চারটি আক্বিদার ভাইরাস!
ইসলামের দৃষ্টিতে চারটি আক্বিদাগত ভাইরাসের কথা আজকে উল্লেখ করবো। ইসলামের বিপরীতে ভাইরাস অনেক রয়েছে। তবে বর্তমাণ কালে এ চারটি ভাইরাত প্রকট আকার ধারণ করেছে।
১। গণতন্ত্র!
২। সমাজতন্ত্র!
৩। ধর্মনিরেপক্ষেতাবাদ!
৪। জাতীয়তাবাদ!
১। গণতন্ত্র!
গণতন্ত্র হলো আল্লাহকে বৃদ্ধাংগুলী প্রদর্শন করার কৌশল। আল্লাহর যত আইন-বিধান আছে তা এক গুলিতে কুপোকাত করার সহজ কৌশলের নাম হলো গণতন্ত্র। জনগণকে কলা ধরিয়ে দিয়ে তার থেকে ছিনতাই করার নাম গণতন্ত্র। কুফরীর একটা সীমা থাকে। কিন্তু গণতন্ত্রের কুফরীর কোন সীমা নেই। উলমায়ে কেরাম এ নিয়ে বিস্তুর আলোচনা ও প্রতিবাদ করেছেন। সেগুলো অধ্যায়ন করা যেতে পারে।
২। সমাজতন্ত্র!
একসময় সমাজতন্ত্রের অনেক দাপট ও চাহিদা ছিলো। কিন্তু মাত্রাহীন অসঙ্গতির কারণে সমাজতান্ত্রিকরাই এর শত্রুতে পরিণত হয়েছে। রাশিয়ার মত বিশাল সাম্রাজ্যের ধ্বংসের জন্য দায়ি এই সমাজতন্ত্র। বর্তমাণকালে সমাজতন্ত্রের ভাত না থাকলেও কিছু কিছু দেশে এর কিছু দুর্গন্ধ রয়ে গেছে। মৌলিক সমাজতন্ত্রকে মডিফিকেশন করে গণতন্ত্রের সংমিশ্রণে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সমাজতন্ত্রের মূলমন্ত্রে নাস্তিকতার বিষ রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিলো। এই সমাজতান্ত্রিকরাই আফগানিস্তানের উপর ঢালাওভাবে জুলুম নিপীড়ন আর অত্যাচার চালিয়েছিলো। আল্লাহ হয়তো এই দুর্গন্ধময় তন্ত্রের নিষ্পত্তি চেয়েছিলেন ফলে চিরকালের বিজয়ী জাতি আফগাবাসীদের মাধ্যমে এর সমাপ্তির সূত্র ঘটিয়েছেন।
৩। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ!
কিছু কুকুর-শুকর ব্যতীত সকল জীব ধর্মকে মানে। ধর্ম না মেনেই বা উপায় কী? কিন্তু এক বিষফোঁড়া আরেক বিষফোঁড়ার জন্ম দেয়। গণতন্ত্রই এই ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম দিয়েছে। সকল ধর্মের মান সমান। কোন ধর্মের মূল্যায়ন অন্য ধর্মের তূলনায় বেশি নয়। অনরূপ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোন ধর্মেরই স্থান সেখানে নেই। যদি এই দাবি নিছক দাবি মাত্র। বিশেষতঃ বাংলাদেশের জন্য। যেখানে হাসিনার ছেলে জয় বলেছে ২০২৪ সালের মধ্যে হিন্দু রাজা দেখতে চাই। বাস্তবতা সেদিকেই এগোচ্ছে। যদি ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ সকল ধর্মের মান সমানও হয়ে থাকে তবুও সেটা আল্লাহদ্রোহীতা ছাড়া কিছু না। কারণ, আলো-অন্ধকার কখনো এক নয়। কেউ এক করতে চাইলে তা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছুই নয়।
৪। জাতীয়তাবাদ!
এক সময় জাত বিবেচনা হতো ধর্ম দিয়ে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন জাত-জাতি বলতে ইসলাম ও মুসলিম বুঝতাম। কিন্তু এখন সেটা দেশীয় সীমানায় আবদ্ধ হয়ে গেছে। তুমি কোন জাতি প্রশ্ন করলে উত্তর দেশের নামের সাথে সম্বন্ধ করে জাতীয় পরিচয় দিতে হয়। যা খুবই দুঃখজনক।
জাতিয়তাবাদীতা শুধু দেশের সীমানার সীমাবদ্ধতার নাম হলেও তো যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বরং সর্বদাই জাতীয়তাবাদ থেকে একটা দুর্গন্ধ বের হয়। ঘৃণা ও বিভেদই যার উৎস। হাদীসে যাকে দুর্গন্ধময় বস্তুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। আল্লাহর কাছে সাদা-কালো রংভেদে মানুষের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু জাতীয়তাবাদে এমনই ভূখণ্ডের সীমানা নিয়ে ভেদাভেদের সূত্রপাত করা হয়। জাতীয়তাবাদের কুফল অনেক। এর আলোচনা এখন সম্ভব নয়।
সবচেয়ে দুঃখ লাগে তখন যখন শুনি বাংলাদেশ স্থাপনের পেছনে এই চারটি কুফরীকে স্তম্ভ বলে ধর্তব্য হয়। পরিতাপ এসব স্থাপনা, স্থপতি ও তার অনুসারীদের উপর।
ইসলামের দৃষ্টিতে চারটি আক্বিদাগত ভাইরাসের কথা আজকে উল্লেখ করবো। ইসলামের বিপরীতে ভাইরাস অনেক রয়েছে। তবে বর্তমাণ কালে এ চারটি ভাইরাত প্রকট আকার ধারণ করেছে।
১। গণতন্ত্র!
