#ইন্টারফেইথ একটি পর্যালোচনা।
এ বিষয়ে মূল আলেচনায় যাওয়ার আগে একটি সংশয়ের জবাব দেওয়া জরুরী বলে মনে করছি।
কয়েকদিন যাবৎ অনলাইনে একটি বিষয়ে লেখালেখি দেখছি তা হলো "অমুসলিম দেশে বা সংখ্যালঘু মুসলমানদের দেশে ইন্টারফেইথের মূল বিষয়গুলোকে তুলে ধরা যেতেই পারে।কারণ এতে হয়তো কাফেররা শান্তির পথে চলবে এবং মুসলিমদের উপর কম নির্যাতন করবে।"
কি সুন্দর গবেষণা!বাহবা দেওয়ার মতো!!যারা এই কথাগুলো লিখেছে তাদের জ্ঞান কিতাবুল্লাহকেও ছাড়িয়ে গেছে মনে হয়।
কারণ মহান আল্লাহ বলেন
"যদি তারা (কাফের) সামর্থ্যবান হয় তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই থাকবে যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দেয়।" (সুরা বাকারা-২১৭)
অন্যত্র আল্লাহ (সুবঃ) বলেছেন
"আর মুশরিকরা যদি তোমাদের উপর বিজয়ী হয় তাহলে তারা তোমাদের আত্মীয়তা ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে কোনো লক্ষ্যই রাখবে না।" (সুরা তাওবা-৮)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ বলেছেন "এখানে মদিনার মুসলমান বিশেষ করে মুহাজিরদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে যাদের সাথে মক্কার কুরাইশ কাফেরদের রক্তের সম্পর্ক ছিল।"
এখানে লক্ষ্যণীয় মুশরিকরা বিজয়ী হলে তারা রক্তের সম্পর্কের দরুণ ও মুসলমানদেরকে কোনোপ্রকার ছাড় দেবে না।অথচ তারা দাবি করছে মুশরিকদেরকে নির্ঝঞ্ঝাটে শক্তিশালী হতে দিয়ে কয়েকটা ইন্টারফেইথ ডায়লগ মারলেই তারা মুসলমানদের উপর একেবারে উদার হয়ে যাবে।আল্লাহু আকবার!এটা কোন পর্যায়ের ভ্রষ্টতা।
এখন আসি মূল আলোচনায়।ইন্টারফেইথের মূল বিষয়ই হলো "সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।" অর্থাৎ তারা বলে আমরা মুসলমান হওয়ার আগে আমরা মানুষ।আর সকল মানুষের সাথে শান্তি,সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণই ধর্মের মূল শিক্ষা।মানুষ হিসেবে তাদের (কাফের মুশরিক) সাথে নমনীয়তা অবলম্বন করাই সকল ধর্মের মূলকথা।
কিন্তু উপরোক্ত কথাগুলো ইসলামের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক এবং ইসলামি সমাজের ভিত্তি ওয়াল বারা'র মত আক্বিদাকে অস্বীকার করা।
প্রথমেই আলোচনা করা যাক,যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর একত্ববাদের বিরোধি তারা কি আশরাফুল মাখলুকাত।
"আচ্ছা বলো তো,যে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে আপন উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে,তুমি কি তার দায়িত্ব নিতে পারবে?নাকি তুমি মনে করো,তাদের অধিকাংশ শোনে ও বোঝে?না,তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো বরং তারা তারচেয়েও বেশি বিপথগামী।" (সুরা ফুরকান-৪৩,৪৪)
এছাড়া এরশাদ হয়েছে
"মুশরিকরা অপবিত্র।"(৯ঃ২৮)
সুরা আরাফের ১৭৫-১৭৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে " যে দুনিয়ার দিকে ঝুকে পড়লো এবং নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করলো তার দৃষ্টান্ত ঐ কুকুরের ন্যায় যার উপর তুমি হামলা করলেও সে জিহ্বা বের করে হাপাতে থাকবে আর তাকে ছেড়ে দিলেও সে জিহ্বা বের করে হাপাতে থাকবে।এই হলো সেই সকল লোক যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে।"
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে ঐ সমস্ত কাফের মুশরিকরা আশরাফুল মাখলুকাত নয় বরং তারা কুকুরের চেয়েও জঘন্য।
এবার আশা যাক তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করতে হবে।
