নব্য জাহিলিয়্যাতের মূর্তিঃ লিবারেলিজম বা উদারনৈতিকতা (৪) || আল্লাহ দ্রোহীতা
উস্তাদ ইয়াহিয়া আব্দুল হাফিজ
বিশ্বাস ও কর্ম, উভয় দিক থেকে লিবারেলিজম হল মহান আল্লাহর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। বিশ্বাসগতভাবে এটি হল কুফর ও শিরকে আকবর। লিবারেল মতাদর্শী প্রথমে আল্লাহর কর্তৃত্ব, আনুগত্য এবং বিধানাবলীকে প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর সেখানে সে বসায় নিজের নফস ও খেয়ালখুশিকে। জীবন চলার ক্ষেত্রে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমারেখাকে অস্বীকার করে সে নিজেই নিজের জন্য সীমারেখা ঠিক করে। আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে নিজের খেয়ালখুশি ও নফসের আনুগত্য করে।
বিশ্বাসগত দিক থেকে লিবারেলিজম ঈমান ও তাওহিদের মূলকেই অস্বীকার করে। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-‘আল্লাহ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই’ এর পরিবর্তে লিবারেলজিম গ্রহণ করে ‘লা ইলাহা ইল্লান্নাস’-‘জনগণ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই’ এই কালেমা। লিবারেল মতাদর্শীদের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে আল্লাহ তাআলার এই কথায়-
أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَـٰهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللَّـهُ عَلَىٰ عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَىٰ سَمْعِهِ وَقَلْبِهِ وَجَعَلَ عَلَىٰ بَصَرِهِ غِشَاوَةً فَمَن يَهْدِيهِ مِن بَعْدِ اللَّـهِ ۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
তুমি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছ, যে তার খেয়াল-খুশিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কানে ও দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তার চোখের উপর টেনে দিয়েছেন পর্দা। অতঃপর আল্লাহর পর আর কে (আছে যে) তাকে সঠিক পথ দেখাবে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করবে না? -সুরা জাসিয়াহ (৪৫) : ২৩
কর্মের দিক থেকেও লিবারেলিজম আল্লাহর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। কারণ তা শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হারাম হালালের সীমানাকে লঙ্ঘনই করে না, বরং হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করে।
লিবারেল দর্শন আল্লাহর বিধানকে কেবল অস্বীকারই করে না, বরং মানবীয় বিচারবুদ্ধিকে আল্লাহর বিধানের উর্ধে স্থান দেয়। এটি আল্লাহর নাযিলকৃত শরীয়ার সর্বনিকৃষ্ট পর্যায়ের প্রত্যাখ্যান।
চিন্তাগত দিক থেকে লিবারেলিজম চরমপর্যায়ের ভ্রষ্টতা। আজ আমরা এমন এক দুনিয়াতে বাস করছি যেখানে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে, সমকামি বিবাহকেও আইনী স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত নারী ও পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকাকে সম্পূর্ণ উলটে দেয়া হচ্ছে। সব ধরনের যৌনতা, সব ধরনের বিকৃত রুচির কাজকে ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আল্লাহ ও নবী রসূলগণের বিরুদ্ধে জঘন্য কুৎসারটনা ও মিথ্যাচারকে বাকস্বাধীনতার নামে বৈধতা দেয়া হচ্ছে। মুখে মানবাধিকারের কথা বলে প্রতি বছর কোটি কোটি গর্ভস্থিত শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে।
শান্তির কথা বলে বিশ্বজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। সমতার কথা বলে এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বানানো হয়েছে যা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সম্পদের বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। পরিবার, সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। লিবারেলিজম এমন এক কুৎসিত মতাদর্শ যা জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রকে কলুষিত করে ছেড়েছে।
শয়তানী আদর্শ
মানুষ যখন আল্লাহর নির্ধারিত সীমাকে অস্বীকার করে, ভালোমন্দের চিরন্তন মাপকাঠিকে প্রত্যাখ্যান করে কেবল ভোগ বিলাস এবং নিজের খেয়ালখুশি অনুযায়ী চলাকে জীবনের লক্ষ বানিয়ে নেয়, তখন সে আর আশরাফুল মাখলুকাত থাকে না, সে তখন চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট এক প্রাণীতে পরিণত হয়।
সে যখন নিজ কামনাবাসনার কাছে আত্মসমর্পণ করে, কামনাবাসনা চরিতার্থ করাকেই জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়ে নেয় তখন সে তার চাহিদা আর খেয়ালখুশির দাসে পরিণত হয়। আর তখন সে ক্রমাগত সীমালঙ্ঘন আর পাপাচারের সমুদ্রে তলিয়ে যেতে থাকে।
