Announcement

Collapse
No announcement yet.

★ নিম্ন বর্ণিত বিষয়াদি সমন্ধে আকাবিরে দেওবন্দের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ★ (3)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★ নিম্ন বর্ণিত বিষয়াদি সমন্ধে আকাবিরে দেওবন্দের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ★ (3)

    (3) নিম্ন বর্ণিত বিষয়াদি সমন্ধে আকাবিরে দেওবন্দের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ (3)

    ** জরুরিয়াতে দ্বীনের পরিচয় **

    আনোয়ার শাহ্ কাশ্মীরী (রহ) বলেন-
    দ্বীনের ঐসমস্ত অকাট্য ও সুনিশ্চিত বিষয়াবলীকে, যেগুলো রাসূল স. থেকে দ্বীন হিসাবেই অকাট্যভাবে প্রমাণিত এবং ধারাবাহিকভাবে সুপ্রসিদ্ধতার সাথে বর্তমান সময় পর্যন্ত পৌছে গেছে।
    এমনকি সর্বসাধারণ ও সেটাকে রাসূলের দ্বীন হিসাবে জানে ও মানে। সর্বসাধারণ বলতে তাদেরকে বুঝায় যারা দ্বীন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখে, তারা আলেম হোক চাই গাইরে আলেম। এমন বিষয়কে জরুরিয়াতে দ্বীন বলে।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ৪৮

    ★ জরুরিয়াতে দ্বীনের মধ্যে যেই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ উম্মত আজ পর্যন্ত বুঝে আসছে, সেটা ব্যতিত ভিন্ন কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা এবং তার আমলী যে পদ্ধতি ধারাবাহিক ভাবে সাব্যস্ত রয়েছে, সেই পদ্ধতি থেকে উম্মতকে বের করে দেওয়া কুফরকে আবশ্যক করে।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ১৫৬

    ★ জরুরিয়াতে দ্বীনের মধ্যে মনগড়া ব্যাখ্যা করা ও কুফরী বরং তা অস্বীকার করার চেয়েও জঘন্যতম।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ১৭৫

    ★যে সমস্ত ব্যাখ্যা জরুরিয়াতে দ্বীনের সাথে সাংঘর্ষিক ও বিরোধী সেটাও কুফরী। যে সব বিষয়ে ব্যাখ্যা করার কোন প্রয়োজন নেই, সে সব বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণে ও মানুষ কাফের হয়ে যায়। তাদের কোন কোন ব্যাখ্যা তো এমন ও হয়, যা জরুরিয়াতে দ্বীনের সম্পূর্ণ বিপরীতে চলে যায়। অথচ সে বুঝতেই পারেনা তার উপর যে কুফরের হুকুম প্রযোজ্য হচ্ছে।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ১৭৬

    ★ কোরআনে কারীমের সর্বসম্মত অর্থ ও উদ্দেশ্য অস্বীকার করা কোরআনে কারীম অস্বীকার করার মতই। একারণে সে কাফের হয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ২০৩


    ★ ঈমানের পরিচয় ★

    ইমাম বুখারী রহ. বলেন, ঈমানের জন্য আবশ্যক হলো দ্বীনের প্রতিটি হুকুম গ্রহণ করা এবং তার উপর আমল করার সুদৃঢ় সংকল্প করা। - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ৫০

    ★ যে তা'বীলের দ্বারা দ্বীনের ক্ষতি হয়, যদিও তা'বীল করার অবকাশ থাকে তবুও তার তা'বীলকারীকে তাকফীর করা হবে।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ২৪০

    ★ তা'বীল করা শরীয়ত প্রবর্তকের কথা ক্রটিপূর্ণ সাব্যস্ত করার নামান্তর। এ তা'বীল করার অর্থ হল, তা'বীলকারী শরীয়তের গোপন ভেদ ও রহস্য, মূলনীতি ও উদ্দেশ্য শরীয়ত প্রবর্তকের চেয়ে বেশি জানে। সে নিশ্চিত কাফের।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ২৪২

    ★ দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও যদি কুফরী মতবাদ, উক্তি ও আমল অবলম্বন করে তা হলে কাফের হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ৯৫

    ★ জরুরীয়াতে দ্বীনের তা'বীলকারী নামাজ রোজার পাবন্দী করা সত্ত্বেও কাফের ও মুরতাদ হয়ে যায়।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ১২৫

    ★ যে ব্যক্তি কোন অকাট্য দলিল ছাড়া এসব আয়াত ও হাদীসের বাহ্যিক অর্থের মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধন করবে, তাকে কাফের আখ্যায়িত করা ফরজ।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ২১৩

    ★ কোন মুসলমানকে কাফের বলা যেমন ইসলাম পরিপন্থী, ঠিক তেমনি কোন অমুসলিমকে মুসলমান বলা এবং কুফরী ব্যপারে চুপ থাকাও ইসলাম পরিপন্থী।
    - ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা- ২৫০



    সাবধান! সাবধান! সাবধান!


    জিহাদ, মুজাহিদ, শহীদ, ফিসাবিলিল্লাহ ও হিজরত শব্দগুলোর তা'বীল, তাহরিফ ও মনগড়া ব্যাখ্যা থেকে নিজের ঈমানকে হেফাজত করুন।

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে নিয়ে হযরত সাহাবায়ে কেরাম, ফকী, মুফাসসীর ও মুহাদ্দেসীনে কেরাম
    আজ ১৫শ বৎসর যাবত যে ব্যাখ্যা দিয়ে আসছেন , সে ব্যাখ্যা পরিহার করে নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ঈমান হারাবেন না ।
    এবং উম্মতকে গোমরা বানাবেন না। শরীয়তের পরিভাষা বাদ দিয়ে আভিধানিক অর্থ নিয়ে ব্যাখ্যা করবেন না।

    ★ নবী, সাহাবী, ফুকাহা, মুহাদ্দেসীন ও মুফাসসিরীনগণ জিহাদের অর্থ করেছেন ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ। অর্থাৎ কাফেরদের বিরুদ্ধে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে লড়াই করা। তাই পবিত্র জিহাদকে তার সঠিক স্থানে থাকতে দিন।

    ★ কুরআন ও হাদীসের মধ্যে যত জায়গায় ফিসাবিলিল্লাহ শব্দ আসছে সেটা জিহাদকেই বুঝায়। এটাই সমস্ত ফকীহগণের সিদ্ধান্ত।

    ★ যারা আল্লাহর দীন কায়েমের জন্য কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদেরকে মুজাহিদ বলে। আর জিকির কারীকে যাকের বলে। অতএব মুজাহিদকে তার স্থানে ব্যবহার করুন। ঘুলাটে করবেন না।

    ★ যারা দ্বীন কায়েম করতে গিয়ে কাফেরদের হাতে নিহত হয়, তাদেরকে শহীদ বলা হয়। গণতন্ত্র রাষ্ট্র কায়েম করতে গিয়ে নিহত হলে তারা শহীদ নয়। শাহাদাতের জন্য ঈমান শর্ত। কোন কাফের শহীদ হয় না।

    ★ ঈমান বাঁচানোর জন্য দারুল হারব থেকে দারুল ইসলামে চলে যাওয়াকে হিজরত বলে। এক মসজিদ থেকে আরেক মসজিদে যাওয়া হিজরত নয়।
    উক্ত পবিত্র শব্দগুলো যথা স্থানে ব্যবহার না করলে কবীরা গোনাহ তো হবেই এমনকি ঈমান চলে যাওয়ার ও সম্ভবনা রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন। আমীন।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ । কয়েকটি অন্তরের কথা।

    Comment

    Working...
    X