"তোমরা যুদ্ধ করো আহলে কিতাবের সে সকল লোকের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না।" (৯ঃ২৯)
"হে মুমিনগণ,তোমরা নিকটবর্তী কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়।" (৯ঃ১২৩)
"হে নবি কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের ব্যাপারে কঠোর হও।" (সুরা তাহরীম-৯)
এ ব্যাপারে আরো যেসকল আয়াত রয়েছে তা হলো
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ(সুবঃ) বলেন "তারা কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং মুমিনদের প্রতি বিনয়ী।" (সুরা মায়েদা-৫৪,সুরা ফাতহ-২৯)
কিন্তু কাকতালীয়ভাবে দেখবেন ইন্টারফেইথ দায়লগ দানকারীরা মুমিনদের ক্ষেত্রে কঠোর এবং কাফেরদের ক্ষেত্রে নরম।
অন্যদিকে ঈমান আনয়নের পূর্ব শর্তই হলো তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।কিন্তু ইন্টারফেইথে অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই দাবি করবে ঐ সকল তাগুত এবং শয়তানের অনুসারীদেরকে সম্মান করাই নাকি ইসলামের শিক্ষা।আমি জানিনা তারা যে ইসলামের কথা বলে সেটা কি তাদের উপর নাজিল হয়েছে নাকি মুহাম্মাদে আরাবি সাঃ এর উপর নাজিল হওয়া ইসলাম?
"যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো সে তো মজবুত ও শক্ত হাতল ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়।" (২ঃ২৫৬)
এবং ইবরাহীম আঃ বললেন "আল্লাহট পরিবর্তে তোমরা যা কিছুর ইবাদত করো তা হতে আমরা সম্পর্কমুক্ত এবং তোমাদের ও আমাদের মাঝে চিরশত্রুতা ও বিদ্বেষ শুরু হলো।" (৬০ঃ৪)
মুমিন কখনো কাফেরদের বন্ধু হতে পারে না।তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারে না এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে পারে না।কারণ আগুন ও পানির কাজ সম্পূর্ণ বিপরীত।তাদের একসাথে সহাবস্থান অসম্ভব।
"আর যারা কাফের তারা পরস্পর সহযোগী ও বন্ধু।" (৮ঃ৭৩)
এ পর্যায়ে এ ব্যাপারে কিছু হাদিস ও ঘটনা বর্ণনা করা যাক।
ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন"হাশরের ময়দানে প্রত্যেক ব্যক্তি সেই ব্যক্তির সাথে অবস্থান করবে যাকে সে ভালবাসে৷"(বুখারি-৬১৬৮,মুসলিম-৬৮৮৮)
ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত মহানবি সাঃ বলেছেন"তোমরা পাপিষ্ঠদের সাথে শত্রুতা পোষণ করো এবং তাদের সাথে কঠিন চেহারা প্রদর্শন করো।তাদেরকে অপছন্দ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য তালাশ করো।"(কানযুল উম্মাল-৫৫১৮)
একদা উমার রাঃ আবু মুসা আশআরী রাঃ এর সাথে একজন খৃষ্টানকে দেখে ধমক দিয়ে বললেন "তোমরা ওদেরকে সম্মান করো না যখন আল্লাহ ওদেরকে অপমানিত করেছেন,তোমরা ওদেরকে নিকটবর্তী বানিয়ো না যখন আল্লাহ ওদেরকে রহমত থেকে দূর করে দিয়েছেন।" (বাইহাকি-২০৯১০)
উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট কাফেরদের উপর বিদ্বেষ রাখা ঈমানের অন্যতম দাবি।সুতরাং তাদের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহমর্মিতা প্রদর্শন কোনোভাবেই কাম্য নয়।
অন্যদিকে কিছু জিন্দিক আছে যারা অন্যান্য বাতিল ধর্মকে ইসলামের সমান মনে করে।তাদের ব্যাপারে লেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না।
যারা কাফের তারা হলো আল্লাহর জমিনে বিদ্রোহী।সুতরাং যে তাদেরকে সম্মান করার কথা বলবে,ভালবাসার কথা বলবে সেও বিদ্রোহী এবং তারা যদি তাদের দূর্বলতার অজুহাত পেশ করে তাহলে ফেরেশতারা বলবে "আল্লাহর জমিন কি প্রশস্ত ছিল না।"