লিবারেলিজমের দর্শন এমন সমাজ ও সভ্যতা তৈরি করেছে, যার দিকে তাকালে একজন বিবেকবান মানুষ নিঃসন্দেহে একে একটি শয়তানী আদর্শ বলে চিহ্নিত করতে বাধ্য হবে। এই দর্শন ভালোমন্দের সংজ্ঞা উলটে দিয়েছে, আল্লাহর দাসত্বকে নফসের দাসত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছে এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখাগুলো লঙ্ঘন করাকে স্বাধীনতা বলে নাম দিয়েছে।
এ এমন এক দর্শন যা মানুষকে সত্য থেকে বিচ্যুত করে। সত্যকে মানুষের সামনে কদর্য ও কলুষিত করে তুলে ধরে। লিবারেলিজম বনি আদমকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে গেছে যা আসমানী হিদায়াতের সম্পূর্ণ বিপরীত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের জন্য যে পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন লিবারেলিজম তাদেরকে সে পথ থেকে বিচ্যুত করেছে এবং তাকে নিয়ে গেছে সম্পূর্ণ বিপরীত এক পথে।
মূলত লিবারেলিজম হল শয়তানী আদর্শ। লিবারেলিজমের আজকের বাস্তবতার মাঝে বনি আদমের চিরশত্রু ইবলিসের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় –
قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
সে বলল, ‘হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই যমীনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব’।-সূরা হিজর (১৫) : ৩৯
লিবারেলিজমের মূল মন্ত্র আর শয়তানী আদর্শ হুবহু এক। দেখুন, লিবারেলিজমের মূল মন্ত্র হল, ‘মানুষের বিবেক সবচেয়ে বড় আদালত’। ‘তোমার যা ভালো লাগে তাই করো’। ‘তুমি নিজেই ভাগ্যবিধাতা, তুমি নিজেই ভালোমন্দ ঠিক করো’। এই ধরনের চিন্তা আধুনিককালে যারা সরাসরি শয়তান উপাসনা করে তাদের দর্শনেরও মৌলিক ভিত্তি।
বর্তমানে লিবারেলিজম যে কুৎসিত এক সভ্যতার জন্ম দিয়েছে তাতো আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। যিনা-ব্যাভিচার, সমকামিতা, সমকামি বিবাহ, গর্ভপাত, পর্নোগ্রাফিসহ সব ধরনের অশ্লীলতা, নোংরামি এবং কুফর ও শিরক, নাস্তিক্যবাদ, নারী পুরুষের সীমানা মুছে দেয়া, পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া, সামাজিক মূল্যাবোধের অবক্ষয়সহ আর কোন অপকর্মটি বাকি আছে যা এই সভ্যতায় নেই?
ইন শা আল্লাহ উপসংহার পরবর্তি পোস্টে
উস্তাদ ইয়াহিয়া আব্দুল হাফিজ
বিশ্বাস ও কর্ম, উভয় দিক থেকে লিবারেলিজম হল মহান আল্লাহর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। বিশ্বাসগতভাবে এটি হল কুফর ও শিরকে আকবর। লিবারেল মতাদর্শী প্রথমে আল্লাহর কর্তৃত্ব, আনুগত্য এবং বিধানাবলীকে প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর সেখানে সে বসায় নিজের নফস ও খেয়ালখুশিকে। জীবন চলার ক্ষেত্রে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমারেখাকে অস্বীকার করে সে নিজেই নিজের জন্য সীমারেখা ঠিক করে। আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে নিজের খেয়ালখুশি ও নফসের আনুগত্য করে।
বিশ্বাসগত দিক থেকে লিবারেলিজম ঈমান ও তাওহিদের মূলকেই অস্বীকার করে। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-‘আল্লাহ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই’ এর পরিবর্তে লিবারেলজিম গ্রহণ করে ‘লা ইলাহা ইল্লান্নাস’-‘জনগণ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই’ এই কালেমা। লিবারেল মতাদর্শীদের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে আল্লাহ তাআলার এই কথায়-
أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَـٰهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللَّـهُ عَلَىٰ عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَىٰ سَمْعِهِ وَقَلْبِهِ وَجَعَلَ عَلَىٰ بَصَرِهِ غِشَاوَةً فَمَن يَهْدِيهِ مِن بَعْدِ اللَّـهِ ۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
তুমি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছ, যে তার খেয়াল-খুশিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন আর তার কানে ও দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তার চোখের উপর টেনে দিয়েছেন পর্দা। অতঃপর আল্লাহর পর আর কে (আছে যে) তাকে সঠিক পথ দেখাবে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষাগ্রহণ করবে না? -সুরা জাসিয়াহ (৪৫) : ২৩
কর্মের দিক থেকেও লিবারেলিজম আল্লাহর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। কারণ তা শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হারাম হালালের সীমানাকে লঙ্ঘনই করে না, বরং হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করে।
