Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাইখ রমাদান বুতি, একটু ছাড় না দিলে কি হয়!!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাইখ রমাদান বুতি, একটু ছাড় না দিলে কি হয়!!!

    রমজান বুতি সম্পর্কে একদল দেওখালি সম্প্রতি যা শুরু করেছে তা দেখে আসলেই মনটা খুব বিষন্ন হয়ে যায়।


    আমার ফ্রেন্ডলিস্টে এক লোক ছিল। সে কঠোর আহলে হাদিস বিরোধী। আহলে হাদীস যে বিভ্রান্ত সেটা প্রমাণ করতে মাঝে মধ্যে ইথিওপিয়ান ইহুদি নারীর সন্তান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এমবিএস এর নাভির নিচে হাত রেখে নামাজ পড়ার ছবিটাকে প্রমোট করত। অর্থাৎ তার দলান্ধতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত সে এমবিএসের মত ইহুদি ও আমেরিকার পুতুলের নামাজকে প্রমোট করছে। এমবিএস এর সকল অপরাধ শুধু নাভির নিচে হাত রেখে নামাজ পড়ার গুনে মাফ হয়ে গেছে! লোকটাকে আমি আনফ্রেন্ড দিয়ে দিই।


    দেওখালীদের মুনাফিক বুতির পক্ষাবলম্বন করার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এই কঠোর হানাফী এবং সালাফীবিরোধী। আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। সে সীরাহ লেখেছে যা নাকি পরে মুফতি ফজলুল হক আমিনী কেঁদেছেন। জেলে যাওয়ার সময় তিনি বুতির বই নিয়ে গেছেন। মুফতি ফজলুল হক আমিনী(রহ) অবশ্যই একজন মজলুম আলেম। একজন মজলুম জননেতা। কিন্তু এমন নয় যে তিনি যা করেছেন তা আমরা অন্ধের মতো মেনে নেব। তিনি হয়তো বুতির সম্পর্কে না জেনে তাকে সাপোর্ট দিতে পারেন। আর জেনে সাপোর্ট দিলেও আমরা উনার অন্ধানুসরণ করবো না।



    যদি মুসলিমদের রক্তের মুল্য না থাকতো তাহলে শিয়া ইরান বা হিজবুল্লাহকে সাপোর্ট দিতে সমস্যা ছিলো না। কারণ তারা ইহুদীবিরোধী। কিন্তু যতই ইহুদীবিরোধী হোক তা মুসলিমদের রক্তের সামনে কিছু নাহ। তারা সিরিয়া ও ইরাকে মুসলিমদের রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।



    মুসলিমদের রক্তমূল্য যদি না থাকে তাহলে আইএসকে সাপোর্ট দিতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। কারণ গণহারে তাকফির করা এবং খেলাফত ঘোষণার ব্যাপারে হঠকারিতা ইত্যাদি ছাড়া তাদের সাথে মুলধারার মুজাহিদের কোন বিরোধিতাই নেই। কিন্তু কেন এই আইএসকে খারেজী বলা হয় কেন? মুজাহিদগণ তাদেরকে দুশমনজ্ঞান করেন?
    এর কারণ হচ্ছে তারা অন্যায়ভাবে মুসলিমদের রক্ত ঝরিয়েছে এবং এখনো ঝরাচ্ছে। মুসলিমদের মুরতাদ ফতোয়া দিয়েছে এবং তাদের স্ত্রীদের কে হালাল করেছে। মুজাহিদদের জবাই করেছে। শাম ও ইরাকের জিহাদ ধ্বংস করেছে।



    মুনাফিক রমজান বুতির যতই ভালো কার্যক্রম থাকুক, যতই আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে বাঘ হোক, যত উন্নত মানের সিরাত লেখুক তা একজন মুসলিমের রক্তের তুলনায় কিছুই না। কিছুই না।


