Announcement

Collapse
No announcement yet.

দূষিত ছায়া >

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দূষিত ছায়া >

    সকাল বেলা বাচ্চারা আগের মতই স্কুলে যায় , পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে উস্কুখুস্কো চুলে ,তবে ওরা স্কুলে যা শিখে ডিজিটালের ছোঁয়ায় ঢের শিখে ইউটিউব, ফেসবুকে ...বুকের জায়গা দখল করে নিয়েছে আজ ফেসবুক ইউটিউব।প্রশ্ন হয় স্কুলে করেটা কি?
    স্কুলে গিয়ে শুধুমাত্র প্র্যাক্টিস করে বিপরীত লিঙ্গের সহপাঠীদের সাথে। আমরা কত উন্নত কত্ত আধুনিক হয়েছি চিন্তাও করতে পারবেন না ! উন্নীত সমাজের গল্পগুলো জানলে ,শোনলে হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পারবেন! আমরা কি পাচ্ছি আর কী হারাচ্ছি? শোনেন তাহলে!
    আমরা বেশ আধুনিক হয়েছি, দেশ মোদের মাইক্রো সিঙ্গাপুর..তাইতো আমার ৮বছরের ছোট ভাইয়েরা বিয়ের পর কি করতে হবে এই বয়সেই জানে । শুধু তাই নয় হাতে কলমে অন্যকে শিখানোর যোগ্যতাও রাখে।এই বয়সে আমরা যা কল্পনা করতে পারি নি সেটা তারা হেসে খেলে করে ফেলে যেন পানি ভাত। স্যাকুলাররা এটাকেই প্রগতি ও উন্নতি বলে ঢাক-ঢোল পিঠায়,আর আমরা ভাবি উন্নত হচ্ছি দিন বদলাচ্ছে,একবার ও মনে হয় না দ্বীনকে বদলানো হচ্ছে ধীরে ধীরে কুকৌশলে{সুকৌশলে সচেতনভাবে লিখলাম না} সেদিন
    দুপুর বেলা। মেঘলা আকাশ ।কখন বৃষ্টি নামে ঠিক নেই। তাড়াহুড়ো করে হেঁটে স্টেশন যাচ্ছিলাম, বাজারের শেষ মাথায় স্টেশন ।বাজারকে ক্রস করেছে ছোট্ট একটা নদী। নদীর কূলঘেষেঁ গড়ে উঠা বহু পুরনো এই বাজার। নদীর পাড়ে (যথাসম্ভব )বাজারের কাছাকাছি সময়কার প্রতিষ্ঠিত একটা হাই-স্কুল। টিফিনের সময় ( টিফিনের যুগে আমরা নেই ভুলেই গিয়েছিলাম )আপ টাইমে ছাত্ররা ছোটাছুটি করছে। কেউ আড্ডা দিচ্ছে, কেউ কেউ দলবেঁধে স্মার্ট ফোনে কি যেন কি দেখে হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে।বেশির ভাগ ছেলেই ক্যান্টিনে ভীড় জমিয়েছে, এদের মাঝে পিচ্ছিদের সংখ্যাই বেশি যারা অবুঝ। অল্প কয়েকজন খেলাধুলার প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে,আমার দৃষ্টিতে তারাই স্কুলের সবচেয়ে ভালো ছেলে । ওদের দিকে তাকিয়ে খুঁজে ফিরছিলাম হারানো অতীত।হাসি আনন্দের একটা ফুল প্যাকেজে কি ছিলোনা?সব ছিল। শুধুমাত্র ইলোমিনাতির ফ্রী ফায়ার ছিলনা। এই সোনালী শৈশব নিয়েই ভাবছিলাম হঠাৎ কিছু শব্দ কানে ব্লাস্ট হলো একদম বোমা ব্লাস্ট হওয়ার মত- ত্রিফল এক্স ....!! হৃদয়টা প্রচন্ড এক ঝাঁকুনি খেল।বেদনায় নীল হয়ে গেল মনোজগত,হায় আমার কান যদি এমন কিছু না শুনতো !বিধ্বস্ত চাহনিতে সামনে তাকালাম, দেখি ৭-৮ বছরের তিনটা ছেলে হাসছে আর মুখ দিয়ে উদগিরণ করছে বোমা থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু শব্দ,যার ধ্বংস ক্ষমতা বুঝাতে উম্মাহর দুর্দিনের কাণ্ডারি সালাহুদ্দীন বলেছিলেন: কোন জাতিকে যুদ্ধ ছাড়া পরাজিত করার জন্য তাদের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট।চিন্তা করুন আবার পড়ুন ওনার সেই উক্তি কোন জাতিকে যুদ্ধ ছাড়া পরাজিত করার জন্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট।আজ আমাদের শত্রুরা অধঃপতিত আমাদের এভাবেই আরো অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভয়াবহতা বুঝার চেষ্টা করুন! চিন্তা করে দেখুন!এই সমাজ কতটা নীল ভাইরাসে আক্রান্ত? অশ্লীলতা নির্লজ্জতা কিভাবে শিকড় ছড়াচ্ছে শহর থেকে গ্রামে সবখানে সবস্হানে । ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। আমাদের শিশুরাও কি
    রেহাই পাবেনা?এই জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারী তো এই শিশু কিশোরাই। তাদের রক্ষা করতে আমরা কি করছি? পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ! সামনে আরো ভয়াবহ হবে ভাই! এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলায় আমরা বরাবরের মতই উদাসীনতা দেখাচ্ছি ।না সমাজটা গেছে ,দেশটা নষ্ট হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ করছি।উম্মাহর প্রতি দায়িত্ব পালনে আমরা আর কত উদাসিনতা দেখাবো?ভোগবাদ ছেড়ে কৃচ্ছতাকে এখনো কি আঁকড়ে ধরবোনা? ইসলামকে রাষ্ট থেকে তো বহূত আগেই বিদায় করা হয়েছে ।এবার চলছে সমাজও ব্যক্তি জিবন থেকে নির্বাসন করার পাঁয়তারা।কিত্বাল ছাড়া উম্মাহর প্রতিরক্ষা হবেনা,খিলাফাহ ছাড়া মুক্তি আসবে না। এই চূড়ান্ত বাস্তবতা বুঝতে আমরা আর কত বিলম্ব করবো?
Working...
X