আই এস বা ইসলামিক স্টেট কি ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্সের সৃষ্ট অথবা মদদপুষ্ট?
এক মিলিটারি অ্যানালাইসিস্ট এর কলমে উঠে আসা চমকপ্রদ,তথ্যবহুল,শাসরুদ্ধকর এক মূল্যবান আর্টিকেল।
শামীমা বেগমের কথা মনে আছে? বৃটিশ সিটিজেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। 𝗜𝗦𝗜𝗦 𝗚𝗜𝗥𝗟 বলে যার পরিচিতি দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়েছিল?
আজ কনফিডেনশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফাইল থেকে পৃথিবীব্যপী সকল সংবাদসংস্থাগুলো জানতে পেরেছে যে, কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (𝗖𝗦𝗜𝗦) এর একজন অ্যাসেট শামীমাকে তার আন্ডারকাভার অপারেশনের অংশ হিসাবে ম্যানিপুলেট করে সিরিয়াতে নিয়ে যায়!
মুহাম্মদ আল রাশিদ, একজন 𝗜𝗦𝗜𝗦 হিউম্যান ট্র্যাফিকিং রিং লিডার এবং কানাডিয়ান এজেন্সি অ্যাসেট, শামীমা বেগম, খাদিজা সুলতানা এবং আমিরা আব্বাসি নামের তিন স্কুলছাত্রীকে তার হ্যান্ডলারের পরামর্শে ফুসলিয়ে বৃটেন হতে সিরিয়াতে পাচার করে দেন। তার ট্র্যাফিকিং রিং নিয়ন্ত্রিত হতো সিরিয়ায় অবস্থিত 𝗜𝗦 এর কথিত খিলাফতের সদরদপ্তর রাক্কা শহর থেকে। এই মেয়েদের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠনটির 𝗦𝗲𝘅 𝗦𝗹𝗮𝘃𝗲 বা যৌনদাসী বানাবার উদ্দেশ্যে কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্স যখন পাচার করে, তখন তাঁদের কারো বয়সই ১৬ বছরের উর্ধ্বে নয়। কিশোরী তিন স্কুলছাত্রী প্রশিক্ষিত ম্যানিপুলেটরদের তীব্র ম্যানিপুলেশনের শিকার হয়ে সিরিয়ায় যেতে বাধ্য হয়।
মুহাম্মদ আল রাশিদ সন্ত্রাসী সংগঠন 𝗜𝗦 এর মানব পাচারকারী গ্রুপের তুরস্ক প্রধান হিসাবে কাজ করতেন। শামীমা বেগমের টিমকে সীমান্ত অতিক্রমে সহায়তার পূর্বে কমপক্ষে ০৮ মাস যাবত তিনি উক্ত সংগঠন এবং কানাডিয়ানদের হয়ে এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন।সন্ত্রাসী সংগঠনটিতে রাশিদের সুপিরিয়র ছিলো কুখ্যাত এক বৃটিশ 𝗜𝗦𝗜𝗦 যোদ্ধা রাফায়েল হোস্তে। রাফায়েল তাকে সরাসরি তার অধীনে কাজ করে বৃটেন থেকে রিক্রুটদের স্মাগল করে আনার নির্দেশ প্রদান করে।
মুহাম্মদ আল রাশিদ কেন এই কাজ করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরও পেয়েছেন সাংবাদিকেরা। জর্দান থেকে আগত এই অপারেটিভ ২০১৩ সালে জর্দানের কানাডিয়ান অ্যাম্বাসিতে অ্যাসাইলামের আবেদন জানায়। বিপরীতে দূতাবাস থেকে বলা হয়, "তুমি আমাদের হয়ে ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেট হিসাবে 𝗜𝗦 এর সাথে কাজ করলে তোমাকে কানাডিয়ান সিটিজেনশিপ দিব আমরা!"
