আমরা খুব অদ্ভুত ভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির দুনিয়ায় ঢুকে যাচ্ছি... হয়তো বা ঢুকেই গিয়েছি...
ফেরার পথ কতটা আছে বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে...
ফেসবুক তার মেটাভার্স এর এনাউন্সমেন্ট দিয়েছিল, কাজ পুরোদমে এক্টিভ হয়ে গেছে।
শোনা যাচ্ছে সামনে যে প্রসেসরের যুগ আসছে তার হাজারো কার্যক্রমের সাথে ফ্রন্ট ক্যামেরা এক্টিভ থাকবে ২৪ আওয়ারস।
মানে আপনি যখনি কোন স্মার্ট ডিভাইস এর সাথে যুক্ত হবেন, আপনি সবসময়ই এক চোখ ক্যামেরার নজরবন্দী থাকবেন।
আবার আপনার আমার সকলের কাজকর্ম এতটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে যে আপন চাইলেও এর থেকে বাহিরে যেতে পারবেন না।
প্রসেসরের সাথে সাথে এপস চলে তো আসবেই আপনার ব্রেইনকে, আপনাকে পরিচালিত করার জন্য।
ডিভাইসগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির এঙ্গেলে নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে এ্যপল সহ নামিদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ভি আর এর যুগে পদার্পণ করছে সামনের দিন গুলোতে
ভি আর হেডসেট এখন জাম্বো একটা বক্স৷ অচিরেই হয়তো চশমার ফ্রেমে ছোট হয়ে আসবে।
অচিরেই হয়তো আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না সামনে দিয়ে যে আসছে যাচ্ছে সে বাস্তবে আছে নাকি ভার্চুয়াল জগতে বাস করছে।
এটা অবশ্যই ম্যাটার। আমরা এই মোবাইলের যুগেই অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছি,
সামাজিক অস্বাভাবিকতায় চূর হয়ে আছি এবং এই টেকনোলজির প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্ট
এ হুড়মুড় করে আমাদের ইয়াং জেনারেশন ঝাপিয়ে পড়বে এবং ফলাফল
আপনি কোনভাবেই জীবনের, সমাজের অস্বাভাবিকতা থেকে কাউকে ফেরাতে পারবেন না।
এটাই সেই চিরশ্রুত দাজ্জালিয় যুগ। আপনি দেখবেন আপনি ধানক্ষেতে বসে আছেন, কিন্তু সেটা নকল।
এপস আসবে আপনার মৃত আত্মীয়ের ছবি দিলেই তাকে জীবন্ত ভিডিও দিয়ে আপনার সামনে হাজির করার।
আপনি ভার্চুয়ালি তাকে জীবিত পাবেন৷
গল্প করবেন,
নানা কথা বলতে পারবেন।
এটাই সে দাজ্জালীয় প্রতিশ্রুতি,
যে মৃতকে জীবিত করে দেখাবে। আপনি চাইলেই যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারবেন।
হাতে অস্ত্র থাকবে চোখে চশমা, স্ক্রিনে দেখবেন শত্রু,
আর হাতের কাছে সামনে যে আসবে, তাকেই অস্ত্রের মুখে মেরে ফেলবেন।
আপনি তো ভার্চুয়ালে রিয়েল আছেন৷ বাস্তবে হারিয়ে গেছেন।
তাই আপনিও জানবেন না কাকে হত্যা করলেন?
নিজের স্ত্রী সন্তান প্রতিবেশি না পথচারী।
আবার সেও জানবে না সামনের লোক হঠাৎ তাকে হত্যা করল কেন?
