|| হায় আফসোস! তাদের চাওয়া কতই না মন্দ? ||
হায় আফসোস! তাদের চাওয়া কতই না মন্দ? যারা সন্দেহাতীতভাবে কুফরী করে বেড়ায় তারাই আবার অসুস্থ হলে দেশবাসীর কাছে দোয়া চায়। মসজিদে মসজিদে দোয়া কামনা করে। এরাই তো তারা যারা আল্লাহর আইনকে পরিবর্তন করেছে। এরাই তো তারা যারা নিজেরা কুফরী করে এবং অন্যদেরকেও কুফরী করতে বাধ্য করে। এরাই তো তারা যারা আল্লাহর হালাল করা বস্তুকে হারাম করে নিয়েছে আর হারাম বস্তুকে করে নিয়েছে হালাল। এরাই তো মদের লাইসেন্স দেয় আর সুদকে বৈধ বলে রায় দেয়। এদের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তির মূল হচ্ছে সুদ যা আল্লাহর দৃষ্টিতে হারাম। এদের কারণেই সমাজে পাপাচার মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত কিছুই পরিচালিত হয় পশ্চিমা নোংরা কূট চালে। এরা না নিজেরা ভালো কাজ করে এবং না অন্যদের ভালো কাজে উৎসাহিত করে। এরা নোংরা জাতীয়তাবাদের ছবক নিয়ে ফাঁপা উন্নয়নের মন্ত্র গাইতে গাইতে জনগণকে ধোঁকা দিতে চায়। এরা হচ্ছে জনগণের সম্পদ হরণকারী, জুলুমকারী,পাপাচারী। এরা বিচার কার্য পরিচালনা করে নোংরা মানব সৃষ্ট আইন দ্বারা যা আল্লাহর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। এদেরকে যখন নত হতে বলা হয় তখন নত হয় না। এদেরকে যখন বলা হয় তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, তোমাদের জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো তখন তারা আরোও বেশি করে অহংকার করে। এরা বন্ধু রূপে গ্রহণ করে নিয়েছে ঐ সমস্ত অপবিত্র লোকদের যারা আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ঈমানদারদের শত্রু। এরা যখন অসুস্থ হয় এদের জন্যই আবার মসজিদের ইমাম সাহেবরা প্রাণভরে দোয়া করে। কি করে এদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া আসে, হায় আফসোস! এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কোরআনে মাজীদে বলেনঃ
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَا لنَّصٰرٰۤى اَوْلِيَآءَ ۘ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَآءُ بَعْضٍ ۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاِ نَّهٗ مِنْهُمْ ۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِيْنَ
|| হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সুরা আল মায়িদাহ, আয়াত-৫১) ||
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলা আরোও বলেনঃ
يٰۤاَ يُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْۤا اٰبَآءَكُمْ وَاِ خْوَا نَـكُمْ اَوْلِيَآءَ اِنِ اسْتَحَبُّوا الْـكُفْرَ عَلَى الْاِ يْمَا نِ ۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاُ ولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
|| হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের পিতা আর ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না যদি তারা ঈমানের চেয়ে কুফরীকেই বেশি ভালবাসে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই যালিম। (সুরা আত তওবা, আয়াত-২৩) ||
অতএব এই আয়াত থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে যারা ঈমানের চেয়ে কুফরকে বেশি ভালোবাসে তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে কোনভাবেই গ্রহণ করা যাবে না। এদের উপর আল্লাহ্ এবং সৎকর্মপরায়ণ সকল মু’মিন বান্দাদের লানত। এদের প্রত্যবর্তন স্থল কতই না মন্দ। আর তা হচ্ছে জাহান্নাম। পরিশেষে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন সকল নেককার ঈমানদার মু’মিন বান্দাদের এই সমস্ত দুনিয়ালোভী স্বার্থান্বেষী মানুষদের ফেতনা থেকে হেফাজত করেন। (আমিন)
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُوْدَ وَا لنَّصٰرٰۤى اَوْلِيَآءَ ۘ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَآءُ بَعْضٍ ۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاِ نَّهٗ مِنْهُمْ ۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِيْنَ
|| হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সুরা আল মায়িদাহ, আয়াত-৫১) ||
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলা আরোও বলেনঃ
يٰۤاَ يُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْۤا اٰبَآءَكُمْ وَاِ خْوَا نَـكُمْ اَوْلِيَآءَ اِنِ اسْتَحَبُّوا الْـكُفْرَ عَلَى الْاِ يْمَا نِ ۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاُ ولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
|| হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের পিতা আর ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না যদি তারা ঈমানের চেয়ে কুফরীকেই বেশি ভালবাসে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই যালিম। (সুরা আত তওবা, আয়াত-২৩) ||
অতএব এই আয়াত থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে যারা ঈমানের চেয়ে কুফরকে বেশি ভালোবাসে তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে কোনভাবেই গ্রহণ করা যাবে না। এদের উপর আল্লাহ্ এবং সৎকর্মপরায়ণ সকল মু’মিন বান্দাদের লানত। এদের প্রত্যবর্তন স্থল কতই না মন্দ। আর তা হচ্ছে জাহান্নাম। পরিশেষে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি তিনি যেন সকল নেককার ঈমানদার মু’মিন বান্দাদের এই সমস্ত দুনিয়ালোভী স্বার্থান্বেষী মানুষদের ফেতনা থেকে হেফাজত করেন। (আমিন)
Comment