গণতন্ত্র সম্পর্কে আকাবিরে দেওবন্দের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ ★ (6)
★ মাওলানা আহাম্মদ আলী লাহুরী রহ. বলেন
1) জিহাদের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা সকলের জন্য সব সময় ফরজ।
2) জিহাদ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল, জিহাদের মধ্যে মুক্তি সুনিশ্চিত।
3) মসজিদে বসে শুধু জিকির করা, এটা জিহাদ পরিত্যাগের বাহানা বানাতে পারে না।
4) মুনাফিকরা টালবাহানা করে জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকে।
★ মাওলানা আঃ হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহ বলেন
১) জিহাদে যাওয়ার জন্য পিতা-মাতা ও স্ত্রী সন্তানের অনুমতির দরকার হয় না।
২) যারা মুজাহিদদের বিরোধিতা করে এবং ইসলাম বিরোধী দলকে সহযোগিতা করে তাদেরকে হত্যা করা জায়েয। এরা জিন্দিকের হুকুম। জিহাদে না যাওয়ার অনুমতি চাওয়া মুনাফিকী স্বভাব।
★ মাওলানা রশীদ আহাম্মদ লুদিয়ানুবী রহ বলেন-
১) বর্তমানে জিহাদ ফরজে আইন। আর মুজাহিদদেরকে সাহায্য করাও ফরজ।
২) যে ভূখণ্ডে মানব জীবনের প্রতিটি অংশে ইসলামের বিধি-বিধান এবং ইসলামী রীতি-নীতি পালন করতে সক্ষম নয় তা দারুল হারব।
৩) কুফুরী হুকুমতের বিরোদ্ধে জিহাদ করা ফরজ।
৪) রাসূলের হুকুমের সামনে সব ধরনের হেকমত ও কল্যাণ কোরবান করা আবশ্যক।
★ হযরত মাওলানা উবায়দুল্লাহ সিন্ধী রহ বলেন
" কোন সূফী ব্যক্তি যদি তার মুরীদদেরকে শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকিরের মধ্যে লাগিয়ে রাখে এবং কোরআনে কারীমের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত না করে থাকে তবে তাদের নেক আমলগুলো কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ রয়েছে।
- মাজমুয়ায়ে তাফসীরে ইমাম সিন্ধী- পৃঃ ১৫০
★ যারা মানব রচিত বিধি বিধানকে মূলোৎপাঠন করে, সঠিক ও প্রকৃত বিধান কায়েম করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় , তখন এই জামাতটিই সমস্ত সক্রিয় জামাতের অনুসরণীয় হয়ে যায়।
- মাজমুয়ায়ে তাফসীরে ইমাম সিন্ধী- পৃঃ ১১৯
***
★ বেফাকুল মাদারিস পাকিস্তান-এর সদর মাওলানা সলিমুল্লাহ খান দা.বা.. বলেন নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলাম আনা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের মাধ্যমে ও ইসলাম আনা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রে বিবেচ্য হল সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়। আর গরিষ্ঠ সংখ্যা থাকে মূর্খ, যারা দ্বীনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না। (মাসিক সানাবিল করাচি মে ২০১৩ ইং)
★ মাওলানা ইদ্রিস কান্ধলভী রহ. বলেন- ওরা বলে থাকে যে, এটা মজদুর ও সাধারণ মানুষদের হুকুমত। এমন হুকুমত নিঃসন্দেহে কুফরের হুকুমত।
(আকায়েদুল ইসলাম পৃ. ২৩০)
★ হযরত মুফতী নিযামুদ্দীন শহীদ রহ. বলেন- দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার দ্বীন ভোটের মাধ্যমে, পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে না। কেননা এ দুনিয়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হচ্ছে আল্লাহর দুশমনদের, ফাসেক ও ফাজেরদের। আর গণতন্ত্র হচ্ছে মাথা গণনা করার নাম। ওজন করার নাম নয়। ... দুনিয়াতে ইসলাম যখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন সেই এক পন্থায় প্রতিষ্ঠিত হবে। যেটা আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবলম্বন করেছিলেন। আর তা হল জিহাদের রাস্তা।... (মাসিক সানাবিল করাচি মে ২০১৩ ইং)
***
বিঃদ্রঃ- আফগানিস্তানে তালিবানের শাসন এসেছে। ইসলামী শরীয়ত এসেছে। কখন এসেছে?
যখন ১৬ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন, ১০ লক্ষ্য মানুষ বিকলঙ্গ হয়েছেন। কারো হাত নেই, কারো চোখ নেই, কারো কান নেই, কারো পা নেই। ... আল্লাহ তাআলা বিনামূল্যে কাউকে দেন না। যতক্ষন পর্যন্ত কুরবানী না করা হয়। পাকিস্তানের লোকজন আসা করে, তালেবানের হুকুমত আসুক অথবা তালেবানের মত হুকুমত আসুক। কিন্তু এর জন্য যে কুরবানীর দরকার তার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। (মাসিক সানাবিল করাচি মে ২০১৩ ইং)
★
প্রশ্নঃ-
আমাদের জন্য করণীয় কি?
এ ব্যপারে কিছু চিন্তা ফিকির করিছি কি?
