হলুদ মিডিয়াগুলো ব্যাপক হারে এই সংবাদ কভার করছে যে, "আফগানিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে", "আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।" এই সংবাদগুলো কতটুকু যুক্তিসংগত ?
বাংলাদেশ
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া, রয়েছে হিদুত্ববাদের ব্যাপক প্রভাব। দিন দিনই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা ইতিহাস, নাস্তিক্যবাদ আর অসম্পূর্ণসব আলোচনায় পরিপূর্ণ এই বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকসমূহ।
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিতরে প্রতিদিন কি কি হয়, সে সম্পর্কে। কেমন যে পড়ালেখা হয় তাও হয়ত আপনাদের অজানা নয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা-ছাত্র-ছাত্রী এই চার শ্রেণীর নৈতিক অবনতিতে তারা কি কি অশ্লীলতায় প্রতিদিন মত্ত হয় তাও হয়ত আপনাদের সবারই জানা। আর যে কজন ভালো আছেন তাদেরকে উন্মুক্ত করা হয় সকলের সামনে, হিজাব-বোরকা খোলতে বাধ্য করা হয় আবার মাথাও নত করানো হয় মালাউনদের সামনে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এক কণা পরিমাণ বর্ণনামাত্র। আর শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা, সে নিয়ে কথা না হয় নাই বললাম।
এই শিক্ষা এমন এক সমতা শিখায় যে, উলঙ্গ তারকাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে শিখায়। নিজের বোনকে একটু ছোঁয়ে দিতে শিখায়। এই সিস্টেম বোরকা পরেও পর পুরুষকে জনসম্মুখে চুমু খেতে শিখায়। এই শিক্ষা পতিতা নারীকে সফল বলে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে শিখায়। এই শিক্ষা হিজাব ও নিজের আত্মমর্যাদাকে মাটিতে লুঠিয়ে দিতে শিখায়। সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার প্রচারক তথা আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ড. ইউনুসকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে শিখায়। ....... এমন করে এক এক করে বলা যাবে হাজার বছর ধরে।
আচ্ছা এবার ধরি, বাংলাদেশের কিছু মুজাহিদ বাংলাদেশকে স্বাধীন করে বাংলাদেশকে একটি ইসলামি ইমারত হিসেবে ঘোষণা দিলেন। তো এখন বাংলাদেশে মুজাহিদগণ ক্ষমতায় আসলেন আর এবার আপনার কাছে প্রশ্ন, "ইমারতে বাংলাদেশ কি উক্ত নোংরা শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তক ও উক্ত নীতি-নৈতিকতাহীন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে ইমারতে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে খোলা রাখবে নাকি সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক ও সংশোধিত শিক্ষক-শিক্ষিকার ব্যবস্থা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?
আপনি যদি বলেন, "আগের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখবে", তবে আপনি শোনে নিন - এ লড়াই শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসার লড়াই নয়। বরং এ লড়াই নীতি-নৈতিকতার লড়াই। এ লড়াই আর্দশের লড়াই। এ লড়াই হক্ব ও বাতিলের লড়াই। এ লড়াই ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। এ লড়াই আলো ও অন্ধকারের লড়াই। এ লড়াই ইমান ও কুফরের লড়াই। এ লড়াই কোন কাকতালিয় লড়াই নয় বরং এটা হওয়ারই ছিল এবং হচ্ছে ও হতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।
উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ লড়াই নয় বরং এ লড়াই উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করার জন্য।
এবার আসা যাক আফগানিস্তানের প্রসঙ্গে,
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, আফগানিস্তানের পূর্ববর্তী সরকার আমেরিকার খাঁটি গোলাম ছিল। সেই সরকার তার নিজের গোলামী প্রকাশ করার জন্য ও আফগানিস্তানকে আমেরিকার একটি গোলাম রাষ্ট্র বানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাথা ওয়াশ করার নতুন এক শিক্ষা ব্যবস্থা। তারা এমন এক মুসলিম জাতিকে তৈরি করছিলো যারা তাদের ইজ্জত, সম্মান, সম্ভ্রম, সতীত্ব, আবরু ও সম্মানের কাপরকে ছোঁড়ে গ্রহণ করতো পাশ্চাত্য উলঙ্গপনা ও দাসত্ব। শোনে রাখো - ইমারতে আফগানিস্তান এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এ লড়াই করে নি বরং উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করার জন্য এ লড়াই করেছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা তো ধূলিসাৎ হওয়ারই ছিল, কেননা এই শিক্ষা ব্যবস্থা হল একটি বাতিল শিক্ষা ব্যবস্থা।
وَ قُلۡ جَآءَ الۡحَقُّ وَ زَهَقَ الۡبَاطِلُ ؕ اِنَّ الۡبَاطِلَ کَانَ زَهُوۡقًا
বল, ‘হক্ব এসে গেছে আর বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে, বাতিল তো বিলুপ্ত হওয়ারই।’ {সূরা আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) (১৭) : ৮১}