এ বিষয়ে মূল আলেচনায় যাওয়ার আগে একটি সংশয়ের জবাব দেওয়া জরুরী বলে মনে করছি।
কয়েকদিন যাবৎ অনলাইনে একটি বিষয়ে লেখালেখি দেখছি তা হলো "অমুসলিম দেশে বা সংখ্যালঘু মুসলমানদের দেশে ইন্টারফেইথের মূল বিষয়গুলোকে তুলে ধরা যেতেই পারে।কারণ এতে হয়তো কাফেররা শান্তির পথে চলবে এবং মুসলিমদের উপর কম নির্যাতন করবে।"
কি সুন্দর গবেষণা!বাহবা দেওয়ার মতো!!যারা এই কথাগুলো লিখেছে তাদের জ্ঞান কিতাবুল্লাহকেও ছাড়িয়ে গেছে মনে হয়।
কারণ মহান আল্লাহ বলেন
"যদি তারা (কাফের) সামর্থ্যবান হয় তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই থাকবে যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দেয়।" (সুরা বাকারা-২১৭)
অন্যত্র আল্লাহ (সুবঃ) বলেছেন
"আর মুশরিকরা যদি তোমাদের উপর বিজয়ী হয় তাহলে তারা তোমাদের আত্মীয়তা ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে কোনো লক্ষ্যই রাখবে না।" (সুরা তাওবা-৮)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ বলেছেন "এখানে মদিনার মুসলমান বিশেষ করে মুহাজিরদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে যাদের সাথে মক্কার কুরাইশ কাফেরদের রক্তের সম্পর্ক ছিল।"
এখানে লক্ষ্যণীয় মুশরিকরা বিজয়ী হলে তারা রক্তের সম্পর্কের দরুণ ও মুসলমানদেরকে কোনোপ্রকার ছাড় দেবে না।অথচ তারা দাবি করছে মুশরিকদেরকে নির্ঝঞ্ঝাটে শক্তিশালী হতে দিয়ে কয়েকটা ইন্টারফেইথ ডায়লগ মারলেই তারা মুসলমানদের উপর একেবারে উদার হয়ে যাবে।আল্লাহু আকবার!এটা কোন পর্যায়ের ভ্রষ্টতা।
এখন আসি মূল আলোচনায়।ইন্টারফেইথের মূল বিষয়ই হলো "সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।" অর্থাৎ তারা বলে আমরা মুসলমান হওয়ার আগে আমরা মানুষ।আর সকল মানুষের সাথে শান্তি,সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণই ধর্মের মূল শিক্ষা।মানুষ হিসেবে তাদের (কাফের মুশরিক) সাথে নমনীয়তা অবলম্বন করাই সকল ধর্মের মূলকথা।
কিন্তু উপরোক্ত কথাগুলো ইসলামের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক এবং ইসলামি সমাজের ভিত্তি ওয়াল বারা'র মত আক্বিদাকে অস্বীকার করা।
প্রথমেই আলোচনা করা যাক,যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর একত্ববাদের বিরোধি তারা কি আশরাফুল মাখলুকাত।
"আচ্ছা বলো তো,যে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে আপন উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে,তুমি কি তার দায়িত্ব নিতে পারবে?নাকি তুমি মনে করো,তাদের অধিকাংশ শোনে ও বোঝে?না,তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো বরং তারা তারচেয়েও বেশি বিপথগামী।" (সুরা ফুরকান-৪৩,৪৪)
এছাড়া এরশাদ হয়েছে
"মুশরিকরা অপবিত্র।"(৯ঃ২৮)
সুরা আরাফের ১৭৫-১৭৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে " যে দুনিয়ার দিকে ঝুকে পড়লো এবং নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করলো তার দৃষ্টান্ত ঐ কুকুরের ন্যায় যার উপর তুমি হামলা করলেও সে জিহ্বা বের করে হাপাতে থাকবে আর তাকে ছেড়ে দিলেও সে জিহ্বা বের করে হাপাতে থাকবে।এই হলো সেই সকল লোক যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে।"
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে ঐ সমস্ত কাফের মুশরিকরা আশরাফুল মাখলুকাত নয় বরং তারা কুকুরের চেয়েও জঘন্য।
এবার আশা যাক তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করতে হবে।
