ফিরাউন কেন কাফের
এই শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে ফিরাউনের কাফের হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ আছে! না ভাই তার কাফের হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সন্দেহ নেই এখানে
শুধু এটা বুঝানো উদ্দেশ্য যে ফিরাউন কোন কারনে কাফের হল সে কারন গুলো বর্তমান শাসকদের মাঝে বিদ্যমান আছে কিনা আসুন মুল আলোচনায় আসা যাক
আমরা জানি যে ফিরাউন প্রকাশ্যে নিজেকে রব দাবি করেছিল! কোরআন মাজিদে তার এঘটনা বর্ণিত হয়েছে এরশাদ হয়েছে
فَحَشَرَ فَنَادَىٰ
(আন নাযিয়াত - ২৩)
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল,
فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَىٰ
(আন নাযিয়াত - ২৪)
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।
এখন কথা হল ফিরাউন নিজে নিজেকে রব দাবি করে কি বুঝিয়েছে সে কি দাবি করেছিল যে সে নিজে আসমান যমিন সৃষ্টি করেছে কিংবা মানব
জাতিকে সৃষ্টি করেছে? নাকি সে দাবি করেছিল যে পাহাড় পর্বত যমিন স্হিতিশীল রাখার জন্য সে সৃষ্টি করেছে? না সে রব বলে এগুলো কে দাবি করেনি সে এগুলো দাবি করলে তার দলের লোকেরাই তাকে পাগল বলত বরং সে নিজেও বিভিন্ন পুজায় অংশ নিত তারও অনেক ধরনের ইলাহ
বা মাবুদ ছিল কোরান থেকে প্রমান দেখুন
وَقَالَ الْمَلَأُ مِن قَوْمِ فِرْعَوْنَ أَتَذَرُ مُوسَىٰ وَقَوْمَهُ لِيُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَيَذَرَكَ وَآلِهَتَكَ ۚ قَالَ سَنُقَتِّلُ أَبْنَاءَهُمْ وَنَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ وَإِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُونَ
(আল আরাফ - ১২৭)
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার সম্প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ করার জন্য এবং তোমাকে ও তোমার দেব-দেবীকে বাতিল করে দেবার জন্য। সে বলল, আমি এখনি হত্যা করব তাদের পুত্র সন্তানদিগকে; আর জীবিত রাখব মেয়েদেরকে। বস্তুতঃ আমরা তাদের উপর প্রবল।
দেখুন আয়াত সুস্পষ্ট ভাবে প্রমান করছে যে তারও অনেক ইলাহ—উপাস্য ছিল তাহলে সে রব দাবি করে আসলে কি বুঝায়তে চেয়েছে আসমান যমিন মানব জাতির সৃষ্টি কর্তা হিসাবে কেউ কোন দিন দাবি করেনি বরং কোরানের অনেক আয়াত প্রমান করে সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা রিজিকদাতা
আল্লাহ তায়ালাকে মানত এবিশ্বাস থাকা সত্তেও তারা কাফের মুশরিক কেন? কেন তাদের জাহান্নাম অবধারিত !তাহলে ফিরাউন আসলে কি দাবি করেছিল? আসুন কোরান থেকে এর উত্তর জেনে নিই
وَنَادَىٰ فِرْعَوْنُ فِي قَوْمِهِ قَالَ يَا قَوْمِ أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ وَهَـٰذِهِ الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِن تَحْتِي ۖ أَفَلَا تُبْصِرُونَ
(আয্*-যুখরুফ - ৫১)
ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, মিশরের সার্বভৌমত্ব কি আমার নয়? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না?
এআয়াত স্পষ্ট করে দিল যে ফিরাউনের দাবি ছিল সার্বভৌমত্বের দাবি সারা পৃথিবীর দাবী নয় বরং শুধু মিশরের নিরংকুশ শাসন ক্ষমতার
দাবী তার দাবী ছিল মিশরের জনসাধরনের জন্যে তার খুুশি মত আইন কানুন মুল্যবোধ নির্ধারনের একক ক্ষমতার দাবী! আর এটাই তার রব দাবীর উদ্দেশ্য আর এটাই বর্তমান শাসক গোষ্ঠির দাবী যে তারা জনগনের জন্য আইন কানুন বানাবে তাহলে ফিরাউন ও বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর মাঝে পার্থক্য হল বর্তমান ধোকাবাজ শাসকগোষ্ঠি বলে না যে আমরা তোমাদের রব আর ফিরাউন প্রকাশ্যে দাবী করেছিল আমি তোমাদের রব এতটুকু পার্থক্য!