সেদিন শুনলাম কানের এক চলচ্চিত্রে নাকি বলা হয়েছে,
কিছুদিন পরেই নারী পুরুষ পরস্পরের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দেবে।
ভার্চুয়াল আলাপ যত বেড়েছে, ডিভোর্স আর স্বামীস্ত্রীর গৃহযুদ্ধ ততই বেড়েছে।
এখন আদালত পাড়ায় এই একটা বিষয়েই উপচে পড়া যুদ্ধ।
সেটাকে দাজ্জালীয় ওয়ার্ল্ড ওয়ার বানাতে ভার্চুয়াল পৃথিবী অবশ্যই প্রসিদ্ধ হবে।
নারীদেরকেই কিন্তু দড়ি দিয়েও সে জগৎ থেকে বাঁচানো যাবে না।
ফলাফল সন্তানেরা উত্তরাধিকারে সে জগতের বাসিন্দা হবেই।
আজকে যতটুকু আছি কয়েকদিন বা মাস বা বছরের মাঝেই হয়তো ঈমান বাঁচাতে ভার্চুয়াল দুনিয়া ত্যাগ করতে হবে।
তখন আর দ্বীনি ভাইবোন কারো সাথে যোগাযোগ হবে না।
সোস্যাল মিডিয়াতে কেউ কাউকে দ্বীনের পথে ডাকতে পারবো না বা কেউ কাউকে ভুল শুদ্ধ ধরিয়ে দিতে পারবে না।
সবচেয়ে বেশি কঠিন হয়ে যাবে মুমিনের জীবন।
সে রাস্তা ঘাট ঘর বাহির অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথাওই নিজেকে নিরাপদ পাবে না।
সকালে যা সঠিক মনে হবে৷ বিকেলেই তা বেঠিক লাগতে শুরু করবে।
সে সিদ্ধান্ত হীনতায় থাকবে কখন কোনদিকে যাওয়া কোন জীবনটা প্রকৃত সত্য।
তারা পরস্পরের সাথে যোগাযোগের কোন মাধ্যম পাবে না।
সব আলোচনা, ওয়াজ, তথ্য, নসীহত সবকিছু ভার্চুয়ালে থাকবে। আলেম কম তৈরি হবে।
বিজ্ঞ আলেমগণ পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। এখনই একাত্মতা কম, তখন নতুনরা আরো দলে উপদলে ভাগ হবে যে একজন হবে একটা দল।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির দুনিয়াতেই হয়তো ঈমান ধরে রাখতে গুহায় আশ্রয় নিতে হবে,
নতুবা জাহান্নাম...🤲🤲🤲
রিতু কুন্ডু (রিভার্টেড)
প্রফেসর জবি
৫/১২/২০২১
[Collected]
ফেরার পথ কতটা আছে বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে...
ফেসবুক তার মেটাভার্স এর এনাউন্সমেন্ট দিয়েছিল, কাজ পুরোদমে এক্টিভ হয়ে গেছে।
শোনা যাচ্ছে সামনে যে প্রসেসরের যুগ আসছে তার হাজারো কার্যক্রমের সাথে ফ্রন্ট ক্যামেরা এক্টিভ থাকবে ২৪ আওয়ারস।
মানে আপনি যখনি কোন স্মার্ট ডিভাইস এর সাথে যুক্ত হবেন, আপনি সবসময়ই এক চোখ ক্যামেরার নজরবন্দী থাকবেন।
আবার আপনার আমার সকলের কাজকর্ম এতটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে যে আপন চাইলেও এর থেকে বাহিরে যেতে পারবেন না।
প্রসেসরের সাথে সাথে এপস চলে তো আসবেই আপনার ব্রেইনকে, আপনাকে পরিচালিত করার জন্য।
ডিভাইসগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির এঙ্গেলে নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে এ্যপল সহ নামিদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ভি আর এর যুগে পদার্পণ করছে সামনের দিন গুলোতে
ভি আর হেডসেট এখন জাম্বো একটা বক্স৷ অচিরেই হয়তো চশমার ফ্রেমে ছোট হয়ে আসবে।
অচিরেই হয়তো আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না সামনে দিয়ে যে আসছে যাচ্ছে সে বাস্তবে আছে নাকি ভার্চুয়াল জগতে বাস করছে।
এটা অবশ্যই ম্যাটার। আমরা এই মোবাইলের যুগেই অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছি,
সামাজিক অস্বাভাবিকতায় চূর হয়ে আছি এবং এই টেকনোলজির প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্ট
এ হুড়মুড় করে আমাদের ইয়াং জেনারেশন ঝাপিয়ে পড়বে এবং ফলাফল
আপনি কোনভাবেই জীবনের, সমাজের অস্বাভাবিকতা থেকে কাউকে ফেরাতে পারবেন না।
এটাই সেই চিরশ্রুত দাজ্জালিয় যুগ। আপনি দেখবেন আপনি ধানক্ষেতে বসে আছেন, কিন্তু সেটা নকল।
এপস আসবে আপনার মৃত আত্মীয়ের ছবি দিলেই তাকে জীবন্ত ভিডিও দিয়ে আপনার সামনে হাজির করার।
আপনি ভার্চুয়ালি তাকে জীবিত পাবেন৷
গল্প করবেন,
নানা কথা বলতে পারবেন।
এটাই সে দাজ্জালীয় প্রতিশ্রুতি,
যে মৃতকে জীবিত করে দেখাবে। আপনি চাইলেই যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারবেন।
হাতে অস্ত্র থাকবে চোখে চশমা, স্ক্রিনে দেখবেন শত্রু,
আর হাতের কাছে সামনে যে আসবে, তাকেই অস্ত্রের মুখে মেরে ফেলবেন।
আপনি তো ভার্চুয়ালে রিয়েল আছেন৷ বাস্তবে হারিয়ে গেছেন।
তাই আপনিও জানবেন না কাকে হত্যা করলেন?