রাশিদ এরপর ২০১৫ সালে তার আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটার সাথে মানবপাচারের কাজে যুক্ত ছিলেন।
মুহাম্মদ আল রাশিদের এই আন্ডারকাভার ওয়ার্ক এবং ইনফরমেশন গ্যাদারিং ছিলো 𝗙𝗶𝘃𝗲 𝗘𝘆𝗲𝘀 ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্সের একটা মেজর অপারেশনের ক্ষুদ্র এক অংশ। এই অ্যালায়েন্সের সদস্য দেশগুলি হলো- বৃটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এবং শামীমা বেগম শুধুমাত্র একটা 𝘊𝘰𝘷𝘦𝘳 𝘶𝘱 𝘨𝘰𝘯𝘦 𝘸𝘳𝘰𝘯𝘨। শামীমা বেগমকে যখন 𝗙𝗶𝘃𝗲 𝗘𝘆𝗲𝘀 এর কানাডিয়ান অ্যাসেট সিরিয়াতে পাচার করছে, একইসময়ে শামীমা ও তাঁর সঙ্গীদের খোঁজে ইন্টারন্যাশনাল সার্চ রান করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তথা বৃটিশ পুলিশ। কাকতালীয়ভাবে কিছুদিন পরেই তুর্কি ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে রাশিদের কর্মকান্ড ফাঁস হয়ে গেলে তুর্কিশ জেনারেল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি তথা তুর্কি পুলিশ রাশিদকে ধরে ফেলে। রাশিদ বিনাদ্বিধায় তার কাছে থাকা শামীমার পাসপোর্টের ছবি তুর্কিদের সাথে শেয়ার করে এবং বৃটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (সেকশন ফাইভ) তথা 𝗠𝗜-𝟱 কে কাভারআপের প্রসিডিওর লঞ্চ করার সিগন্যাল দেয়। কানাডিয়ান অ্যাসেটের বার্ন হয়ে যাওয়া ঠেকাতে কাজে নামে বৃটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স। তারা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে ভয়াবহ চাপ প্রয়োগ করে ইন্টারন্যাশনাল সার্চ নামক পুলিশি তোলপাড় থামিয়ে দিতে বাধ্য করে এবং শামীমাকে পরবর্তীতে 𝘴𝘤𝘢𝘱𝘦 𝘨𝘰𝘢𝘵 হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা চালায়। এর অংশ হিসাবে তাঁর বৃটিশ নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেওয়া হয়। পিতৃভূমি বাংলাদেশও তাঁকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানায় 𝗜𝗦𝗜𝗦 সংশ্লিষ্ট ইতিহাসের কারণে।
𝗙𝗶𝘃𝗲 𝗘𝘆𝗲𝘀 নামক এই দানব রাশিদের ন্যায় অসংখ্য অপারেটিভকে ব্যবহার করে এভাবে বছরের পর বছর সন্ত্রাসী সংগঠনটির কাছে ম্যানপাওয়ার সাপ্লাই করেছে। রাশিদরাও নাগরিকত্ব, অর্থ, নারীর লোভে এভাবে নিষ্পাপ কিশোর-কিশোরীদের ম্যানিপুলেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে। একইসাথে রিক্রুটদের ডকুমেন্ট জমা করা হয়েছে