শাইখ x : আল ক্বাইদা খারেজী।
y: আল ক্বাইদা কেনো খারেজী?
x: কারণ তারা মুসলিম শাসকদের তাকফির করে। তাদের নেতা ওসামা বিন লাদেন বলেছে ৯০% শরীয়াহ কায়েম করে আর ১০% কে বর্জন করে তাহলে ঐ শাসক কাফের। যেমন, সমস্ত শরীয়াহ বিধান চালু রেখে জাস্ট সুদকে গ্রহণ করা।
y: ভালো, তো আপনি প্রমাণ দেখান যে ওই ১০% শরীয়াহ বর্জন যারা করলে শাসক মুসলিম থাকবে?
শায়েখ x: ইয়াজিদকে আলেমগণ তাকে কাফের বলা থেকে বিরত থেকেছেন। নিরবতা পালন করেন। ইয়াজিদ তো মদকে হালাল করেছিলো। তাকে তো কেউ কাফের বলে না?
তাছাড়া আরো অনেক মুসলিম শাসকগণ তা করেছেন!
y: "ইয়াজিদ কাফের বা কাফের না" এই বিতর্ক তো হযরত হুসাইন(রাদি) এর শাহাদাতের উপর ভিত্তি করে। এখানে আলেমগণ তো মদের বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক করেননি। আর ইয়াজিদ মদকে হালাল ঘোষণা দিয়েছে এর রেফারেন্স কোথায়? মদকে যদি হালাল ঘোষণা দেয় সে এমনি কাফের হয়ে যাবে। এটা নিয়ে বিতর্ক লাগে না।
আর বর্তমান ত্বাগুত শাসকরা তো পুরো শরীয়াহ্কেই অস্বীকার করেছে।
x: কোথায় অস্বীকার করেছে? কোন প্রেসিডেন্ট অস্বীকার করেছেন? এর রেফারেন্স দাও?
y: তারা কি ব্রিটিশদেরদের রচিত নীতিমালার উপর ভিত্তি করে রচিত কুফরী সংবিধানকে মেনে নেয়নি?
x: মেনে নেয়া আর অস্বীকার করা এক না। একজন যাকাত দেয় না, কিন্তু এনকার(অস্বীকার) করে। আবার আরেকজন এনকার করে না। দুইজন এক না। প্রথমজন স্পষ্ট কাফের।
y: আচ্ছা শাইখ। দ্বিতীয়জন মৌখিকভাবে আপনাকে বললো না যে এনকার করে। কিন্তু যাকাতবিরোধী কোনো রেজুলেশনে সাইন করলো। বা যাকাতবিরোধী আইন গ্রহণ করে নিলো। তখন হুকুম কি শাইখ?
x: তুমি কিসের সঙ্গে কি মিলাচ্ছো। এটা খারেজিদের লক্ষণ। তোমার পূর্বপুরুষরা এরকম করতো। হজরত আলী(রা) কে কাফের বলতে গিয়ে অজস্র যুক্তি দেখাতো।
কোন প্রেসিডেন্ট যাকাতবিরোধী রেজুলেশনে সাইন করেছেন তা দেখাতে পারবে?
y: শাইখ, বাংলাদেশের সংবিধানসহ পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ সংবিধানগুলোর প্রথমেই লেখা থাকে,
"অন্য কোনো আইন, এই সংবিধানের সাথে যতখানি সাংঘর্ষিক ঠিক ততখানি বাতিল হইবে।"
এখন এই আইন হোক কোরআনি আইন। যেহেতু কোরআনি আইন সংবিধানের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক তাই এটি পুরোপুরিই বাতিল! নাউযুবিল্লাহ!
আর ত্বাগুত শাসকরা তো কুফরী সংবিধানকে আপন মনে গ্রহণ করে নিয়েছে।
x: তারা কোথায় গ্রহণ করেছে এই কথা কি বলেছে?
y: আশ্চর্য! তারা লড়াই করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতায় গেলো। তারপর পরেরদিন মহাআনন্দে এই কুফরী সংবিধান অনুসারে পাঁচ বছর দেশ চালানোর "শপথ গ্রহণ" করলো!....
x: থামো!
y: 😕😕
শাইখ x: আমার সাথে যেভাবে ন্যাওটামি শুরু করেছ তাতে ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে তুমি তোমাদের পূর্বপুরুষ খারেজিদের ভালোভাবেই প্রতিনিধিত্ব করছো। এদেশে আল ক্বাইদা খারেজিদের দিন শেষ। ফাত্তান হয়ো না।
বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে কোরআনের সংঘর্ষ কম। তাছাড়া সংবিধানের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" লেখা আছে। এগুলো নজরে পড়ে না?
