★ অহংকার পতনের মূল★ (1)
পরিচিত এক ভাইয়ের কাহিনী
তিনি বলেন,
প্রথম প্রথম দাওয়াহ ইলাল্লাহ ঢুকতাম,
পছন্দের বিষয় গুলো পড়তাম।
এভাবেই চলল কিছুদিন। তারপর এক ভাই একটি আইডি খুলে দিল। আস্তে আস্তে লেখতে শুরু করলাম।
এভাবেই কিছুদিন চলল।
ধীরে ধীরে লেখার গতি বাড়তে লাগলো। কিছুদিন পর কেমন যেন মনে হল।
পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় যাতে লেখা থাকে এমন মনোভাব আসল। এভাবেই চলতে থাকল।
চলতে চলতে হঠাৎ কোন দিন যে হারিয়ে গেলাম।
তবে ভাই একটি কথা না বললে নয়।
তা বলবো কি?
তাহলে শুনুন আমি কিন্তু ইচ্ছা করে হারিয়ে যাইনি।
তবে হ্যাঁ!
ইহা কিন্তু নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাওয়া।
কারন কি তা বলবো ?
মনে হচ্ছে এগুলোই হবে।
১) পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় যাতে লেখা থাকে এমন মনোভাব আসা, কেমন যেন মনে হচ্ছে তাতে বাস্তবে অহংকার ছিল। অথবা অহংকারের গন্ধ ছিল।
২) পরিস্থিতি স্বীকার।
৩) মুবাইল না থাকা।
৪) ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়া।
৫) নেটের ব্যবস্থা না থাকা। ইত্যাদি এরপর আল্লাহ তাআলা অনেক ঘষা মাজার পর আবার ফিরিয়ে এনেছেন।
আল্লাহর শুকুর।
এজন্য সদা সর্বদা অহংকার থেকে বাঁচার চেষ্টা করব।
এবং এ দুআর করব , আল্লাহ তাআলা যেন, আমাকে সহ সকলকে অহংকার মুক্ত রাখেন।
আমীন। আমীন।
প্রশ্ন ঃ- কারন কি বলতে পারেন?
উত্তর ঃ- জান মাল ও সময় কোনটি কিন্তু আমার না।
সবগুলোই আল্লাহর। এজন্য দ্বীনের কাজ করব।
দ্বীনের কাজের ক্ষেত্রে ও যাতে অহংকার না আসে।
সেদিকে খেয়াল রাখব ইনশাআল্লাহ।
বুদ্ধিমান সেই যে অপরের বিপদ দেখে নিজে শিক্ষা গ্রহন করে।
তা নাহলে হঠাৎ নিজের উপরই তা বর্তাবে ।
আর অন্যরা এগুলো দেখে শিক্ষা গ্রহন করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ لَا تَمۡشِ فِی الۡاَرۡضِ مَرَحًا ۚ اِنَّکَ لَنۡ تَخۡرِقَ الۡاَرۡضَ وَ لَنۡ تَبۡلُغَ الۡجِبَالَ طُوۡلًا ﴿۳۷﴾
আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না। (বনী ইসরাঈল)
[১] অহংকারের অর্থ হচ্ছে নিজেকে অন্যের চাইতে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ এবং অন্যকে নিজের তুলনায় হেয় ও ঘৃণ্য মনে করা।
হাদীসে এর জন্যে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ্ তাআলা ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন যে, নম্রতা অবলম্বন কর। কেউ যেন অন্যের উপর গর্ব ও অহংকারের পথ অবলম্বন না করে এবং কেউ যেন কারও উপর যুলুম না করে। ’ (মুসলিমঃ ২৮৬৫]
অন্য হাদীসে এসেছে, তোমাদের পূর্বেকার জাতিদের মধ্যে কোন এক লোক দুখানি চাদর নিয়ে গর্বভরে চলছিল। এমতাবস্থায় যমীন তাকে নিয়ে ধ্বসে গেল, সে এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত এর মধ্যে ঢুকতে থাকবে। [বুখারীঃ ৫৭৮৯, মুসলিমঃ ২০৮৮]
শাইখ আব্দুল্লাহ উন্দুলুসি রহ: এর ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারব ইনশাআল্লাহ
চলবে ইনশাআল্লাহ...