অ্যালায়েন্সের সদরদপ্তরগুলোয়। এবারের এই ইন্টেলিজেন্স লিক তাই "𝗜𝗦 পশ্চিমা প্রোডাকশন" বলে পরিচিত থিওরীর সত্যতায় আরো রসদ জোগালো। একইসাথে আপাতদৃষ্টিতে নিরপরাধ ও নোংরা এবং ধূসর ইন্টেলিজেন্স ওয়ার্ল্ডের ভিকটিম শামীমাকেও যে তার হারানো অধিকার ফেরত পাওয়ার যুদ্ধে রসদ জোগালো, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
বৃটিশ এবং কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্সের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা ক্লাসিফায়েড ইন্টেলিজেন্স অপারেশন সম্পর্কে সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে, তারা এই তথ্যগুলোকে অস্বীকার করেননি। যার অর্থ, শামীমার সন্ত্রাসীদের খপ্পরে পড়া ছিলো তাদেরই এক অপারেশনের অংশ। সাংবাদিকেরা কানাডিয়ান অ্যাসেট ও তুরস্কে শামীমা ও তাঁর সঙ্গিনীদের মধ্যকার সাক্ষাৎ এর ভিডিও ফুটেজও হাতে পেয়েছেন। তাই আসলে অস্বীকারের সুযোগও থাকছে না এজেন্সিগুলোর হাতে।
ধন্যবাদ।
এই তথ্য ফাঁস হয়েছে সর্বপ্রথম "𝙏𝙝𝙚 𝙎𝙚𝙘𝙧𝙚𝙩 𝙃𝙞𝙨𝙩𝙤𝙧𝙮 𝙤𝙛 𝙩𝙝𝙚 𝙁𝙞𝙫𝙚 𝙀𝙮𝙚𝙨: 𝙏𝙝𝙚 𝙐𝙣𝙩𝙤𝙡𝙙 𝙎𝙩𝙤𝙧𝙮 𝙤𝙛 𝙩𝙝𝙚 𝙎𝙝𝙖𝙙𝙤𝙬𝙮 𝙄𝙣𝙩𝙚𝙧𝙣𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡 𝙎𝙥𝙮 𝙉𝙚𝙩𝙬𝙤𝙧𝙠, 𝙏𝙝𝙧𝙤𝙪𝙜𝙝 𝙄𝙩𝙨 𝙏𝙖𝙧𝙜𝙚𝙩𝙨, 𝙏𝙧𝙖𝙞𝙩𝙤𝙧𝙨 𝙖𝙣𝙙 𝙎𝙥𝙞𝙚𝙨" নামের বইটাতে। সেখান থেকে সাংবাদিকেরা কবর খুঁড়ে অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন কালেক্টের চেষ্টা করেছেন।
সোর্স
আল জাজিরাঃ
https://www.aljazeera.com/news/2022/8/31/calls-for-inquiry-after-british-isil-bride-case-linked-to-canada
বৃটিশ পত্রিকার নিউজঃ
https://www.dailymail.co.uk/news/article-11163935/amp/Moment-Canadian-spy-met-15-year-old-Shamima-Begum-Istanbul.html
বিবিসি নিউজঃ
https://www.bbc.com/news/uk-62726954
কার্টেসী - AL MUFTARIS
[ Predator_11
Analyst_8]
আমাদের দায়বদ্ধতাঃ-
এ বছরের প্রথম দিকে আই এস এর মিডিয়া আল মুতআ এর একটি ভিডিও আই এসের বঙ্গীয় মিডিয়া আত তামকিন সাব টাইটেল সহকারে প্রকাশ করে এবং আই এসের সমর্থক গোষ্ঠী সেই ভিডিও মহা উল্লাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল পরিমাণে প্রচার ও প্রসার করে।
