নব্য জাহিলিয়্যাতের মূর্তিঃ লিবারেলিজম বা উদারনৈতিকতা!
উস্তাদ ইয়াহয়া আব্দুল হাফিজ
লিবারেল দর্শনের বৈশিষ্ট্য
লিবারেল দর্শনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে, যা তালিকা আকারে নির্দিষ্ট করা কঠিন। তবুও আলোচনার স্বার্থে আমরা এখানে লিবারেল দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি –
১। ব্যক্তি মানুষ স্বাধীন ও সার্বভৌম। ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর কোন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়। সেটা হোক ধর্ম বা সমাজ কিংবা রাষ্ট্র।
২। ব্যক্তি ও তার ইচ্ছা সার্বভৌম। কোন মালিকের অধীনস্ত নয়।
৩। মানবীয় বিচারবুদ্ধি, যুক্তি ও বিজ্ঞান সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। সকল সত্য মানবীয় বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে অর্জনীয়। এর বাইরে আর কিছু নেই।
৪। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে – ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে – ব্যক্তির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আবশ্যক।
৫। ধর্মীয় স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ধারণা। অর্থাৎ একজন মানুষের জন্য সব ধরনের বিশ্বাস, সব ধরনের যৌনতা, সব ধরনের কথা, সব ধরনের চিন্তা বৈধ।
৬। সমানাধিকার। আইনের চোখে সকলে সমান। একজন মুসলিম ও একজন কাফির এক সমান, নারীপুরুষের বিবাহ এবং সমকামিদের বিবাহ সমান।
৭। ক্ষতি তত্ত্ব – হার্ম প্রিন্সিপল। ব্যক্তির কোন কাজের দ্বারা যদি সে আনন্দ লাভ করে এবং এতে অপর কোন ব্যক্তির ক্ষতি না হয়, তাহলে তা বৈধ।
৮। প্রতিটি মানুষের সুনির্দিষ্ট ও অবিচ্ছেদ্য কিছু অধিকার আছে।
৯। মানুষের এ অধিকারগুলো সংরক্ষণের জন্যই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠিত হয়।
১০। ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কটি হল একটি চুক্তি।
১১। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার উপায় হল আইন, হুকুম নয়।
১২। নারী অধিকার ও লৈঙ্গিক সমতা (নারীবাদী ব্যাখ্যা অনুযায়ী)
এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অনেকগুলো অন্যান্য দর্শন থেকে গ্রহণ করা, যেমন ক্ষতি তত্ত্ব/হার্ম প্রিন্সিপাল উপযোগবাদী দর্শনের অংশ। তবে অন্যান্য দর্শনের মাধ্যমে আবির্ভাব ঘটলেও কালক্রমে এই বিষয়গুলো লিবারেল দর্শনের অংশে পরিণত হয়েছে। লিবারেল দর্শনের আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আলোচনা সংক্ষিপ্ত রাখার স্বার্থে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি না।
চলবে
ইনশা আল্লাহ
উস্তাদ ইয়াহয়া আব্দুল হাফিজ
লিবারেল দর্শনের বৈশিষ্ট্য
লিবারেল দর্শনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে, যা তালিকা আকারে নির্দিষ্ট করা কঠিন। তবুও আলোচনার স্বার্থে আমরা এখানে লিবারেল দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি –
১। ব্যক্তি মানুষ স্বাধীন ও সার্বভৌম। ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর কোন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়। সেটা হোক ধর্ম বা সমাজ কিংবা রাষ্ট্র।
২। ব্যক্তি ও তার ইচ্ছা সার্বভৌম। কোন মালিকের অধীনস্ত নয়।
৩। মানবীয় বিচারবুদ্ধি, যুক্তি ও বিজ্ঞান সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। সকল সত্য মানবীয় বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে অর্জনীয়। এর বাইরে আর কিছু নেই।
৪। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে – ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে – ব্যক্তির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আবশ্যক।
৫। ধর্মীয় স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ধারণা। অর্থাৎ একজন মানুষের জন্য সব ধরনের বিশ্বাস, সব ধরনের যৌনতা, সব ধরনের কথা, সব ধরনের চিন্তা বৈধ।
৬। সমানাধিকার। আইনের চোখে সকলে সমান। একজন মুসলিম ও একজন কাফির এক সমান, নারীপুরুষের বিবাহ এবং সমকামিদের বিবাহ সমান।
৭। ক্ষতি তত্ত্ব – হার্ম প্রিন্সিপল। ব্যক্তির কোন কাজের দ্বারা যদি সে আনন্দ লাভ করে এবং এতে অপর কোন ব্যক্তির ক্ষতি না হয়, তাহলে তা বৈধ।
৮। প্রতিটি মানুষের সুনির্দিষ্ট ও অবিচ্ছেদ্য কিছু অধিকার আছে।
৯। মানুষের এ অধিকারগুলো সংরক্ষণের জন্যই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠিত হয়।
১০। ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কটি হল একটি চুক্তি।
১১। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার উপায় হল আইন, হুকুম নয়।
১২। নারী অধিকার ও লৈঙ্গিক সমতা (নারীবাদী ব্যাখ্যা অনুযায়ী)
এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অনেকগুলো অন্যান্য দর্শন থেকে গ্রহণ করা, যেমন ক্ষতি তত্ত্ব/হার্ম প্রিন্সিপাল উপযোগবাদী দর্শনের অংশ। তবে অন্যান্য দর্শনের মাধ্যমে আবির্ভাব ঘটলেও কালক্রমে এই বিষয়গুলো লিবারেল দর্শনের অংশে পরিণত হয়েছে। লিবারেল দর্শনের আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আলোচনা সংক্ষিপ্ত রাখার স্বার্থে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি না।
চলবে
ইনশা আল্লাহ
Comment