    আমাদের বুতির বিরোধিতার অন্যতম কারণ হচ্ছে মুসলিমদের রক্তর বৈধতা প্রদান। এই মুনাফিক রমজান বুতি যে মুশরিক ও মুরতাদ নুসাঈরীদেরকে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে তুলনা করেছে। অথচ নুসাইরি বাহিনী সুন্নি মুসলিমদের উপর যে পরিমাণ অপরাধ, যে পরিমাণ সুন্নি মুসলিমকে হত্যা করেছে তা একজন আত্মমর্যাদাবান মুসলিমের কলিজা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হবে।


    এই নুসাইরি মুরতাদ বাহিনী সিরিয়াকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। মুসলিম নারীদের ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে আর মুসলিম পুরুষদেরকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আবু বকর ও ওমর নামের যে শিশু ছেলেগুলো ছিল তাদেরকে জবাই করে এবং পুড়িয়ে হত্যা করত শুধু নাম আবু বকর উমর নাম হওয়ার কারণে! সাহাবায়ে কেরামের বহু স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করেছে। এই পর্যন্ত এদের বিমান হামলায় ৬ লক্ষ মুসলিম শহীদ হয়েছে।
    হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রাহিমাহুল্লাহ এর কবর তারা গত বছর গুড়িয়ে দেয় হামলা করে। এই বুতি শুরু থেকেই আসাদের পক্ষ নিয়ে এসেছে। বাশারের বাবা মুরতাদ কসাই হাফিজ আল আসাদের জানাযা পড়িয়েছে এবং তাকে নিজের ছাত্র বলে গর্ববোধ করে এই মুনাফিক। ২০১১ সালে শামে মজলুম সুন্নি মুসলিমদের বিদ্রোহ শুরু হলে এই মুনাফিক সরাসরি আসাদের পক্ষ নেয়।


    সুন্নি মুসলিমদের বিরুদ্ধে আসাদের বাহিনীর কার্যক্রমকে সাহাবায়ে কেরামের কার্যক্রমের সাথে তুলনা করে। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ও আসাদের পক্ষে সমর্থন যোগানোর চেষ্টা করে। ফলে মুজাহিদ বিদ্রোহীরা তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নে্ন।


    সে দামেশকে মসজিদে খুতবা দিচ্ছিল। কয়েকজন ইস্তি-শহাদি মুজাহিদ বি’স্ফোরক নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন ও তার কাছে গিয়ে ডেটোনেট করেন। ফলে এই মুরতাদ সেখানেই খতম হয়ে যায়। এর সঙ্গে আরও ৪০+ জন্য নুসাইরি ও দরবারী মারা যায়। যেহেতু হামলাটা করা হয়েছিল মসজিদে কোন পক্ষ এর দায় স্বীকার করেনি, কারণ মসজিদ নিয়ে মুসলিমদের আবেগ বেশি। কিন্তু সে তো উম্মাহর জন্য ক্ষতিকর কীট। পরবর্তীতে নুসাঈরীরা বলেছে এটা আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা আল জাবহাত ওয়ান নুসরাহ করেছে। সম্প্রতি একদল


    আত্মমর্যাদাহীন দেওখালী এই বুতির বইয়ের ছড়াচ্ছে আর তরুণদের মধ্যে এই মুনাফিকের প্রচার করছে, শুধু তাই নয় যখন ভাইয়েরা এই বুতির সম্পর্কে মুখ খোলা শুরু করলেন তখন এরাও লড়াইয়ে লিপ্ত হলো বুতিকে পবিত্র প্রমাণ করার জন্য। বুতির অপরাধকে ইজতিহাদী ভুল বলতে চাইছে। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে যদি তাদের সামনে হিন্দুরা মুসলিম নারীদের নির্যাতন করে, তাদের আত্মমর্যাদায় লাগবে না। আর যাই হোক মুসলিম যুবকরা এখন যথেষ্ট সচেতন আছে।

  • #2
    যে কোন বিষয়ে সর্বদা সত্যটা মুজাহিদ ভাইদের কাছেই খুঁজে পাওয়া যায়। আল্লাহ আপনার কলমে আরো বারাকাহ দান করুন।

    Comment

    Working...
    X