সেই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল আল কায়েদার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের একটা রিপোর্টকে ভিত্তি করে। জাতিসংঘ সকল কুফরের মাথা ইসলামের বৃহৎ শত্রুদের মধ্যে অন্যতম। তাদের রিপোর্টও মিথ্যা খেলাফতের দাবিদার আই এস কোন যাচাই বাছাই না করেই গ্রহন করে এবং সেটা কে কেন্দ্র করে অফিশিয়াল ভাবে আল মুতআ মিডিয়া হতে ভিডিও পর্যন্ত পাবলিশ করে।
সুতরাং আই এস এই অভিযোগ কখনোই করার অধিকার রাখে না যে আমরা অন্যান্য মিডিয়া বা সোর্স হতে অন্যায় ভাবে তাদের বিরুদ্ধের সংবাদ গ্রহণ করি। বরং তারাই এর সূচনাকারী।
এবং আই এসের বিষয়ে মুজাহিদ এবং জিহাদি মিডিয়া ব্যাতিত অন্যান্য বিশস্ত সোর্স হতে যাচাই বাছাই করে সংবাদ গ্রহণ করা কোন দূষণীয় বা পরিত্যাজ্য বিষয় বলে আমরা মনে করি না। কেননা জিহাদি বা মুজাহিদ সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার বাইরেও অনেক বিশ্বস্ত মিডিয়া এবং সোর্স রয়েছে।
আমরা সদা সর্বদাই জি হা দ এবং মু জা হি দ দের বিষয়ে তথ্য গ্রহণে সর্বদাই সতর্ক থাকি যেন তাগুত মিডিয়ার দ্বারা কখনো প্রতারিত না হই। উল্লেখিত আর্টিকেল এর লেখক যদি ও জি হা দ এবং মু জা হি দের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন কিন্তু তিনি জি হা দ, মুজাহিদ এবং ইসলামি ইমারতে আফগানিস্তানের ব্যাপারে যথেষ্ট সুধারনা পোষন করেন।
আমরা এই আর্টিকেল এর লেখক এর বিষয়ে....
আরব্য রজনীর নতুন অধ্যায় এর লেখক- সাইয়্যেদ সেলিম শেহজাদ।
ইন সার্চ অফ অ্যা সিক্রেট হিস্ট্রি এর লেখক আব্দুল বারি আতওয়ান।
সাম্রাজ্যের ত্রাস ও শায়েখ ওসামা বিন লাদেন নিয়ে একাধিক বইয়ের লেখক-মাইকেল শইয়ার।
ইত্যাদি লেখকগনের মতই একজন সাহসী এবং সত্যান্বেষী মনে করি।
তবে প্রকৃত সত্য এবং বাস্তবতা সম্পর্কে কেবল মাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ই অবগত।
এক মিলিটারি অ্যানালাইসিস্ট এর কলমে উঠে আসা চমকপ্রদ,তথ্যবহুল,শাসরুদ্ধকর এক মূল্যবান আর্টিকেল।
শামীমা বেগমের কথা মনে আছে? বৃটিশ সিটিজেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। 𝗜𝗦𝗜𝗦 𝗚𝗜𝗥𝗟 বলে যার পরিচিতি দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়েছিল?
আজ কনফিডেনশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফাইল থেকে পৃথিবীব্যপী সকল সংবাদসংস্থাগুলো জানতে পেরেছে যে, কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (𝗖𝗦𝗜𝗦) এর একজন অ্যাসেট শামীমাকে তার আন্ডারকাভার অপারেশনের অংশ হিসাবে ম্যানিপুলেট করে সিরিয়াতে নিয়ে যায়!
