Announcement

Collapse
No announcement yet.

হিকমাহ'র নামে মুদাহানার লড়াই!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হিকমাহ'র নামে মুদাহানার লড়াই!

    একটি সতর্কবার্তা! --------------------------
    দুটি ভয়ঙ্কর ফেতনার কবলে বর্তমান মুসলমান। একটি হচ্ছে ইরতেদাদ অপরটি মুদাহানা। ইরতিদাদ মানে ধর্মত্যাগ। সাধারণত সংসয়বাদীরাই ধীরে ধীরে মুরতাদ হয়। এর সাথে মোটামুটি সবাই পরিচিত থাকলেও দ্বিতীয়টির বিষয়ে প্রায় সবাই উদাসীন। ভালো- মন্দের পার্থক্য ভুলিয়ে সমতার বুলি আওড়ানোই এর মূল লক্ষ্য। 'সকল ধর্মই মানবতার কথা বলে' হচ্ছে তাদের শ্লোগান। মুদাহানার ধারকরা ইসলামেরই কেউ সেজে ইসলামের লেবাসে কাজটি চালিয়ে যান। এটা এক ভয়ানক ফিতনা। ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি মুসলমানদেরকে সরাসরি কাফের বানাতে ব্যর্থ হলেই এই কৌশলের আস্রয় নেয়! সে ইসলাম ও ভিন্ন ধর্মকে একাকার করে দিতে চায়। নবী মুহাম্ম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও শ্রী কৃষ্ণের আদর্শে কোন পার্থক্য খুঁজে পায় না! ইসলামী কালচার আর বিজাতীয় কালচারকে সমান্তরাল প্রমাণ করতে চায়। ক্ষেত্রবিশেষে মহৎভাবে উপস্থাপন করে একে বরণীয় করতে চায়। ইরতিদাদ বা ধর্মত্যাগের মিশনে ব্যর্থ হলেই শুরু হয় 'হিকমাহ'র নামে মুদাহানার লড়াই! এ লড়াইয়ে তাদের সঙ্গী হয় কথিত শান্তির দূতেরা! বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি, গোষ্ঠী তাদের পেইড এজেন্ট হয়ে কাজ করে। উপস্থাপনায় সুন্দর বাগ্মী ব্যক্তিরাই তাদের ফাস্ট চয়েজ! তিনি জুব্বাধারী মুফতিও হতে পারেন, হতে পারেন মডারেট নদভীও! তারা আধুনিকতার নামে ইসলামকে এগিয়ে নিতে চায়! অসচেতন মুসলমান বুঝতে চায় না 'ইসলাম এগিয়ে আছে ১৪০০ বছর আগে থেকেই। লেটেস্ট এবং সর্বাধুনিক ধর্মই হচ্ছে ইসলাম, তাকে নতুনকরে সাজানোর কিছু নেই। তার শুদ্ধতা সামনের দিকে নয়, পেছনের দিকে। যত পেছনে যাবেন ততই পিওর পাবেন। মডারেটরা আমাদের এগিয়ে নিতে চায়, আমরা নিরীহ মৌলভীরা চাই পিছিয়ে নিতে, সেই ১৪০০ বছর পেছনে। ওদের এগিয়ে যাওয়া মানে সবধর্মের প্রতি সহনশীলতা। 'মানবতাই আসল ধর্ম' শ্লোগানের আড়ালে সবধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়া। ভয়ঙ্কর এ ফিতনা থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে সতর্ক করুন! ربنا لاتزغ قلوبنا بعد اذ هديتنا وهب لنا من لدنك رحمة. انك انت الوهاب...

