বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ করছি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অনলাইন এবং অফলাইনে ব্যাপকভাবে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা উগ্রবাদ দমনের নামে ব্যাপকভাবে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর এ কাজে তাদেরকে সাহায্য করছে খোদ ক্রুসেডর আমেরিকা ও তার মদদপুষ্ট বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। মালাউন নরেন্দ্র মোদীর ভারত সরকারও তাগুত হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকারকে ব্যাপকভাবে উগ্রবাদ দমনের নামে আর্থিকভাবে ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে সাহায্য করছে। কিছু মুসলিম নামধারী মুনাফিক যারা নিজেদেরকে দায়ী ইলাল্লাহ দাবী করে তারাও তাগুদের এই বাহিনীকে নানাভাবে সাহায্য করছে। এরই মধ্যে উগ্রবাদ দমনের অংশ হিসেবে তারা বেশ কিছু উগ্রবাদ বিরোধী লিফলেট ও ব্যানার প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু মসজিদের সামনে উগ্রবাদ বিরোধী এই সমস্ত ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছে। তাগুতের এই বাহিনী সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে উগ্রবাদ বিরোধী লিফলেট বিতরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক কি আছে এই উগ্রবাদ বিরোধী লিফলেটে? তাদের ভাষ্যমতে উগ্রবাদে জড়িত হওয়ার ধাপসমূহ নিম্নরূপঃ
তাগুতের এই বাহিনী যাদেরকে উগ্রবাদী বলে তারা আসলেই কি উগ্রবাদী! তা দেখে নেওয়া যাকঃ
১। তারা মোটেও হতাশ নয় এবং বঞ্চনা বা পারিবারিক সমস্যায় নাজুক ব্যক্তিও নয়। বরং তারা ধৈর্যশীল এবং নিজ দ্বীনের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করে না। আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা পছন্দ করেন তারাও তাই পছন্দ করে।
২। তারা কাউকে রিক্রুট করে না বরং মানুষ তাদেরকে ভালোবেসে তাদের সাথে কাজ করে। তারা আশপাশে বা ইন্টারনেটে ঘাপটি মেরেও বসে থেকে না। বরং তারা তাদের দ্বীনি দায়িত্ব পালন করে।
৩। খারাপকে বর্জন করা আর ভালোকে গ্রহণ করা আল্লাহ্ ভীরুদের বৈশিষ্ট্য। পুরোনো শখ ও বন্ধু যদি দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর হয় তবে তার সঙ্গ ত্যাগ করা প্রতিটি ঈমানদারের কর্তব্য। বরং দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন সমমনা বন্ধুদের খুঁজে নেওয়াই উত্তম।
৪। তারা শর্টকাট উপায়ে পারোলৌকিক প্রাপ্তির লোভে বিভোর থাকে না। বরং তারা তাদের জীবনের প্রতিটি সময় ব্যয় করে দ্বীন ইসলামের খেদমতের কাজে।
৫। তারা নিজ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কোন কিছু করে না। বরং তারা শরীয়াহ সম্মতভাবে সবকিছু ফয়সালা করার চেষ্টা করে।
৬। তারা সহিংস উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে না। বরং তারা তাদের উপর ন্যাস্ত দ্বীনি দায়িত্ব (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) পালন করে।
শয়তানের এই বাহিনী আল্লাহ্ ও মু’মিনদের প্রতারিত করতে চায়, আসলে তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রতারিত করতে পারে না। কিন্তু এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে না। তোমরা যে চক্রান্ত করছো তা প্রতিটি ঈমানদারের কাছে ভোরের আলোর মত পরিষ্কার। তোমরা কিছু কাল মজা ভোগ করে নাও। আল্লাহ্ যথা সময়ে তোমাদের কড়ায় গন্ডায় প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবেন ইনশাআল্লাহ্।
হে আমার ভাইয়েরা আপনারা এদের চক্রান্তে ধৈর্য হারাও হবেন না হতাশও হবেন না। আল্লাহ্ খুব দ্রুতই এদের চক্রান্তকে নৎসাত করে দিবেন ইনশাআল্লাহ্। আপনারা নিজেরা এদের চক্রান্ত থেকে বাঁচুন এবং নিজের পরিবারকেও বাঁচান। পরিশেষে মহান আল্লাহ্ তা’আলার কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদের সকলকে এদের দুশমনি থেকে হেফাজোত করেন। আমিন
Download Link (PDF)
https://ia601402.us.archive.org/15/i...E%E0%A6%AC.pdf
বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ করছি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অনলাইন এবং অফলাইনে ব্যাপকভাবে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা উগ্রবাদ দমনের নামে ব্যাপকভাবে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর এ কাজে তাদেরকে সাহায্য করছে খোদ ক্রুসেডর আমেরিকা ও তার মদদপুষ্ট বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। মালাউন নরেন্দ্র মোদীর ভারত সরকারও তাগুত হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকারকে ব্যাপকভাবে উগ্রবাদ দমনের নামে আর্থিকভাবে ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে সাহায্য করছে। কিছু মুসলিম নামধারী মুনাফিক যারা নিজেদেরকে দায়ী ইলাল্লাহ দাবী করে তারাও তাগুদের এই বাহিনীকে নানাভাবে সাহায্য করছে। এরই মধ্যে উগ্রবাদ দমনের অংশ হিসেবে তারা বেশ কিছু উগ্রবাদ বিরোধী লিফলেট ও ব্যানার প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু মসজিদের সামনে উগ্রবাদ বিরোধী এই সমস্ত ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছে। তাগুতের এই বাহিনী সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে উগ্রবাদ বিরোধী লিফলেট বিতরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক কি আছে এই উগ্রবাদ বিরোধী লিফলেটে? তাদের ভাষ্যমতে উগ্রবাদে জড়িত হওয়ার ধাপসমূহ নিম্নরূপঃ
তাগুতের এই বাহিনী যাদেরকে উগ্রবাদী বলে তারা আসলেই কি উগ্রবাদী! তা দেখে নেওয়া যাকঃ
১। তারা মোটেও হতাশ নয় এবং বঞ্চনা বা পারিবারিক সমস্যায় নাজুক ব্যক্তিও নয়। বরং তারা ধৈর্যশীল এবং নিজ দ্বীনের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করে না। আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা পছন্দ করেন তারাও তাই পছন্দ করে।
২। তারা কাউকে রিক্রুট করে না বরং মানুষ তাদেরকে ভালোবেসে তাদের সাথে কাজ করে। তারা আশপাশে বা ইন্টারনেটে ঘাপটি মেরেও বসে থেকে না। বরং তারা তাদের দ্বীনি দায়িত্ব পালন করে।
৩। খারাপকে বর্জন করা আর ভালোকে গ্রহণ করা আল্লাহ্ ভীরুদের বৈশিষ্ট্য। পুরোনো শখ ও বন্ধু যদি দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর হয় তবে তার সঙ্গ ত্যাগ করা প্রতিটি ঈমানদারের কর্তব্য। বরং দ্বীনের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন সমমনা বন্ধুদের খুঁজে নেওয়াই উত্তম।
৪। তারা শর্টকাট উপায়ে পারোলৌকিক প্রাপ্তির লোভে বিভোর থাকে না। বরং তারা তাদের জীবনের প্রতিটি সময় ব্যয় করে দ্বীন ইসলামের খেদমতের কাজে।
৫। তারা নিজ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কোন কিছু করে না। বরং তারা শরীয়াহ সম্মতভাবে সবকিছু ফয়সালা করার চেষ্টা করে।
৬। তারা সহিংস উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে না। বরং তারা তাদের উপর ন্যাস্ত দ্বীনি দায়িত্ব (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) পালন করে।
শয়তানের এই বাহিনী আল্লাহ্ ও মু’মিনদের প্রতারিত করতে চায়, আসলে তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে প্রতারিত করতে পারে না। কিন্তু এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে না। তোমরা যে চক্রান্ত করছো তা প্রতিটি ঈমানদারের কাছে ভোরের আলোর মত পরিষ্কার। তোমরা কিছু কাল মজা ভোগ করে নাও। আল্লাহ্ যথা সময়ে তোমাদের কড়ায় গন্ডায় প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবেন ইনশাআল্লাহ্।
হে আমার ভাইয়েরা আপনারা এদের চক্রান্তে ধৈর্য হারাও হবেন না হতাশও হবেন না। আল্লাহ্ খুব দ্রুতই এদের চক্রান্তকে নৎসাত করে দিবেন ইনশাআল্লাহ্। আপনারা নিজেরা এদের চক্রান্ত থেকে বাঁচুন এবং নিজের পরিবারকেও বাঁচান। পরিশেষে মহান আল্লাহ্ তা’আলার কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদের সকলকে এদের দুশমনি থেকে হেফাজোত করেন। আমিন
Download Link (PDF)
https://ia601402.us.archive.org/15/i...E%E0%A6%AC.pdf
Comment