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার , মানার ও আমলের তৌফিক দান করুন। আমীন।
★ মাওলানা আহাম্মদ আলী লাহুরী রহ. বলেন
1) জিহাদের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা সকলের জন্য সব সময় ফরজ।
2) জিহাদ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল, জিহাদের মধ্যে মুক্তি সুনিশ্চিত।
3) মসজিদে বসে শুধু জিকির করা, এটা জিহাদ পরিত্যাগের বাহানা বানাতে পারে না।
4) মুনাফিকরা টালবাহানা করে জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকে।
★ মাওলানা আঃ হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহ বলেন
১) জিহাদে যাওয়ার জন্য পিতা-মাতা ও স্ত্রী সন্তানের অনুমতির দরকার হয় না।
২) যারা মুজাহিদদের বিরোধিতা করে এবং ইসলাম বিরোধী দলকে সহযোগিতা করে তাদেরকে হত্যা করা জায়েয। এরা জিন্দিকের হুকুম। জিহাদে না যাওয়ার অনুমতি চাওয়া মুনাফিকী স্বভাব।
★ মাওলানা রশীদ আহাম্মদ লুদিয়ানুবী রহ বলেন-
১) বর্তমানে জিহাদ ফরজে আইন। আর মুজাহিদদেরকে সাহায্য করাও ফরজ।
২) যে ভূখণ্ডে মানব জীবনের প্রতিটি অংশে ইসলামের বিধি-বিধান এবং ইসলামী রীতি-নীতি পালন করতে সক্ষম নয় তা দারুল হারব।
৩) কুফুরী হুকুমতের বিরোদ্ধে জিহাদ করা ফরজ।
৪) রাসূলের হুকুমের সামনে সব ধরনের হেকমত ও কল্যাণ কোরবান করা আবশ্যক।
★ হযরত মাওলানা উবায়দুল্লাহ সিন্ধী রহ বলেন
" কোন সূফী ব্যক্তি যদি তার মুরীদদেরকে শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকিরের মধ্যে লাগিয়ে রাখে এবং কোরআনে কারীমের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত না করে থাকে তবে তাদের নেক আমলগুলো কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ রয়েছে।
- মাজমুয়ায়ে তাফসীরে ইমাম সিন্ধী- পৃঃ ১৫০
★ যারা মানব রচিত বিধি বিধানকে মূলোৎপাঠন করে, সঠিক ও প্রকৃত বিধান কায়েম করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় , তখন এই জামাতটিই সমস্ত সক্রিয় জামাতের অনুসরণীয় হয়ে যায়।
- মাজমুয়ায়ে তাফসীরে ইমাম সিন্ধী- পৃঃ ১১৯
***
★ বেফাকুল মাদারিস পাকিস্তান-এর সদর মাওলানা সলিমুল্লাহ খান দা.বা.. বলেন নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলাম আনা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের মাধ্যমে ও ইসলাম আনা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রে বিবেচ্য হল সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়। আর গরিষ্ঠ সংখ্যা থাকে মূর্খ, যারা দ্বীনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না। (মাসিক সানাবিল করাচি মে ২০১৩ ইং)
★ মাওলানা ইদ্রিস কান্ধলভী রহ. বলেন- ওরা বলে থাকে যে, এটা মজদুর ও সাধারণ মানুষদের হুকুমত। এমন হুকুমত নিঃসন্দেহে কুফরের হুকুমত।
(আকায়েদুল ইসলাম পৃ. ২৩০)
★ হযরত মুফতী নিযামুদ্দীন শহীদ রহ. বলেন- দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার দ্বীন ভোটের মাধ্যমে, পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে না। কেননা এ দুনিয়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হচ্ছে আল্লাহর দুশমনদের, ফাসেক ও ফাজেরদের। আর গণতন্ত্র হচ্ছে মাথা গণনা করার নাম। ওজন করার নাম নয়। ... দুনিয়াতে ইসলাম যখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন সেই এক পন্থায় প্রতিষ্ঠিত হবে। যেটা আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবলম্বন করেছিলেন। আর তা হল জিহাদের রাস্তা।... (মাসিক সানাবিল করাচি মে ২০১৩ ইং)
***
বিঃদ্রঃ- আফগানিস্তানে তালিবানের শাসন এসেছে। ইসলামী শরীয়ত এসেছে। কখন এসেছে?
যখন ১৬ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন, ১০ লক্ষ্য মানুষ বিকলঙ্গ হয়েছেন। কারো হাত নেই, কারো চোখ নেই, কারো কান নেই, কারো পা নেই। ... আল্লাহ তাআলা বিনামূল্যে কাউকে দেন না। যতক্ষন পর্যন্ত কুরবানী না করা হয়। পাকিস্তানের লোকজন আসা করে, তালেবানের হুকুমত আসুক অথবা তালেবানের মত হুকুমত আসুক। কিন্তু এর জন্য যে কুরবানীর দরকার তার জন্য তারা প্রস্তুত নয়। (মাসিক সানাবিল করাচি মে ২০১৩ ইং)
★
প্রশ্নঃ-
আমাদের জন্য করণীয় কি?
এ ব্যপারে কিছু চিন্তা ফিকির করিছি কি?
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার , মানার ও আমলের তৌফিক দান করুন। আমীন।
Comment