    ☑️ভুল ত্রুটি হলে ইনশাআল্লাহ ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইল।🥀

  • #2
    وَقَد نَزَّلَ عَلَيكُم فِى الكِتٰبِ أَن إِذا سَمِعتُم ءايٰتِ اللَّهِ يُكفَرُ بِها وَيُستَهزَأُ بِها فَلا تَقعُدوا مَعَهُم حَتّىٰ يَخوضوا فى حَديثٍ غَيرِهِ ۚ إِنَّكُم إِذًا مِثلُهُم ۗ إِنَّ اللَّهَ جامِعُ المُنٰفِقينَ وَالكٰفِرينَ فى جَهَنَّمَ جَميعًا [140] আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন لُعِنَ الَّذينَ كَفَروا مِن بَنى إِسرٰءيلَ عَلىٰ لِسانِ داوۥدَ وَعيسَى ابنِ مَريَمَ ۚ ذٰلِكَ بِما عَصَوا وَكانوا يَعتَدونَ [78] বনী-ইসলাঈলের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে দাউদ ও মরিয়মতনয় ঈসার মুখে অভিসম্পাত করা হয়েছে। এটা একারণে যে, তারা অবাধ্যতা করত এবং সীমা লংঘন করত।كانوا لا يَتَناهَونَ عَن مُنكَرٍ فَعَلوهُ ۚ لَبِئسَ ما كانوا يَفعَلونَ [79] তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত তা অবশ্যই মন্দ ছিল تَرىٰ كَثيرًا مِنهُم يَتَوَلَّونَ الَّذينَ كَفَروا ۚ لَبِئسَ ما قَدَّمَت لَهُم أَنفُسُهُم أَن سَخِطَ اللَّهُ عَلَيهِم وَفِى العَذابِ هُم خٰلِدونَ [80] আপনি তাদের অনেককে দেখবেন, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা নিজেদের জন্য যা পাঠিয়েছে তা অবশ্যই মন্দ। তা এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা চিরকাল আযাবে থাকবে। [81] وَلَو كانوا يُؤمِنونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِىِّ وَما أُنزِلَ إِلَيهِ مَا اتَّخَذوهُم أَولِياءَ وَلٰكِنَّ كَثيرًا مِنهُم فٰسِقونَ [81] যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার।।مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ» “তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তা তার হাত দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি হাত দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন অন্তর দিয়ে বাধা দেয়, আর এটি হলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়।”[1]وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا من نَبِي بَعثه الله فِي أمة قبلي إِلَّا كَانَ لَهُ من أُمَّتِهِ حَوَارِيُّونَ وَأَصْحَابٌ يَأْخُذُونَ بِسُنَّتِهِ وَيَقْتَدُونَ بِأَمْرِهِ ثُمَّ إِنَّهَا تَخْلُفُ مِنْ بَعْدِهِمْ خُلُوفٌ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ وَيَفْعَلُونَ مَا لَا يُؤْمَرُونَ فَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِيَدِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِلِسَانِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَمَنْ جَاهَدَهُمْ بِقَلْبِهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ» . رَوَاهُ مُسلم ১৫৭-[১৮] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পূর্বে আল্লাহ তা’আলা এমন কোন নবীকে তাঁর উম্মাতের মধ্যে পাঠাননি, যাঁর উম্মাতের মধ্যে কোন সাহায্যকারী বা সাহাবীর দল ওই উম্মাতে ছিল না। এ তারা সুন্নাতের পথ অনুসরণ করেছে, তার হুকুম-আহকাম মেনে চলেছে। তারপর এমন লোক তাদের স্থলাভিষিক্ত হলো, যারা অন্যদেরকে যা বলতো নিজেরা তা করতো না। আর তারা সে সব কাজ করতো যার আদেশ (শারী’আতে) তাদেরকে দেয়া হয়নি। (আমার উম্মাতের মধ্যেও এমন কতিপয় লোক থাকতে পারে)। তাই যে নিজের হাত দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে সে (পূর্ণ) মু’মিন। আর যে মুখের দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে সেও মু’মিন। আর যে