Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিতনার হাকিকত: জিহাদ কি ফিতনা?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিতনার হাকিকত: জিহাদ কি ফিতনা?

    ফিতনার হাকিকত: জিহাদ কি ফিতনা?

    জিহাদের কথা বলতে গেলেই চতুর্দিক থেকে সুর উঠে, ‘না-না-না! ফিতনা হবে। তোমরা ফিতনা বাঁধাতে যেও না’।

    কিন্তু ফিতনা জিনিসটা আসলে কি?



    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
    “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাক, যতক্ষণ না (যাবতীয়) ফিতনার (চূড়ান্ত) অবসান হয় এবং আল্লাহর (যমিনে আল্লাহর দেয়া) জীবনব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গরূপে ক্ষমতাসীন হয়।”- আনফাল: ৩৯


    ফিতনার অবসানের জন্য আল্লাহ তাআলা জিহাদ করতে বলছেন। বুঝা গেল, ফিতনা এক জিনিস আর জিহাদ আরেক জিনিস। একটা আরেকটার বিপরীত। জিহাদ ফিতনা নির্মূলের মহৌষধ।


    কুরআনে কারীমের এ নির্দেশ আমাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছে, জিহাদ ফিতনা নয়, ফিতনা নির্মূলের ঔষধ। তাহলে আমরা জিহাদকে ফিতনা কেন বানিয়ে ফেললাম?


    এর কারণ, আমরা ফিতনার হাকিকত বুঝতে পারিনি। আমরা মনে করে নিচ্ছি:

    - জিহাদ করতে গেলে মারামারি হবে। এটাই ফিতনা।
    - জিহাদ করতে গেলে অনেককে মরতে হবে। এটাই ফিতনা।
    - অনেকে বন্দী হবে, নির্যাতনের শিকার হবে। এটাই ফিতনা।
    - অনেকে উদ্বাস্তু হবে, ভিটেমাটি হারাবে। এটাই ফিতনা।
    - অনেক মা সন্তান হারাবে, অনেক স্ত্রী স্বামী হারাবে। এটাই ফিতনা।
    - সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। আরাম আয়েশের জীবন নষ্ট হবে। এটাই ফিতনা।


    ফিতনার হাকিকত আমাদের সামনে এমনই ধরা পড়েছে।


    এখানে অস্বীকার করার জু নেই যে, জিহাদ করতে গেলে এগুলো হবেই। এগুলো ছাড়া জিহাদ হবে না। তবে এগুলো তো আজ নতুন না। সব যামানার জিহাদের চিত্রই এমন। হত্যা, শাহাদাত, বন্দী, নির্যাতন, দেশান্তর। এগুলো সব যামানার চিত্র। মক্কায় রাসূল ﷺ ও সাহাবায়ে কেরামের নির্যাতিত হওয়ার করুণ কাহিনি তো আমাদের দিল কাঁদায়। স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন ও ভিটেমাটি ত্যাগ করে প্রিয় মক্কা থেকে হিজরতের সে দৃশ্য আমাদের অশ্রুসিক্ত করে। আমরা গর্বভরে এগুলো আলোচনা করি। মঞ্চ কাঁপাই। কাঁদি, কাঁদাই।


    বদর, উহুদ, খন্দক, ফাতহে মক্কা, তাবুক এগুলো আমাদের প্রেরণার উৎস বলে আমরা দাবি করি। কিন্তু রাসূল ﷺ -এর দন্ত মুবারক শহীদ হয়। রক্তে চেহারা ও দেহ মুবারক রঞ্জিত হয়। সাহাবায়ে কেরাম শাহাদত বরণ করেন। কেউ বন্দী হয়ে নির্যাতনের শিকার হন। কেউ বাবা হারান। কেউ স্বামী হারান। এটাই বদর উহুদের চিত্র। এগুলো আজ নতুন নয়। এগুলো সব পুরাতন। সকল নবি ও তাদের অনুসারিদের সুন্নত।


    এগুলো যদি ফিতনা হয়, তাহলে রাসূল ﷺ ও সাহাবায়ে কেরামের জিহাদ জায়েয হলো কিভাবে?


    আমরা তাদের অনুসরণের আদিষ্ট। সিয়াম সালাত অনুসরণে যদি ফিতনা না হয় তাহলে জিহাদের অনুসরণ ফিতনা হবে কেন? না’কি তাগুতিশক্তি যতটুকুর অনুমতি দেয় ততটুকু ঠিক আছে আর বাকিটা ফিতনা?
    আসল কথা হলো আমরা ফিতনার হাকিকত বুঝতে প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলেছি। ফিতনা আসলে কি জিনিস আমরা বুঝতেই পারিনি।


    ফিতনা কি?

    আল্লাহ তাআলা ফিতনা দূর করতে জিহাদের আদেশ দিয়েছেন। আর জিহাদ মানেই মারামারি, কাটাকাটি, হত্যা, শাহাদাত, বন্দী, নির্যাতন, স্বজন হারানোর হাহাকার। অতএব, এগুলো ফিতনা নয়। ফিতনা এক ভিন্ন জিনিস।
    ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু উক্ত আয়াতের ফিতনার স্বরূপ সম্পর্কে বলেন,
    كان الإسلام قليلا وكان الرجل يفتن في دينه: إما قتلوه أو عذبوه حتى كثر الإسلام فلم تكن فتنة.
    “(প্রথম যামানায়) ইসলামের অনুসারি (ও শক্তি) ছিল কম। মুমিনদেরকে দ্বীনের কারণে ফিতনায় নিপতিত করা হতো: হয়তো হত্যা করতো, নয়তো শাস্তি দিত। অবশেষে ইসলামের অনুসারি (ও শক্তি) বৃদ্ধি পেল। তখন আর ফিতনা ছিল না।”- সহীহ বুখারি ৪২৪৩


    অন্য বর্ণনায় আছে,
    كان الإسلام قليلا فكان الرجل يفتن في دينه إما يقتلونه وإما يوثقونه حتى كثر الإسلام فلم تكن فتنة.
    “ইসলামের অনুসারি (ও শক্তি ছিল) কম। মুমিনদেরকে দ্বীনের কারণে ফিতনায় নিপতিত করা হতো। হয়তো হত্যা করতো, নয়তো (শাস্তি দেয়ার জন্য) শিকলে বেঁধে রাখতো। অবশেষে ইসলামের অনুসারি ও (শক্তি) বৃদ্ধি পেল। তখন আর ফিতনা ছিল না।”- সহীহ বুখারি ৪৩৭৩


    বুঝা গেল, কাফেররা মুমিনদের উপর যে নির্যাতন করে, হত্যা করে, বন্দী করে, শাস্তি দেয়, দ্বীন থেকে ফিরিয়ে ফেলতে চায়, কুফরি বিধি বিধান মানতে বাধ্য করে, চাপ প্রয়োগ করে- এসব হচ্ছে ফিতনা। এ ফিতনা দূর করতে আল্লাহ তাআলা জিহাদের আদেশ দিয়েছেন। জিহাদের নির্দেশ দিয়েছেন এমন একটা সমাজ কায়েম করতে যেখানে মুসলিমদের দ্বীন পালনে কোনো বাধা থাকবে না। আল্লাহর বিধান মেনে চলতে কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হবে না। নিষ্কণ্টকভাবে শরীয়ত মেনে চলা যাবে। অতএব, এ কাফের ও জালেম শাসন ফিতনা। এটি ধ্বংসের জন্য হত্যা, বন্দী, নির্যাতন ভোগ, মরা ও মারা জিহাদ।


    আরেকটু খোলে বললে, ফিতনা হচ্ছে ঐ জিনিস যা মানুষকে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, দ্বীনদারির ক্ষতি করে, দ্বীনের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়।

    ইবনে মানজুর রহ. (৭১১ হি.) বলেন,
    والفتنة: الضلال والإثم. والفاتن: المضل عن الحق. والفاتن: الشيطان لأنه يضل العباد. اهـ
    “ফিতনা অর্থ- গোমরাহি ও গুনাহ। ফিতনাকারী বলা হয়, যে লোকজনকে হক থেকে বিচ্যূত করে। শয়তানকে ফিতনাকারী বলা হয়, কেননা, সে বান্দাদেরকে বিচ্যূত করে থাকে।”- লিসানুল আরব, মাদ্দা- فتن