মুহাম্মদ আল রাশিদ, একজন 𝗜𝗦𝗜𝗦 হিউম্যান ট্র্যাফিকিং রিং লিডার এবং কানাডিয়ান এজেন্সি অ্যাসেট, শামীমা বেগম, খাদিজা সুলতানা এবং আমিরা আব্বাসি নামের তিন স্কুলছাত্রীকে তার হ্যান্ডলারের পরামর্শে ফুসলিয়ে বৃটেন হতে সিরিয়াতে পাচার করে দেন। তার ট্র্যাফিকিং রিং নিয়ন্ত্রিত হতো সিরিয়ায় অবস্থিত 𝗜𝗦 এর কথিত খিলাফতের সদরদপ্তর রাক্কা শহর থেকে। এই মেয়েদের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠনটির 𝗦𝗲𝘅 𝗦𝗹𝗮𝘃𝗲 বা যৌনদাসী বানাবার উদ্দেশ্যে কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্স যখন পাচার করে, তখন তাঁদের কারো বয়সই ১৬ বছরের উর্ধ্বে নয়। কিশোরী তিন স্কুলছাত্রী প্রশিক্ষিত ম্যানিপুলেটরদের তীব্র ম্যানিপুলেশনের শিকার হয়ে সিরিয়ায় যেতে বাধ্য হয়।
মুহাম্মদ আল রাশিদ সন্ত্রাসী সংগঠন 𝗜𝗦 এর মানব পাচারকারী গ্রুপের তুরস্ক প্রধান হিসাবে কাজ করতেন। শামীমা বেগমের টিমকে সীমান্ত অতিক্রমে সহায়তার পূর্বে কমপক্ষে ০৮ মাস যাবত তিনি উক্ত সংগঠন এবং কানাডিয়ানদের হয়ে এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন।সন্ত্রাসী সংগঠনটিতে রাশিদের সুপিরিয়র ছিলো কুখ্যাত এক বৃটিশ 𝗜𝗦𝗜𝗦 যোদ্ধা রাফায়েল হোস্তে। রাফায়েল তাকে সরাসরি তার অধীনে কাজ করে বৃটেন থেকে রিক্রুটদের স্মাগল করে আনার নির্দেশ প্রদান করে।
মুহাম্মদ আল রাশিদ কেন এই কাজ করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরও পেয়েছেন সাংবাদিকেরা। জর্দান থেকে আগত এই অপারেটিভ ২০১৩ সালে জর্দানের কানাডিয়ান অ্যাম্বাসিতে অ্যাসাইলামের আবেদন জানায়। বিপরীতে দূতাবাস থেকে বলা হয়, "তুমি আমাদের হয়ে ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেট হিসাবে 𝗜𝗦 এর সাথে কাজ করলে তোমাকে কানাডিয়ান সিটিজেনশিপ দিব আমরা!"
রাশিদ এরপর ২০১৫ সালে তার আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটার সাথে মানবপাচারের কাজে যুক্ত ছিলেন।
মুহাম্মদ আল রাশিদের এই আন্ডারকাভার ওয়ার্ক এবং ইনফরমেশন গ্যাদারিং ছিলো 𝗙𝗶𝘃𝗲 𝗘𝘆𝗲𝘀 ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্সের একটা মেজর অপারেশনের ক্ষুদ্র এক অংশ। এই অ্যালায়েন্সের সদস্য দেশগুলি হলো- বৃটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এবং শামীমা বেগম শুধুমাত্র একটা 𝘊𝘰𝘷𝘦𝘳 𝘶𝘱 𝘨𝘰𝘯𝘦 𝘸𝘳𝘰𝘯𝘨। শামীমা বেগমকে যখন 𝗙𝗶𝘃𝗲 𝗘𝘆𝗲𝘀 এর কানাডিয়ান অ্যাসেট সিরিয়াতে পাচার করছে, একইসময়ে শামীমা ও তাঁর সঙ্গীদের খোঁজে ইন্টারন্যাশনাল সার্চ রান করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তথা বৃটিশ পুলিশ। কাকতালীয়ভাবে কিছুদিন পরেই তুর্কি ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে রাশিদের কর্মকান্ড ফাঁস হয়ে গেলে তুর্কিশ জেনারেল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি তথা তুর্কি পুলিশ রাশিদকে ধরে ফেলে। রাশিদ বিনাদ্বিধায় তার কাছে থাকা শামীমার পাসপোর্টের ছবি তুর্কিদের সাথে শেয়ার করে এবং বৃটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (সেকশন ফাইভ) তথা 𝗠𝗜-𝟱 কে কাভারআপের প্রসিডিওর লঞ্চ করার সিগন্যাল দেয়। কানাডিয়ান অ্যাসেটের বার্ন হয়ে যাওয়া ঠেকাতে কাজে নামে বৃটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স। তারা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে ভয়াবহ চাপ প্রয়োগ করে ইন্টারন্যাশনাল সার্চ নামক পুলিশি তোলপাড় থামিয়ে দিতে বাধ্য করে এবং শামীমাকে পরবর্তীতে 𝘴𝘤𝘢𝘱𝘦 𝘨𝘰𝘢𝘵 হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা চালায়। এর অংশ হিসাবে তাঁর বৃটিশ নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেওয়া হয়। পিতৃভূমি বাংলাদেশও তাঁকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানায় 𝗜𝗦𝗜𝗦 সংশ্লিষ্ট ইতিহাসের কারণে।
𝗙𝗶𝘃𝗲 𝗘𝘆𝗲𝘀 নামক এই দানব রাশিদের ন্যায় অসংখ্য অপারেটিভকে ব্যবহার করে এভাবে বছরের পর বছর সন্ত্রাসী সংগঠনটির কাছে ম্যানপাওয়ার সাপ্লাই করেছে। রাশিদরাও নাগরিকত্ব, অর্থ, নারীর লোভে এভাবে নিষ্পাপ কিশোর-কিশোরীদের ম্যানিপুলেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে। একইসাথে রিক্রুটদের ডকুমেন্ট জমা করা হয়েছে অ্যালায়েন্সের সদরদপ্তরগুলোয়। এবারের এই ইন্টেলিজেন্স লিক তাই "𝗜𝗦 পশ্চিমা প্রোডাকশন" বলে পরিচিত থিওরীর সত্যতায় আরো রসদ জোগালো। একইসাথে আপাতদৃষ্টিতে নিরপরাধ ও নোংরা এবং ধূসর ইন্টেলিজেন্স ওয়ার্ল্ডের ভিকটিম শামীমাকেও যে তার হারানো অধিকার ফেরত পাওয়ার যুদ্ধে রসদ জোগালো, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
বৃটিশ এবং কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্সের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তারা ক্লাসিফায়েড ইন্টেলিজেন্স অপারেশন সম্পর্কে সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে, তারা এই তথ্যগুলোকে অস্বীকার করেননি। যার অর্থ, শামীমার সন্ত্রাসীদের খপ্পরে পড়া ছিলো তাদেরই এক অপারেশনের অংশ। সাংবাদিকেরা কানাডিয়ান অ্যাসেট ও তুরস্কে শামীমা ও তাঁর সঙ্গিনীদের মধ্যকার সাক্ষাৎ এর ভিডিও ফুটেজও হাতে পেয়েছেন। তাই আসলে অস্বীকারের সুযোগও থাকছে না এজেন্সিগুলোর হাতে।
ধন্যবাদ।
এই তথ্য ফাঁস হয়েছে সর্বপ্রথম "𝙏𝙝𝙚 𝙎𝙚𝙘𝙧𝙚𝙩 𝙃𝙞𝙨𝙩𝙤𝙧𝙮 𝙤𝙛 𝙩𝙝𝙚 𝙁𝙞𝙫𝙚 𝙀𝙮𝙚𝙨: 𝙏𝙝𝙚 𝙐𝙣𝙩𝙤𝙡𝙙 𝙎𝙩𝙤𝙧𝙮 𝙤𝙛 𝙩𝙝𝙚 𝙎𝙝𝙖𝙙𝙤𝙬𝙮 𝙄𝙣𝙩𝙚𝙧𝙣𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡 𝙎𝙥𝙮 𝙉𝙚𝙩𝙬𝙤𝙧𝙠, 𝙏𝙝𝙧𝙤𝙪𝙜𝙝 𝙄𝙩𝙨 𝙏𝙖𝙧𝙜𝙚𝙩𝙨, 𝙏𝙧𝙖𝙞𝙩𝙤𝙧𝙨 𝙖𝙣𝙙 𝙎𝙥𝙞𝙚𝙨" নামের বইটাতে। সেখান থেকে সাংবাদিকেরা কবর খুঁড়ে অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন কালেক্টের চেষ্টা করেছেন।
