গাদ্দাফি হত্যাচেষ্টায় এমআইসিক্স কি আ ল-কা য়ে দা কে সাহায্য করেছিল?
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমিন-
অনেকে অভিযোগ করে আ ল কা য়ে দা পশ্চিমাদের তৈরি। রুশ বিরোধী যুদ্ধে আ ল-কা য়ে দা কে সহায়তা করেছিল আমেরিকা। এর জবাবে ইতিপূর্বে বহু জবাব দিয়েছেন আমাদের সম্মানিত ভাইয়েরা। এটা নিয়ে আর কথা বলবো না। তবে সম্মানিত @Mozammel Hossain Toha ভাই একটি পোস্টে উল্লেখ করেছেন গাদ্দাফির উপর পরিচালিত একটি হামলায় আ ল-কা য়ে দা র সাথে সম্পৃক্ত একটা লিবিয়ান গ্রুপ - লিবিয়ান ইসলামিক ফাইটিং গ্রুপ। এর থেকে অনেক পাঠক ভুল বুঝতে পারেন যে উপরের অভিযোগটি সত্য। সুত্র হিসেবে লেখক পশ্চিমা লেখকদের কিছু সুত্র দিয়েছেন। কিন্তু আসলেই কি আ ল-কা য়ে দা বা জিহাদি জামাআতগুলোকে পশ্চিমারা সাহায্য করে? অধম এই ব্যাপারে কিছু লেখার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ-
সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে আমেরিকা কি আ ল কা য়ে দা বা জিহাদিদের সাহায্য করেছিল?
পাঠক! গাদ্দাফি হত্যাচেষ্টায় এমআইসিক্স কি আসলেই আ ল-কা য়ে দা কে সাহায্য করেছিল? এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন নিচের বক্তব্যগুলোতে। দুটি প্রশ্নের উত্তর জানাতে একিউ-এর দুইজন আমীরের বক্তব্য তুলে ধরছি-
একিউ-এর প্রতিষ্ঠাতা উ সা মা বি ন লা দে ন বলেন-
"দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর, তারা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বোঝার জন্য কিছু লোক প্রেরণ করে। তারা এসে দেখতে পেল আফগানীদের মানসিকতা অনেক অনেক উঁচু। তারা গরিব, তারা দুর্বল, তারা খালি পা, তাদের পেটে খাবার নেই, কিন্তু তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাআলার উপর তাদের বিশ্বাস ও ভরসা প্রচণ্ড। আর তাদের কাছে ছিল সেই সমস্ত বন্দুক, যা দিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। সেগুলো ছিল অনেক পুরাতন বন্দুক। এমনকি অনেক আফগানী নিজের বকরিকে বিক্রি করে দিচ্ছিল এই পুরাতন অস্ত্রের বুলেট কেনার জন্য।
পরিদর্শকরা এই খবর সেই সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছাল। যখন পশ্চিমা দেশগুলো দেখল জিহাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আফগানীদের পর্যাপ্ত হিম্মত রয়েছে, তখন ইউরোপ-আমেরিকা তাদের অনুগত শাসক ও সমস্ত মিত্রশক্তিকে আফগানীদের সাহায্যের আদেশ দিল এবং তারাও সোভিয়েত জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করল।
তারা তখন মিডিয়াতে আনন্দ প্রকাশ করতে শুরু করল এবং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে থাকল। যুদ্ধের দুই মাস পর সে অঞ্চলের শাসকদের কাছে উপরের পক্ষ থেকে অনুমতি আসার পর, সৌদিসহ আরববিশ্বের মিডিয়াগুলো প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় রেডিওতে মু জা হি দ দে র খবর, তাদের বীরত্বের ঘটনা, রাশিয়ার ট্যাংক ধ্বংসের সফলতা, তাদের বিভিন্ন যুদ্ধের বিজয়গুলো প্রচার করছিল। হারামাইন থেকে নিয়ে পুরো আরববিশ্ব থেকে তাদের জন্য অনুদান সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে আফগান জি হা দে সাহায্যের আদেশ দেওয়া হয়। ইফতা বোর্ড থেকে ফতোয়া বের হয়, আফগানিস্থানের জি হা দে অংশগ্রহণ করা ফরজে আইন। এটা তো তারা বলেছে, কিন্তু বাস্তবে ফতোয়া এসেছে বাহ্যিকভাবে শাসকদের অনুমতি ও বাস্তবিক অর্থে আমরিকার অনুমতির পরেই। আরবের এম্বাসিগুলোতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়, যারা আফগান জি হা দ করতে যাবে, তাদের ভিসা ও টিকেটের মূল্য ৭৫% ছাড় দেওয়া হবে অর্থাৎ আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য মাত্র ২৫% অর্থ ব্যয় করতে হবে।