    আরো বলেন,
    والفتنة في كلامهم معناه المميلة عن الحق. اهـ
    “আরবদের ভাষায় ফিতনা বলে এমন জিনিসকে, যা হক থেকে বিচ্যূত করে।”- লিসানুল আরব, মাদ্দা- فتن


    অতএব, বর্তমান সমাজে চলমান কুফরি আইন কানুন ফিতনা। চলমান অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন ফিতনা। চলমান যিনা, ব্যভিচার, বে-পর্দা, সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়াসহ সব ধরনের হারাম ও গুনাহগুলো ফিতনা। এগুলো দূর করতে আল্লাহ তাআলা জিহাদের আদেশ দিয়েছেন। লড়াইয়ের আদেশ দিয়েছেন। মারতে ও মরতে আদেশ দিয়েছেন।


    ফিতনা: দু’টি সহজবোধ্য উদাহরণ


    এক.
    একজন মুমিন খুব কষ্টে পড়েছে। এক কাফের তাকে প্রলোভন দিচ্ছে, যদি কাফের হয়ে যাও তাহলে তোমার কষ্ট দূর করে দেবো। যা চাইবে তাই দেব। বাড়ি গাড়ি যা লাগে সব।

    এখানে ফিতনা কোনটা?

    সবাই বলবে, কাফের হয়ে যাওয়া ফিতনা। না খেয়ে মরে যাওয়াও ভাল।


    দুই.
    এক কাফের একজন মুসলিমকে হুমকি দিচ্ছে, তুই কাফের হয়ে যা, নইলে তোকে হত্যা করে দেবো।

    এখন মুমিনের সামনে দু’টি পথ: ক. কাফের হয়ে যাওয়া; খ. মারামারি করে কাফেরকে মেরে ফেলা বা নিজে মরে যাওয়া।

    এখানে ফিতনা কোনটা??

    সবাই বলবে, কাফের হয়ে যাওয়া ফিতনা। এটা দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর। কাফেরকে মেরে ফেলা বা নিজে মরে যাওয়া ফিতনা নয়, জিহাদ। কাফেরকে মেরে ফেললেও আল্লাহ সন্তুষ্ট। নিজে মরে গেলেও আল্লাহ সন্তুষ্ট। শাহাদাতের মর্যাদায় পুরস্কৃত করবেন।


    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    وَالْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ
    “(জেনে রেখো) ফিতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ।” -বাকারা ১৯১

    ইমাম কুরতুবি রহ. (৬৭১হি.) বলেন,
    قوله تعالى:" والفتنة أشد من القتل" أي الفتنة التي حملوكم عليها وراموا رجوعكم بها إلى الكفر أشد من القتل. قال مجاهد: أي من أن يقتل المؤمن، فالقتل أخف عليه من الفتنة. وقال غيره: أي شركهم بالله وكفرهم به أعظم جرما وأشد من القتل. اهـ
    “আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘ফিতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ।’ অর্থাৎ যে ফিতনা তারা তোমাদের উপর চাপাচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা তোমাদেরকে কুফরে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে, তা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ।

    মুজাহিদ রহ. বলেন, অর্থাৎ মুমিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার চেয়েও ফিতনা ভয়াবহ। অতএব, ফিতনাগ্রস্ত হওয়ার চেয়ে নিহত হওয়া তার জন্য সহজ।

    অন্যরা বলেন, কাফেরদের কুফর ও শিরক (তাদেরকে) হত্যা করে দেয়ার চেয়েও জঘন্য।”- তাফসীরে কুরতুবি ২/৩৫১


    মুহতারাম ভাই, এভাবেই বুঝতে হবে। তাগুতি শাসন ফিতনা। চলমান হারামের স্রোত ফিতনা। এগুলো দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর। পক্ষান্তরে এগুলো দূর করার জন্য লড়াই, বন্দী, মরা ও মারা জিহাদ। এগুলো আল্লাহর নির্দেশ। মরলেও লাভ বাঁচলেও লাভ।
    ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআলা আ’লাম।