পরিচিত এক ভাইয়ের কাহিনী
তিনি বলেন,
প্রথম প্রথম দাওয়াহ ইলাল্লাহ ঢুকতাম,
পছন্দের বিষয় গুলো পড়তাম।
এভাবেই চলল কিছুদিন। তারপর এক ভাই একটি আইডি খুলে দিল। আস্তে আস্তে লেখতে শুরু করলাম।
এভাবেই কিছুদিন চলল।
ধীরে ধীরে লেখার গতি বাড়তে লাগলো। কিছুদিন পর কেমন যেন মনে হল।
পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় যাতে লেখা থাকে এমন মনোভাব আসল। এভাবেই চলতে থাকল।
চলতে চলতে হঠাৎ কোন দিন যে হারিয়ে গেলাম।
তবে ভাই একটি কথা না বললে নয়।
তা বলবো কি?
তাহলে শুনুন আমি কিন্তু ইচ্ছা করে হারিয়ে যাইনি।
তবে হ্যাঁ!
ইহা কিন্তু নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাওয়া।
কারন কি তা বলবো ?
মনে হচ্ছে এগুলোই হবে।
১) পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় যাতে লেখা থাকে এমন মনোভাব আসা, কেমন যেন মনে হচ্ছে তাতে বাস্তবে অহংকার ছিল। অথবা অহংকারের গন্ধ ছিল।
২) পরিস্থিতি স্বীকার।
৩) মুবাইল না থাকা।
৪) ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়া।
৫) নেটের ব্যবস্থা না থাকা। ইত্যাদি এরপর আল্লাহ তাআলা অনেক ঘষা মাজার পর আবার ফিরিয়ে এনেছেন।
আল্লাহর শুকুর।
এজন্য সদা সর্বদা অহংকার থেকে বাঁচার চেষ্টা করব।
এবং এ দুআর করব , আল্লাহ তাআলা যেন, আমাকে সহ সকলকে অহংকার মুক্ত রাখেন।
আমীন। আমীন।
প্রশ্ন ঃ- কারন কি বলতে পারেন?
উত্তর ঃ- জান মাল ও সময় কোনটি কিন্তু আমার না।
সবগুলোই আল্লাহর। এজন্য দ্বীনের কাজ করব।
দ্বীনের কাজের ক্ষেত্রে ও যাতে অহংকার না আসে।
সেদিকে খেয়াল রাখব ইনশাআল্লাহ।
বুদ্ধিমান সেই যে অপরের বিপদ দেখে নিজে শিক্ষা গ্রহন করে।
তা নাহলে হঠাৎ নিজের উপরই তা বর্তাবে ।
আর অন্যরা এগুলো দেখে শিক্ষা গ্রহন করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ لَا تَمۡشِ فِی الۡاَرۡضِ مَرَحًا ۚ اِنَّکَ لَنۡ تَخۡرِقَ الۡاَرۡضَ وَ لَنۡ تَبۡلُغَ الۡجِبَالَ طُوۡلًا ﴿۳۷﴾
আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না। (বনী ইসরাঈল)
[১] অহংকারের অর্থ হচ্ছে নিজেকে অন্যের চাইতে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ এবং অন্যকে নিজের তুলনায় হেয় ও ঘৃণ্য মনে করা।
হাদীসে এর জন্যে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ্ তাআলা ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন যে, নম্রতা অবলম্বন কর। কেউ যেন অন্যের উপর গর্ব ও অহংকারের পথ অবলম্বন না করে এবং কেউ যেন কারও উপর যুলুম না করে। ’ (মুসলিমঃ ২৮৬৫]
অন্য হাদীসে এসেছে, তোমাদের পূর্বেকার জাতিদের মধ্যে কোন এক লোক দুখানি চাদর নিয়ে গর্বভরে চলছিল। এমতাবস্থায় যমীন তাকে নিয়ে ধ্বসে গেল, সে এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত এর মধ্যে ঢুকতে থাকবে। [বুখারীঃ ৫৭৮৯, মুসলিমঃ ২০৮৮]
শাইখ আব্দুল্লাহ উন্দুলুসি রহ: এর ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারব ইনশাআল্লাহ
চলবে ইনশাআল্লাহ...
Comment