নিজের স্ত্রী সন্তান প্রতিবেশি না পথচারী।
আবার সেও জানবে না সামনের লোক হঠাৎ তাকে হত্যা করল কেন?
সেদিন শুনলাম কানের এক চলচ্চিত্রে নাকি বলা হয়েছে,
কিছুদিন পরেই নারী পুরুষ পরস্পরের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দেবে।
ভার্চুয়াল আলাপ যত বেড়েছে, ডিভোর্স আর স্বামীস্ত্রীর গৃহযুদ্ধ ততই বেড়েছে।
এখন আদালত পাড়ায় এই একটা বিষয়েই উপচে পড়া যুদ্ধ।
সেটাকে দাজ্জালীয় ওয়ার্ল্ড ওয়ার বানাতে ভার্চুয়াল পৃথিবী অবশ্যই প্রসিদ্ধ হবে।
নারীদেরকেই কিন্তু দড়ি দিয়েও সে জগৎ থেকে বাঁচানো যাবে না।
ফলাফল সন্তানেরা উত্তরাধিকারে সে জগতের বাসিন্দা হবেই।
আজকে যতটুকু আছি কয়েকদিন বা মাস বা বছরের মাঝেই হয়তো ঈমান বাঁচাতে ভার্চুয়াল দুনিয়া ত্যাগ করতে হবে।
তখন আর দ্বীনি ভাইবোন কারো সাথে যোগাযোগ হবে না।
সোস্যাল মিডিয়াতে কেউ কাউকে দ্বীনের পথে ডাকতে পারবো না বা কেউ কাউকে ভুল শুদ্ধ ধরিয়ে দিতে পারবে না।
সবচেয়ে বেশি কঠিন হয়ে যাবে মুমিনের জীবন।
সে রাস্তা ঘাট ঘর বাহির অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথাওই নিজেকে নিরাপদ পাবে না।
সকালে যা সঠিক মনে হবে৷ বিকেলেই তা বেঠিক লাগতে শুরু করবে।
সে সিদ্ধান্ত হীনতায় থাকবে কখন কোনদিকে যাওয়া কোন জীবনটা প্রকৃত সত্য।
তারা পরস্পরের সাথে যোগাযোগের কোন মাধ্যম পাবে না।
সব আলোচনা, ওয়াজ, তথ্য, নসীহত সবকিছু ভার্চুয়ালে থাকবে। আলেম কম তৈরি হবে।
বিজ্ঞ আলেমগণ পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। এখনই একাত্মতা কম, তখন নতুনরা আরো দলে উপদলে ভাগ হবে যে একজন হবে একটা দল।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির দুনিয়াতেই হয়তো ঈমান ধরে রাখতে গুহায় আশ্রয় নিতে হবে,
নতুবা জাহান্নাম...🤲🤲🤲
রিতু কুন্ডু (রিভার্টেড)
প্রফেসর জবি
৫/১২/২০২১
[Collected]
Comment