আর সংবিধানের কোথায় লেখা কোরআন বাতিল?
y: শাইখ! যদি বিসমিল্লাহ লেখা থাকার কারণে কোরআনের সাথে কুফরী সংবিধানের সংঘর্ষ চলে যায়, তাহলে বিসমিল্লাহ বলে মদ পান করলে কি মদপানে গুনাহ মওকুফ হয়ে যাবে? শাইখ?
x: মাথায় তো ভালো খারেজিয়্যাতের ভুত চেপে বসেছে। ইউটিউব এর ফেসবুকের কিবোর্ড যোদ্ধাদের লেখা পড়ে!
আল্লাহ পাক খারেজী ফেৎনা থেকে আমাদের হিফাজত করুন। মুসলিম উম্মাহকে এই ভয়ংকর শয়তানের শিংতুল্য ফিৎনা থেকে হেফাজত করুন।
y: আচ্ছা, শাইখ আল কায়েদা ধরলাম খারেজী। জাহান্নামের কুকুর। মেনে নিলাম খোদাদ্রোহী আমেরিকার এক নম্বর শত্রু ও আতঙ্ক শাইখ উসামাকে পেলে রাসূল(সা) আদ জাতির মতো হত্যা করতেন।
এখন কথা হলো এই খারেজী ফেৎনা যাদের আশ্রয়ে বিস্তার লাভ করেছে, যারা এই আল কায়েদাকে আমেরিকার হাত থেকে প্রটেকশন দিয়েছে, যারা আপনার দৃষ্টিতে "খারেজিদের নেতা" আমেরিকার হাতে তুলে না দিয়ে লাখো আফগানিকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছে, যারা বারবার এই খারেজী আল ক্বাইদার বাইয়াত নিচ্ছে ও পাকিস্তানের উলিল আমরদের হত্যা করার জন্য তেহরিকে তালেবানকে অস্ত্র দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে বিধান কি?
শাইখ আর কিছুই বলেননি। কারণ তিনি জানেন তালিবানরা ইতিমধ্যে বিশাল ভূখণ্ড দখল করে মুসলিমদের মধ্যে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। তাদেরকেও খারেজী বলে শাইখ নিজের মার্কেট হারাতে চান না।
y: আল ক্বাইদা কেনো খারেজী?
x: কারণ তারা মুসলিম শাসকদের তাকফির করে। তাদের নেতা ওসামা বিন লাদেন বলেছে ৯০% শরীয়াহ কায়েম করে আর ১০% কে বর্জন করে তাহলে ঐ শাসক কাফের। যেমন, সমস্ত শরীয়াহ বিধান চালু রেখে জাস্ট সুদকে গ্রহণ করা।
y: ভালো, তো আপনি প্রমাণ দেখান যে ওই ১০% শরীয়াহ বর্জন যারা করলে শাসক মুসলিম থাকবে?
শায়েখ x: ইয়াজিদকে আলেমগণ তাকে কাফের বলা থেকে বিরত থেকেছেন। নিরবতা পালন করেন। ইয়াজিদ তো মদকে হালাল করেছিলো। তাকে তো কেউ কাফের বলে না?
তাছাড়া আরো অনেক মুসলিম শাসকগণ তা করেছেন!
y: "ইয়াজিদ কাফের বা কাফের না" এই বিতর্ক তো হযরত হুসাইন(রাদি) এর শাহাদাতের উপর ভিত্তি করে। এখানে আলেমগণ তো মদের বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক করেননি। আর ইয়াজিদ মদকে হালাল ঘোষণা দিয়েছে এর রেফারেন্স কোথায়? মদকে যদি হালাল ঘোষণা দেয় সে এমনি কাফের হয়ে যাবে। এটা নিয়ে বিতর্ক লাগে না।
আর বর্তমান ত্বাগুত শাসকরা তো পুরো শরীয়াহ্কেই অস্বীকার করেছে।
x: কোথায় অস্বীকার করেছে? কোন প্রেসিডেন্ট অস্বীকার করেছেন? এর রেফারেন্স দাও?
y: তারা কি ব্রিটিশদেরদের রচিত নীতিমালার উপর ভিত্তি করে রচিত কুফরী সংবিধানকে মেনে নেয়নি?