রাশিয়ার বিশাল শক্তির প্রতি প্রচণ্ড ভীতির কারণে আমেরিকা, ইউরোপ ও আরব কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। তারা দেখতে পাচ্ছিল না উম্মাহর মধ্যে পুনরায় জি হা দে র চেতনা জাগ্রত করার ফলে তাদের উপর কী ধরনের বিপদ আসতে পারে; বরং তখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পুরো বিশ্বকে দখল করে নেওয়ার উপক্রম রাশিয়ান হিংস্র ভাল্লুককে যেকোনো মূল্যে আটকানো। এই চরম ভয়-ভীতি ও রাশিয়াকে যেকোনো মূল্যে আটকানোর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই আমাদের সামনে সমস্ত দরজা খুলে যায়; বরং ভেঙে যায়। এর ফলে তাগুতি শক্তির পক্ষ থেকে দীর্ঘ বাধা-নিষেধের পর আমরা আবার আল্লাহর সাহায্যে আফগানে চলে আসতে সক্ষম হলাম।"
সুত্র- জাজি’র রণক্ষেত্র (প্রথম পর্ব)
বি ন লা দে নে র ২ পর্বের এই ভিডিওটি অতিসম্প্রতি আ ল কা য়ে দা প্রকাশ করেছে। মূল ভিডিওটি আ ল কা য়ে দা র ওয়েবসাইট এ এখনো আছে। ভিডিওটি বাংলা ডাবিং ও পিডিএফ প্রকাশ করেছে দেশীয় একিউ শাখার মিডিয়া উইং আ ন না স র মিডিয়া।
উপমহাদেশীয় একিউ-এর সাবেক নায়েবে আমীর উস্তাদ আ হ মা দ ফা রু ক কেন্দ্রীয় একিউ- এর মিডিয়া উইং আ স সা হা ব-কে দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে বলেন-
"আ স-সা হা বঃ যখন আফগানিস্তানে মুসলমানরা রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল,তখন আমেরিকা ও মুসলিম জাহানের এক বিশাল অংশ মু জা হি দী ন দে র কে সাহায্য-সহযোগিতা এবং অস্ত্র-সস্ত্র ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র দিয়ে সহায়তা করছিল,কিন্তু আজ যখন আমেরিকার সাথে মু জা হি দী ন রা যুদ্ধ করে যাচ্ছে তখন তারা কোথা থেকে এ ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে এবং কি ধরনের অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করা হচ্ছে?
উস্তাদ আ হ মা দ ফা রু কঃ সত্যিকার অর্থে,এটি হচ্ছে অনেক গুলো মিথ্যা প্রপাগান্ডাগুলোর মধ্যে একটি খুব বড় ধরনের প্রপাগান্ডা যা সারা দুনিয়াতে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বিশেষ করে আমেরিকার মিডিয়াগুলো নিজেরাই গুরুত্বের সাথে ছড়িয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে,‘রুশের পতন আমেরিকার সাহায্য ও সহযোগিতার দ্বারাই হয়েছে’-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল একটাই,তা শুধু এখানেই করা হয়নি বরং মু জা হি দী ন রা যতগুলো বড় বড় কাজ করেছে তার প্রত্যেকটিতে এ ধরনের কথা বলা হয়েছে। হোক ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলায় অথবা অন্য কোন সময়ের কথা- তারা এই উম্মাতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে মু জা হি দী ন দে র দ্বারা এ ধরনের কাজ করা অসম্ভব অর্থাৎ মু জা হি দী ন দে র এত বড় কাজ করার সামর্থ্য নেই। যাতে করে এই উম্মাতের মধ্যে এর দ্বারা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরী হতে না পারে এবং গোলামীর এই জিঞ্জিরকে ভাঙ্গার জন্য যে সাহসের প্রয়োজন তা তৈরী হতে না পারে। এটিই হচ্ছে ঐ উদ্দেশ্য যার জন্য তারা বছরের পর বছর প্রপাগান্ডা চালিয়ে আসছে,কিন্তু বাস্তবতা এমনটি নয়।
বাস্তবতা হচ্ছে, আফগানিস্তানে ১৯৭০ সালের শেষের দিক থেকে রুশদের বিরুদ্ধে মু জা হি দী ন দে র জি হা দ শুরু হয়,তখন থেকে শুরু করে ১৯৮৫-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত আমেরিকার মত কোন বহিঃশক্তি এর মধ্যে না কোন প্রকারের সাহায্য সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছিল আর না এ ব্যাপারে কোন প্রকার আগ্রহ তারা দেখিয়েছিল।