সোর্স
আল জাজিরাঃ
https://www.aljazeera.com/news/2022/8/31/calls-for-inquiry-after-british-isil-bride-case-linked-to-canada
বৃটিশ পত্রিকার নিউজঃ
https://www.dailymail.co.uk/news/article-11163935/amp/Moment-Canadian-spy-met-15-year-old-Shamima-Begum-Istanbul.html
বিবিসি নিউজঃ
https://www.bbc.com/news/uk-62726954
কার্টেসী - AL MUFTARIS
[ Predator_11
Analyst_8]
আমাদের দায়বদ্ধতাঃ-
এ বছরের প্রথম দিকে আই এস এর মিডিয়া আল মুতআ এর একটি ভিডিও আই এসের বঙ্গীয় মিডিয়া আত তামকিন সাব টাইটেল সহকারে প্রকাশ করে এবং আই এসের সমর্থক গোষ্ঠী সেই ভিডিও মহা উল্লাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল পরিমাণে প্রচার ও প্রসার করে।
সেই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল আল কায়েদার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের একটা রিপোর্টকে ভিত্তি করে। জাতিসংঘ সকল কুফরের মাথা ইসলামের বৃহৎ শত্রুদের মধ্যে অন্যতম। তাদের রিপোর্টও মিথ্যা খেলাফতের দাবিদার আই এস কোন যাচাই বাছাই না করেই গ্রহন করে এবং সেটা কে কেন্দ্র করে অফিশিয়াল ভাবে আল মুতআ মিডিয়া হতে ভিডিও পর্যন্ত পাবলিশ করে।
সুতরাং আই এস এই অভিযোগ কখনোই করার অধিকার রাখে না যে আমরা অন্যান্য মিডিয়া বা সোর্স হতে অন্যায় ভাবে তাদের বিরুদ্ধের সংবাদ গ্রহণ করি। বরং তারাই এর সূচনাকারী।
এবং আই এসের বিষয়ে মুজাহিদ এবং জিহাদি মিডিয়া ব্যাতিত অন্যান্য বিশস্ত সোর্স হতে যাচাই বাছাই করে সংবাদ গ্রহণ করা কোন দূষণীয় বা পরিত্যাজ্য বিষয় বলে আমরা মনে করি না। কেননা জিহাদি বা মুজাহিদ সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার বাইরেও অনেক বিশ্বস্ত মিডিয়া এবং সোর্স রয়েছে।
আমরা সদা সর্বদাই জি হা দ এবং মু জা হি দ দের বিষয়ে তথ্য গ্রহণে সর্বদাই সতর্ক থাকি যেন তাগুত মিডিয়ার দ্বারা কখনো প্রতারিত না হই। উল্লেখিত আর্টিকেল এর লেখক যদি ও জি হা দ এবং মু জা হি দের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন কিন্তু তিনি জি হা দ, মুজাহিদ এবং ইসলামি ইমারতে আফগানিস্তানের ব্যাপারে যথেষ্ট সুধারনা পোষন করেন।
আমরা এই আর্টিকেল এর লেখক এর বিষয়ে....
আরব্য রজনীর নতুন অধ্যায় এর লেখক- সাইয়্যেদ সেলিম শেহজাদ।
ইন সার্চ অফ অ্যা সিক্রেট হিস্ট্রি এর লেখক আব্দুল বারি আতওয়ান।
সাম্রাজ্যের ত্রাস ও শায়েখ ওসামা বিন লাদেন নিয়ে একাধিক বইয়ের লেখক-মাইকেল শইয়ার।
ইত্যাদি লেখকগনের মতই একজন সাহসী এবং সত্যান্বেষী মনে করি।
তবে প্রকৃত সত্য এবং বাস্তবতা সম্পর্কে কেবল মাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ই অবগত।