x: মেনে নেয়া আর অস্বীকার করা এক না। একজন যাকাত দেয় না, কিন্তু এনকার(অস্বীকার) করে। আবার আরেকজন এনকার করে না। দুইজন এক না। প্রথমজন স্পষ্ট কাফের।
y: আচ্ছা শাইখ। দ্বিতীয়জন মৌখিকভাবে আপনাকে বললো না যে এনকার করে। কিন্তু যাকাতবিরোধী কোনো রেজুলেশনে সাইন করলো। বা যাকাতবিরোধী আইন গ্রহণ করে নিলো। তখন হুকুম কি শাইখ?
x: তুমি কিসের সঙ্গে কি মিলাচ্ছো। এটা খারেজিদের লক্ষণ। তোমার পূর্বপুরুষরা এরকম করতো। হজরত আলী(রা) কে কাফের বলতে গিয়ে অজস্র যুক্তি দেখাতো।
কোন প্রেসিডেন্ট যাকাতবিরোধী রেজুলেশনে সাইন করেছেন তা দেখাতে পারবে?
y: শাইখ, বাংলাদেশের সংবিধানসহ পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ সংবিধানগুলোর প্রথমেই লেখা থাকে,
"অন্য কোনো আইন, এই সংবিধানের সাথে যতখানি সাংঘর্ষিক ঠিক ততখানি বাতিল হইবে।"
এখন এই আইন হোক কোরআনি আইন। যেহেতু কোরআনি আইন সংবিধানের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক তাই এটি পুরোপুরিই বাতিল! নাউযুবিল্লাহ!
আর ত্বাগুত শাসকরা তো কুফরী সংবিধানকে আপন মনে গ্রহণ করে নিয়েছে।
x: তারা কোথায় গ্রহণ করেছে এই কথা কি বলেছে?
y: আশ্চর্য! তারা লড়াই করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতায় গেলো। তারপর পরেরদিন মহাআনন্দে এই কুফরী সংবিধান অনুসারে পাঁচ বছর দেশ চালানোর "শপথ গ্রহণ" করলো!....
x: থামো!
y: 😕😕
শাইখ x: আমার সাথে যেভাবে ন্যাওটামি শুরু করেছ তাতে ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে তুমি তোমাদের পূর্বপুরুষ খারেজিদের ভালোভাবেই প্রতিনিধিত্ব করছো। এদেশে আল ক্বাইদা খারেজিদের দিন শেষ। ফাত্তান হয়ো না।
বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে কোরআনের সংঘর্ষ কম। তাছাড়া সংবিধানের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" লেখা আছে। এগুলো নজরে পড়ে না?
আর সংবিধানের কোথায় লেখা কোরআন বাতিল?
y: শাইখ! যদি বিসমিল্লাহ লেখা থাকার কারণে কোরআনের সাথে কুফরী সংবিধানের সংঘর্ষ চলে যায়, তাহলে বিসমিল্লাহ বলে মদ পান করলে কি মদপানে গুনাহ মওকুফ হয়ে যাবে? শাইখ?
x: মাথায় তো ভালো খারেজিয়্যাতের ভুত চেপে বসেছে। ইউটিউব এর ফেসবুকের কিবোর্ড যোদ্ধাদের লেখা পড়ে!
আল্লাহ পাক খারেজী ফেৎনা থেকে আমাদের হিফাজত করুন। মুসলিম উম্মাহকে এই ভয়ংকর শয়তানের শিংতুল্য ফিৎনা থেকে হেফাজত করুন।
y: আচ্ছা, শাইখ আল কায়েদা ধরলাম খারেজী। জাহান্নামের কুকুর। মেনে নিলাম খোদাদ্রোহী আমেরিকার এক নম্বর শত্রু ও আতঙ্ক শাইখ উসামাকে পেলে রাসূল(সা) আদ জাতির মতো হত্যা করতেন।
এখন কথা হলো এই খারেজী ফেৎনা যাদের আশ্রয়ে বিস্তার লাভ করেছে, যারা এই আল কায়েদাকে আমেরিকার হাত থেকে প্রটেকশন দিয়েছে, যারা আপনার দৃষ্টিতে "খারেজিদের নেতা" আমেরিকার হাতে তুলে না দিয়ে লাখো আফগানিকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছে, যারা বারবার এই খারেজী আল ক্বাইদার বাইয়াত নিচ্ছে ও পাকিস্তানের উলিল আমরদের হত্যা করার জন্য তেহরিকে তালেবানকে অস্ত্র দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে বিধান কি?
শাইখ আর কিছুই বলেননি। কারণ তিনি জানেন তালিবানরা ইতিমধ্যে বিশাল ভূখণ্ড দখল করে মুসলিমদের মধ্যে বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। তাদেরকেও খারেজী বলে শাইখ নিজের মার্কেট হারাতে চান না।
Comment