কেরাম ব্যাপকভাবে আকবরকে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাহলে এবার আপনি বলুন কিভাবে জালেম শাসকের আনুগত্য করার হাদিসকে ত্বাগুত শাসকের সঙ্গে মিলানো হচ্ছে? যদি হাসিনার আনুগত্য করতে হয় তাহলে আকবরের আনুগত্য করতে সমস্যা কি?