অন্তর দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে সেও মু’মিন। আর এরপর সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই। (মুসলিম)[1]عَنْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «إِنَّ أَوَّلَ مَا دَخَلَ النَّقْصُ عَلٰى بَنِي إِسْرائيلَ أَنَّهُ كَانَ الرَّجُلُ يَلْقىٰ الرَّجُلَ فَيَقُولُ : يَا هٰذَا اتَّقِ اللهِ وَدَعْ مَا تَصْنَعُ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ لَكَ، ثُمَّ يَلْقَاهُ مِنَ الْغَدِ وَهُوَ عَلىٰ حَالِهِ، فَلَا يَمْنَعُهُ ذٰلِكَ أَنْ يَكُوْنَ أَكِيلَهُ وَشَرِيْبَهُ وَقَعِيْدَهُ، فَلَمَّا فَعَلُوْا ذٰلِكَ ضَرَبَ )قُلُوْبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ»﴾ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে প্রথমে এভাবে অন্যায় ও অপকর্ম প্রবেশ করেঃ এক (আলিম) ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে মিলিত হতো এবং তাকে বলত, হে অমুক! আল্লাহকে ভয় কর এবং যা করছ তা পরিত্যাগ কর, কারণ, তোমার জন্য এ কাজ অবৈধ, সে তার সঙ্গে দ্বিতীয় দিনও মিলিত হয়ে তাকে একই অবস্থায় দেখতে পেত কিন্তু সে কাজ তাকে তার পানাহার ও উঠা-বসায় অংশীদার হতে বাধা দিত না, তাদের অবস্থা এরকম হওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের একের অন্তরের (কালিমার) মাধ্যমে অপরের অন্তরকে আল্লাহ তা’আলা অন্ধকার করে দিলেন। ٨١] : «كَلاَّ، وَاللهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ، وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَلَتَأْخُذُنَّ عَلىٰ يَدِ الظَّالِمِ، وَلَتَأْطِرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا، وَلَتَقْصُرُنَّهُ عَلَى الْحَقِّ قَصْراً، أَوْ لَيَضْرِبَنَّ اللهِ بِقُلُوْبِ بَعْضِكُمْ عَلَى بَعْضٍ، ثُمَّ لَيَلْعَنْكُمْ كَمَا لَعَنَهُمْ»رواه أبو داود، والترمذي وقال : حديث حسن .। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কখনও নয়! আল্লাহর কসম! অবশ্যই তোমরা সৎ কর্মের আদেশ দিতে থাক এবং অন্যায় ও খারাপ কাজ হতে (মানুষকে) বিরত রাখ, অত্যাচারীর হাত মজবূত করে ধর এবং তাকে টেনে তুলে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত কর। তাকে হকের উপর এনে ছাড়। নচেৎ আল্লাহ তা’আলা তোমাদের (নেককার ও গুনাহ্গার) পরস্পরের অন্তরকে একত্রিত করে (অন্ধকার করে) দিবেন, তারপর তোমাদেরকেও বনী ইসরাঈলের ন্যায় অভিশপ্ত করবেন। হাদীসটি ইমাম আবূ দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযি বলেছেন, এটা হাসান হাদীস। হাদীসের মূল শব্দগুলো আবূ দাউদের-৪৩৩৬ উক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে অন্যায় কারীদের সঙ্গী হওয়া যাবে না । কোন অন্যায়কে পরিত্যাগ করার সর্বনিম্ন স্তর হল তাকে মন থেকে ঘৃনা করা । যদি তাকে মন থেকে ঘৃনা করা না হয় তখন তাকে ঐ অন্যায়ের সমর্থন কারি হিসেবে ধরা হবে । আর ঐ অন্যায়কে যদি কেউ মন থেকে ঘৃনা করে তাহলে এর প্রতিফলন ও তার মাঝে ফুটে উঠবে যেমন তার বিরোধিতা করা । সুতরাং কেউ যদি মুদাহনা বশত কোন অপরাধের ঘৃনা না করে তাহলে ঐ অপরাধের সমর্থনকারী হিসেবে হে গুনাহগার হবে। এর ভিত্তিতে মুদাহনা বশত কেউ যদি কুফরিকে ঘৃনা না করে তাহলে সে কুফূরিকে সমর্থন করার কারনে সে কাফের সে কাফের হয়ে যায় কারণ ফকিহ গনের মূলনীতি হল কূফরির উপর সন্তুষ্ট থাকা কূফরি এক কথায় যদি আমরা মুদাহানায় লিপ্ত হই তাহলে আমরা পর্যায় ক্রমে কাফের হয়ে যাব কারণ কাফেররা তাদের কূফরির মিশন নিয়ে মুদাহানার জন্য আসে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X