"তোমরা যুদ্ধ করো আহলে কিতাবের সে সকল লোকের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না।" (৯ঃ২৯)
"হে মুমিনগণ,তোমরা নিকটবর্তী কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়।" (৯ঃ১২৩)
"হে নবি কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের ব্যাপারে কঠোর হও।" (সুরা তাহরীম-৯)
এ ব্যাপারে আরো যেসকল আয়াত রয়েছে তা হলো
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ(সুবঃ) বলেন "তারা কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং মুমিনদের প্রতি বিনয়ী।" (সুরা মায়েদা-৫৪,সুরা ফাতহ-২৯)
কিন্তু কাকতালীয়ভাবে দেখবেন ইন্টারফেইথ দায়লগ দানকারীরা মুমিনদের ক্ষেত্রে কঠোর এবং কাফেরদের ক্ষেত্রে নরম।
অন্যদিকে ঈমান আনয়নের পূর্ব শর্তই হলো তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।কিন্তু ইন্টারফেইথে অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই দাবি করবে ঐ সকল তাগুত এবং শয়তানের অনুসারীদেরকে সম্মান করাই নাকি ইসলামের শিক্ষা।আমি জানিনা তারা যে ইসলামের কথা বলে সেটা কি তাদের উপর নাজিল হয়েছে নাকি মুহাম্মাদে আরাবি সাঃ এর উপর নাজিল হওয়া ইসলাম?
"যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো সে তো মজবুত ও শক্ত হাতল ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়।" (২ঃ২৫৬)
এবং ইবরাহীম আঃ বললেন "আল্লাহট পরিবর্তে তোমরা যা কিছুর ইবাদত করো তা হতে আমরা সম্পর্কমুক্ত এবং তোমাদের ও আমাদের মাঝে চিরশত্রুতা ও বিদ্বেষ শুরু হলো।" (৬০ঃ৪)
মুমিন কখনো কাফেরদের বন্ধু হতে পারে না।তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারে না এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে পারে না।কারণ আগুন ও পানির কাজ সম্পূর্ণ বিপরীত।তাদের একসাথে সহাবস্থান অসম্ভব।
"আর যারা কাফের তারা পরস্পর সহযোগী ও বন্ধু।" (৮ঃ৭৩)
এ পর্যায়ে এ ব্যাপারে কিছু হাদিস ও ঘটনা বর্ণনা করা যাক।
ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন"হাশরের ময়দানে প্রত্যেক ব্যক্তি সেই ব্যক্তির সাথে অবস্থান করবে যাকে সে ভালবাসে৷"(বুখারি-৬১৬৮,মুসলিম-৬৮৮৮)
ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত মহানবি সাঃ বলেছেন"তোমরা পাপিষ্ঠদের সাথে শত্রুতা পোষণ করো এবং তাদের সাথে কঠিন চেহারা প্রদর্শন করো।তাদেরকে অপছন্দ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য তালাশ করো।"(কানযুল উম্মাল-৫৫১৮)
একদা উমার রাঃ আবু মুসা আশআরী রাঃ এর সাথে একজন খৃষ্টানকে দেখে ধমক দিয়ে বললেন "তোমরা ওদেরকে সম্মান করো না যখন আল্লাহ ওদেরকে অপমানিত করেছেন,তোমরা ওদেরকে নিকটবর্তী বানিয়ো না যখন আল্লাহ ওদেরকে রহমত থেকে দূর করে দিয়েছেন।" (বাইহাকি-২০৯১০)
উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট কাফেরদের উপর বিদ্বেষ রাখা ঈমানের অন্যতম দাবি।সুতরাং তাদের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহমর্মিতা প্রদর্শন কোনোভাবেই কাম্য নয়।
অন্যদিকে কিছু জিন্দিক আছে যারা অন্যান্য বাতিল ধর্মকে ইসলামের সমান মনে করে।তাদের ব্যাপারে লেখার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না।
যারা কাফের তারা হলো আল্লাহর জমিনে বিদ্রোহী।সুতরাং যে তাদেরকে সম্মান করার কথা বলবে,ভালবাসার কথা বলবে সেও বিদ্রোহী এবং তারা যদি তাদের দূর্বলতার অজুহাত পেশ করে তাহলে ফেরেশতারা বলবে "আল্লাহর জমিন কি প্রশস্ত ছিল না।"
Comment