লিবারেল দর্শন আল্লাহর বিধানকে কেবল অস্বীকারই করে না, বরং মানবীয় বিচারবুদ্ধিকে আল্লাহর বিধানের উর্ধে স্থান দেয়। এটি আল্লাহর নাযিলকৃত শরীয়ার সর্বনিকৃষ্ট পর্যায়ের প্রত্যাখ্যান।
চিন্তাগত দিক থেকে লিবারেলিজম চরমপর্যায়ের ভ্রষ্টতা। আজ আমরা এমন এক দুনিয়াতে বাস করছি যেখানে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে, সমকামি বিবাহকেও আইনী স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।
আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত নারী ও পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকাকে সম্পূর্ণ উলটে দেয়া হচ্ছে। সব ধরনের যৌনতা, সব ধরনের বিকৃত রুচির কাজকে ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আল্লাহ ও নবী রসূলগণের বিরুদ্ধে জঘন্য কুৎসারটনা ও মিথ্যাচারকে বাকস্বাধীনতার নামে বৈধতা দেয়া হচ্ছে। মুখে মানবাধিকারের কথা বলে প্রতি বছর কোটি কোটি গর্ভস্থিত শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে।
শান্তির কথা বলে বিশ্বজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। সমতার কথা বলে এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বানানো হয়েছে যা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সম্পদের বৈষম্যের জন্ম দিয়েছে। পরিবার, সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। লিবারেলিজম এমন এক কুৎসিত মতাদর্শ যা জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রকে কলুষিত করে ছেড়েছে।
শয়তানী আদর্শ
মানুষ যখন আল্লাহর নির্ধারিত সীমাকে অস্বীকার করে, ভালোমন্দের চিরন্তন মাপকাঠিকে প্রত্যাখ্যান করে কেবল ভোগ বিলাস এবং নিজের খেয়ালখুশি অনুযায়ী চলাকে জীবনের লক্ষ বানিয়ে নেয়, তখন সে আর আশরাফুল মাখলুকাত থাকে না, সে তখন চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট এক প্রাণীতে পরিণত হয়।
সে যখন নিজ কামনাবাসনার কাছে আত্মসমর্পণ করে, কামনাবাসনা চরিতার্থ করাকেই জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়ে নেয় তখন সে তার চাহিদা আর খেয়ালখুশির দাসে পরিণত হয়। আর তখন সে ক্রমাগত সীমালঙ্ঘন আর পাপাচারের সমুদ্রে তলিয়ে যেতে থাকে।
লিবারেলিজমের দর্শন এমন সমাজ ও সভ্যতা তৈরি করেছে, যার দিকে তাকালে একজন বিবেকবান মানুষ নিঃসন্দেহে একে একটি শয়তানী আদর্শ বলে চিহ্নিত করতে বাধ্য হবে। এই দর্শন ভালোমন্দের সংজ্ঞা উলটে দিয়েছে, আল্লাহর দাসত্বকে নফসের দাসত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছে এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখাগুলো লঙ্ঘন করাকে স্বাধীনতা বলে নাম দিয়েছে।
এ এমন এক দর্শন যা মানুষকে সত্য থেকে বিচ্যুত করে। সত্যকে মানুষের সামনে কদর্য ও কলুষিত করে তুলে ধরে। লিবারেলিজম বনি আদমকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে গেছে যা আসমানী হিদায়াতের সম্পূর্ণ বিপরীত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের জন্য যে পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন লিবারেলিজম তাদেরকে সে পথ থেকে বিচ্যুত করেছে এবং তাকে নিয়ে গেছে সম্পূর্ণ বিপরীত এক পথে।
মূলত লিবারেলিজম হল শয়তানী আদর্শ। লিবারেলিজমের আজকের বাস্তবতার মাঝে বনি আদমের চিরশত্রু ইবলিসের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় –
قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
সে বলল, ‘হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই যমীনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব’।-সূরা হিজর (১৫) : ৩৯
লিবারেলিজমের মূল মন্ত্র আর শয়তানী আদর্শ হুবহু এক। দেখুন, লিবারেলিজমের মূল মন্ত্র হল, ‘মানুষের বিবেক সবচেয়ে বড় আদালত’। ‘তোমার যা ভালো লাগে তাই করো’। ‘তুমি নিজেই ভাগ্যবিধাতা, তুমি নিজেই ভালোমন্দ ঠিক করো’। এই ধরনের চিন্তা আধুনিককালে যারা সরাসরি শয়তান উপাসনা করে তাদের দর্শনেরও মৌলিক ভিত্তি।
বর্তমানে লিবারেলিজম যে কুৎসিত এক সভ্যতার জন্ম দিয়েছে তাতো আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। যিনা-ব্যাভিচার, সমকামিতা, সমকামি বিবাহ, গর্ভপাত, পর্নোগ্রাফিসহ সব ধরনের অশ্লীলতা, নোংরামি এবং কুফর ও শিরক, নাস্তিক্যবাদ, নারী পুরুষের সীমানা মুছে দেয়া, পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া, সামাজিক মূল্যাবোধের অবক্ষয়সহ আর কোন অপকর্মটি বাকি আছে যা এই সভ্যতায় নেই?
ইন শা আল্লাহ উপসংহার পরবর্তি পোস্টে
Comment