বাংলাদেশ
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া, রয়েছে হিদুত্ববাদের ব্যাপক প্রভাব। দিন দিনই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা ইতিহাস, নাস্তিক্যবাদ আর অসম্পূর্ণসব আলোচনায় পরিপূর্ণ এই বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকসমূহ।
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিতরে প্রতিদিন কি কি হয়, সে সম্পর্কে। কেমন যে পড়ালেখা হয় তাও হয়ত আপনাদের অজানা নয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা-ছাত্র-ছাত্রী এই চার শ্রেণীর নৈতিক অবনতিতে তারা কি কি অশ্লীলতায় প্রতিদিন মত্ত হয় তাও হয়ত আপনাদের সবারই জানা। আর যে কজন ভালো আছেন তাদেরকে উন্মুক্ত করা হয় সকলের সামনে, হিজাব-বোরকা খোলতে বাধ্য করা হয় আবার মাথাও নত করানো হয় মালাউনদের সামনে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এক কণা পরিমাণ বর্ণনামাত্র। আর শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা, সে নিয়ে কথা না হয় নাই বললাম।
এই শিক্ষা এমন এক সমতা শিখায় যে, উলঙ্গ তারকাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে শিখায়। নিজের বোনকে একটু ছোঁয়ে দিতে শিখায়। এই সিস্টেম বোরকা পরেও পর পুরুষকে জনসম্মুখে চুমু খেতে শিখায়। এই শিক্ষা পতিতা নারীকে সফল বলে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে শিখায়। এই শিক্ষা হিজাব ও নিজের আত্মমর্যাদাকে মাটিতে লুঠিয়ে দিতে শিখায়। সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার প্রচারক তথা আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ড. ইউনুসকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে শিখায়। ....... এমন করে এক এক করে বলা যাবে হাজার বছর ধরে।
আচ্ছা এবার ধরি, বাংলাদেশের কিছু মুজাহিদ বাংলাদেশকে স্বাধীন করে বাংলাদেশকে একটি ইসলামি ইমারত হিসেবে ঘোষণা দিলেন। তো এখন বাংলাদেশে মুজাহিদগণ ক্ষমতায় আসলেন আর এবার আপনার কাছে প্রশ্ন, "ইমারতে বাংলাদেশ কি উক্ত নোংরা শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তক ও উক্ত নীতি-নৈতিকতাহীন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে ইমারতে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে খোলা রাখবে নাকি সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক ও সংশোধিত শিক্ষক-শিক্ষিকার ব্যবস্থা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?
আপনি যদি বলেন, "আগের শিক্ষা ব্যবস্থার উপরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখবে", তবে আপনি শোনে নিন - এ লড়াই শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসার লড়াই নয়। বরং এ লড়াই নীতি-নৈতিকতার লড়াই। এ লড়াই আর্দশের লড়াই। এ লড়াই হক্ব ও বাতিলের লড়াই। এ লড়াই ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। এ লড়াই আলো ও অন্ধকারের লড়াই। এ লড়াই ইমান ও কুফরের লড়াই। এ লড়াই কোন কাকতালিয় লড়াই নয় বরং এটা হওয়ারই ছিল এবং হচ্ছে ও হতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।
উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ লড়াই নয় বরং এ লড়াই উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করার জন্য।
এবার আসা যাক আফগানিস্তানের প্রসঙ্গে,
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, আফগানিস্তানের পূর্ববর্তী সরকার আমেরিকার খাঁটি গোলাম ছিল। সেই সরকার তার নিজের গোলামী প্রকাশ করার জন্য ও আফগানিস্তানকে আমেরিকার একটি গোলাম রাষ্ট্র বানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাথা ওয়াশ করার নতুন এক শিক্ষা ব্যবস্থা। তারা এমন এক মুসলিম জাতিকে তৈরি করছিলো যারা তাদের ইজ্জত, সম্মান, সম্ভ্রম, সতীত্ব, আবরু ও সম্মানের কাপরকে ছোঁড়ে গ্রহণ করতো পাশ্চাত্য উলঙ্গপনা ও দাসত্ব। শোনে রাখো - ইমারতে আফগানিস্তান এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এ লড়াই করে নি বরং উক্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করার জন্য এ লড়াই করেছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা তো ধূলিসাৎ হওয়ারই ছিল, কেননা এই শিক্ষা ব্যবস্থা হল একটি বাতিল শিক্ষা ব্যবস্থা।
وَ قُلۡ جَآءَ الۡحَقُّ وَ زَهَقَ الۡبَاطِلُ ؕ اِنَّ الۡبَاطِلَ کَانَ زَهُوۡقًا
বল, ‘হক্ব এসে গেছে আর বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে, বাতিল তো বিলুপ্ত হওয়ারই।’ {সূরা আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) (১৭) : ৮১}
Comment