  • #2
    মাশা আল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী একটি দিক তুলে ধরেছেন প্রিয় মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই।
    আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আপনার ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন।
    দীর্ঘদিন যাবৎ এমন একটি লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে ছিলাম...মৌখিকভাবে অনেককে এ বিষয়টা বলেও ছিলাম।
    যাক আল্লাহ তা‘আলা আপনার দ্বারা এ কাজ লিখিত আকারে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন, আলহামদু লিল্লাহ।
    আমরা যারা দাওয়াতের ময়দানে কাজ করি, তারা লেখাটি অনুসরণ করতে পারেন, ইনশা আল্লাহ।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ
      এমনই একটি লেখার কামনা করছিলাম ৷
      ফিতনা বিষয়ে সংশয়ের জবাব-আপনার এ লেখাটিই যথেষ্ট ৷
      আল্লাহ আপনার ইলমে বারাকাহ দান করুন ৷
      আমাদের সবাইকে কবুল করুন ৷ আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,।
        অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
        আল্লাহ তায়া'লা আমাদেরকে সর্বপ্রকার ফিতনা থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          ভাই!কয়েকটা পর্ব করলে ভালো হতো ।
          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ।
            লিখাটি পড়ে খুব উপকৃত হয়েছি। আল-হামদুলিল্লাহ।
            আল্লাহ তাআলা আপনার ইলম ও আমলে বারাকাহ দান করুন,আমীন।
            বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
            কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

            Comment


            • #7
              ফিতনা: দু’টি সহজবোধ্য উদাহরণ[/b][/size]

              এক.
              একজন মুমিন খুব কষ্টে পড়েছে। এক কাফের তাকে প্রলোভন দিচ্ছে, যদি কাফের হয়ে যাও তাহলে তোমার কষ্ট দূর করে দেবো। যা চাইবে তাই দেব। বাড়ি গাড়ি যা লাগে সব।

              এখানে ফিতনা কোনটা?

              সবাই বলবে, কাফের হয়ে যাওয়া ফিতনা। না খেয়ে মরে যাওয়াও ভাল।


              দুই.
              এক কাফের একজন মুসলিমকে হুমকি দিচ্ছে, তুই কাফের হয়ে যা, নইলে তোকে হত্যা করে দেবো।

              এখন মুমিনের সামনে দু’টি পথ: ক. কাফের হয়ে যাওয়া; খ. মারামারি করে কাফেরকে মেরে ফেলা বা নিজে মরে যাওয়া।

              এখানে ফিতনা কোনটা??

              সবাই বলবে, কাফের হয়ে যাওয়া ফিতনা। এটা দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর। কাফেরকে মেরে ফেলা বা নিজে মরে যাওয়া ফিতনা নয়, জিহাদ। কাফেরকে মেরে ফেললেও আল্লাহ সন্তুষ্ট। নিজে মরে গেলেও আল্লাহ সন্তুষ্ট। শাহাদাতের মর্যাদায় পুরস্কৃত করবেন।
              এই উদাহরণ দুটিই এবিষয়ে যথেষ্ট ছিল! ভাইয়ের প্রতিটি লেখাতেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চলে আসে। আল্লাহ আপনার ইলম ও চিন্তাশক্তিতে আরো বারাকাহ দান করুন।

              হয় শরীয়াহ, নয় শাহাদাহ।

              Comment


              • #8
                আলহামদু লিল্লাহ, অনেক উপকৃত হলাম।
                আল্লাহ তা‘আলা আপনার সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
                আশা করি প্রতিনিয়ত এমন ইলমী পোস্ট নিয়ে হাজির হবেন আর আমরা আপনার ইলমী ফয়েজ দ্বারা উপকৃত হব, ইনশা আল্লাহ।
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ্ শায়েখের প্রতিটা পোষ্টই খুবই গুরুত্বপূর্ণ,
                  আল্লাহ্ শায়েখ কে ইলমে বারাকা দিন এবং আমাদের উপকৃত করুন আমীন।

                  Comment

                  Working...
                  X