এই শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে ফিরাউনের কাফের হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ আছে! না ভাই তার কাফের হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সন্দেহ নেই এখানে
শুধু এটা বুঝানো উদ্দেশ্য যে ফিরাউন কোন কারনে কাফের হল সে কারন গুলো বর্তমান শাসকদের মাঝে বিদ্যমান আছে কিনা আসুন মুল আলোচনায় আসা যাক
আমরা জানি যে ফিরাউন প্রকাশ্যে নিজেকে রব দাবি করেছিল! কোরআন মাজিদে তার এঘটনা বর্ণিত হয়েছে এরশাদ হয়েছে
فَحَشَرَ فَنَادَىٰ
(আন নাযিয়াত - ২৩)
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল,
فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَىٰ
(আন নাযিয়াত - ২৪)
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।
এখন কথা হল ফিরাউন নিজে নিজেকে রব দাবি করে কি বুঝিয়েছে সে কি দাবি করেছিল যে সে নিজে আসমান যমিন সৃষ্টি করেছে কিংবা মানব
জাতিকে সৃষ্টি করেছে? নাকি সে দাবি করেছিল যে পাহাড় পর্বত যমিন স্হিতিশীল রাখার জন্য সে সৃষ্টি করেছে? না সে রব বলে এগুলো কে দাবি করেনি সে এগুলো দাবি করলে তার দলের লোকেরাই তাকে পাগল বলত বরং সে নিজেও বিভিন্ন পুজায় অংশ নিত তারও অনেক ধরনের ইলাহ
বা মাবুদ ছিল কোরান থেকে প্রমান দেখুন
وَقَالَ الْمَلَأُ مِن قَوْمِ فِرْعَوْنَ أَتَذَرُ مُوسَىٰ وَقَوْمَهُ لِيُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَيَذَرَكَ وَآلِهَتَكَ ۚ قَالَ سَنُقَتِّلُ أَبْنَاءَهُمْ وَنَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ وَإِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُونَ
(আল আরাফ - ১২৭)
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার সম্প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ করার জন্য এবং তোমাকে ও তোমার দেব-দেবীকে বাতিল করে দেবার জন্য। সে বলল, আমি এখনি হত্যা করব তাদের পুত্র সন্তানদিগকে; আর জীবিত রাখব মেয়েদেরকে। বস্তুতঃ আমরা তাদের উপর প্রবল।
দেখুন আয়াত সুস্পষ্ট ভাবে প্রমান করছে যে তারও অনেক ইলাহ—উপাস্য ছিল তাহলে সে রব দাবি করে আসলে কি বুঝায়তে চেয়েছে আসমান যমিন মানব জাতির সৃষ্টি কর্তা হিসাবে কেউ কোন দিন দাবি করেনি বরং কোরানের অনেক আয়াত প্রমান করে সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা রিজিকদাতা
আল্লাহ তায়ালাকে মানত এবিশ্বাস থাকা সত্তেও তারা কাফের মুশরিক কেন? কেন তাদের জাহান্নাম অবধারিত !তাহলে ফিরাউন আসলে কি দাবি করেছিল? আসুন কোরান থেকে এর উত্তর জেনে নিই
وَنَادَىٰ فِرْعَوْنُ فِي قَوْمِهِ قَالَ يَا قَوْمِ أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ وَهَـٰذِهِ الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِن تَحْتِي ۖ أَفَلَا تُبْصِرُونَ
(আয্*-যুখরুফ - ৫১)
ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, মিশরের সার্বভৌমত্ব কি আমার নয়? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না?
এআয়াত স্পষ্ট করে দিল যে ফিরাউনের দাবি ছিল সার্বভৌমত্বের দাবি সারা পৃথিবীর দাবী নয় বরং শুধু মিশরের নিরংকুশ শাসন ক্ষমতার
দাবী তার দাবী ছিল মিশরের জনসাধরনের জন্যে তার খুুশি মত আইন কানুন মুল্যবোধ নির্ধারনের একক ক্ষমতার দাবী! আর এটাই তার রব দাবীর উদ্দেশ্য আর এটাই বর্তমান শাসক গোষ্ঠির দাবী যে তারা জনগনের জন্য আইন কানুন বানাবে তাহলে ফিরাউন ও বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর মাঝে পার্থক্য হল বর্তমান ধোকাবাজ শাসকগোষ্ঠি বলে না যে আমরা তোমাদের রব আর ফিরাউন প্রকাশ্যে দাবী করেছিল আমি তোমাদের রব এতটুকু পার্থক্য!
Comment