|| তালিবানদের নিয়ে আল জাজিরার (Al Jazeera) মিথ্যাচারের জবাব ||
|| AF The Girls of the Taliban | Featured Documentary ||
২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা (Al Jazeera) ইউটিউবে “The Girls of the Taliban” নামে একটি ফিচার্ড ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরে সারা পৃথিবীতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছে ৩২,০৯,৮৭৩ জন এবং ভিডিওটিতে কমেন্ট করেছে ৮,২২৬ জনেরও বেশি মানুষ। নাজিবুল্লাহ কুরাইশি এবং জেমি দোরান নামে দুইজন ব্যক্তি ভিডিওটি রচনা করেছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল তারা এই ভিডিওতে তালিবানদেরকে অকথ্যভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। তারা মুসলিম তালিবানদেরকে বিশ্বের সামনে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে তুলে ধরেছে। তারা বিশ্বকে বুঝাতে চাইছে যে তালিবানরা সেখানকার মেয়েদেরকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তালিবানরাই নাকি আফগানিস্তানের মেয়েদের নিরক্ষরতার জন্য দায়ী। সুবহানাল্লাহ এই তাগুতের পা চাঁটা গোলামেরই নাকি আমাদের পবিত্র বোনদেরকে দ্বীন শেখাতে চায়। কত ভয়ংকর ষড়যন্ত্রকারী এরা? এরা নিজেরা তো আল্লাহর পথ থেকে বিচুত্য হয়ে গেছে। উপরন্তু এরা আমাদের পবিত্র বোনদেরকেও আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত রাখতে চায়। বরং ওরা চায় আমাদের মুসলিম ভাই বোনেরাও যেন ওদের মত কাফের হয়ে যায়। কত নিকৃষ্ট তারা? তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তালিবান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নারীরা নাকি তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নাউযুবিল্লাহ কত বড় মিথ্যাচার? যেখানে আমাদের দ্বীন ইসলাম নারীদেরকে মর্যদা দিয়েছে সেখানে আমাদেরই ভাই তালিবানরা নাকি নারীদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এর চেয়ে আর বড় মিথ্যাচার আর কি হতে পারে। বস্তুবাদী, দুনিয়ালোভী, পাশ্চাত্যের এই সমস্ত পুতুলদের কাছে নারী স্বাধীনতা আর নারী অধিকারের সংজ্ঞা একটু ভিন্ন। তাদের কাছে নারী স্বাধীনতা বলতে বুঝায় নারীরা যেখানে সেখানে অবাধে ঘুড়ে বেড়াতে পারবে। নারীরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। তারা নারী অধিকার বলতে বুঝায় নারীরা এক সাথে একাধিক স্বামী রাখতে পারবে। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী নারীরা তাদের অবিভাকের অনুমতি ছাড়াই যেখানে ইচ্ছা গমন করতে পারবে, যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক। এতো নিজের সাথে প্রতারণা বৈ কিছু নয়। ওরা আমাদের বুঝাতে চায় যে আমরা যেন ওদের মত করেই পাশ্চাত্য ধাঁচে শিক্ষা অর্জন করি। হে তাগুতের পা চাঁটা গোলামেরা তোমরা থামো। তোমরা আমাদের মাঝে নাক গলাতে এসো না। বরং তোমরা তোমাদের নিজেদের কাজ করো। আমরা আমাদের বোনদেরকে কিভাবে শিক্ষা দিবো তার মানদন্ড আমাদের জানা আছে। আমাদের বোনেরা পর্দা করবে কি করবে না তা তোমাদের কাছ থেকে আমাদের জানতে হবে না।
ভিডিওটির কমেন্টে কিছু মানুষ এমন তীর্যকভাবে মন্তব্য করেছে যা কল্পনাতীত। কেউ কেউ লিখেছে এই সমস্ত অবুঝ মেয়েদের ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে। কেউ কেউ লিখেছে এই দৃশ্যগুলো তো নব্য প্রস্তর যুগের দৃশ্য। আবার কেউ বা লিখেছে আধুনিক যুগে এমন দৃশ্যপট কল্পনা করা যায় না। আরোও এ রকম বহু বাজে মন্তব্য করেছে যা আমি বলে বুঝাতে পারবো না। যে যাই বলুক আমরা আমাদের দ্বীনের পথে অটল অবিচল থাকবো ইনশাআল্লাহ্।
পবিত্র বোনদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। আপনারা কোনভাবেই এই তাগুতের ফেলে রাখা ফাঁদে পা দিবেন না। আপনারা কোনভাবেই এদের কথায় কান দিবে না। যে যাই বলুক আপনি আল্লাহর রাস্তায় অটল অবিচল থাকুন। এদের কথায় কোনভাবেই ঘাবড়ে যাবেন না। এদের কথায় হতাশও হবেন না। ধৈর্য অবলম্বন করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ঈমানদারদের সাথেই আছেন। পরিশেষে মহান আল্লাহ্ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে তার দ্বীনের পথে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন
|| AF The Girls of the Taliban | Featured Documentary ||
২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা (Al Jazeera) ইউটিউবে “The Girls of the Taliban” নামে একটি ফিচার্ড ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরে সারা পৃথিবীতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছে ৩২,০৯,৮৭৩ জন এবং ভিডিওটিতে কমেন্ট করেছে ৮,২২৬ জনেরও বেশি মানুষ। নাজিবুল্লাহ কুরাইশি এবং জেমি দোরান নামে দুইজন ব্যক্তি ভিডিওটি রচনা করেছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল তারা এই ভিডিওতে তালিবানদেরকে অকথ্যভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। তারা মুসলিম তালিবানদেরকে বিশ্বের সামনে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে তুলে ধরেছে। তারা বিশ্বকে বুঝাতে চাইছে যে তালিবানরা সেখানকার মেয়েদেরকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তালিবানরাই নাকি আফগানিস্তানের মেয়েদের নিরক্ষরতার জন্য দায়ী। সুবহানাল্লাহ এই তাগুতের পা চাঁটা গোলামেরই নাকি আমাদের পবিত্র বোনদেরকে দ্বীন শেখাতে চায়। কত ভয়ংকর ষড়যন্ত্রকারী এরা? এরা নিজেরা তো আল্লাহর পথ থেকে বিচুত্য হয়ে গেছে। উপরন্তু এরা আমাদের পবিত্র বোনদেরকেও আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত রাখতে চায়। বরং ওরা চায় আমাদের মুসলিম ভাই বোনেরাও যেন ওদের মত কাফের হয়ে যায়। কত নিকৃষ্ট তারা? তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তালিবান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নারীরা নাকি তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নাউযুবিল্লাহ কত বড় মিথ্যাচার? যেখানে আমাদের দ্বীন ইসলাম নারীদেরকে মর্যদা দিয়েছে সেখানে আমাদেরই ভাই তালিবানরা নাকি নারীদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এর চেয়ে আর বড় মিথ্যাচার আর কি হতে পারে। বস্তুবাদী, দুনিয়ালোভী, পাশ্চাত্যের এই সমস্ত পুতুলদের কাছে নারী স্বাধীনতা আর নারী অধিকারের সংজ্ঞা একটু ভিন্ন। তাদের কাছে নারী স্বাধীনতা বলতে বুঝায় নারীরা যেখানে সেখানে অবাধে ঘুড়ে বেড়াতে পারবে। নারীরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। তারা নারী অধিকার বলতে বুঝায় নারীরা এক সাথে একাধিক স্বামী রাখতে পারবে। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী নারীরা তাদের অবিভাকের অনুমতি ছাড়াই যেখানে ইচ্ছা গমন করতে পারবে, যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক। এতো নিজের সাথে প্রতারণা বৈ কিছু নয়। ওরা আমাদের বুঝাতে চায় যে আমরা যেন ওদের মত করেই পাশ্চাত্য ধাঁচে শিক্ষা অর্জন করি। হে তাগুতের পা চাঁটা গোলামেরা তোমরা থামো। তোমরা আমাদের মাঝে নাক গলাতে এসো না। বরং তোমরা তোমাদের নিজেদের কাজ করো। আমরা আমাদের বোনদেরকে কিভাবে শিক্ষা দিবো তার মানদন্ড আমাদের জানা আছে। আমাদের বোনেরা পর্দা করবে কি করবে না তা তোমাদের কাছ থেকে আমাদের জানতে হবে না।
ভিডিওটির কমেন্টে কিছু মানুষ এমন তীর্যকভাবে মন্তব্য করেছে যা কল্পনাতীত। কেউ কেউ লিখেছে এই সমস্ত অবুঝ মেয়েদের ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে। কেউ কেউ লিখেছে এই দৃশ্যগুলো তো নব্য প্রস্তর যুগের দৃশ্য। আবার কেউ বা লিখেছে আধুনিক যুগে এমন দৃশ্যপট কল্পনা করা যায় না। আরোও এ রকম বহু বাজে মন্তব্য করেছে যা আমি বলে বুঝাতে পারবো না। যে যাই বলুক আমরা আমাদের দ্বীনের পথে অটল অবিচল থাকবো ইনশাআল্লাহ্।
পবিত্র বোনদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। আপনারা কোনভাবেই এই তাগুতের ফেলে রাখা ফাঁদে পা দিবেন না। আপনারা কোনভাবেই এদের কথায় কান দিবে না। যে যাই বলুক আপনি আল্লাহর রাস্তায় অটল অবিচল থাকুন। এদের কথায় কোনভাবেই ঘাবড়ে যাবেন না। এদের কথায় হতাশও হবেন না। ধৈর্য অবলম্বন করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ঈমানদারদের সাথেই আছেন। পরিশেষে মহান আল্লাহ্ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে তার দ্বীনের পথে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন
Comment