"অহংকার পতনের মূল" (৪)
.
"অহংকার পতনের মূল" (৪)
অহংকারী ব্যক্তিকে কেউ ভালোবাসেন না।
বরং সে সমাজ, রাষ্ট্র সকলের কাছে ঘৃণার পাত্র।কেউই তাকে মেনে নিতে বাধ্য নয়। পৃথিবীতে অসংখ্য রাজা-বাদশা অহংকার করেছিলেন কিন্তু তারা আজও ঘৃণার পাত্র হিসেবে বিবেচিত।
আল কোরআনে এ ব্যাপারে অনেক আয়াত রয়েছে।
★ইবলিসের অহংকার★
যেমন সূরা আরাফের ১১-১৩ আয়াতে বলা আছে:
11) وَ لَقَدۡ خَلَقۡنٰکُمۡ ثُمَّ صَوَّرۡنٰکُمۡ ثُمَّ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ ٭ۖ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ لَمۡ یَکُنۡ مِّنَ السّٰجِدِیۡنَ ﴿۱۱﴾
আর (হে মানব জাতি)! আমি তোমাদের কে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদের কে আকৃতি দান করেছি। তারপর ফেরেস্তা থেকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সেজদা কর। অতঃপর ইবলিশ ব্যতীত সকলেই সেজদা করল।ইবলিশ সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হলো না।
12) قَالَ مَا مَنَعَکَ اَلَّا تَسۡجُدَ اِذۡ اَمَرۡتُکَ ؕ قَالَ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡہُ ۚ خَلَقۡتَنِیۡ مِنۡ نَّارٍ وَّ خَلَقۡتَہٗ مِنۡ طِیۡنٍ ﴿۱۲﴾
আল্লাহ বললেন, আমি যখন তোমাকে সেজদা করার নির্দেশ দিলাম, তখন কে আবার তোমাকে নিষেধ করল,
যে তুমি সেজদা করতে পারলে না?
ইবলিশ বলল,انا خير منه বা আমি আদমের থেকে উত্তম।। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন আগুন থেকে আর আদম কে তো মাটি থেকে।
13),قَالَ فَاہۡبِطۡ مِنۡہَا فَمَا یَکُوۡنُ لَکَ اَنۡ تَتَکَبَّرَ فِیۡہَا فَاخۡرُجۡ اِنَّکَ مِنَ الصّٰغِرِیۡنَ ﴿۱۳﴾
আল্লাহ বললেন ,এ স্থান থেকে তুমি নেমে যাও।এখানে তোমার অহংকার করার কোনো অধিকার নেই।অতএব তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয়ই তুমি তুচ্ছ,অন্যদের অন্তর্ভূক্ত।
ঠিক একই ভাবে ফেরাউন ও অহংকার করে বসেছিলো। পরিণতি কি হয়েছিল তা সবারই জানা আছে।
★ফেরাউনের অহংকার★
সূরা নাযিআতে আছে যেঃ
فَحَشَرَ فَنَادٰی ﴿۫ۖ۲۳﴾
অতঃপর সে একত্রিত করল এবং ঘোষণা করল(তার সেনাবাহিনী ও যাদুকরদের )
فَقَالَ اَنَا رَبُّکُمُ الۡاَعۡلٰی ﴿۫ۖ۲۴﴾
অতঃপর সে বলল,আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক।
فَاَخَذَہُ اللّٰہُ نَکَالَ الۡاٰخِرَۃِ وَ الۡاُوۡلٰی ﴿ؕ۲۵﴾
অবশেষে আল্লাহ তাকে আখিরাত ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন।
শাস্তি কি দিয়েছিল তা সুরা বাকারায় বলা আছে:
وَ اِذۡ فَرَقۡنَا بِکُمُ الۡبَحۡرَ فَاَنۡجَیۡنٰکُمۡ وَ اَغۡرَقۡنَاۤ اٰلَ فِرۡعَوۡنَ وَ اَنۡتُمۡ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۰﴾
যখন আমি তোমাদের জন্য সমূদ্রের দার কেটে উন্মুক্ত করেছিলাম। অতঃপর তোমাদের কে উদ্ধার করলাম এবং ফেরাউন সম্প্রদায় কে ডুবিয়ে মারলাম। এবং তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছিলে।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন:
ان الله لا يحب المتكبرين
নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকার কারীকে পছন্দ করেন না।
প্রশ্নঃ-(
আপনি কি জানেন বর্তমান বাংলাদেশের ফেরাউন উপাধিতে আখ্যায়িত কে?
উত্তরঃ- শেখ হাসিনা।
প্রশ্নঃ- সে কি করতেছে?
উত্তরঃ- সে অনেক গুলো ধ্বংসাত্মক কাজ করতেছে
এর মাঝে মূল হল দুইটি
১) দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়া।
২) শিক্ষা ও ধ্বংস করে দেওয়া।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন জাতির মেরুদন্ড কী?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! আর তা হলো শিক্ষা ও অর্থ।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন এটা সে কেন করছে?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! সে জানে কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সর্বপ্রথম অর্থনীতি ও শিক্ষা উভয়টাই ধ্বংস করতে হয়।
একারণেই সে উভয়টাতে হাত দিয়েছে।
প্রশ্নঃ- এগুলো সে কেন করছে ?
উত্তরঃ- পিতা, মাতা, ভাই ইত্যাদি এদের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।
প্রশ্নঃ- হত্যা কেন করেছে ? এ কি ভাল ছিল?
উত্তরঃ- ( কথিত বঙ্গবন্ধু) শেখ মুজিবুর রহমান সাব এর সন্তানাদি ধর্ষণ, ডাকাতি, নানাধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল ।
( কথিত বঙ্গবন্ধু) শেখ মুজিবুর রহমান সাব এর নিকট বিচার দিয়ে বিচার পায়নি। অর্থাৎ ( কথিত বঙ্গবন্ধু) শেখ মুজিবুর রহমান সাব এসকল অপকর্মের বিচার করেনি।
এ কারণেই হত্যা করেছে।
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে বলছি, দেশ ও জাতির কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে তাওবা করে এগুলো থেকে ফিরে আসুন ।
তাহলে আপনি বাঁচবেন দেশ ও রক্ষা পাবে।
তা নাহলে আপনি ও আপনার অনুসারিদের ধ্বংস নিশ্চিত। দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
যতকৌশলই অবলম্বন করেন না কেন আপনার ধ্বংস অনিবার্য।
যথা
আল্লাহ তাআলা বলেন
وَ مَکَرُوۡا وَ مَکَرَ اللّٰہُ ؕ وَ اللّٰہُ خَیۡرُ الۡمٰکِرِیۡنَ ﴿٪۵۴﴾
আর তারা কুটকৌশল করেছে এবং আল্লাহ কৌশল করেছেন। আর আল্লাহ উত্তম কৌশলকারী।
আলেম ও বুদ্ধিমান দের জন্য কর্তব্য হলো
১) জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা।
২) আলেমদের ২য় কাজ হলো জনগণকে
আল্লাহ তাআলার উক্ত বাণী স্বরণ করে দেওয়া ও
নিজেরা উক্ত আয়াতের উপর আমল করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন
9:14
قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।
হে পরাক্রমশালী আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে কুরআন ও হাদীস বুঝার
ও এগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দাও। আমীন।
Comment