সবাই ঐ সময়ে দূরে বসে বসে তামাসা দেখছিল, আর তারা মনে করছিল এটি একেবারে অসম্ভব ব্যাপার যে, এই সামান্য অস্ত্র দিয়ে এবং এত অল্প সংখ্যক মু জা হি দী ন দের দ্বারা রুশের মত এত শক্তিশালী বাহিনীর (যাকে দেখে তখন ইউরোপ পর্যন্ত কেঁ পে উঠত) পতন ঘটানো হবে। এই দীর্ঘ জি হা দে র যে সময় অতিক্রম হয়েছে তা খুবই কঠিন একটি পরিস্থিতির উপর দিয়ে গিয়েছে,আমেরিকা বা অন্য কোন তাগুতের পক্ষ থেকে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতা তখন আসে নি। ঐ সময়ের বয়োজ্যেষ্ঠ মু জা হি দী ন রা আজও পর্যন্ত এর সাক্ষ্য বহন করে আছেন। কেবল মু-জাহিদীনদের কুরবানী,শহীদের রক্তের বিনিময় এবং আল্লাহর নুসরাতের দ্বারাই ঐ জি-হাদ এগিয়ে চলছিল। ১৯৮৫-৮৬ সালের পর জি-হাদ একটি অবস্থানে পৌঁছালো এবং আমেরিকার এর মধ্যে দাখিল হওয়া অথবা না হওয়া উভয় অবস্থাতেই আল্লাহর নুসরাত সেখানে জারি থাকারই কথা ছিল। এই অবস্থাতে আমেরিকা সেখানে আসলো,আমেরিকা এসেছিল তার নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে।
প্রথমতঃ বিষয় ছিল আমেরিকা চাচ্ছিল না যে মু-জাহিদীনদের এই বিজয় যাতে এমন কোন পরিস্থিতির দিকে যায় যা স্বয়ং আমেরিকার জন্য বিপদের কারণ হয়ে যায়।
আর দ্বিতীয়তঃ তখন রাশিয়া ছিল আমেরিকার সবচেয়ে বড় শত্রু যার পতন সে চাচ্ছিল। তারপরও ঐ পরিস্থিতিতেও এ কথা বলা ঠিক হবে না যে আমেরিকা মুজাহিদীনদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল।
শাইখ আ ব্দু ল্লা হ্ আ জ্জা ম (রহঃ) যিনি আরব মু-জাহিদীন শাইখদের মধ্যে থেকে একজন খুবই উঁচুমানের শাইখ ছিলেন,তিনি ১৯৮৭-৮৮ সালের এক খুতবায় বলেন,
“কোথায় সেই আমেরিকার সাহায্য যা লোকেরা বলে থাকে যে, আমেরিকা আমাদেরকে ষ্টেনগ্যান দিয়েছে,আমরা তো ষ্টেনগ্যান বাজার থেকে ক্রয় করি আর একটি ষ্টেনগ্যানের দাম হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা।”
ঐ যুগে ৭০ হাজার টাকা কোন সাধারণ কোন বিষয় ছিল না, শাইখ আ জ্জা ম (রহঃ) বলেন,
“৭০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করা ষ্টেনগ্যান,তারা তো আর আমাদেরকে উপহার দিচ্ছে না। এটি তো একটি ব্যবসা যা যে কারোর সাথেই করা যেতে পারে। তাহলে এর মধ্যে তাদের সাহায্য-সহযোগিতার বিষয়টি কোথায় রইল?”
এছাড়াও যদি আরব মু-জাহিদীনের কথা বলা হয় যাদের তখন একটি বড় ধরনের অবদান ছিল, তাহলে তাঁরা আমেরিকার কাছ থেকে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতা গ্রহণ করে নি, তাদের এই কথার মধ্যে বিন্দু মাত্র সত্যের ছোঁয়া নেই,বরং পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট একটি বিষয়। তার পরেও যদি আমরা ধরে নেই যে, গুটি কয়েক ছোট মাজমুয়া তাদের কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়েছিল,তাহলে তারা যদি শারিয়াতে কুফ্ফারদের কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার শর্তগুলোকে পূরণ করা ছাড়াই নিয়ে থাকে,তবে অবশ্যই তারা ভুল কাজ করেছিল। এ কারণে যে খারাপ ফলাফল হয়েছে অর্থাৎ জিহাদের ভূমি থেকে বরকত উঠে যাওয়া,এ বিষয়টিও সবাই লক্ষ্য করেছিল। যেমনটি শাইখ আ ব্দু ল্লা হ্ আ জ্জা ম (রহঃ) নিজেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন যে,
“১৯৮৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ যতদিন আমেরিকা এই ভূমিতে প্রবেশ করেনি ততদিন পর্যন্ত এখানকার মুজাহিদীনরা অগণিত আল্লাহর সাহায্য এবং কেরামত দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু ৮৬’সালের পরে যখন মুজাহিদীনদের থেকে কিছু লোক আমেরিকার দিকে ফিরতে শুরু করল আর তাও সরাসরি ছিল না পাকিস্তান অথবা সৌদি আরবের শাসকদের মাধ্যমে করা হচ্ছিল, তখন থেকেই জিহাদের ভূমি থেকে ধীরে ধীরে বরকত কমে যাওয়া শুরু করেছিল”।
