দ্বীনের নবী (স.) আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ১৪০০ বছর হল। এই সময়ের মাঝে ইসলামকে বিকৃত করার ও ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেস্টা করা হয়েছে বিভিন্ন কৌশলে। এমনকি চটকদার কথা বলেও এরুপ করা হয়েছে আর এমন একটি কথা হল। "ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে প্রচার হয়নি বরং আখলাকের মাধ্যমে প্রসারিত হয়েছে।"
যারা এটা বলেন তাদের উদ্দেশ্যঃ
তলোয়ার দ্বারা জিহাদ, মারামারি ও কাটাকাটি ইত্যাদি বুঝায় আর আখলাক দ্বারা কোমল আচরণ, সত্যবাদীতা, ন্যায়নিষ্ঠতা ইত্যাদি বুঝায়।
আখলাক ও তলোয়ারের পার্থক্য সঠিক নয়ঃ
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল যে, রাসুল (স.) এর আখলাক কেমন ছিল? তিনি বললেন كان خلقه القران তথা তার আখলাক হল কুরআন। আর কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা জিহাদ ও কিতালের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং বুঝা গেল তলোয়ার, জিহাদ ও কিতাল এগুলোও আখলাকের অন্তর্ভুক্ত। তলোয়ার আর আখলাকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
তাদের উদ্দেশ্যও অবাস্তবঃ
আমাদের প্রিয় নবী (স.) মক্কায় ১৩ বছর দাওয়াত দিয়েছেন অথচ ১০০ জনও মুসলমান হয়নি। আর মদিনায় তলোয়ারের মাধ্যমে দাওয়াত দিলেন তাইতো অস্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের দিনই ১০ হাজার সাহাবী নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। আবার সাহাবায়ে কেরাম যেখানে দ্বীনের বিজয় করেছেন সেখানেও তলোয়ারের মাধ্যমে করেছেন। তবে হ্যাঁ কোমল আচরণ, সত্যবাদীতা, ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদির মাধ্যমেও প্রচার হয়েছে কিন্তু সেটা তলোয়ারের তুলনায় খুবই নগন্য। আর কোমল আচরণ তলোয়ারের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন পর দেখালে ফায়েদা আছে কিন্তু ক্ষমতা অর্জনের পূর্বে কোমল আচরণ তেমন ফলদায়ক হয় না। যেরুপ মক্কার ১৩ বছরে হয়নি। কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর কোমল আচরণে অনেকে মুসলমান হয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং দ্বীনের পথে অটল ও অবিচল রাখুন। আমীন।
Comment