২। সমাজতন্ত্র!
৩। ধর্মনিরেপক্ষেতাবাদ!
৪। জাতীয়তাবাদ!
১। গণতন্ত্র!
গণতন্ত্র হলো আল্লাহকে বৃদ্ধাংগুলী প্রদর্শন করার কৌশল। আল্লাহর যত আইন-বিধান আছে তা এক গুলিতে কুপোকাত করার সহজ কৌশলের নাম হলো গণতন্ত্র। জনগণকে কলা ধরিয়ে দিয়ে তার থেকে ছিনতাই করার নাম গণতন্ত্র। কুফরীর একটা সীমা থাকে। কিন্তু গণতন্ত্রের কুফরীর কোন সীমা নেই। উলমায়ে কেরাম এ নিয়ে বিস্তুর আলোচনা ও প্রতিবাদ করেছেন। সেগুলো অধ্যায়ন করা যেতে পারে।
২। সমাজতন্ত্র!
একসময় সমাজতন্ত্রের অনেক দাপট ও চাহিদা ছিলো। কিন্তু মাত্রাহীন অসঙ্গতির কারণে সমাজতান্ত্রিকরাই এর শত্রুতে পরিণত হয়েছে। রাশিয়ার মত বিশাল সাম্রাজ্যের ধ্বংসের জন্য দায়ি এই সমাজতন্ত্র। বর্তমাণকালে সমাজতন্ত্রের ভাত না থাকলেও কিছু কিছু দেশে এর কিছু দুর্গন্ধ রয়ে গেছে। মৌলিক সমাজতন্ত্রকে মডিফিকেশন করে গণতন্ত্রের সংমিশ্রণে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সমাজতন্ত্রের মূলমন্ত্রে নাস্তিকতার বিষ রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিলো। এই সমাজতান্ত্রিকরাই আফগানিস্তানের উপর ঢালাওভাবে জুলুম নিপীড়ন আর অত্যাচার চালিয়েছিলো। আল্লাহ হয়তো এই দুর্গন্ধময় তন্ত্রের নিষ্পত্তি চেয়েছিলেন ফলে চিরকালের বিজয়ী জাতি আফগাবাসীদের মাধ্যমে এর সমাপ্তির সূত্র ঘটিয়েছেন।
৩। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ!
কিছু কুকুর-শুকর ব্যতীত সকল জীব ধর্মকে মানে। ধর্ম না মেনেই বা উপায় কী? কিন্তু এক বিষফোঁড়া আরেক বিষফোঁড়ার জন্ম দেয়। গণতন্ত্রই এই ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম দিয়েছে। সকল ধর্মের মান সমান। কোন ধর্মের মূল্যায়ন অন্য ধর্মের তূলনায় বেশি নয়। অনরূপ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোন ধর্মেরই স্থান সেখানে নেই। যদি এই দাবি নিছক দাবি মাত্র। বিশেষতঃ বাংলাদেশের জন্য। যেখানে হাসিনার ছেলে জয় বলেছে ২০২৪ সালের মধ্যে হিন্দু রাজা দেখতে চাই। বাস্তবতা সেদিকেই এগোচ্ছে। যদি ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ সকল ধর্মের মান সমানও হয়ে থাকে তবুও সেটা আল্লাহদ্রোহীতা ছাড়া কিছু না। কারণ, আলো-অন্ধকার কখনো এক নয়। কেউ এক করতে চাইলে তা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছুই নয়।
৪। জাতীয়তাবাদ!
এক সময় জাত বিবেচনা হতো ধর্ম দিয়ে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন জাত-জাতি বলতে ইসলাম ও মুসলিম বুঝতাম। কিন্তু এখন সেটা দেশীয় সীমানায় আবদ্ধ হয়ে গেছে। তুমি কোন জাতি প্রশ্ন করলে উত্তর দেশের নামের সাথে সম্বন্ধ করে জাতীয় পরিচয় দিতে হয়। যা খুবই দুঃখজনক।
জাতিয়তাবাদীতা শুধু দেশের সীমানার সীমাবদ্ধতার নাম হলেও তো যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বরং সর্বদাই জাতীয়তাবাদ থেকে একটা দুর্গন্ধ বের হয়। ঘৃণা ও বিভেদই যার উৎস। হাদীসে যাকে দুর্গন্ধময় বস্তুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। আল্লাহর কাছে সাদা-কালো রংভেদে মানুষের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু জাতীয়তাবাদে এমনই ভূখণ্ডের সীমানা নিয়ে ভেদাভেদের সূত্রপাত করা হয়। জাতীয়তাবাদের কুফল অনেক। এর আলোচনা এখন সম্ভব নয়।
সবচেয়ে দুঃখ লাগে তখন যখন শুনি বাংলাদেশ স্থাপনের পেছনে এই চারটি কুফরীকে স্তম্ভ বলে ধর্তব্য হয়। পরিতাপ এসব স্থাপনা, স্থপতি ও তার অনুসারীদের উপর।
Comment