কিন্তু এর অর্থ এ নয় যে সব মু-জাহিদীনরাই এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত হয়েছিল বরং গুটি কয়েক মাজমুয়া এ কাজ করেছিল। কারণ তখনও এমন অনেক আলেম-উলামা এবং মু-জাহিদীন ছিলেন যারা তাদের হাতকে ঐ সকল লোকদের সামনে বিছিয়ে দেন নি। এর প্রমাণ হচ্ছে তাদেরই বংশধর থেকে আজ তাদের সন্তানেরা আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে পুরো একটি কিতাব লিখেছিলেন “আফগান জি-হাদের আর- রহমানের সাহায্য” ,যেখানে তিনি বর্ণনা করেছেন এ রকম বহু কেরামতের ঘটনা যা তখন সংঘটিত হয়েছিল।
এটি তো গেল আপনার প্রশ্নের প্রথম অংশের জবাব আর আপনার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ, অর্থাৎ তাহলে আজ আমরা কার সাহায্য নিয়ে জি-হাদ করব?এর উত্তর হচ্ছে- যাঁর সাহায্যে আমরা কাল জিহাদ করেছিলাম আজও আমরা তাঁরই সাহায্যে জিহাদ চালিয়ে যাবো। আল্লাহর সাহায্যের প্রতি আমাদের পূর্বেও ভরসা ছিল আর ঠিক একই ভাবে এখনো ভরসা আছে। মু ’মিনদের শুধুমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা রাখা উচিত। আল্লাহ বলেছেন,
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। অতএব মুমিনগণ আল্লাহর উপর ভরসা করুক। [তাগাবুনঃ ১৩]
وَإِن يُرِيدُوا أَن يَخْدَعُوكَ فَإِنَّ حَسْبَكَ اللَّهُ ۚ هُوَ الَّذِي أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِ وَبِالْمُؤْمِنِينَ
পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারণা করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। [আনফালঃ ৬২]
আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। অতএব মুমিনগণ আল্লাহর উপর ভরসা করুক। [তাগাবুনঃ ১৩]
وَإِن يُرِيدُوا أَن يَخْدَعُوكَ فَإِنَّ حَسْبَكَ اللَّهُ ۚ هُوَ الَّذِي أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِ وَبِالْمُؤْمِنِينَ
পক্ষান্তরে তারা যদি তোমাকে প্রতারণা করতে চায়, তবে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই তোমাকে শক্তি যুগিয়েছেন স্বীয় সাহায্যে ও মুসলমানদের মাধ্যমে। [আনফালঃ ৬২]
অর্থাৎ মু’মিনদের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে জিহাদ চালিয়ে যাবো। তাই আল্লাহর পর আমাদের দ্বিতীয় সাহায্যকারী হচ্ছে এই উম্মাত যারা আমাদেরকে ভালোবেসে এবং আমরাও যাদেরকে ভালোবাসি,তারা আমাদের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে,যাদের দু ’আ এবং জান ও মালের সাহায্য-সহযোগিতার দ্বারা আমাদের এই জিহাদ এখন পর্যন্ত জারি আছে।"
সুত্র-আন্তর্জাতিক জিহাদ এবং এর বিভিন্ন সংশয় নিরসন (১ম পর্ব)
মূল সাক্ষাৎকারটি দুই পর্বে উর্দু তে নেওয়া হয়েছিল, যার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছিল আল কাদিসিয়া মিডিয়া ফাউন্ডেশন।
তো সম্মানিত পাঠক! আপনিই বলুন কার কথা সত্য ধরা হবে পশ্চিমার ফাসেক লেখকদের কথা নাকি স্বয়ং একিউ নেতাদের কথা? উপরে আমরা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি যে আ ল-কা য়ে দা কখনো আমেরিকার তৈরি নয়, আমেরিকা বা পশ্চিমাদের থেকে কোন সহযোগিতা নেয়নি। সুতরাং আমরা দাবী করতে পারি সম্মানিত ভাই @Mozammel Hossain Toha এর দাবীটিও সত্য নয়। একটি খালেস জি-হাদি জামাআতকে বিতর্কিত করতে পশ্চিমারা যে সকল ভুল ইনফরমেশন ছড়িয়ে রেখেছে, লেখক সেগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। আল্লাহ সকল মুসলিমকে হক পথে থাকার এবং হক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Comment